Category: জনদূর্ভোগ

  • বৃষ্টিতে পাইকগাছাসহ উপকূল তলিয়ে গেছে; বেড়েছে জনদূর্ভোগ

    বৃষ্টিতে পাইকগাছাসহ উপকূল তলিয়ে গেছে; বেড়েছে জনদূর্ভোগ

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।

    টানা চার দিনের বৃস্টিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও বৃহস্পতিবার ভোর বেলার প্রায় দুই ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে পাইকগাছা সহ উপকুল তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর বেলার প্রবল বৃস্টির সাথে মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের ঝলকানিতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।মেঘের গর্জন এতোটা তিব্র ছিলো প্রচণ্ড আওয়াজে মনে হয় আকাশ,মেঘ,বিল্ডিয়ের ছাদ ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ছে।
    পাইকগাছায় নিন্মচাপের প্রভাব ও টানা পাচদিনের ভারি বৃষ্টিতে পাইকগাছার নিন্মা ল তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।বৃস্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে উপকূল। বিশেষ করে ভরাকটালের পূর্ণিমায় এমনটি বেশি ঘটছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ উপকূলের নদনদী এখন আর অমাবস্যা-পূর্ণিমার উঁচু জোয়ারের পানি ধারণ করতে পারছে না। পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাচ্ছে; ফসলহানি ও জমিতে লবণাক্ততা এবং বাড়িঘর ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের ভিতর ও বাইরের শত শত চিংড়ি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে।রোপা আমনক্ষেত তলিযে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনাবৃস্টি ও অতিবৃস্টি বারবার এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা ক্ষতির শিকার হচ্ছে। রবিবার সকাল থেকে বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি। এতে সংসারে টানাটানি পড়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুর। সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ও বৃস্টিতে পানির স্রোতে বাধ ভেঙ্গে গেছে। এতে অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে।ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা হয়েছে। পৌর বাজার ও রাস্তা তলিয়ে চলাচল ব্যাহত হয়। অনেক নিচু এলাকা পানিতে ভাসছে। বাইশারাবাদ বেড়ীবাধ ভেঙ্গে গেলে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।ভারি বৃস্টিতে বাড়ির উঠান তলিয়ে গেছে।কাচা ঘরবাড়ী ধসে পড়ায সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
    কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।নদীতে ভাটা সরলে পানি নেমে যাবে এতে ধানের কোন ক্ষতি হবেনা বলে জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম্। লীজ ঘের গুলোতে আমন রোপন চলছে।তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত রোপন সম্পন্ন হয়েছে। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতিতো হবে না আরো উপকার হবে।পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, এখন পূর্ণিমা ভারিবৃস্টি এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে বেড়ীবাধ উফছে পড়ে বিভিন্ন পোল্ডার প্লাবিত হয়েছে। পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কি:মি: বেড়ীবাধ ঝুকিপুর্ণ রয়েছে।তবে বৃহষ্পিতিবারের ভারি বৃস্টি ও জোয়ারে বাইশারাবাদ বেড়ীবাধ ভেঙ্গে গেলে তা মেরামত করা হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, ভারী বর্ষণে ২ হাজার ৯২৫টি চিংড়ি ঘের ও পুকুর জলাশয় তলিয়ে গিয়ে একাকার হয়ে যায়। এতে ১ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বীজতলা ও সবজি সহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে পানি নিষ্কাসনে খালের অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী তারা স্ব স্ব ইউনিয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

  • মাইসছড়ি সড়কে ঢলের পানি জনদূর্ভোগ নিরসনে সেনাবাহিনী

    মাইসছড়ি সড়কে ঢলের পানি জনদূর্ভোগ নিরসনে সেনাবাহিনী

    (রিপন ওঝা,মহালছড়ি)

    খাগড়াছড়ি টু মহালছড়ির মাইসছড়ি সড়কে সুইসগেট ও তৎসংলগ্ন আশেপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ীঢলে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

    আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ২০২২ তারিখ রাতে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারনে মাইসছড়ি বাজার সংলগ্ন পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক ও তৎসংলগ্ন আশেপাশের এলাকায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার দরুন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও সাধারণ জনগন দুর্ভোগে পরে।

    উক্ত সমস্যাটি নিরসনের লক্ষ্যে মহালছড়ি জোনের বিজিতলা সাবজোনের একটি টহল উক্ত স্থানে গমন করে এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুইচগেটে আটকে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেন। ফলে পানি নিষ্কাশন স্বাভাবিক হয় এবং জনজীবনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে।

  • পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতাল সড়কের বেহাল দশা,দূর্ভোগে রোগীসহ জনসাধারণ

    পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতাল সড়কের বেহাল দশা,দূর্ভোগে রোগীসহ জনসাধারণ

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ও বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে গর্ত ও খাদ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে হাসপাতালের রোগী সহ জনসাধারণের।
    সড়কের ১ কিলোমিটার দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য প্রশস্থ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে হাসপাতাল সড়কটি অন্যতম। এটি ইতোপূর্বে অভ্যন্তরীন সড়ক হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে সড়কটি উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের কালিবাড়ী থেকে হাসপাতাল ও মহিলা কলেজ হয়ে পূর্ব ওয়াপদার সাথে যুক্ত হয়ে হাড়িয়া ব্রিজ পার হয়ে লতা ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়েছে।
    এছাড়া সড়কের ১ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ। হাসপাতাল মোড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসী সহ নানা ধরণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সড়কের সাথে যুক্ত রয়েছে পৌরসভার ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড। এ দুটি ওয়ার্ডে সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে ঘন বসতি। যার ফলে অত্র সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ যানবাহন সহ জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকে।
    বিশেষ করে হাসপাতালে রোগী আনা-নেওয়া এবং মহিলা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে অত্র সড়কটি। কালিবাড়ী থেকে পূর্ব ওয়াপদা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে গর্ত ও খাদ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় প্রশস্থও কম। সড়কে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক।
    সবমিলিয়েই সড়কটির এখন বেহাল অবস্থা। যার কারণে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে রোগী সহ জনসাধারণের। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) উপজেলা শাখার সদস্য মাসুম বিল্লাহ জানান, এটি এখন কোন সাধারণ সড়ক নয়, একদিকে লতা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে সড়কটি যুক্ত হয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বসতি বেড়েছে। রয়েছে হাসপাতাল এবং মহিলা কলেজ। সে অনুযায়ী সড়কটি সেই মানের উপযোগী করা হয়নি। এসব বিষয়গুলি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সড়কটি সংস্কার করার পাশাপাশি প্রশস্থ করা প্রয়োজন। ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানান, আমাদের কলেজের প্রায় শতভাগ শিক্ষক, শিক্ষার্থীকে অত্র সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কের অবস্থা বর্তমানে এতটাই খারাপ আমরা অনেক সময় বাধ্য হয়ে অনেক পথ ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকি। জনস্বার্থে সড়কটির আধুনিকায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, আমাদের দুর্ভোগের আরেক নাম অত্র সড়কটি। হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সব ধরণের রোগীকে অত্র সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার কিংবা উন্নয়ন করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিতও করেছি।
    এটি আমাদের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক। বিশেষ করে জরাজীর্ণ সড়কের কারণে গর্ভবতী, ডেলিভারী ও অপারেশন রোগীদের জন্য চরমভোগান্তি হচ্ছে। খুব দ্রুত এটি সংস্কার ও উন্নয়ন করা প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান জানান, ১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর স্কীম পাঠিয়েছি এবং স্কীম অনুমোদনও হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, হাসপাতাল ও মহিলা কলেজের জন্য সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি যাতায়াতের যথাযথ উপযোগী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উন্নয়ন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন।

    ইমদাদুল,
    পাইকগাছা,খুলনা

  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ীতে পদ্মা নদীর  ভাঙ্গন  স্থানে বাঁধ নির্মানের জন্য কয়েক হাজার এলাকাবাসির  মানববন্ধন

