Category: Uncategorized

  • সুজানগরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

    সুজানগরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: পাবনার সুজানগরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেনন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান কল্লোল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মর্জিনা খাতুন ও থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাননান। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই,বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সোহাগ,এন এ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেদোয়ান নয়ন সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি

  • হবিগঞ্জে গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে জেলা  প্রশাসনের প্রেসব্রিফিং

    হবিগঞ্জে গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের প্রেসব্রিফিং

    সৈয়দ মশিউর রহমান হবিগঞ্জ।।
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ের জমিসহ গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রেসব্রিফিং অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার ২০ মার্চ দুপুর ৩:৩০ মিনিট জেনারেল প্রশাসক সম্মেলন কনফারেন্স রুমে এ প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রিয়াঙ্কা পাল এর সভাপতিত্বে ও আর ডিসি কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ সাগর, টিভি জার্নালিস্ট সভাপতি আব্দুল হালিম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট রুহুল আমিন শরিফ, বিটিভি ক্যামেরাম্যান সৈয়দ সালিক, সাংবাদিক শরিফ চৌধুরী, সৈয়দ মশিউর রহমান, আজারুল ইসলাম মুরাদ, মীর কাদির প্রমুখ।

    প্রেসব্রিফংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রিয়াঙ্কা পাল জানান আগামী ২২ মার্চ হবিগঞ্জ সদর ৭৫ টি এর মধ্যে ৪র্থ পর্যায়ে ২৯টি লাখাই ৩৫ টি, শায়েস্তাগঞ্জ ১২০টি এর মধ্যে ৭২ টি, নবীগঞ্জ ২৭০ টি, আজমিরীগঞ্জ ১৩০ টি, বানিয়াচং ১৭৭ টি, চুনারুঘাট ৯৭ টি, মাধবপুর ১০৯ টির মধ্যে ৩ টি,
    বাহুবল স্নানঘাট দফে মুদাফরপুর মৌজায় ৩৫ টি, সাতকাপন ইউনিয়নের হরহরিয়া মৌজার ৩৭টি, লামাতাশি ইউনিয়নের ধুনিয়াখালি মৌজার ২৫টি ও মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর মৌজায় ৪০ টি ঘর সহ মোট ১৩৭টি ঘর-ক, শ্রেনীর ভুমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভয়েস অফ ফ্রিডম’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভয়েস অফ ফ্রিডম’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র সহ-অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ১৬ মার্চ, ২০২৩ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ভয়েস অফ ফ্রিডম’ শীর্ষক একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

    এই প্রতিযোগীতায় প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে বাছাইকৃত চারটি দলে মোট ১২ জন শিক্ষার্থী এবং দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষকসহ প্রায় ২০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী। দর্শকদের জন্যও সেশনে রাখা হয় আকর্ষণীয় কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন।

    আয়োজনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন এফআরডিসি প্রকল্প পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময়। প্রকল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন- “আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষার ধারণা বিভিন্ন সম্পর্কে সকলকে পরিচিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই আজকের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমরা মনে করি এই জ্ঞানের চর্চা থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে স্বাধীন ও গঠনমূলক উপায়ে মত প্রকাশ উদ্বুদ্ধ হবে এবং তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে সহায়তা করবে।”

    ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম থেকে বক্তব্য প্রদান করেন নাইরা নিজাম। তিনি বলেন- “এফআরডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা মুক্তচিন্তার বিকাশ ও অনলাইনে ইতিবাচক চর্চার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে আজকের আয়োজিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি।”

    পরবর্তীতে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো: ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন- “বিতর্ক প্রতিযোগিতা মনের জানালার উন্মেষ ঘটানোর জন্য উত্তম একটি মাধ্যম। আজকের এই আয়োজনে সকল বিতর্ক প্রতিযোগী এবং উপভোগকারী সকল দর্শককে সাধুবাদ জানাই এমন একটি ভালো উদ্যোগে যুক্ত হবার জন্য।”

    প্রতিযোগিতায় দুই ধাপে বিতর্কের আয়োজন করা হয়। প্রথম ধাপের দুই বিজয়ীর মাঝে চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বের বিষয় ছিলো- ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি নিয়ে আসে।’ প্রতিযোগিতায় তাদের অসাধারণ বাগ্মিতায় বিজয়ী হয়: মো: সাব্বির হোসেন, জাহানারা জবা এবং ফরিদা আক্তার ফারজানা। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো: তারিকুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো: শিবলী নোমান।

