আলিফ হোসেন,তানোরঃ
সমাজে ভাল কিছু করতে নিজের ইচ্ছে শক্তি যথেষ্ট বলে মনে করেন মানবিক আনসার সহকারী প্লাটুন কমান্ডার জামিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) সহকারী প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে মাদক, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং প্রতিরোধ, বৃক্ষরোপণসহ ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করে আসছেন। জানা গেছে,বিগত ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর স্বপন নামেরএকজনকে গাঁজাসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। বিগত ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে ৮লিটার চোলাইমদসহ আটক ও পুলিশে সোপর্দ করেন, এবং একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর ৯ লিটার চোলাইমদসহ ফেরদৌস নামের একজনকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ করেন। এছাড়াও ২০২১ এর ২৬ জুন মাদারিপুর আইডিয়াল কলেজ চত্ত্বের গাছের চারা রোপণ ও ১৫০টি গাছের চারা বিতরণ করেন। অন্যদিকে ২০২১ সালের ১৩ জুলাই বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দুইশত ও ১৪ জুলাই দুইশত মোট চারশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করেন। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে অসহায় কৃষকের ধান কেটে সাহায্য, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি সাবান, ম্যাস্ক ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। আবার এলাকার ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক খাবার বিতরণ করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া, রক্ত প্রদান করাসহ কামারগাঁ ইউপি এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে তিনি সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। এবিষয়ে কামারগাঁ ইউপি আনসার সহকারি প্লাটুন কমান্ডার জামিরুল ইসলাম বলেন, দেশ, সমাজ বা মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে নিজের ইচ্ছে শক্তিই যথেষ্ট, তিনি বলেন, তিনি তার সাধ্যমত সামান্য হলেও সমাজ বা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছেন এটা তার কাছে অনেক আনন্দের বিষয়। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষ যদি তাদের সাধ্যমত এলাকা, সমাজ ও অসহায় মানুষের জন্য কিছু করেন তাহলে সমাজের চিত্র পাল্টে যাবে।
Blog
-
তানোরে সহকারী প্লাটুন কমান্ডারের কৃতিত্ব
-
বানারীপাড়ায় শিশু অধিকার সুরক্ষা ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক আলোচনা সভা
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:বরিশালের বানারীপাড়ায় মঙ্গলবার দুপুর ৩টা৩০মিঃ এর সময় পৌরসভার সভাকক্ষে শিশু অধিকার সুরক্ষা ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এডভোকেসি ও ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব তো করেন জনাব জাকির হোসেন, পরিচালক জেলা তথ্য অফিস বরিশাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এডভোকেট সুভাস চন্দ্র শীল মেয়র বানারীপাড়া পৌরসভা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন,বানারীপাড়া সরকারি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত। বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের সহকারি লেলিন বালা, বানারীপাড়া উপজেলা মসজিদের ইমাম হাফেজ এনামুল কবির, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ ইমাম হোসেন, কাউন্সিলর মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা, গৌতম সমাদ্দার, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ জাহিদ হোসেন সরদার, মোঃ সুমন খান, মোঃ জাহিদ ,মহিলা কাউন্সিলর মনিরা আক্তার ময়না, আলো রানী, ডেইজি বেগম । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:
ত -
ক্ষেতলাল জুয়া খেলার অপরাধে ০৭ জন আসামীকে গ্রেফতার
মিলন মিয়া ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি: ক্ষেতলাল থানা পুলিশ কর্তৃক জুয়া খেলার অপরাধে ০৭ জন আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক সর্ব মোট ১,২০০/-(এক হাজার দুইশত) টাকা উদ্ধার।
জনাব মোঃ রওশন ইয়াজদানী অফিসার ইনচার্জ, ক্ষেতলাল থানা, জয়পুরহাটের দিক নিদের্শনায় ক্ষেতলাল থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ) মোঃ কাজী রেজাউল করিম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ১৯-০৭-২০২২ খ্রিঃ বেলা ১৫.২০ ঘটিকার সময় ক্ষেতলাল থানাধীন আলমপুর অন্তর্গত বানিয়াচাপড় গ্রামস্থ জনৈক মোঃ জলিল সরকার, পিতা- মৃত আইন উদ্দিন সরকার এর পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের বাঁশঝাড়ের নিচে হইতে টাকা বিনিময়ে তাস দ্বারা জুয়া খেলারত অবস্থায় আসামী ১। মোঃ শফিউল্লাহ (৬০), পিতা- মোঃ আব্দুল কাদের, বর্তমান সাং- বাঘোপাড়া, থানা- কাহালু ( মোঃ জাহেদুল (৩৬), পিতা মৃত বাহার এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), স্থায়ী সাং- ভগবতী তলা, থানা- মহেশপুর, জেলা- ঝিনাইদহ), ২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০), পিতা- মোঃ-সোলেমান, ৩। মোঃ নাজিম (২০), পিতা- মোঃ নুরুল, ৪। মোঃ ইয়াকুব আলী (৩০), পিতা- মোঃ বাচ্চু তরফদার, উভয় সাং- পোড়াপাড়া, ৫। মোঃ গোলাম মোস্তফা (৩২), পিতা- মৃত আঃ সাত্তার, সাং- মোস্তফাপুর, ৬। মোঃ আঃ রহিম (৩০), পিতা- মোঃ আঃ রশিদ, ৭। মোঃ হাফিজার রহমান (৫০), পিতা- মৃত নজির উদ্দিন খা, উভয় সাং- পোথাট্টি, সর্ব থানা- দুঁপচাচিয়া, জেলা- বগুড়াদের গ্রেফতার করেন এবং ঘটনাস্থল হইতে ০১। তাসখেলার নগদ সর্বমোট ১২০০/- (বার শত) টাকা ২। ০১ (এক) সেট DON তাস, ৩। নীল রংয়ের পলিথিন-০১টি বস্তা উদ্ধার করেন। আসামীদের জুয়া আইনে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। -
শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিয়ে ইউএনও ময়নুল ইসলামের প্রেস ব্রিফিং
মাসুম বিল্লাহ, , শেরপুর শহর প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম। ২০ জুলাই বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা হলরুমে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে ইউএনও জানান, আগামি ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে উপকার ভোগীদের নিকট জমি সহ ঘর উদ্বোধন করবেন। এদিন শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নে বাশবাড়িয়া ৬টি, বিশালপুর ইউনিয়নে সাবাড়িয়া ৬টি, তেতুলিয়া-২টি, কলোনি-১টি, বুলাকী-৩টি, নাইশিমুল-১টি এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাঁদড়া ২৬টি ঘর সহ আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ৩য় পর্যায়ের মোট ৪৫ টা টি পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি ও জমির দলিল উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯৯ টাকা পরিবহন প্রায় ৫ হাজার টাকা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজলো ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজী, উপজলো আওয়ামী লীরগর সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা শামসুন্নাহার শিউলি, ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, শাহ বন্দগেী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ, খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারারম্যান আব্দুল মোমনি, গাড়িদহ ইউনিয়ন পরষিদরে চেয়ারম্যান তবিবর রহমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাইফুল বারী ডাবল। এছাড়াও উপস্থতি ছিলেন সাপ্তাহিক বিজয়া বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আকরাম হোসাইন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নিমাই ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক সবুজ চৌধুরী, শফিকুল শরীফ, দীপক কুমার সরকার, আবদুল ওয়াদুদ, শেরপুর অনলাইন প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আবু জাহের, আব্দুল মোমিন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন সূত্রে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে ১৬৩, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭ টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ১৪৫টি। এর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১০০টি, দ্বিতীয় ধাপে ৪৫ টি উপহার দেওয়া হচ্ছে -
টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান,গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত বোরো ধান প্রদশর্নীর মাঠ দিবস অনুুষ্ঠিত হয়েছে।
মধুপুর উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার(১৯ জুন) বিকেলে পৌরসভার নরকোনা এলাকায় এ মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন রাসেল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অন্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্হিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ীর উপ- পরিচালক কৃষিবিদ আহ,সানুল বাসার, জেলা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান , উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ বি, এম রাশেদুল আলম, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অন্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্দিকরণ প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হাসান। এসময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী, পৌরসভার ব্লক সুপার ভাইজার আব্দুর রহিম রাজু, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ব্লক সুপার ভাইজার, ও এলাকার কৃষক কৃষাণী গন। -
তারাকান্দায় যানজট নিরসন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ইউএনও’র অভিযান
মোঃ আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন ও শহীদ মিনার সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ভাষা সৈনিক শামছুল হক ম্যুরাল সহ চত্বরের চারপাশে ও রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২০জুলাই) শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গন ও শহীদ মিনার সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ভাষা সৈনিক শামছুল হক ম্যুরাল সহ চত্বরের চারপাশে ও রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই এলাকার রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত নেতৃত্বাধীন মোবাইল কোর্ট। এছাড়াও এসময় বিদ্যুৎ সাশ্রয় এর অংশ হিসেবে স্থাপনা সমূহের অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাত শহীদ পিংকি, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, পুলিশ বিভাগের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত জানান, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর সড়কের পাশে এসব অবৈধ স্থাপনার ফলে যানজট লেগেই থাকে,দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে,ফলে সড়কের উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় বুধবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তিনি বলেন- যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান সফল করতে উপজেলার সর্বস্তরের জনতার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ইউএনও মিজাবে রহমত।