    বৃষ্টি উপেক্ষা করে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ীতে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন স্থানে বাঁধ নির্মানের জন্য কয়েক হাজার এলাকাবাসির মানববন্ধন

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলার রাজাবাড়ীতে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানগরী সড়কের দু পার্শ্বে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক হাজার এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।

    মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল উদ্দিন সোহেলের নেতৃত্বে এ বিশাল মানববন্ধন ও পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মোঃ কামরুজ্জামান, কৃষকলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আততাব উদ্দিন প্রমূখ।

    বক্তরা বলেন, বর্ষা আসে, সঙ্গে আসে বন্যা সে সাথে শুরু হয় নদী ভাঙ্গন। দর্ভোগের আশঙ্কায় বুক কাঁপে মানুষের। লাখ লাখ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ধেয়ে এসেছে বন্যা সে সাথে শুরু হয়েছে রাজশাহী গোদাগাড়ীতে সর্বনাশা পদ্মার নদী ভাঙন। তারা হাজার হাজার এলাকাবাসি ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মানের জোর দাবী জানান।
    উল্লেখ্য গত বছরও বষা মৌসুমে প্রমত্ত পদ্মা পাড়ে প্রচন্ড নদী ভাঙ্গন শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘড়ি করে জিও ব্যাগ এবং বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে পাড় কিছুটা রক্ষা যদিও তারপূর্বেই মানুষের বাড়ি-ঘর, শত শত বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ের নিকট চাহিদা দিলেও এখনো বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারছেন না।

    প্রায় প্রতি বছর আষাঢ় মাসেই দেশে বন্যার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে যায়। প্রথমেই বৃষ্টি ও এসময়ে ভারত তাদের ফারাক্কার সবকয়টি গেট খুলে দেয় আর উজান থেকে ধেয়ে আসে বন্যা পদ্মা, মাহনন্দা নদীর পানি বড়ার সাথে শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি।
    গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতোলা, চাক পাড়া, খারিজাগাঁতি ও মোল্লাপাড়ায় পদ্মা নদীতে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গতবছর মধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা এলাকার ফসলি জমি, আম বাগান, হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারী গবাদিপশু খামার, ছাগল উন্নয়ন খামার, হাসঁমুরগী খামার, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
    প্রতি বছর বন্যার সময় পদ্মা নদী ভয়ালরূপ ধারণ করে। পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে আম বাগান, বিভিন্ন ফলের গাছ, ফসলী জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। গত ৫ দিন ধরে উপজেলার নিমতেলা গ্রামে নদী নতুন করে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে রাস্তা, দোকান, ফসলি জমি, পাশাপাশি বসতবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এই বুঝি সব তলিয়ে গেল, সর্বনাশা পদ্মা নিয়ে গেল আমাদের জান মাল, গবাদিপশু। এলাকাবাসির দাবী ভাঙ্গন রোধে দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়ার।
    নিমতলা গ্রামের ৭০ বছর বয়সের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও কৃষক আব্দুর রহমান চোঁখের পানি ঝড়াতে ঝড়াতে বলেন, বহু কষ্টে গড়া বসত বাড়ী, ফসলী জমি, রাস্তা, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, করেছিলাম, নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে অনেকের বাড়ীর ধারে চলে এসেছে। বাড়ীর পার্শ্ববর্তী টিউবয়েলটি নদী গর্ভে চলে গেছে।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম বলেন, ওই এলকার ভাঙ্গনের বিষয়টি আমার জানা আছে। এর আগে ভাঙ্গন থেকে এলাকাবাসী রক্ষা করার জন্য বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল। আগামী এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

    পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষায় ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশে বন্যা হয়। কারণ, নদীবাহিত পলি জমে জমেই এই বদ্বীপের জন্ম। বাংলাদেশের জন্ম। বন্যায় এই পলি সমতলে ছড়িয়ে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। তাই, বাংলাদেশের জন্য বন্যা একই সঙ্গে অভিশাপ ও আশীর্বাদ। তবে এটা ঠিক, মানুষের পরিবেশবিধ্বংসী নানামুখী কার্যক্রমের কারণে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ক্রমশ বাড়ছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • পাইকগাছায় ৪ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা দূর্ভোগে এলাকাবাসী

    পাইকগাছায় ৪ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা দূর্ভোগে এলাকাবাসী

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    পাইকগাছার হরিঢালী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। রাস্তাটি দেখে মনে হতে পারে হাল চাষ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিশু, বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী, অসুস্থ রোগী ও মসজিদের মুসল্লিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকা করণের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। কিন্তু জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এতে সাড়া দিচ্ছে না। রাস্তাটি হরিঢালী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে দেয়াড়া গ্রাম হয়ে তালা উপজেলার জেটুয়া খেয়াঘাটে শেষ হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে শুধু দেয়াড়া গ্রামের মানুষই চলাচল করে না। তালা উপজেলার জেটুয়া, জালালপুর ইউনিয়নের মানুষও চলাচল করে থাকে। এ কাঁচা পথ পড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীরা রহিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাওয়া আসা করে। এই রাস্তা দিয়েই গ্রামবাসী খেতের ফসল ঘরে তোলে। এ ছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে রহিমপুর বাজার, কপিলমুনি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা করতে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। পাইকগাছা পৌর সদর উপজেলা সদর, থানা ও আদালতসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়।
    দেয়াড়া গ্রামের আলিম বিশ্বাস বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও আমাদের এলাকার উন্নয়ন হয়নি। আমাদের এলাকা অবহেলিত থেকে গেছে। সরকার দেশে অনেক উন্নয়ন করলেও এ রাস্তাটি পাকা করণের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।’
    রহিমপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে এখানকার লোকজনের যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেশি। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জামাকাপড় ও বই খাতায় কাঁদা মেখে যায়। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় হরিঢালী ইউ আর এস এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার জানান, বৃষ্টি হলেই এলাকার অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারে না। ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি।
    এ বিষয়ে হরিঢালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকি রাজু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা ইটের সোলিং ও পিচ হয়েছে। অতি দ্রুত এ রাস্তাটি পাকা করা হবে।
    পাইকগাছ উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাস্তাটি এত খারাপ আমার জানা ছিল না। চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে রাস্তাটি পাকা করার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল,
    পাইকগাছা,খুলনা

  • রাস্তা যেন মরন ফাঁদ – ভোগান্তি হাজারো মানুষ

    রাস্তা যেন মরন ফাঁদ – ভোগান্তি হাজারো মানুষ

    রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী।
    রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়ন হচ্ছে ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। এই ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হচ্ছে লঞ্চ ঘাট থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার রাস্তা। বর্তমানে এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে থমকে আছে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের দারভাঙ্গা, বাইলাবুনীয়া, নয়ারচরসহ ৮-১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে লঞ্চ ঘাট টু বাইলাবুনিয়া সরক। দু থেকে তিন যুগ আগে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাইলাবুনীয়া বাজার থেকে লঞ্চ ঘাট যাওয়ার জন্য এখানে ১০ কিলোমিটার পথ নির্মাণ করা হয়। এর পরে ধাপে ধাপে রাস্তাটির বাইলাবুনীয়া বাজার থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত পাকা করা হয়। আর অবশিষ্ট রাস্তায় শুধু ইট বিছানো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বছরের পর বছর রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় বর্তমানে শুকনো মৌসুমেও চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার কিছু কিছু অংশ থেকে ইট উধাও হয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যে গর্ত পায়ে হেঁটে পার হওয়াই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

    যার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি টমটমও চলাচল করতে পারছে না। যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধান, কাচামালসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। এছাড়াও রাস্তাটিতে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায় অবস্থা প্রায়, এতে দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। যার কারণে প্রতি বছর অনাকাক্সিক্ষত ভাবে ঝরে পরছে শত শত শিক্ষার্থী। থমকে আছে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা মাত্র এই দুই কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কারণে।