    প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ-এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সুন্দর এই আয়োজন শেষ হয়।

    এফআরডিসি প্রকল্পের নানান সচেতনতা কর্মকান্ডের পাশাপাশি রয়েছে একটি বিনা মূল্যের অনলাইন কোর্সের ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এ আছে তরুণ সমাজবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ যা থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।

  • সাংবাদিক আলমগীর নূরকে অপহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টা – গ্রেফতার দাবী

    সাংবাদিক আলমগীর নূরকে অপহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টা – গ্রেফতার দাবী

    শহীদুল ইসলাম,
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    সাংবাদিক, মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠক এবং দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র সাধারণ সম্পাদক, নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (নাপসা-বাংলাদেশ) এর চেয়ারম্যান আলমগীর নূর এর উপর শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করে অপহরন ও হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে। গত ২৪ তারিখে ভুক্তিভোগির ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল ও তৎ অধীন ব্যাবসায়ীক কার্যালয়ে অবস্থানাকলে রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে কমিনিউনিটি সেন্টারের কিছু গ্রাহকের অনুষ্ঠান বুকিং নেওয়ার সময়ে অতর্কিতভাবে অজ্ঞাতনামা শতাধিক সন্ত্রাসী অনিকা দাশ নামক একজন কিশোর গ্যাং লিডারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও পেশাদার মাদক কারবারী চক্রের সদস্য
    দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আলমগীর নূর এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হলে ও তৎ অধিন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি(সিআরইউ) অফিসসহ সামিল ব্যাবসায়ীক কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এসম সন্ত্রাসীরা ভবনের নিচের প্রধান ফটক কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দেয় যাতে বাহির থেকে কেউ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে। প্রতিষ্ঠানে অবস্থানরত কর্মচারী ও ব্যাবসা সংশ্লিষ্ট লোকজন পরিস্থিতির ভয়াবহতায় জরুরী থানায় ফোন করে সন্ত্রাসাদের দমানোর চেস্টা করলে সন্ত্রাসীরা আলমগীর নূরসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অফিসে অবস্থানরত ভিকটিম আলমগীর নূরকে অপহরণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা পুরো ইসলামিয়া ভবন এর নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলাসহ আশপাশের কেসিদে রোডজুড়ে ভিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ঘটনাস্থলে আতংক ও ত্রাসের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
    অহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টার এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা অনিক দাস নামীয় সন্ত্রাসী আলমগীর নূর এর পেন্টের পকেটে থাকা ২৯,৭০০/- টাকা জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে নেয় এবং ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ভিকটিমের দু’হাত-পা চেপে ধরে অনিক দাশ নামক অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ভিকটিমকে অপহরণ ও মাথায় আঘাত করে ও গলাটিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রচেস্টা চালায়। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার দুজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে ভিকটিম আলমগীর নূর জরুরী জাতীয় সেবা
    ৯৯৯-এ কল দিয়ে আরও ফোর্স প্রেরণ করে তাকেসহ তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সন্ত্রাসী খুনিদের হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানালে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালী থানার আরও অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চালালে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ে সন্ত্রাসীরা ভিকটিমকে তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শাসিয়ে যায় অন্যতায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কোন মামলা করলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র প্রদর্শন করে ভিকটিমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রদান করে। প্রসঙ্গতঃ ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও কোতোয়ালী থানার পুলিশ উক্ত বিষয়ে এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে না পারায় চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আলমগীর নূর। এদিকে চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সুধিসমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠসহ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত সকল কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও মাদককারবারী এর পিছনের মদতদানকারী গডফাদারদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কমিশনার ও ওসি কোতোয়ালীর প্রতি দাবী জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ সদস্যবৃন্দ ঘটনার সকল ভিডিও ও অডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করেছেন বলে সংবাদ সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ তথ্য মতে, এ বিষয়ে শতাধিক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা প্রচেষ্টা ও চাঁদাবাজী মামলার প্রস্তুতি প্রক্রীয়াধীন বলে ভিকটিন আলমগীর নূর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

