পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছায় ভুমিহীন,ও গৃহহীনদের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৪৭ জনের মাঝে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভার্চুয়ালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু,সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহম্মেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,তথ্য প্রযুক্তি কর্মকর্তা মৃদৃল কান্তি দাশ,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা (সাবেক) কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ওসি ( তদন্ত ) রফিকুল ইসলাম ও প্যানেল মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রঞ্জু।
Blog
-
পাইকগাছায় গৃহহীনদের মাঝে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর
-
পাইকগাছায় বৃষ্টির অভাবে আমন ক্ষেত ও বীজতলা ফেটে চৌচির,দুশ্চিন্তায় চাষিরা
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
আমন ধান রোপণের উপযুক্ত সময় শ্রাবণ মাস।বৃষ্টির দেখা নেই। আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির। মারা যাচ্ছে বীজতলায় ধানের চারা। প্রচণ্ড তাপদাহ বৃষ্টির জন্য হাহাকার।যে ছিটে ফোটা বৃস্টি হচ্ছে তা মাটিতে শুকিয়ে যাচ্ছে।আকাশপানে চেয়ে আছেন কৃষক।বর্ষার মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিরুপায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর-বিল থেকে পানি দিয়ে আমন ধানের চারা অনেক কষ্টে রোপণ করেছিলো। তখন ধারণা করেছিলেন বৃষ্টিপাত হবে। তবে বর্ষার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাইকগাছার কৃষকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ সেচযন্ত্র চালুর মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের পরামর্শ দিয়েছে। পাইকগাছা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা রয়েছে।এর জন্য ৯৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হবে।বৃস্টির অভাবে অনেক কৃষক এখনও বীজতলা করতে পারেনি।
বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল থাকেন কৃষকরা।বৃস্টির অভাবে আমন আবাদ শুরু করতে পারছে না কৃষকরা। সর্বত্র আমনের বীজতলা তৈরি করার সময়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ কৃষক বীজ তলা তৈরি করতে পারেনি। বীজ তলা ফেটে এখন চৌচির। বৃষ্টির অভাবে কৃষকদের রোপণ করা আমন ধানের জমিও ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের ক্ষেত নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।উপজেলার হিতামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, আমন ধানের ক্ষেত প্রস্তুত ও রোপণ সম্পূর্ণ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে পানি না থাকায় আমন ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পানির অভাবে জমি প্রস্তুত করা যাচ্ছে না, অন্যদিকে পানির অভাবে বীজতলা শুকিয়ে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। গদাইপুর গ্রামের কৃষক আ:করিম জানান, অন্যান্য বছর এই দিনে জমিতে আমন ধান লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে পানি না থাকায় ধান রোপণ করা যাচ্ছে না।অনেকে বীজতলা করতে পারেনি। আমন চাষে বিঘ্ন ঘটলে প্রান্তিক চাষিরা লোকসানে পড়বে বলে তিনি জানান। এ অবস্থায় মহাবিপদে আছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো:জাহাঙ্গীর আলম জানান,ঠিকমত বৃস্টি নাহওয়ার কারণে আমন ধানের বীজ তলা তৈরিও চারা রোপণে কিছুটা দেরি হচ্ছে।কৃষকদের নাবীজাতের ধানের বীজতলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।বৃস্টি হলে আমনের আবাদ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আশা করছি আমনের আবাদ থেকে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদনে আমরা সক্ষম হবো। -
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন সুজানগরের আরও ৪৬ গৃহহীন পরিবার
এম এ আলিম রিপনঃ মুজিব জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন করে সুজানগরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন ৪৬টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় সুজানগরেও গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই সুজানগর উপজেলার অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৬টি পরিবারের মাঝে গৃহ ও জমির দলিলাদি হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন। সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলীর সভাপতিত্বে গৃহ ও জমির দলিলাদি হস্তান্তর প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা.মর্জিনা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মিনহাজুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাননান,উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাজমীর জামান খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জিল্লুর রহমান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফাতেমা খাতুন,নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান, হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হাই, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার,সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান আলী , আ.লীগ নেতা ইউনুস আলী বাদশা, মাহমুদ্দুজ্জামান মানিক, রাজা হাসান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ এবং সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন, সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে মাথা গোঁজার ঠিকানা পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে হয়ে পড়েন সুজানগরের ৪৬টি গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা। তারা এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং সুস্থতা কামনা করেন। উল্লেখ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও ‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নে ২৫টি ভায়না ইউনিয়নে ১৭টি এবং আহম্মদপুর ইউনিয়নে ৪টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ৩য় পর্যায়ের তৃতীয়ধাপে নতুন করে সর্বমোট ৪৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য সেমিপাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়। যাদের জমি ও বাড়ি কোনো কিছুই নেই তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই শতাংশ সরকারের এক নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত সম্পত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত ডিজাইন অনুসরণ করে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নান্দনিক এসব সেমিপাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলী জানান, নতুন এ সব বসতবাড়িতে থাকছে দুইটি শয়নকক্ষ,একটি টয়লেট,রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবারের তথ্য স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।