    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল খান বলেন, রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে দুটি প্রাইমারি স্কুল, একটি হাই স্কুল, দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষ ।

    তিনি আরো বলেন, প্রতি সোমবার এখানে একটি বাজার বসে, রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় বহিরা গতো ফড়িয়া এবং ভাসানি দোকান তেমন একটা আসেনা, এতে উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছে না কৃষকরা। অপরদিকে বহিরাগত ভাসানী দোকান না আসায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য কিনতে হচ্ছে অতিরক্ত দাম দিয়ে।

    চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসাইন ও আলোমঙ্গীর মালসহ অনেকেই বলেন, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এই সুবিধা থেকে অনেক দূরে আছি। আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো চরমভাবে অবহেলিত। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করা পর্যন্ত শহরের সুবিধা কখনোই গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই সামান্য গ্রামীণ রাস্তাটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে এই অঞ্চলের কৃষক, ছাত্র, ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

    চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আবু-মিয়া বলেন, এই রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই রাস্তাটি মেরামত করার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করব। বরাদ্দ পেলেই আপাতত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

    রফিকুল ইসলাম
    রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী সংবাদদাতা।

  • ব্রিজ নির্মানের কাজ ফেলে রাখায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ

    ব্রিজ নির্মানের কাজ ফেলে রাখায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ

    স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি//

    স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠি এলাকায় ব্রিজ নির্মানের কাজ দুই
    বছর ধরে ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ
    সাধারন মানুষ। নান্দুহার ইউনাইটেড বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে
    ব্রিজটি নির্মানের নামে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ব্রিজটি ভেঙে
    ফেলা রাখা হয়েছে। ওই সময়ে চলাচলের জন্য বিদ্যালয়ের সামনে একটি অস্থায়ী
    কাঠের সাঁকো নির্মান করা হয়। সে সাঁকোও এখন ভেঙে চলাচলের অযোগ্য
    হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিশু
    শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
    সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে নান্দুহার ইউনাইটেড বালিকা মাধ্যমিক
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সুটিয়াকাঠি থেকে
    গৌরঙ্গের বাজার সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। ওই সড়কটির সাথে সংযোগ
    রয়েছে বানারীপাড়ার বিশারকান্দি হয়ে টুঙ্গিপাড়ার । ওই সড়কের ২৭০০মিটার
    চেইনেজে বিদ্যালয়ের পাশে ২৩ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মানের জন্য স্থানীয়
    সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ‘দেশের দক্ষিনাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ
    পুনঃনির্মান/পুনর্বাসন (আইবিআরপি)’ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প গ্রহন
    করে। নির্মানের কার্যাদেশ পায় খুলনার টুটপাড়া এলাকার মেসার্স জিয়াউল
    ট্রেডার্স। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে। নির্মানের জন্য ওই সময়ের ব্রিজটি ভেঙে বিদ্যালয়ের সামনে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মান করে দেন। এরপর তারা কিছু পাইল নির্মান করে হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে সব মালামাল নিয়ে চলে যায়। আর তারা কাজের স্থানে ফিরে আসেনি। আসছি আসব করে ঠিকাদার আজো আসছে না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন ফলাফল হচ্ছে না।
    ইতোমধ্যে অস্থায়ী সাঁকোটিও ভেঙে নড়বরে হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুপারী গাছ দিয়ে কয়েকবার জোড়া তালি দিয়ে শিক্ষার্থী সহ লোকজন চলাচল ব্যবস্থা করা হলেও বর্তমানে এর অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। ওই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধ
    চলাচল করছে। প্রতিদিন বিদ্যালয় শুরু ও ছুটির সময় একজন শিক্ষককে দাড় করিয়ে রাখতে হয়। যেহেতু একটি গুরুত্ব সম্পন্ন ব্রিজ সে কারনে সার্বক্ষনিক লোকজন চলাচল করে। যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। সে কারনে ব্রিজটি দ্রুত নির্মান করার জন্য বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।
    দীর্ঘ সময় কাজ ফেলে রাখার বিষয়ে স্বরূপকাঠির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল
    অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজের সাথে কথা বললে
    তিনি জানান ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. মাসুম কাজটি শুরু করে ফেলে
    রেখেছেন। বহুবার তাকে মৌখিক ও চিঠির মাধ্যমে তাগিদ দেওয়া সত্যেও
    তিনি কাজ করছেন না। যেহেতু কাজটি পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর
    দফতর থেকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল সে কারনে কার্যাদেশ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পিরোজপুর এলজিইডির নির্বাহী
    প্রকৌশলীর বরা বরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।###