  • পাইকগাছা লেখক পরিষদের মুখপাত্র পরিচয় এর মোড়ক উন্মোচন

    পাইকগাছা লেখক পরিষদের মুখপাত্র পরিচয় এর মোড়ক উন্মোচন

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছা লেখক পরিষদের মুখপাত্র পরিচয় এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। বইটি সম্পর্কে বিশদভাবে আলোকপাত করেন পরিচয় এর সম্পাদক সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাত হোসেন বাচ্চু। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিহাবউদ্দিন ফিরোজ বুলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিৎ কুমার সরকার, কাজী তোকারেম হোসেন, আঃ গফুর, আঃ মান্নান, আঃ রহমান ও আঃ মাজেদ, প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ দে ও মোঃ খালেকুজ্জামান, সহকারী প্রোগ্রামার মৃদুল কান্তি দাশ, সহকারী শিক্ষা অফিসার ঝংকর ঢালী, পিআইও ইমরুল কায়েস, এসআই মোশাররফ হোসেন, লেখক এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট প্রকাশ ঘোষ বিধান,লেখক প ানন সরকার, নলিনী কান্ত সানা, জি এম ইমদাদ, পল্লী চিকিৎসক নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস সহ উপজেলার লেখক পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

  • তেঁতুলিয়ায় কামরুল হত্যাকারী আটকের পর শ্রীঘরে

    তেঁতুলিয়ায় কামরুল হত্যাকারী আটকের পর শ্রীঘরে

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কামরুল ইসলাম(৩৫) এর হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ভোররাতে হত্যাকারী দিদার আলী (৪০) কে শালবাহান ইউনিয়নের ছোপাগছ গ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটকের পর ওই দিনই বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের গরিয়াগছ গ্রামের সাবদার আলীর ছেলে।

    জানা যায়, পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও জেলার উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীর তত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ লাশ উদ্ধারের পর হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং আসামি আটকের অভিযান চালানোর ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই হত্যাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

    আরোও জানা যায়, লাশ উদ্ধারের পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নিহত কামরুলের পিতা আব্দুল জব্বার দন্ডবিধি আইনের ৩০২/২৯১/৩৪ ধারায় একটি মামলা দাখিল করেন। যার মামলা নং- ১৭।

    তেঁতুলিয়া মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের জোগীগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাড়িতে ফিরে না গেলে পরিবার তাকে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেন। এক পর্যায় খুঁজে না পেলে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) পরিবার থানায় এসে একটি সাধারন ডায়েরী করে। জিডির দিনই উপজেলার দেবনগর ইউপি’র ধানশুকা নামক এলাকার চা বাগানের ড্রেন হতে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

    তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, কামরুলের হত্যাকারীকে ২৪ঘন্টা না পেরুতেই আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটকের পর আসামী স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, নিখোঁজের পর বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউপির ধানশুকা এলাকার একটি চা বাগানের ড্রেন থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীসহ অন্যান্য বিভিন্ন পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ, ভজনপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব- জিএমপি কমিশনার

    ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব- জিএমপি কমিশনার

    গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
    গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, আল্লাহর ধ্যানে যারা আরাধনা করছে তাদেরকে নিরাপত্তা বিধান করছি। এটা আমাদের ঈমানী এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব। আগামীকাল রবিবার (২২ জানুয়ারী) দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত হবে। এখনো পর্যন্ত যেটা জানি সকাল ১০ টার দিকে আখেরি মোনাজত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    শনিবার (২১ জানুয়ারী) সকাল পৌণে ১১ টায় ইজতেমা মাঠের পুলিশ কন্ট্রোল কেন্দ্রে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্বের মোনাজাতের দিন যেটা করেছি অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্বেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টঙ্গী থেকে ভোগড়া পর্যন্ত এবং কামারপাড়া ব্রিজ থেকে মুন্নু গেট পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। সেই ক্ষেত্রে ডাইভারসন দিয়ে দিব। ভোগড়া থেকে তিন’শ ফিটের সড়ক বাইপাস থাকবে। ঢাকা এবং ময়মনসিংহগামী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। ইজতেমায় আগত মুসুল্লি এবং মোনাজাতে অংশগ্রহনেচ্ছু লোকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমবসময় সতর্ক রয়েছে।

