Category: দেশজুড়ে

  • তানোরে ৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত হওয়ায় সাংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

    তানোরে ৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত হওয়ায় সাংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ

    রাজশাহীর তানোরে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রচেষ্টায় বিভিন্ন স্তরের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করা হয়েছে।এদিকে দীর্ঘ প্রায় তিনদশক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিভুক্ত হওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি,অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অধিবাসিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, একই সঙ্গে এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। জানা গেছে, দেশে নতুন করে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৫১টি স্কুল ও কলেজ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬৬৫ টি মাlদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার তথ্য জানায়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি সচিবালয়ে এমপিও প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান।প্রসঙ্গত, এমপিওভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার সরকারি একটি অংশ পেয়ে থাকেন।এদিকে তানোর উপজেলার ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে।ধানুরা চকপ্রভুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, গত ২৫ বছরের বেশী সময় ধরে বিনা বেতনে পাঠ দান দিতে দিতে শিক্ষকেরা মহাসংকটে পড়েছিল, বেতনভাতা না পেয়ে শিক্ষক কর্মচারিগণ পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে ছিল এখন সে কষ্ট দূর হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য মানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই, সেই সঙ্গে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তারা সুস্থ্য থেকে দেশের আরো সেবা করে যেতে পারেন। রাজশাহী ১ আসনের সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিক্ষক কর্মচারীগণ বছরের পর বছর বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এবার শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমপিওভুক্ত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমূলে শিক্ষক কর্মচারীগণকে ভিটেমাটি, গরু, ছাগল বিক্রি করে এমপিও কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করতে হতো। সে অবস্থা নেই এখন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীর শিক্ষক কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে কোন প্রকার উৎকোচ ছাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমপিও করার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়া পথে দেশ এক ধাপ এগিয় গেল। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে, শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর জন্য এলাকার মানুষ আল্লাহর দরবারে প্রাথনা করবেন, যেন আগামীতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। উনার হাত ধরে উন্নত বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারবে জনগন, এ প্রত্যাশা করি। এমপিও হাওয়ার ফলে এলাকার হাজার হাজার শিক্ষর্থী উন্নত মানসম্মত পাঠদান গ্রহন করতে পারবে। এখন শিক্ষকগন রুটি রুজির কথা চিন্তা ভাবনা না করে শিক্ষার্থীদের ভালভাবে শিক্ষা দিতে পারবেন। তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার ময়না বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, রাজশাহী ১ আসনের সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী কঠোর পরিশ্রম করে, ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করতে পেরেছেন এ জন্য উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও রাজশাহী ১ আসনের সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

  • নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

    নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইলঃ
    নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩। নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত, এসময় গ্রুরুতর অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে উপস্থিত হন আহত,দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান, গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকলে নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকার মুলিয়া রোডে এ ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা,খোকন চন্দ্র রায় (৫০) নামে ঐ ব্যক্তির পিঠে ছুরি বিঁধিয়ে পালিয়ে যায়,দুর্বৃত্তরা,পরে আহত অবস্থায় তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছান এবং হাসপাতালের দায়ীত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায়,পুলিশ জানায়,খোকন চন্দ্র রায়,নড়াইল শহরতলীর দুর্বাজুড়ি গ্রামের মৃত জ্যোর্তিময় রায়ের ছেলে। তিনি প্রতিদিনের মতো সকালে পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে মুঁলিয়া রোডের দক্ষিণ নড়াইল বটতলা নামক স্থানে হেলমট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহী দুই অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত পেছন থেকে এসে খোকনের পিঠে ছুরি বিদ্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় খোকন নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছাতে সক্ষম হলেও তার শরীরে অত্যন্ত বিপদজনকভাবে বিধে থাকা চাকু সেখানে অপসারণ করা সম্ভব না হওয়ায় ক্রমে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে চিকিৎসক তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ দিলে স্বজন’রা,খোকনকে যশোর মেডিকেলে নেন। খোকনের শরীরে বিধে থাকা ছুরি ফুসফুস পর্যন্ত গিয়ে থাকতে পারে এমন ধারনা পোষণ করে সদর হাসপাতালের ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার,শরীফ মোহাম্মদ হাসান ফেরদৌস জানান,অপসারনের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রপচার নড়াইলে সম্ভব না,বিধায় তাকে মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান জানান,জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে খোকন হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনা উৎঘাটনে কাজ চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে,পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরেন করেছেন বলে,নিশ্চত করেছেন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান।

