Category: দেশজুড়ে

  • মহালছড়িতে নবাগত জোন অধিনায়ক ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা

    মহালছড়িতে নবাগত জোন অধিনায়ক ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা

    (রিপন ওঝা,মহালছড়ি)

    আজ ১৩সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিওনের মহালছড়ি সেনা জোন সদরে নবাগত জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শাহরিয়ার সাফকাত ভূইয়া,পিএসসি ও আমন্ত্রিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

    উক্ত সভায় জোন কমান্ডার নবাগত জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শাহরিয়ার সাফকাত ভূইয়া, পিএসসি ও আমন্ত্রিত অতিথিগণদের সাথে সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতিমূলক বক্তব্য শেষে সকলের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন।

    উক্ত সভায় ৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ- অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব রুহুল আমিন, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব জসিম উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ধনিষ্টা চাকমা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন কুমার শীল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রমুখ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    অতঃপর সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও মঙ্গল কামনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে জোনের সার্বিক কল্যান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। প্রতিত্তোরে সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ মহালছড়ি জোনে শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়ন বজায় রাখার লক্ষ্যে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদানের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে।

  • বেগমগঞ্জে নরসুন্দরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    বেগমগঞ্জে নরসুন্দরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে এক নরসুন্দরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মৃত রুবেল মজুমদার (৩৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মধ্য মুছাপুর গ্রামের দিলিপ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।সে চৌমুহনী বাজারে একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতো।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এর আগে সোমবার রাত ৮টার পর থেকে যেকোন সময় আত্মহত্যা করে।
    বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি মরদেহ উদ্ধারের সত্যত্যা নিশ্চিত করে জানান, নিহত যুবক চেীমুহনীতে ভাড়া বাসায় থাকত।টাকা পয়সার ঋণগ্রস্ত হওয়াতে গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়।খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

  • ইপিজেড থানা এলাকার,স্বর্ণ ও মোবাইলের জন্য গৃহবধূ খুন  পুলিশের সহায়তায় আসামী গ্রেফতার

    ইপিজেড থানা এলাকার,স্বর্ণ ও মোবাইলের জন্য গৃহবধূ খুন পুলিশের সহায়তায় আসামী গ্রেফতার

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় শামীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশী কিবরিয়া জাফরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে স্বর্ণের দুল, আংটি ও মোবাইল। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইপিজেড থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা।

    তিনি বলেন, রোববার চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিংয়ের একটি ভবনে শামীমা নামের এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় দিয়ে রাখে। এরপর বাসায় থাকা ১২ আনা স্বর্ণ, একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আজম বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মো. কিবরিয়া জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, কিবরিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করে স্বর্ণ ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায় সে।

    তিনি বলেন, কিবরিয়া শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর ভিকটিম শামীমার দরজায় নক করে। কিবরিয়া পূর্ব পরিচিত ও পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হওয়ায় শামীমা রুমের দরজা খুলে দেন। রুমে প্রবেশ করেই কিবরিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

    উল্লেখ্য, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের নিউমুরিং তক্তার পুল আবুল ফয়েজের বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার ভাড়া বাসা থেকে শামীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শামীমা পটুয়াখালীর বাউফল থানার জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। জামাল উদ্দিন রাঙ্গামাটি বিজিবিতে চাকরি করেন বলে জানা যায়।
    উক্ত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • লালমনিরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি শাহা আলম

    লালমনিরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি শাহা আলম

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

    লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার (ওসি)শাহা আলম,আগস্ট ২০২২ খ্রি. মাসের আইন শৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনায় জেলার শ্রেঠ ওসি নির্বাচিত হন।

    গত (১২ই সেপ্টেম্বর) ২০২২ইং সকাল ১১.০০ ঘটিকায় লালমনিরহাট জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মহোদয়ের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ) জনাব মো. রবিউল ইসলাম মহোদয়ের সঞ্চালনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে, আগস্ট ২০২২ খ্রি. মাসের আইন শৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    পুলিশের একজন নিষ্ঠানবান কর্মঠো ও দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর,মো.শাহা আলম, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদেরকে নিরুৎসাহীত করা সহ সামাজিক সব ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করার সুচিন্তিত কর্ম পরিকল্পনা করেন।এরই ধরাবহিকতায় (ওসি)শাহা আলম, গত আগস্ট ২০২২ইং এক মাসে হাতীবান্ধা থানার ব্যাপক মাদক উদ্ধার সহ, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং এছাড়া গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীকে আটক, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার, জরুরী সেবা ৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিম উদ্ধার করে, এরই মধ্যে লালমনিরহাট জেলার চৌকস পুলিশ আফিসার হিসেবে, পুলিশ প্রশাসনে সমাদৃত হন।