    মোনাজাতের দিন ট্রেন চলাচল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বাহাদুর বাস ও ট্রেনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। লোকজন যেন এসব ট্রেন দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আসা-যাওয়া করতে পারে সে ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়োজিত রয়েছে। এসব কাজে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে। এই কাজ আমরা সমন্বিতভাবে একসাথে করছি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপ-কমিশনার (অর্থ) ইলতুৎমিস, অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মাহবুবুজ্জামান, উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) আরিফুর রহমান, গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন, গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মোহাম্মদ হুমায়ুন সহকারী কমিশনার (দক্ষিন) হাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (সদর ও অর্থ) হাসিবুল আলম, টঙ্গী জোনের সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান এবং মাকসুদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    রাসেল শেখ
    গাজীপুর

  • নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সুমন ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

    নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সুমন ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ৪নং ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ সুমন ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের সকল ভোটারসহ এলাকাবাসী সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
    বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২২ইং) সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ৪নং ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোল্লা মোশারফ হোসেন মুসা ৮৫৬৮ ভোট পেয়েছেন আর (স্বতন্ত্র) শামীম আহাম্মেদ সুমন ভুঁইয়া আনারস মার্কায় (১১৬২০) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ৩০৫২ ভোট বেশি পেয়ে সুমন ভুঁইয়া বিজয়ী হওয়ায় সবাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এছাড়াও বিএনপি’র স্বতন্ত্র- চশমা মার্কা দেলোয়ার হোসেন সরকার পেয়েছেন ২৯০৮ ভোট, জামায়াত-স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল ১১৪৫ ভোট, আকবর হোসেন মৃধা স্বতন্ত্র-অটোরিক্সা ৭১৯, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোঃ আব্দুর রহমান হাত পাখা-৫৮০ ভোট, স্বতন্ত্র-বকুল ভুঁইয়া ঘোড়া মার্কা ২৯৮ ভোট। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২৫৮৩৮। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুমন ভুঁইয়া, সেই সাথে উক্ত নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শামীম আহাম্মেদ সুমন ভুঁইয়া।
    উক্ত আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর ৩বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত সুনামধন্য চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাষ্টার সাহেব গত (২৮ অক্টোবর ২০২২ইং) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর কারণে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদটির আসন শুণ্য ঘোষণা করা হয়। এরপর উক্ত ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় (২৯ ডিসেম্বর ২০২২)। ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সকল পোশাক কারখানা খোলা ছিলো, তারপরও শ্রমিক ভোটাররা অনেক কষ্ট করে দুপুরে এসে ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন।
    সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ৪নং ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর তিন তিনবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাষ্টারের সুযোগ্য সন্তান শামীম আহমেদ সুমন ভুঁইয়া তার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে দলীয় টিকিট না পেয়েও স্বতন্ত্র আনারস মার্কা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন, আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মোশারফ হোসেন মুসা’কে বিপুল ভোটে হারিয়ে তিনি জনতার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
    ইয়ারপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শামীম আহাম্মেদ সুমন ভুঁইয়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, ছাত্র জীবনে দল বদল করেননি, তিনি সাবেক ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সুমন ভুঁইয়া’র বাবা ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া’র অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে এলাকার সকল ভোটার ও এলাকাবাসী এবং সুমন ভুঁইয়া সমর্থনকারীসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ইয়ারপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে মিলাদ ও দোয়া করা হবে বলেও এই নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সুমন ভুঁইয়া জানিয়েছেন।

  • নিউজ হাতে লিখতে ও পড়তে হবে: যেসকল সাংবাদিক সংবাদ লিখতে পারেন না তাদের প্রশিক্ষণ দরকার

    নিউজ হাতে লিখতে ও পড়তে হবে: যেসকল সাংবাদিক সংবাদ লিখতে পারেন না তাদের প্রশিক্ষণ দরকার