  • নওগাঁয় দাবী এনজিও’র সাবেক কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে পিটালেন কর্তৃপক্ষরা

    নওগাঁয় দাবী এনজিও’র সাবেক কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে পিটালেন কর্তৃপক্ষরা

    রওশন আরা শিলা,নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাকে অবসরকালীন পিএফ ও গ্র্যাজুইটি’র টাকা দিবে বলে অফিসে ডেকে নিয়ে পরিবারসহ জিম্মি করে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ ফোন দিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ঘটনায় ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। মোশাররফ হোসেন (৩৮) জেলার বদলগাছী উপজেলার কাশিয়ারা গ্রামের মৃত আয়চাদ আলীর ছেলে। গত বুধবার (৬জুলাই) রাত ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চকরামপুর (কাঁঠালতলী) এলাকায় বেসরকারি সংস্থা ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার’ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর পূর্বে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে যোগদান করেন মোশারফ হোসেন। পরে শাখা ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। সংস্থায় চাকুরি করাকালীন তিনি পিএফ (প্রভিডেন্ট ফান্ড) ও গ্র্যাজুইটি বাবদ প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাওনা আছেন। টাকাগুলো পাওয়ার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও আজকাল বলে কালক্ষেপন করা হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ৬ জুলাই ওই অফিস থেকে ফোন করে তাকে তার পাওনা টাকাগুলো নিয়ে যেতে বলা হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি স্ত্রী সাবিনা বেগম, দুই সন্তান মেয়ে (১৫) ও ছেলে (৪) কে নিয়ে সংস্থার অফিসে যান।

    অফিসে যাওয়ার পর তাকে একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। এ নিয়ে তাদের রাত ৯টা বাজে। কিন্তু পাওনা টাকায় হিসাবের গড়মিল হওয়ায় তিনি প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। দাবী এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার সিমা (৩৮), পরিচালক মুনির চৌধূরী (৪৫), প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান(৩৬), আ লিক ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ ও অফিস সহকারি হাসান (৪২) ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের অফিসের একটি ঘরে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এতে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মোশারফ। এসময় তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঘরে রেখে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে অন্ধকারে আটকিয়ে রাখা হয়। এসময় মোশারফকে তারা মারপিট শুরু করলে এক পর্যায়ে তিনি সংস্থা থেকে পালিয়ে রাস্তা চলে আসেন। পরে তিনি ‘৯৯৯’ ফোন করা হলে থানা পুলিশ তার স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধার করে।

    শুধু মোশারফ হোসেন না, পিএফ ও গ্র্যাজুইটি’র টাকা নিয়ে সংস্থার অনেক কর্মচারীর সঙ্গে এমন অশোভন আচরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কোন কর্মচারী ওই সংস্থা থেকে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে তাকে যেমন ভোগান্তীতে পড়তে হয়, তেমনি তার পাওনা টাকাও নয়-ছয় করা হয়। ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত হয়নি।

    ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন বলেন, সংস্থা থেকে গত বছরের জুনে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। এরমধ্যে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা (৭ কিস্তিতে) পরিশোধ করেছি। ঋণের বাঁকী টাকা ছাড়া সংস্থা আমার কাছে অন্য কোন ধরনের টাকা পাবে না। কিন্তু তারপরও আমার পাওনা প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে তারা ৩ লাখ টাকা কেটে নিবে। আনুষঙ্গিক আরো কিছু কেটে নিয়ে সবশেষে ২ লাখ টাকা তারা দিতে চায়। আমার পাওনা হিসাবের সঙ্গে অসঙ্গতি থাকায় প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কাগজে স্বাক্ষর না করায় আমাকে তারা মারপিট করেছে এবং পরিবারকে ঘরে আটকে রাখে। পাওনা টাকা চাইলে তারা আমাকে হত্যা করে গুম করবে বলে হুমকি দেয়।
    তিনি আরো বলেন, আমি কেন অন্য কোথাও চাকরি করবো। সেটা ছেড়ে দিয়ে এসে আবারও তাদের সংস্থাতে যোগদান করতে বলে। আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার বিচার চাই। সেই সাথে সংস্থার কর্তৃপক্ষদের গ্রেফতারের দাবী জানাই। তবে অভিযোগের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি।

    ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, এনজিও’র অফিসের একটি ঘরে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে অন্ধকারে বন্দি করে রাখে। তার আগেই স্বামী ঘরের বাহিরে চলে যায়। এসময় স্বামীর চিৎকার ও হৈ-চৈ এর শব্দ শুনতে পায়। পরে অভিযুক্তরা এসে আমাকে শ্লীলতাহানীল চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বাসীন্দা মশিউর রহমান। তিনি ‘দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থায়’ প্রধান হিসাবরক্ষক পদে ছিলেন। গত ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেছিলাম। সেখানে আমার পাওনা ছিল ৩৩ লাখ টাকার ওপরে। সংস্থা থেকে কিছু ঋণ নিয়েছিলাম। আমার পাওনা থেকে ৩লাখ ২০ হাজার টাকা কেটে নিয়ে বাঁকী টাকা আমাকে দেওয়া হয়। ওই সংস্থায় আমার মতো অনেকের সাথে এমন অন্যায় করা হয়েছে।

    দাবী এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার সিমা’র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
    দাবী এনজিও’র পরিচালক মুনির চৌধূরী বলেন, মোশারফ হোসেন যা বলেছে সব অযৌক্তিক। প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম কানুন আছে যা তিনি মানতে চাননা। সবকিছু কাগজপত্র প্রস্তুত করে যখন তাকে চেক দেওয়া হবে তখনই সে ঝামেলা শুরু করে। তার পাওনা টাকা না নিয়ে অফিস থেকে যাবে না। বাধ্য হয়ে আমরা থানা পুলিশকে জানালে রাত ৯টার দিকে তাদের অফিস থেকে বের করে নিয়ে যায়। এছাড়া তার পরিবারকে জিম্মি বা তাকে মারপিট করা হয়নি বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    নওগাঁ সদর থানার ওসি-তদন্ত রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।।

  • কেশবপুরের বুড়হাটী দাখিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

    কেশবপুরের বুড়হাটী দাখিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরের বুড়িহাটী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী বুড়িহাটী গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে কামরুজ্জামান (৪৪) ৬ জুলাই সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নিজ বাড়িতে মারাগেছেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি মাতা ,স্ত্রী,দুপুত্র ওএক কন্যাসহ অসংখ্য গুন গ্রাহী রেখে গেছেন। পরদিন ৭ জুলাই সকাল ১০টায় বুড়িহাটী স্কুল ময়দানে জানাযা নামায শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
    পারিবারিক সূত্র জানায় ঘটনার দিন নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরের বিদ্যুতের লাইনে কাজ করার সময় হটাৎ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান।এসময় পার্শে থাকা তার স্ত্রী তাকে তুলতে গেলে তাকেও বিদ্যুতের সক লাগার কারনে তিনি পড়ে যান। পরে লোকজন এসে তাকে ডাক্তার দেখানো হলে ডাক্তার কামরুজ্জাম টুকু জানান তিনি মারা গেছেন।তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ তার আতœার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান টুকু,মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল খালেক, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা আব্দুল হাই সিদ্দিকী,আলী আজগর,মনোয়ারা খাতুন। শিক্ষক সহসুপার আব্দুল বারী,শিক্ষক মশিয়ার রহমান,হযরত আলী, আব্দুুস সামাদ,শফিকুল আলম, রিজাউল ইসলাম,নাসিমা খাতুন,সেলিনা আক্তার হাবিবুর রহমান,আজহারুল ইসলাম,আব্দুর রউফ।

  • কেশবপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০৪ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ১০ কেজি বিতরণ

    কেশবপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০৪ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ১০ কেজি বিতরণ

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে ৭জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০৪ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন। এর আগে উপজেলা পরিষদের হলরুম গ্রাম পুলিশের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আতিয়ার রহমান।
    অপরদিকে কেশবপুর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ের ৬১ জন ভূমিহীনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ৫০০ টাকা করে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে।

    মোঃ জাকির হোসেন
    কেশবপুর,যশোর।।

  • ভুরুঙ্গামারীতে প্রাথমিকের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

    ভুরুঙ্গামারীতে প্রাথমিকের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সতিপুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের সতিপুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশকৃত একটি অভিযোগপত্র গত ১৪জুন ২২খ্রিঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করায় অভিযোগটি তদন্তধীন রয়েছে। ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকার ও বিদ্যালয় ক্লাষ্টার (এটিও) জাকির হোসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিনের সাথে যোগসাজশ করে শিক্ষা পরিপত্র বহির্ভূতসহ অতি-গোপনে গত ৫জুলাই ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন দেয়। অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন অভিবাবকদের অবহিত না করে অতি-গোপনে, সুকৌসলে উক্ত কমিটি গঠন করে ও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরিপত্র যথাযথ অনুসরণ করা হয়নি। অভিভাবক না হয়েও অভিভবক সদস্য হয়েছেন। দাতা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রকৃত দাতা সদস্যকে বঞ্চিত করাসহ যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। এই নিয়মবহির্ভূত কমিটি গঠনের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ব্যাহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠভাবে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে নিয়মবহির্ভূত ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করে বিধি অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠনেরও দাবি তাদের।
    অভিযোগকারী ও অভিভাবক রুহুল আমিন ও রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ১৪জুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরেও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও এটিও জাকির হোসেন পরিপত্র অমান্য করে ৫জুলাই কমিটি অনুমোদন দেয়। সংশ্নিষ্ট উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

    বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও অভিভাবক মশিউর রহমান মিন্টু বলেন, লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও এটিও-কে ম্যানেজ করে পরিপত্র বহির্ভূত করে অতি-গোপনে ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন হয়। কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করে বিধি মোতাবেক নতুন কমিটি গঠনেরও দাবি জানান তিনি।

    সতিপুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, কমিটি যেমন হোক পার হয়ে গেছে। যানেন আমি একজন প্রধপ্রধান শিক্ষক। আমার অনেক নেতা আছে। তথ্য দিতে পারবো না।

    বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগে সুপারিশ করা হয়েছে তারপরেও অবৈধভাবে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

    ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন দায়সারা জবাবে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়গুলো দেখেন এবং উপজেলা শিক্ষা কমিটি ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আপনি অভিযোগ দেখার কে ও আপনি কি আমার বস এ বলে হুমকি দিয়ে ফোন কাটেন।

    ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় চন্দ্র সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

    কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক পুনরায় অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • নাগেশ্বরীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রর কর্তৃক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

    নাগেশ্বরীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রর কর্তৃক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    নাগেশ্বরীতে গাগলা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম (আবির)’র কর্তৃক গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

    ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর (খামারটারী) গ্রামের হতদরিদ্র বুদা শেখের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা গত ২জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় একা বাথরুমে যাওয়ার পথে ওঁ পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী আরিফুল ইসলাম (আবির) মুখ চেপে ধরে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরদিন রবিবার আরিফুল ইসলাম (আবির) এর পিতাসহ কয়েকজন বুদা শেখের স্ত্রী ও তার ধর্ষিত কন্যাকে বেদম মারপিট করেন।

    গাগলা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম (আবির) নাগেশ্বরী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কুটি বাগডাঙ্গা গ্রামের প্রভাবশালী ইব্রাহীম আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।

    সোমবার বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি গোপালপুর (খামারটারী) গ্রামের বুদা শেখের বাড়িতে গিয়ে উক্ত বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণ নিয়ে আসেন।

    এমতাবস্থায় বাগডাঙ্গা গ্রামের বাবলু নামের এক যুবকের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার নাগেশ্বরী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ইসরাইল এর সভাপতিত্বে মাত্র ৫৫হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়।

    ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মাতা মনোয়ারা বেগম ও নানী শাহেরা বেগম ধর্ষণের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের মেয়ে কে পাটক্ষেতে ধর্ষণ করে আবির পালিয়ে যায়। আমরা বিচার থেকে বঞ্চিত। প্রভাবশালী মহল মাত্র ৫৫হাজার টাকা দিয়ে ফাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে।

    মেয়ে পক্ষের দালাল বাবলু এ প্রতিনিধি কে মোবাইল ফোনে মামলার হুমকি দিয়ে বলেন বিষয়টি ৫৫হাজার টাকা নিয়ে আপোষ হয়েছি। আমাদেরও বড় সাংবাদিক আছে। আপনাকে দেখে নিবো।

    ইব্রাহীম আলীর ছোট ভাই আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জালাল উদ্দিনের বাড়িতে কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ইসরাইল ও মেয়ে পক্ষের বাবলু এবং স্থানীয় কিছু লোক বসে বিষয়টি মেয়ের মায়ের হাতে ৫৫হাজার টাকা দিয়ে স্টাম্পে মেয়ে ও তার মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে আপোষ হয়েছি।

    নাগেশ্বরী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম ইসরাইল বলেন, গতকাল (৭জুন) আমার মাধ্যমে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিষয়টি ৫৫হাজার টাকায় আপোষ করা হয়।

    নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ নবিউল হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • নারায়নপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