আর এই প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীন-গৃহহীন বিধাব, অসহায়, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে এই ঘরগুলো দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে সুজানগর উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে সুজানগর উপজেলায় ২০ টি এবং ২য় পর্যায়ে ১২ টি এবং ৩য় পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। সুজানগর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের সার্বিক সমন্বয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য এ সকল ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।। -
নওগাঁয় আদালত অবমাননা করে জমি দখলের অভিযোগ
রওশন আরা শিলা.নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের মহাভার গ্রামে মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের ৯০ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায় গত মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের মেয়ে ফরিদা বিবি (৩৮) গং ওয়ারিশ সুত্রে জমির মালিক হলেও জমির দখল নিতে পারেনা প্রভাবশালীদের প্রভাবে। জানা যায় একই গ্রামের মৃত জসিমদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম মন্ডল,মো. হরুন উদ্দিন মন্ডল ও মো. মন্জুর আলি মন্ডলের ছেলে মো.আব্দুর রাজ্জাক ও রবিউল মন্ডল তারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে ১৯৮৬ সালে মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে নফছের আলি মন্ডলের কাছে থেকে অবৈধ ভাবে জাল দলিল মৃলে বলে ৯০ শতক জমি ক্রয় করেন। যে দলিল মূলে ক্রয় করেন, ওই জাল দলিল ১৩/০৮/২০১৭ ইং আদালতে বাতিল বলে গন্য হয়। এবং মূল জমির মালিক আদালত কর্তৃক ডিগ্রী পায়। ডিগ্রী পাওয়ার পরেও এলাকাতে গিয়েও আজও জমি দখল নিতে পারেনি। তারা জমি দখল নিতে গেলে জমির অবৈধভাবে দখলদাররা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে আবারও দখলদাররা ডিগ্রি পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করে। বর্তমান আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের মেয়ে ফরিদা বিবি বলেন, আমার বাবার বুধুরিয়া মৌজার ১২১৪-১৭২৬ দাগে ৯০শতক জমি প্রভাবশালীরা জাল দলিল করে দখল করে নিয়েছে। আমরা অসহায় হাওয়াই আদালতের ডিগ্রী পাওয়ার পরেও দখল পাচ্ছিনা। আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে রাত্রীবেলায় এসে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন রকম মামলার ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা গরীব দেখে কোন সুবিচার পাচ্ছিনা। আমি এবং আমার পরিবার এর লোকজন সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবী আমাকে যেন সঠিক বিচার করে দেওয়া হয়।
বিবাদী মো. নুরুল ইসলাম মন্ডল এর সাথে কথা বলে জানা গেছে,তিনি তার যায়গা দখল করেছে,কাওকে কোন হুমকি প্রদর্শন করেনি,এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় বলে জানান।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদি বলেন, আমরা মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি, দলিল মূলে মৃত বাসতুল্যা মন্ডলের ছেলে-মেয়ে
প্রকৃত জমির মালিক, তারা জমি পাবে। এই জমি বিষয়ে কয়েকবার বৈঠক করেও কোন কাজ হয়নি। প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক দখল করে রাখার কারণে মোছা. ফরিদা গংদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির বলেন,এই বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি,শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া আছে,তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। #
রওশন আরা পারভীন শিলা
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।। -
নওগাঁ জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৯৩৫৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন কৃষকরা
রওশন আরা শিলা ,নওগাঁ প্রতিনিধি : চলতি খরিপ-২/২০২২- ২৩ মওুমের রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যে মোট ৯ হাজার ৩শ ৫৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন কৃষকরা। মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমনচাষের বিপরীতে কৃষকরা এই বীজতলা তৈরী করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ- পরিচালক জানিয়েছেন কৃষকরা এ মওসুমে ৮ হাজার ৭শ ৫৫ হেক্টর জমিতে উন্নতফলনশীল উফশী জাতের, ৫২৫ হেক্টর স্থানীয় জাতের ও ৭৩ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বীজতলা তৈরী করেছেন।
সূত্রমতে উপজেলাভিত্তিক বীজতলার পরিমাণ হচ্ছে সদর উপজেলায় হাইব্রীড ৩০ হেক্টর, উফশী ৪৩০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১৫ হেক্টরসহ মোট ৪৭৫ হেক্টর।
রানীনগর উপজেলায় হাইব্রীড জাতের ৫ হেক্টর, উফশী জাতের ৯৫৫ হেক্টরসহ মোট ৯৬০ হেক্টর।
আত্রাই উপজেলায় হাইব্রীড ৩ হেক্টর, উফশী জাতের ২৮৫ হেক্টর, স্থানীয় ৫৫ হেকটরসহ মোট ৩৪৩ হেক্টর।
বদলগাছী উপজেলায় উফশী জাতের ৭০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১০০ হেক্টরসহ মোট ৮০০ হেক্টর।
মহাদেবপুর উপজেলায় হাইব্রীড ১০ হেক্টর ও উফশী জাতের ৯৫০ হেক্টরসহ মোট ৯৬০ হেক্টর।
পত্নীতলা উপজেলায় উফশী জাতের ১২৩০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৫০ হেক্টরসহ মোট ১৪৮০ হেক্টর।
ধামইরহাট উপজেলায় হাইব্রীড জাতের ২২ হেক্টর, উফশী জাতের ৯৭০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২০ হেক্টরসহ মোট ১০১২ হেক্টর।
সাপাহার উপজেলায় কেবল উফশী জাতের ৪৩০ হেক্টর।
পোরশা উপজেলায় কেবল উফশী জাতের ৬৫০ হেক্টর।