    উল্লিখিত এক মাসে লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাসিক সভায় তিনি ভালো কাজের জন্য ও সাহসিকতার সাথে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য লালমনিরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত করেন এবং জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির সন্মাননা সনদ প্রদান করেন লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মহোদয়। ওসি শাহা আলম, এর বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন বিট পুলিশিং,কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ রোধ,চুরি, ছিনতাই,গুজবরটানো,জঙ্গী দমন,জমিজমার নিস্পত্তি, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ,আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে জনসাধারণের কাছে বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।

    ওসি শাহা আলম, ঢাকার ডাক কে বলেন, আমরা পুলিশ জনগনকে সাথে নিয়ে শ্রেনী ভেদে সবার সহযোগিতায় সফলতা অর্জন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।আমি আমার এ সফল্যের জন্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মহোদয় এর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে পুরস্কার প্রাপ্তি সময় আনন্দের, সেই সাথে দায়িত্ব বোধ ও কাজের স্পৃহা অনেক গুন বেড়ে যায়।সিনিয়র স্যারদের এমন অনুপ্রেরণা মুলক কার্যক্রম সবসময় কাজে প্রেরণা জোগায়। আমাকে সবসময় সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

    আরো জানা গেছে ওসি শাহা আলম, পুলিশ হিসেবে যোগদানের পর তিনি এ দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পদে সু নামের সাথে কাজ করে প্রশংসা অর্জনকারী হিসেবে কয়েকবার পুরুস্কার প্রাপ্ত হন।তিনি একজন ক্রীড়াবিদ ও বটে। ক্রীড়ার ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন সময় পুরস্কার লাভকরেন।

    হাসমত উল্লাহ।।

  • পাইকগাছার গড়ইখালীর বদ্ধ ঘোষখালী নদী জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত করার পর সুফল পাচ্ছে এলাকাবাসী

    পাইকগাছার গড়ইখালীর বদ্ধ ঘোষখালী নদী জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত করার পর সুফল পাচ্ছে এলাকাবাসী