    হেলাল শেখঃ সকল সাংবাদিকদেরকে তাদের সম্মান ধরে রাখতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যেকোনো লেখা নিজে লিখতে চেষ্টা করতে হবে। নিউজ হাতে লিখতে ও পড়তে হবে। যেসকল সাংবাদিক সংবাদ লিখতে পারেন না তাদেরকে প্রশিক্ষণ দরকার। বিশেষ করে কলম সৈনিক সাংবাদিক দাবিদার নিজেদের মধ্যে যারা শক্রতা সৃষ্টি করছে তারা বেশিরভাগ ব্যক্তি সংবাদ লিখতে পারেন না, তারা জাতির বিবেক হয় কি করে? সাংবাদিকতা একটা মহান পেশা, এই পেশাকে যারা ছোট করছে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। প্রকৃত সাংবাদিক ও লেখক কখনো কোনো প্রকার হামলা মামলার ভয় করে না। নেতা বা মেম্বার চেয়ারম্যান, এমপি মন্ত্রী আপনারা যে পেশা থেকেই আসেন না কেন দয়া করে কেউ সাংবাদিকদের অপমান করবেন না। দেশের গণমাধমের প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকরা অনেকেরই ইতিহাস জানেন যে, কে কেমন প্রকৃতির মানুষ বা কেমন অপরাধ করেছেন? কে কেমন অপরাধী?। রাজধানী ঢাকা, ধামরাই ও সাভার আশুলিয়াসহ সারাদেশেই একের পর এক প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার ঘটনা ঘটছে, এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতাসহ সচেতন মহল।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়ে থাকেন। প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে কেউ ভয় দেখাবেন না, কলমের শক্তি দিয়েই তার জবাব দেয়া হবে। আমরা সাংবাদিকরা কোনো কচু পাতার পানি নয় যে, বাতাসে পড়ে যাবো। অনেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হামলা-মামলায় শিকার হয়ে থাকেন, তবে ভয় করবেন না “বৃহত্তর ঐক্যই আমাদের লক্ষ্য”। সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার হুমকি’র বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে নিউজ লেখতে হবে সকল সাংবাদিকদেরকে সবার সংশ্লিষ্ট মিডিয়ায়। সেই সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিক দাবি করতে পারবেন। আমি বলতে চাই ভয় করলে সাংবাদিকতা করা যায় না। নতুনদেরকে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকতার মূলধারায় এগিয়ে যেতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, হকার বা সোর্স হয়ে কাজ করা আর সাংবাদিকতা একরকম নয়। সাংবাদিক সংগঠন এক একটা ক্লাবে দুই থেকে তিনটি গ্রুপ হয়েছে। এটা সাংবাদিকতা নয়, সাংবাদিকতা করতে কোনো সংগঠন লাগেনা, দলবাজি বা চাঁদাবাজি করতে হয় না, আমরা কেন দলবাজি করবো? সাংবাদিক কারো বাহিনী নয়, সাংবাদিকরা সাংবাদিকতাই করবেন, কারো মিছিলে স্লোগান দিয়ে মহান পেশা সাংবাদিকতাকে অসম্মান করার অধিকার কারো নেই।
    বিশেষ করে তথ্য প্রমানবিহীন অপপ্রচার বন্ধ করুন, মানুষের বদনাম করে কি হয়?, ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস নিশ্চিত। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করে না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা প্রচার করে, এটাকে অপপ্রচার বলা হয়, অপপ্রচারকারী মানুষগুলো দেশ ও জাতির শক্র। দেশের ভেতরে যারা দেশ ও জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে দাবী জানান সাংবাদিক নেতারা। প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। গণমাধ্যমে কাজ করতে হলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রাখতে হয় তা অনেকেই জানেন না। নতুন সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়া প্রয়োজন, প্রকৃত সাংবাদিকতা করলে তা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল হয়। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণেই আজ তারা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সাংবাদিক শব্দ সহজ হলেও এই পেশা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, আবার সম্মানজনক। তবে অপসাংবাদিকতার কারণে বর্তমানে অনেক মানুষ সাংবাদিকদের ভালো চোখে দেখেন না। অনেক সময় সাংবাদিকদেরকে সাংঘাতিক বলে অনেকেই কিন্তু সাংঘাতিক সবাই হতে পারেন না, সাংঘাতিক হতে হলে নিজের পরিবারকে সময় না দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করেন। দুর্নীতিবাজরা লক্ষ লক্ষ টাকা ও কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে লুটপাট করছে আর সাংবাদিকরা যখন তাদের বিরুদ্ধে সেই সংবাদ প্রকাশ করেন তখন সাংঘাতিক হয়ে যায়, চোরের মায়ের বড় গলাবাজি বন্ধ করুন।
    প্রকৃত সাংবাদিকরা না খেয়ে থাকলেও লজ্জায় কারো কাছে হাত পেতে সাহায্য নিতে পারেন না। ৩৬৫ দিনে এক বছর, জীবনে কোনদিন ছুটি নেই সাংবাদিকদের। ৩৬৪ দিন ভালো কাজ করেন আর একদিন একজনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবেন এতে সে খারাপ সাংবাদিক হয়ে যায়। অপরাধীরা অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে কোনকিছু লেখা যাবেনা, ১দিন যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ প্রকাশ করছেনতো বিপদ। সাংবাদিক জাতির বিবেককে গালি দিয়ে বলা হয় সাংবাদিকরা খারাপ, এটা কোন ধর্ম আর কোন বিচার ?। অনেকেই নিজেদেরকে বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা আমাদের ভুল হচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বয় করে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে, “বৃহত্তর ঐক্যই আমাদের লক্ষ্য”। আমাদের লেখার মধ্যেও অনেক ভুল হয়। এই জন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন, বিশেষ সম্মান অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে সম্মান অর্জন না হয়ে উল্টো বদনাম হচ্ছে আমাদের। সাংবাদিকতা করতে শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মনজয় করতে পারেন না কেন? ছোট একটি ভুল করলেই সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না ?। অনেক সাংবাদিক আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন তারা? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই।
    দেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম, তবুও আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। “পুলিশ, সাংবাদিক” আইনজীবি ও জনপ্রতিধিগণ, এই চারটি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিকতা”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরকে কামড়ায় বা অপ্রত্যাশিত কিছু অপকর্ম করে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এরকম অনেক বিষয়কে সংবাদ বলা যেতে পারে।
    সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত। সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল তথ্য বিষয়ে জানা। ভয়কে জয় করে সাংবাদিকতা করার মধ্যে দেশপ্রেম আছে। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন বলেই মানুষের ঘরের সুন্দরী নারী ও অর্থ সম্পদ নিরাপদে থাকে, স্বাধীনতা ও সম্মান অর্জন করা অনেক কঠিন। বাকিটা ইতিহাস।