মান্দা উপজেলায় হাইব্রীড জাতের ১ হেক্টর ও উফশী জাতের ৮১০ হেক্টরসহ মোট ৮১১ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় হাঈব্রীড জাতের ২ হেক্টর, উফশী জাতের ১৩৪৫ হেক্টল ও স্থানীয় জাতের ৮৫ হেক্টরসহ মোট ১৪৩২ হেক্টর।#
রওশন আরা পারভীন শিলা
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।। -
সুজানগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার,বাল্কহেডসহ আটক ১৩
এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২টি ড্রেজার ও ২টি বাল্কহেডসহ ১৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সুজানগর থানার (ওসি) আব্দুল হাননান জানান, পাবনা পুলিশ সুপার(অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের কঠোর নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পদ্মানদীর নাজিরগঞ্জ এলাকা থেকে অবৈধ ও বেআইনীভাবে নদীর গর্ভ হইতে বালু উত্তোলনের দায়ে ওই ১৩ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ২টি ড্রেজার ও ২টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন হাজার পাঁচশত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মিনহাজুল ইসলাম । আটককৃত অপর ৬ জনের বিরুদ্ধে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, রাজবাড়ী জেলার পাংশা এলাকার শ্রী দীপক কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে এ সকল বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি। -
তানোর আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকে গণসংবর্ধনা
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকারকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে,গত ২০ জুলাই বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে এবং উপজেলা কৃষক লীগের সম্পাদক ও কাউন্সিলর আরব আলীর সঞ্চালনায় ও সভাপতি জাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ তাজিবুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন তানোর পৌরসভা কৃষক লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর এনতাজ আলী, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজির হাসান প্রতাপ সরকার, আলাউদ্দিন মন্ডল ও আরিফুল ইসলামপ্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এদিন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক দিনব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে আগত বিভিন্ন এলাকার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ।উপজেলা আওমী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রভাষক রাকিবুল হাসান সরকার পাপুল বলেন, সবাই দোয়া করবেন তারা যেনো তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পালন করতে পারেন।
-
নড়াইলে হিন্দু সাহাপাড়ায় সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলে সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। আগামী সপ্তাহে এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তদন্ত কমিটির সদস্য বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু জাগো নিউজকে বলেন, দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। আমরা আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই ঘটনাস্থলে (নড়াইল) গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলবো। এরপর প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরবো। এর আগে, সোমবার (১৮ জুলাই) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই তদন্ত কমিটির গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অনিন্দ ইসলাম অমিত, ফাহিমা নাসরীন মুন্নি, ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি ও নিপুণ রায় চৌধুরী।
কমিটি আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করবে এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। -
নড়াইলে কাকের খাবার হলো নবজাতক
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরে নির্মাণাধীন রেললাইনের পাশের খাল থেকে সদ্যভূমিষ্ট নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাক ঠোকরানো মরদেহটি বুধবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার সময় নবজাতকের লাশ দেখতে পান খালপাড়ের গৃহবধূ নিপা বেগম। এ সময় মৃত নবজাতকটিকে কাক ঠুকরিয়ে খাচ্ছিল। তার পিঠের অনেকখানি খেয়ে ফেলেছে কাকটি। খালের মধ্যে একটি কাঠেরগুড়ির ওপর নবজাতকের মরদেহ রাখা ছিল।
বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে আশেপাশের লোকজন ফুটফুটে নবজাতককে দেখতে ভিড় করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ছেলে সন্তান নবজাতকটি সদ্যভূমিষ্ঠ বলে মনে হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের যে কোনো সময় নবজাতকটি কে বা কারা ফেলে দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, নবজাতকটির বয়স প্রায় আটমাস। কারো হয়ত অবৈধ সন্তান এখানে ফেলে দিয়েছে। এমন নিষ্ঠুর ও অমানবিক ঘটনার ধিক্কার জানিয়েছেন সবাই।
সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) মাহমুদুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নবজাতকের মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #
-
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহহীনদের মাঝে গৃহ প্রদান
মোঃ মনিরুল ইসলাম,নাচোল,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবেনা” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে ভূমিহীন-গৃহহীন উপকারভোগীদের মাঝে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।“সারাদেশের ন্যায়” চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলও উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধনে যোগদেন নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমিনা আক্তার, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান ঝালু, থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান, মহিলা ডির্গী কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবু, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জান্নাতুন নাঈম মুন্নিসহ উপজেলা প্রসাশনের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শুভ উদ্বোধনে ২৬,২২৯টি উপকারভোগীরা বাড়ির শুভ উদ্বোধন করেন।