    নারায়নপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    নাগেশ্বরীর নারায়নপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার ভিজিএফের চাল বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার ভিজিএফের চাল হতদরিদ্র ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮জুলাই) নারায়নপুর ইউনিয়নের বরইতলা ঘাটে ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় একাধিক ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ভিজিএফ চালের তালিকায় ধনী ব্যক্তিরও নাম রয়েছে বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় নামে, বে-নামে তোলা হয়েছে চাল এবং চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পকেটে রয়েছে ভিজিএফ সিলিফ সহ প্রকাশ্যেই চলছিল চাল বিক্রয়। আর সে সময় ভিজিএফের চাল ক্রয় করছেন চেয়ারম্যানের একান্ত কর্মী চৌদ্দঘুড়ী চরের আজি রহমানের পুত্র বোরহান, নজর আলীর পুত্র রমজান আলী, বংশীরচরের কুদ্দুস হোসেনের পুত্র ইসমাঈল হোসেন। চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আনেকের নাম দিয়ে তাদের লোকজনকে দিয়ে কৌশলে চাল তুলেছে। অনেকের পরিবারে একাধিক নাম দিয়ে ১টি রেখে বাকিগুলোর চাল সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে দেয়া লাগছে। এ ছাড়াও নামে, বে-নামেও চাল তুলে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। দবে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ কর্মকর্তা ও মেম্বারগণ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন, কিছু কুচক্রীমহল চাল না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
    নারায়নপুর ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা তার লোকজনকে দিয়ে কৌশলে চাল তুলেছে। এ ছাড়াও নামে, বে-নামেও চাল তুলে আত্মসাৎ করেছে। ইউনিয়নের অনেক অসহায় পরিবারের ভিজিএফ তালিকায় নাম থাকলেও তারা এখনো ভিজিএফ চাল পায়নি।

    নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মিডিয়ার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

    নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম বলেন, ভিজিএফ বিতরণে অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাপ্তাহিক বিরামপুর বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    সাপ্তাহিক বিরামপুর বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    জাকিরুল ইসলাম জাকির (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

    দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিরামপুর বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে বিরামপুর পৌর শহরের চাংপাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সাপ্তাহিক বিরামপুর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে, সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ইউএনও পরিমল কুমার সরকার বলেন, আমি নিয়মিত পত্রিকাটি পড়ি। আমার জানামত ইতোমধ্যে পত্রিকাটি এলাকায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। ভালো ভালো এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আগামীতে বিরামপুর বার্তা পত্রিকাটি আরো এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা রইলো।

    বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, সাপ্তাহিক বিরামপুর বার্তা পত্রিকাটি সাজানো গোছানো সংবাদ প্রকাশ করে, সেজন্য পত্রিকটি পড়তে ভালো লাগে। পত্রিকাটি তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে এই আশা করি।

    সভাপতি’র বক্তব্যে সাপ্তাহিক বিরামপুর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বিরামপুর বার্তা। আমরা যারা এ পত্রিকায় কাজ করি, তাদের সবার কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে পত্রিকার গতিকে আরও বেগবান করতে হবে। তাই আমাদের বহুমাত্রিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনসহ বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিষয়েও সবার সুদৃষ্টি রাখা জরুরি।

    সম্মেলন শেষে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস এর পক্ষ থেকে পত্রিকাটির সকল প্রতিনিধি এবং পত্রিকার হকারদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরন এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

    মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির
    বিরামপুর, দিনাজপুর।

  • সিরতায় ঈদ উপহার ভিজিএফ পেয়ে খুশী ২হাজার ৮শত দরিদ্র পরিবার।।

    সিরতায় ঈদ উপহার ভিজিএফ পেয়ে খুশী ২হাজার ৮শত দরিদ্র পরিবার।।

    আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদের বিশেষ বরাদ্ধ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করা হয়েছে।

    শুক্রবার (৮ই জুলাই) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায়, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়,উপজেলা প্রশাসনের বাস্তায়নে এবং ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ এর সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ইউনিয়নের ২৮০০টি (২হাজার ৮শত অসহায় দরিদ্র উপকারভোগী পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে মোট ২৮০০০ কেজি চাউল
    বিতরণ করা হয়। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ওয়ার্ড ভিত্তিক এ চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাইদ । ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল হাসান উক্ত চাউল বিতরণ কর্মসুচীর তদারকি করেন।

    চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাইদ বলেন, অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ভিজিএফ চাউল দেওয়াসহ যেকোন সহযোগিতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার সবসময় অসহায় পাশে আছে এবং থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে, জনগণ কিছু না কিছু পাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের ২ হাজার ৮শত অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ প্রকল্পের আওতায় ১০ কেজি করে চাউল সহায়তা প্রদান প্রদান করা হয়েছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক মেম্বার,ফয়জুর রহমান ফজলু,আবুল বাশার বাদশা, মোজাম্মেল হক বাবু,রাবেয়া আক্তার,আসমা আক্তার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।