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।পাইকাগাছার আলোচিত ঘোষখালী বদ্ধ নদীর সুফল ভোগ করছে গড়ইখালী ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ। যার মধ্যে ৫হাজার পরিবার সরাসরি নদীর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। এছাড়া নদীর দু-পাড়ে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদন করছে এলাকার সকল কৃষকরা।
    বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস সালাম কেরু নদীটি দখল ও রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করে কৃষি ফসল উৎপাদন ও জনসাধারণের স্বাধীনভাবে মাছ ধরা নিশ্চিত করেছেন। ফলে একসময়ের অভিশপ্ত ঘোষখালী নদীটি বর্তমানে এলাকাবাসী আশির্বাদ হিসেবে দেখছে। সূত্র মতে, উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গড়ইখালী ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ঘোষখালী (বদ্ধ) নদী। নদীটি ইউনিয়নের শান্তা বাজার সংলগ্ন শিবসা নদীর সাথে যুক্ত হয়ে কয়রা উপজেলার অংশে গিয়ে ঠেকেছে। নদীর উপর নির্ভর করে পাইকাগাছার গড়ইখালী, চাঁদখালী ও কয়রার আমাদী এবং মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কৃষি ফসল উৎপাদন ও মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা। নদীটি একসময় এলাকার প্রভাবশালী মহল ইজারা নিয়ে নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ করাসহ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ফলে এলাকাবাসী নদীর সুফল থেকে বি ত ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে নদীটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। উম্মুক্ত করা হলেও প্রভাবমুক্ত না হওয়ায় এর পুরোপুরি সুফল পাওয়া থেকে বি ত থেকে যায় জনসাধারণ।
    বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস সালাম কেরু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নদীর শতভাগ সুফল যাতে জনসাধারণ ভোগ করতে পারে এজন্য তিনি দখলমুক্ত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। যার মধ্যে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ, মিষ্টি পানি আটকিয়ে রাখা ও নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করা অন্যতম। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করায় ইউনিয়নের সকল শ্রেনীর মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। যেমন: শুষ্ক মৌসুমে মিষ্টি পানি আটকিয়ে রাখায় এবছর রবি মৌসুমে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি তরমুজ ও সবজি চাষ হয়েছে। রবি ফসল উৎপাদন করে এবছর এলাকার কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।
    এছাড়া নদীতে সরাসরি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে ৫হাজার পরিবার। নদীর দুপাড়ের প্রায় প্রতিটি পরিবার তাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় মাছ অত্র নদী থেকে সংগ্রহ করে থাকে । চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের কৃষকরা যখন বৃষ্টির জন্য দিশেহারা ঠিক এমন পরিস্থিতিতে এলাকার কৃষকরা ঘোষখালী নদীর পানি ব্যবহার করে বীজতলা তৈরি করাসহ আমন ফসল রোপন করেছে। বাইনবাড়িয়া এলাকার স্বপন কুমার জানান নদীর মিষ্টি পানি দিয়ে এবছর আমার মতো অত্র এলাকার কৃষকরা রবি ফসল উৎপাদন এবং আমন ফসল চাষাবাদ করেছে। এলাকার প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে এই নদীর কারনে। ফকিরাবাদ গ্রামে রাজু শেখ বলেন আমি প্রতিদিন নদী থেকে যে মাছ ধরি তা বাজারে প্রায় একহাজার টাকা বিক্রি হয়। মনিরুল ইসলাম শেখ জানান নদীর মাছ ধরে আমার যেমন সংসার চলে, তেমনি প্রায় প্রতিটি পরিবারের মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে এই নদী থেকে। কলিম শেখ জানান আমরা সারাবছর নদী থেকে মাছ ধরি, তবে জৈষ্ঠ্য মাস থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত বেশি মাছ পাওয়া যায়। রাবেয়া বেগম বলেন আমার মতো অনেক নারী নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাজমুল হোসেন জানান হরিণা, চালী, গলদা, রুই, কাতলা, মাগুর, চিত্রা, টেংরা, টাকি, কই ও কাকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নদীতে পাওয়া যায়। সোহরাব শেখ বলেন নদীটি একসময় প্রভাবশালী মহল তাদের ইচ্ছামত ব্যবহার করতো যার ফলে আমাদের মতো যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের দুঃখ কষ্ট দেখার মতো কেউ ছিল না। বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু প্রভাবমুক্ত করায় নদীর সুফল আমরা ইউনিয়নবাসী সবাই পাচ্ছি। মোঃ সেলিম জানান নদীর প্রধান স্লুইচ গেট সংস্কার এবং নদী খনন সহ নদীতে পর্যাপ্ত পরিমানে মাছের পোনা অবমুক্ত করা গেলে এলাকার মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবে।
    ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু জানান নদীটি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অত্র নদীর উপর নির্ভর করে ইউনিয়নের কৃষিসহ মৎস্যজীবীদের জীবনমান। তিনি বলেন আমি নির্বাচিত হওয়ার পর নদীর সুফল যাতে এলাকার মানুষ শতভাগ পায় এজন্য লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য নদীর পানি লবণ হওয়ার পূর্বেই বাঁধ দিয়ে মিষ্টি পানি আটকে রাখি। যে পানি দিয়ে এলাকার কৃষকরা রবি ফসল উৎপাদন এবং আমন বীজতলা তৈরি এবং ধান রোপন করেছে। এছাড়া নদীতে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করি। যে মাছ এখন এলাকার গরিব মৎস্যজীবী পরিবার আহরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। নদীটি রাজনৈতিক প্রভাব এবং দখল মুক্ত রাখায় এখন আর এলাকার কোন গরিব কিংবা সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হয় না, এলাকার সকল শ্রেনীর মানুষ বর্তমানে নদীর শতভাগ সুফল ভোগ করছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় দির্ঘদিনের অনাবৃস্টির পর টানা বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন

    পাইকগাছায় দির্ঘদিনের অনাবৃস্টির পর টানা বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    পাইকগাছা দির্ঘদিনের অনাবৃস্টির পর টানা দুই দিনের বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অতিরিক্ত পানি জমে রোপন কৃত আমন ফসলের ক্ষেতের ক্ষতি পুশিয়ে আবাদের জন্য উপকার হয়েছে। শেষের দিকে এ বৃস্টিতে কৃষকের মনে কিছুটা সস্থি এসেছে।তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। রবিবার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি।বৃস্টি ও জোয়ারের পানিতে নিচু এলাকার বাড়ীর উঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের দিন মজুর মানুষেরা। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুরা কাজ করতে পারেনি। অনেকেই বাড়ি হতে বের হতে পারেনি। পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের লিটন সরদার জানান, প্রতিদিন দিন মজুরের কাজ করে আমার সংসার চালাতে হয়, কিন্তু ভারি বর্ষণের কারণে রবি ও সোমবার আমি কোথাও কাজ করতে যেতে পারিনি।উপকূল এলাকার চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, লীজ ঘের গুলোতে আমন রোপন চলছে।তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমনের চারা রোপনের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকা কৃষকদের পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতিতো হবে না আরো উপকার হবে বলে তিনি জানান।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে  সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন আহত