এদিকে যানজট মুক্ত উপজেলা গঠনে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নিরাপদ শহর উপহার দেওয়ায় অভিযান কে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারাকান্দা উপজেলার সচেতন মহল।
-
ঝিনাইগাতীতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মাঝে ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং
মোঃ তারিফুল আলম (তমাল)
শেরপুর, জেলা, প্রতিনিধিঃমুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আগামী ২১জুলাই বৃহস্পতিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যারের ২য় ধাপে বরাদ্দকৃত জমিসহ ঘর উপকারভোগী পরিবারের নিকট হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে ২০ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ১০ঘটিকার সময় এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ।প্রেস ব্রিফিং সুত্রে জানা গেছে, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা ১ম ধাপে ৬৫টি, ২য় ধাপে ২৫টি,৩য় ধাপের ১ম স্তরে ১৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। ৩য় ধাপের ২য় স্তরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর প্রদান হবে।উপজেলা প্রশাসন সুত্রে আরো জানা গেছে, উপজেলার ৭ ইউনিয়ন থেকে বহু সংখ্যক আবেদনের মধ্যে থেকে ১ শত ২১ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ৯৬টি পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়।
এদের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার সারা দেশের ন্যয় পশ্চিশ বাকাকুড়ায় ১১ টি এবং নলকুড়ায় ৪ টি সহ ১৫ টি পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দান্যারপাড় ও গৌরীপুর ইউনিয়নের গজারীকুড়া এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ৫৫ টি পবিরারকে পূর্ণবাসিত করা হচ্ছে। বাকি ২৬ টি পরিবারকেও পরবর্তী পর্যায়ে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি উক্ত প্রেস ব্রিফিং উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক, ওসি(তদন্ত) আবুল কাশেম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। -
যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সোনাতন কাটি গ্রামে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সোনাতন কাটি গ্রামে স্বামী স্ত্রী মারামারির সময় স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২০) র হাতে স্বামী শাহিন হোসেন (২৫) নিহত হয়। নিহত যুবক ঐ গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে। ঘাতক স্ত্রীকে পুলিশ আটক করেছে।প্রতক্ষ্যদর্শী ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,৷ মাদকাসক্ত শাহিন মাদক সেবন করে প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতো। ঘটনার দিনও শাহিন মদ্যপ অবস্থায় তার স্ত্রী খাদিজার ওপর চড়াও হয়৷ এবং তাকে মারতে থাকে। নিজেকে বাঁচাতে খাদিজা তার স্বামী শাহিনকে ধাক্কা দিলে সে ঘরের ভেতর আলমারির উপরে যেয়ে পড়ে। এসময় আলমারির গ্লাস ভেঙে শাহিনের বুকে ঢুকে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে শাহিনের মৃত্যু ঘটে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, খবর পেয়ে নাভারন সার্কেলের এএসপি মহোদয়সহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
-
বানারীপাড়ায় উপজেলা টাক্সফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:বরিশালের বানারীপাড়ায় বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের (ক-শ্রেণি) হালনাগাদকৃত তালিকা যাচাই – বাছাই এবং উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষনার লক্ষে টাক্সফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলার ডিডিএলজি ও উপসচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, পৌর সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ড, উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর,,ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম টুকু প্রমূখ।আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি।। -
রাত পোহালেই মোংলায় জমিসহ নতুন ঘর পাচ্ছেন ৫৫ টি অসহায় পরিবার