  • আজমিরীগঞ্জে লোডশেডিং এ জনজীবন অতীষ্ট বিনষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস শাক-সবজী সহ অন্যান্য দ্রব্য

    আজমিরীগঞ্জে লোডশেডিং এ জনজীবন অতীষ্ট বিনষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস শাক-সবজী সহ অন্যান্য দ্রব্য

    আজমিরীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
    আজমিরীগঞ্জে মাত্রাতিরিক্ত পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে বিনষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ,মাংস শাক-সবজী সহ নানা ধরণের খাদ্যদ্রব্য। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর সর্দিকাশি সহ আক্রান্ত হচ্ছে পেটের পীড়ায়।
    জানা যায়,
    আজমিরীগঞ্জে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যপসা গরম ও পল্লীবিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ করতে পারছে না হবিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। এদিকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ করতে না পারলেও, সরকারি নির্দেশনায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম সমূহের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতায়িত করছে। বর্তমানে অকাল বানের পানিতে উপজেলার অনেক গ্রামই তলিয়ে গেছে। বানভাসি লোকজন উঠে এসেছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে। সেখানেও লোকজন গাদাগাদি করে বসবাস করছে। সাম্প্রতিক সময়ে একদিকে চলছে ব্যপসা গরম। অপরদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে করে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে ফ্রিজে রাখা মাছ, মাংস, শাক-সবজী বিনষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক বাল্ব, পাখা, এয়ারকোলার, টিভি, ফ্রিজ কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক মালামাল নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। তারা সর্দিকাশি, জ্বর সহ নানা ধরণের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে হবিগঞ্জ পল্লীবিদ্যুতের নিকট নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী।

  • পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

    পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

    পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
    পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুত থাকছেনা। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডসেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবনে চলছে অচল অবস্থা। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ পুঠিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলে সেখানে তারা ৮ মেডাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। কোন কোন সময় এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ তারা পাচ্ছেন। বর্তমানের উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না আসে। এছাড়াও প্রচন্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডসেডিং করতে হয় বলে অফিস সূত্রে জানাগেছে। লোডসেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী গরমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। বর্তমানের যে লোডসেডিং চলছে উপজেলাবাসী তাকে ভায়াবহ লোডসেডিং বলে জানিয়েছেন। এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দিন-রাতে অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতের লোডসেডিং এর কারণে অধিকাংশ পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও বিদ্যুতের লোডসেডিং এর ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে করে তারা লোকসানে মুখে পড়বে বলে মালিকগণ অভিযোগ করেন। সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এখন লোডসেডিং এর মাত্র আরোও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। লোডসেডিং এর কারণে উপজেলাবাসী কোন মতে দিন পর করলেই রাত হলেই তাদের মঝে নেমে আসে চরম দুভোর্গ। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের।

    এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াকুব আলী শেখ জানান, হঠাৎ করে কিছু দিন থেকে নাটোরের হরিশপুর ও রাজশাহীর কাটাখালি থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাই যে পরিমান তাতে আমাদের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি বলেন, আমারা সর্বচ্চো ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি যেখানে আমাদের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

    মাজেদুর রহমান( মাজদার)
    পুঠিয়া রাজশাহী