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন আহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রেলগেট এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালকসহ চারজন আহত হয়েছে।
    দুর্ঘটনায় এক ট্রাকচালক ট্রাকের ভেতরে আটকা পড়ে ছিল দীর্ঘসময়। তাকে উদ্ধার করতে গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসসহ রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা চালায। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোদাগাড়ী রেলগেট কসাইপাড়া মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।

    তিনি আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পণ্যবাহী একটি ট্রাক রাজশাহীর দিকে আসছিল। অপরদিকে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। পতিমধ্যে ট্রাক দুটি একে অপরকে অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।

    গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রফিকুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে একটি ইউনিট এবং রাজশাহী শহর থেকে একটি ইউনিট দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে আহত তিন জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় একটি ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় ট্রাকের চালক এর ভেতরে আটকা পড়ে আছে। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শেষ করা হয়ে হয়েছে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়েও তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ

    আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়েও তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়েও তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এলাকাজুড়ে তিতাস গ্যাসের পাইপ লাইন থেকে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। জানা গেছে, এক স্থানে ৭-৮ বারও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, একদিন অভিযান করলে ১ লক্ষাধিক টাকা খরচ হলে ৮ দিনে খরচ হয় ৮লক্ষাধিক টাকা কিন্তু সরকারের লাভ কি হচ্ছে?।
    জানা গেছে, ঢাকা জেলার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ, বাইপাইল, ভাদাইল, গাজীরচট, ইউনিক, শিমুলতলা, ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া, চিত্রশাইল, ইউসুফ মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই দালাল চক্রের সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও কিছু পুলিশ সদস্য ও কিছু কথিত সাংবাদিকসহ অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে বৈধ গ্রাহকরা জানায়। দালালরা তিতাস গ্যাসের মূল পাইপ লাইন থেকে দুই ইি পাইপ দিয়ে হোটেল, কারখানা ও বাসা বাড়িতে এসব অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে থাকে বলে অনেকেই জানায়।
    ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া পালোয়ান পাড়া এলাকায় ৫ শতাধিক বাসা বাড়িতে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন এবং ভ্রাম্যমান আদালতে একটি বাড়ির ম্যানেজারসহ ৬জনকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করায় সেই বাড়িটিতে ১ বছর ধরে আর গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেয়ার সাহস করেনি। এরকম অভিযান করলে পুরোপুরিভাবে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল। গত ১৫ মার্চ ২০২২ইং সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পাইপ লাইনের ৮ শতাধিক বাসা বাড়ির গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গত (২০ জুলাই ২০২২ইং) আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এখনও অভিযান চলমান থাকলেও অবৈধ সংযোগ দেয়া বন্ধ নেই আর এসব অবৈধ সংযোগ দেওয়ার সাথে অনেকেই জড়িত রয়েছে।
    সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগের অভিযানে বিপুল পরিমান পাইপ, রাইজার ও চুলা জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় একটি অবৈধ দালাল চক্র তিতাসের মূল সরবরাহ লাইন থেকে ২-৩ ইি পাইপ দিয়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ফিটিংস ব্যবহার করে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে। তিনি আরও বলেন, অভিযানে অনেক বাসা বাড়িতে নেয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। এসব অবৈধ সংযোগের পাইপলাইন ও রাইজারগুলো জব্দ করা হয়েছে। একাধিকবার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও বারবার কিছু বাড়ির মালিক ও দালালরা অবৈধ সংযোগ নিয়ে সরকারি গ্যাস ব্যবহার করে, এর কারণে ভ্রাম্যমান আদালতে এর আগে ৬জনকে জরিমানা করেছেন। উক্ত ব্যাপারে এ পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় ৪৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এসব মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে তিনি জানান। এসব অভিযানে তিতাস গ্যাসের সাভার জোনাল অফিসের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানসহ ৫-৬জন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এ বিষয়ে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে, গ্যাস অফিসের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী এসব অবৈধ সংযোগ দেয়ার সাথে জড়িত বলেই এমনটি হচ্ছে। গত এক বছরের বেশি গ্যাসের অভিযানের মামলা করা হয়নি তাহলে অভিযান চালিয়ে সরকারি অর্থ নষ্ট করার মানে কি বলে অভিমত প্রকাশ করেন অনেকেই।
    আশুলিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার মোঃ লাল চাঁন এর বাড়িতে অবৈধ ভাবে তিতাস গ্যাসের পাইপ লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ নেয়ার অপরাধে বাড়ির ম্যানেজার মোঃ শারাফাত আলীকে ১০ হাজার টাকা ও ৫ জন ভাড়াটিয়াকে ৭ হাজার টাকাসহ মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এরপর যদি কেউ এরকম অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • কলম সৈনিক সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা বন্ধ হচ্ছে না কেন?