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, দিনমজুর ও অন্যের বাড়ীতে কাজ করা আয়া-বুয়ার মত অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর কাছে জমি কিনে পাকা ঘর করে থাকাটা রীতিমত দু:স্বপ্নই। আর এ সকল মানুষের কাছে সেই দু:স্বপ্ন এখন কোন স্বপ্ন নয় বাস্ত্মবেই ধরা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে স্বপ্নপূরণ হয়েছে অসহায় এসব মানুষগুলোর। যারা এক সময়ে সরকারী জায়গায়, ভাড়াবাড়ী, দয়ায় অন্যের রান্নাঘর ও বারান্দায় থাকতেন তারা এখন প্রত্যেকেই এক টুকরো জমি ও একটি আধাপাকা ঘরের মালিক। তারা এখন সেখানে ভবিষ্যৎতের নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরম্ন করেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন এখন, তাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কর্তৃজ্ঞতা জানাতে ভুলে যাননি তারা। মোংলা থেকে আবু হোসাইন সুমনের রিপোর্ট
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে মোংলায় ৫৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন শেখ হাসিনার উপহারের ঘর। প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হয়েছে দুই শতক জমিসহ আধাপাকা নতুন ঘর। ঘরে বিদু্যৎ সংযোগও রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় রয়েছে মিষ্টি পানির পুকুর, প্রত্যেক ঘরের সাথে তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাংকি ও টিউবওয়েলও। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মাছমারা-নারকেলতলা এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এ ঘরগুলো। ঘরগুলো গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আর্ন্ত্মজাতিক নৌ ক্যানেলের পাড়ে। উপজেলার চাঁদপাই, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঝখানে পড়েছে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩’শটি ঘর হস্ত্মান্ত্মর করা হয়েছে এখানকার দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে। আর তৃতীয় পর্যায়ে নতুন করে দেয়া হয়েছে আরো ৫৫টি ঘর। ইতিমধ্যে এ সকল ঘরে উঠে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা। সমাজের খুবই নিচু স্ত্মরের অসহায় মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন শান্ত্মির ছাপ। ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সকলেই। সারাজীবন সাধনা করেও জমি ও ঘরের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য যে নেই তাদের। তাই এতো খুশির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে কর্তৃজ্ঞতা জানাতে ভুলে যাননি তারা। তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দফায় জমিসহ ঘর পাওয়া হাসিনা বেগম (৪৮) বলেন, আমি পরের বাড়ীতে কাজ (বুয়া, আয়া) করে খাই। কোনদিন চিন্ত্মাও করিনি জমিসহ একটি নতুন পাকা ঘর পাবো। খুব খুশি ও আনন্দ লাগছে ঘর পেয়ে। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে এবং তার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি।
করিমন বেগম (৫০) বলেন, আমি ভিক্ষা করে খাই। সেই টাকা দিয়ে ভাড়া থাকতাম এর ওর রান্নাঘর ও বারান্দায়। তাদেরকে ভাড়ার টাকা ঠিক মতো দিতে না পারলে নামিয়ে দিতো। কাদতে কাদতে নেমে যেতে হতো। আমি ঘর পেয়ে খুব খুশি, যা বলার মতো না। এমন ঘর করার সামর্থ্য তো কোনদিন হতো না। সরকারের প্রতি শুকরিয়া, সরকার ভাল থাকুক দোয়া করি। শারিরীক প্রতিবন্ধী নজরম্নল ইসলাম (৪১) বলেন, আগে ভাড়া থাকতাম, অনেক কষ্ট হতো। এখন ঘর পেয়ে খুব খুশি, ধন্যবাদ ইউএনও স্যার ও প্রধানমন্ত্রীকে।
এদিকে এর আগে যারা আশ্রয়ণের জমিসহ ঘরে উঠেছেন তারাও এখন ঘুরে দাড়িয়েছেন। কারণ মুল আয় থেকে এখন আর ঘরভাড়া দিতে হয়না তাদের। বেচে যাওয়া সেই টাকা দিয়েই তারা তাদের ঘরের পাশের জমিতে সবজির চাষাবাদ ও পশুপালনও করছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেয়া অনুদানের টাকা দিয়ে নতুন নতুন কাজের মধ্যদিয়ে আয় বাড়িয়ে এখন সুখে শান্ত্মিতেই আছেন তারা।
আশ্রয়ণের পুরানো বাসিন্দা ইউসুফ শেখ ও মো: মনির বলেন, আমাদের ঘরের চারপাশে সবজি চাষ, হাস-মুরগী ও ছাগল পালন করছি। আগের মত আর কষ্ট নেই। ঘরের মহিলারাও শেলাই মেশিন দিয়ে ও হাতের কাজ করে আয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমাদের জমি ও ঘর দিয়েছেন, তাই খেয়ে পরে ভাল আছি। আমরা আশ্রয়ণবাসী তার জন্য দোয়া করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ঘরগুলো অত্যন্ত্ম সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভাল মানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে ঘরগুলোতে। জমির দলিল ও ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে তা তুলে দেয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে। মুলত যাচাই বাছাই করেই ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, দিনমজুর, অন্যের বাড়ীতে কাজ করে এমন লোকজনকেই দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ঘরগুলো। ঘরগুলোতে রয়েছে বিদু্যৎ সংযোগ, ঘরের সাথে মিষ্টি পানি সংরÿণের তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাংকিও দেয়া হয়েছে। আর আগে যারা আশ্রয়ণে গিয়েছেন তারাও ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। তিনি আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘর নিমার্ণ করা হচ্ছে, যা দেয়া হবে সমাজের অবহেলিত-অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার দেশের একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকা পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।