  • পাইকগাছায় ১২হাজার ৮৯৫জন নতুন ভোটার বেড়েছে

    পাইকগাছায় ১২হাজার ৮৯৫জন নতুন ভোটার বেড়েছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    পাইকগাছায় নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে
    নতুন ভোটার বেড়েছে ১২ হাজার ৮৯৫ জন। এ নিয়ে অত্র উপজেলায় ভোটার সংখ্যা দাড়িয়েছে ২লাখ ৩৮হাজার ৯০৮জন। গত ২৫/০৯/২০২২ থেকে ০৭/১১/২০২২ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করা হয়। এতে যাদের জন্ম তারিখ: ০১/০১/২০০৭
    তাদেরকে নিবন্ধন করা হয়। উপজেলা নিবার্চন অফিসার কামালউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হালনাগাদে নতুন ভোটার বেড়েছে ১২ হাজার ৮৯৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৬হাজার
    ৬৬১জন ও নারী ৬হাজার ২৩৪জন। হালনাগাদ সহ অত্র উপজেলায় মোট ভোটার দাড়িয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৮জন। যার মধ্যে পুরুষ ১লাখ ২০হাজার ৮৯৫ জন ও
    নারী ১লাখ ১৮ হাজার ১৩ জন। উপজেলা নিবার্চন অফিসার জানান নতুন ভোটারদের মধ্যে যাদের জন্ম তারিখ ০১/০১ /২০০৫ তারা সবাই আগামী নিবার্চনে ভোট
    দিতে পারবে। এছাড়া বাকিরা সবাই আইডি কার্ড পাবে। উপজেলা নিবার্হী
    অফিসার মমতাজ বেগম জানান, অফিসিয়াল আবেদনের মাধ্যমে যেকোন সময় ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। হালনাগাদ তালিকায় যদি কেউ বাদ যেয়ে থাকে তারা অফিসিয়াল আবেদনের মাধ্যমে ভোটার হতে পারবেন।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।