    কলম সৈনিক সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা বন্ধ হচ্ছে না কেন?

    হেলাল শেখঃ সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা ও হত্যা বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতির কাছে প্রশ্ন। জীবনের ঝুঁকি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে কলম সৈনিক সাংবাদিকরা হামলা মামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছেন কিন্তু সেই সাংবাদিকরাই বেশি অবহেলিত কেন। সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক-দেশ ও জাতির বিবেক। জাতির কাছে প্রশ্ন কেন সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, হামলা মামলা করা হয়?। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়। জনগণের তুলনায় সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ৯০% মানুষ তাদের সেবা সঠিকভাবে পাচ্ছেন। মাত্র ১০% জনগণ খারাপ এর কারণে ভালো মানুষের বদনাম হয়।
    ১। প্রজাতন্ত্র-বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত। ২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা-প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত হইবে। ১২ বছর আগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিক আর বর্তমান সময়ের হিসাব অনেকটা আলাদা। বর্তমানে যারা উক্ত দুইটি পেশায় আছেন, তারা বেশিরভাগ ব্যক্তিই সৎ ও সাহসীকতায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন বলে অনেকেরই অভিমত। আপনারা জানেন কি যে, বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং ভুমিকা কি? এ আলোচনায় পরে আসি।
    (বাংলাদেশের ইতিহাস)ঃ তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২ মার্চ ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তথ্য-কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড এর ৮৭নং পাতা। যাঁর ডাকে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই, তাহার স্মৃতিটা সবার মাঝে বেঁচে আছে। এখন আমরা স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে পথ চলছি, একবারও কি তাদের আত্মার মাফেরাতের জন্য আমরা দোয়া করি? সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার।
    ১৯৭১ইং সালের পর বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো-বিভাগ সংখ্যা ছিলো ৬টি যা বর্তমানে ৮টি করা হয়েছে। ৬৪টি জেলা। প্রতিটি জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংবাদ কর্মী আছেন, সেই সাথে প্রতিটি এলাকায় জনপ্রতিনিধি আছেন, যে পেশায় যে দায়িত্বে রয়েছেন সবাই যদি সঠিকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন তাহলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে উন্নয়ন হবে। উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা সবাই বলা যায় কিন্তু উন্নয়ন করা সহজ নয়। আমাদের সবাইকে সরকারী সম্পদ রক্ষায় কাজ করতে হবে। যেমনঃ সরকারী খাল, বিল, নদী ও গ্যাস, বিদ্যুৎসহ যেসকল সেক্টর রয়েছে, সবগুলোর দিকে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি যানবাহনের প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রোডে উঠতে পারবে না। মাদক, জুয়া, দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এই ৩টি অপরাধ বন্ধ হলে দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে যাবে বলে অনেকেরই অভিমত।
    বিশেষ করে আপনার আমার পরিবার, সমাজ, দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যে জাতি যতো সচেতন-হবেন সেই জাতি তেমনি উন্নতির দিকে যাবে। আমরা কেউ কারো হিংসা ও নিন্দা না করি, বিবাদ সৃষ্টি না করি, যার যে কাজ,সেই কাজ সঠিকভাবে গুরুত্বের সাথে করবো। আমরা দুইদিনের মেহমান, আজ আছি, আগামীকাল হয়ত আর থাকবো না। খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কোনো কাজ করে দেখাই যে, এই কাজটি আমরা মানবতার কল্যাণে করেছি। ভালো কিছু করতে বেশি অর্থ লাগেনা, ভালো মনমানুষিকতা হলেই চলে। হে মানুষ তোমার সবকিছুতেই চাহিদা আছে সত্য কিন্তু যৌবনের চাহিদা আর পেটের খাবারের চাহিদা না থাকলে কোনো কাজ করার দরকার হইতো না। যৌবন মানব জীবনের এক শ্রেষ্ট সম্পদ তাকে অস্বীকার করা যায় না,দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম নয়। মানুষিক আত্মার অভাব হলে সেই মানুষটি ভালো হতে পারবে না। আমরা যে মানুষ, যে ধর্ম পালন করি না কেন, একদিন বিচারকের সামনে হাজির হতেই হবে। আমরা অন্যের জন্য সবকিছু করছি, নিজের জন্য কি স য় করলাম? বুঝতে পারলে সেই বুদ্ধিমান। মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই, তবে অভিনয়ে বেশি চাই না,বাস্তবে আমাকে কম দাও। ধর্ম, কর্ম নিয়ে মানুষের জীবন আর কে কেমন ভালো কর্ম করেছেন? কারো মনে কষ্ট দিয়ে বা কারো ক্ষতি করে কেউ কি লাভবান হওয়া যায়? আসুন আমরা সত্যের সন্ধ্যানে মানবতার কল্যাণে কাজ করি।
    বাংলাদেশের মানুষ আমরা, আমাদের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হলে অবশ্যই আইন মেনে কাজ করতে হবে, সেজন্য বেশি বেশি আইনের বই পড়তে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মানতে হবে। সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক হলে তার আগে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়তে হবে। প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে। আরও কিছু জানতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই পড়তে হবে। আর জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব প্রতিটি এলাকায় গিয়ে খোজখবর নিতে হবে যে, জনগণের নাগরিক সমস্যা কি? বাস্তবতা অনেক কঠিন। আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন আমাদের সবার স য় দরকার তবে সেই স য় অর্থ বা সম্পদ নয়। অর্থ সম্পদের জন্য মানুষ খারাপ কাজ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ অপকর্ম করলে তার হিসাব দিতে হবে একদিন।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) অভিমত প্রকাশ করে বলেন যে, মানুষ হলে কর্মফল সবাইকে ভোগ করতে হবে আর বাস্তবতা কঠিন হলেও তা মানতে হবে এটা নতুন কিছু নয়, তবে সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবসময় কাজ করেন কিন্তু সরকার বা কোনো সংস্থা সেই প্রকৃত সাংবাদিকদের কি সুবিধা দিচ্ছেন? কিছু দুর্নীতিবাজদের অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরলেই সাংবাদিকরা তাদের কাছে খারাপ হয়ে যায়, সেই প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা করা হয়। তবে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) বলেছেন, সাংবাদিকরাই পুলিশের প্রকৃত বন্ধু, তাহলে পুলিশের বন্ধু যেসকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এটা কোন বিচার? এটাই কি বন্ধুর পরিচয়। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করায় সাংবাদিকই সাংবাদিকদের শক্র হচ্ছে আর এই সুযোগ কাছে লাগিয়ে সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা করার সাহস পায় খারাপ মানুষগুলো।

  • নড়াইলে যৌতুক মামলায় চা দোকানির বেকসুর খালাস ! আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি

    নড়াইলে যৌতুক মামলায় চা দোকানির বেকসুর খালাস ! আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
    নড়াইলে যৌতুক মামলায় চা দোকানির বেকসুর খালাস ! আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। যৌতুক মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন নড়াইলের
    কালিয়া উপজেলার দেবীপুর গ্রামের চা দোকানি আতাউর শেখ (৩৯)। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে খালাস পান তিনি। আতাউর দেবীপুর গ্রামের ফুলমিয়া শেখের ছেলে।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ মার্চ কালিয়ার নওয়াগ্রামের নজরুল মোল্যার মেয়ে হাজেরা বিবি (২৬) বাদী হয়ে স্বামী আতাউর শেখের বিরুদ্ধে আদালতে তিন লাখ টাকা যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
    বাদীপক্ষ মামলাটি প্রমাণ করতে না পারায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন আসামি আতাউরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান।
    আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আতাউর শেখ বলেন, বিনা কারণে আমাকে ফাঁসানোর জন্য হাজেরা বিবি যৌতুকের মামলা দিয়েছিল। মামলাটি ঠিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার দুই শিশু সন্তানকে (নয় ও তিন বছর) ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। #