Category: জনদূর্ভোগ

  • মোরেলগঞ্জে দ্রব্য মূল্যের আকাশ ছোঁয়া দামে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ: কাঁচাবাজার সিন্ডিকেট চক্রের নিয়ন্ত্রণে

    মোরেলগঞ্জে দ্রব্য মূল্যের আকাশ ছোঁয়া দামে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ: কাঁচাবাজার সিন্ডিকেট চক্রের নিয়ন্ত্রণে

    এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বেপরোয় হয়ে উঠেছে কাঁচাবাজার সিন্ডেকেট চক্র। এ চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পৌর শহরের প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা। ১৫ সদস্যের এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার।

    তাদের লাগামহীন মুনফার কারনে কয়েকগুন চড়ামূল্যে কাঁচাবাজার ও তরিতরকারি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ এখানকার ক্রেতা সাধারণ। এ চক্রের বিরুদ্ধে যে কেউ মুখ খুললে হেনস্তার শিকার হতে হয়। নিয়মিত মাজার মনিটরিং না থাকায় সংঘবদ্ধ এ চক্রের দৌরাত্ম বেড়েইে চলছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

    অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন কাঁচামাল সিন্ডিকেটের অবৈধ কারবার চলছে। তাই এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকরী তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশ
    কয়েকজন ভোক্তা বলেন, রাম রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে এরা অল্পতেই আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার মতো বিপুল অর্থ-বৃত্তের মালিক বনেছেন। আর চড়া দামে কাঁচা তরিতরকারি কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিশ্ব ঐতিহ্য পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ পূর্ব সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ও আশপাশের এলাকায় মৌসুমী কাঁচামালের উৎপাদন তেমন নেই। আর চাহিদার তুলনায় উৎপাদন না থাকায় মোরেলগঞ্জ পৌর কেন্দ্রিক নিত্যপণ্যের কাঁচাবাজারকে ঘিরে বিগত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে ১৫ সদস্যের সিন্ডিকেট চক্র। এ চক্রের সদস্যরা হলেন-আব্দুর রশিদ ফকির. হারুনআর রশিদ. তুজাম্বর মেম্বার. আল আমিন নজরুল তালুকদার.রফিক, আলু আলম, ফিরোজ, সুমন, কবির, কামরুল, নজরুল, জাহিদ,নাসির ও কালু।

    খুলনা, যশোরের সাতমাইল, আঠারোমাইল, কেশবপুর, সাতক্ষীরার তালা, শাহাদাতপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোরেলগঞ্জে আসে কাঁচামালের তরিতরকারি।

    বিগত কয়েক বছর আগে ওই সকল এলাকা থেকে পাইকাররা এখানে পাইকারি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতেন। কিন্ত নানা প্রভাব বিস্তার ও করসাজি করে কাঁচামাল ও তরিতরকারির বাজার নিয়ন্ত্রনে নেয় স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্র।

    প্রায় প্রতিটি পণ্যই কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দাম লিখিয়ে আড়তে মজুদ রেখে খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ করা হয়। আর খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট চক্রের আড়ৎ থেকে এসব পণ্য নিয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে।

    এ ছাড়া সিন্ডিকেট চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে পণ্য আনে তা মজুদ রেখে বাজারে কাঁচামালের সংকট তৈরি করে । এ সংকট দেখিয়েই নিজেদের সিন্ডিকেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। সিন্ডিকেট চক্রটি খুচরা বাজারে কোন পণ্য কত টাকায় বিক্রি করা হবে তাও নির্ধারণ করে দেয়। বেঁধে দেয়া দামের কমে কেউ পণ্য বিক্রি করলে তাকে নানা ধরনের হয়রানি ও হুমকি প্রদান করা হয়।

    এ ছাড়া গ্রামের গৃহস্থ চাষিরা বাজারে এলে তাদের নিয়মিত বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। সপ্তাহে সোম ও শুক্রবার-এ ২ দিন গ্রামের কৃষকরা তরকারি বিক্রি করতে দেওয়া হলেও অন্য ৫ দিন তাদের সবজি বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকে। কারণ গ্রামের কৃষকরা কিছুটা কম দামে সবজি বিক্রি করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কৃষকরা বাজারে এলে সিন্ডিকেট চক্রটি তাদের মালামাল কেড়ে নিয়ে ইচ্ছামতো দাম ধরিয়ে দিয়ে তাদের বিদায় করে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্রব্য মূল্যের আকাশছোঁয়া দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিন্মবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা। বাজারে কাঁচা মালের মালামালের সরবরাহ ঠিক থাকলেও দিগুণ-তিনগুণ দামে । হু হু করে বাড়েছে পণ্যের দাম। এ চাড়াও বাজার সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা।

    আলু ৪৫, বেগুন ৯০, কুমড়া ৩৫, ঢেড়শ ৬০, পেঁপে ২৫, কুশি ৫০, পটল ৪০, ঝিঙা ৪০, মুলা ৫০, পাতাকফি ৬০, করলা ৬০, চাল কুমড়া ২০ টাকা, কাচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    মোরেলগঞ্জ কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা রেজাউল হাওলাদার, এইচ এম আসলাম হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও সাথী ইসলাম বলেন, সকাল বিকাল নিত্য পণ্যের দাম ওঠা-নামা করে এখানে। সিন্ডেকেটের বেঁধে দেয়া মূল্যে সকল দোকানেই কাঁচামাল বিক্রি হয়। আর বিক্রি না হলে ফেলে দেয়া হয় ড্রেনে । সরবরাহ থাকলেও দাম কমে না।

    স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, সিন্ডিকেট আড়তদারদের কারণেই এ বাজারে দাম বেশি। তারা জানান, আশপাশের বাজারের চেয়ে শহরের প্রধান এ বাজারে সবসময় পণ্যের দাম অনেক বেশি নেয়া হয়। স্বল্প দূরত্বে অন্য কোনো বাজার না থাকায় একান্ত বাধ্য হয়ে এ বাজারে চড়া দামে তরকারি কিনতে এসে নাভিশ্বাস উঠে যায় তাদের।

    সিন্ডিকেট চক্রটির সদস্যরা সকলেই পৌর বাজারের আড়তদার। এ চক্রটিই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে পুরো বাজার। এদের অনেকেই কাঁচামালের ব্যবসার নামে সিন্ডিকেট করে অল্পদিনেই বিপুল অর্থ, গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছে। যখন যে রাজনৈতিক নেতা প্রভাবশালী থাকে তখন তাকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন সিন্ডিকেট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। তাই সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় তারা।সবজি বিক্রেতা সাখাওয়াত হোসেন সেন্টু , জাহাঙ্গীর ফরাজি সহ অনেকেই জানান, জানান,গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম একটু বেড়েছে। লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শসা ৪৫ টাকা, কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা।

    বাজার করতে আসা মো. নুরুল আমিন বলেন, সবজির মূল্য আসলে আমাদের হাতে নেই, কিছু করারও নেই। তারা যে দামে দেবে, আমাদের সেই দামে কিনে খেতে হবে। আবার অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে একটু দাম ও বেশি।

    পাইকারী বিক্রেতা আব্দুর রশিদ ফকির বলেন, চাহিদার তুলনায় পণ্য সরবরাহ কম তাই গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে আগামী মাস থেকে নতুন সবজি আসা শুরু হলে দাম অনেকটা কমে যাবে।

    তেল ও চালের দাম স্বাভাবিক থাকলেও মসলা বাজারে জিড়া কেজি প্রতি ১০২০ টাকা,সাদা এলাচ ও কালো এলাচের ও ডিমের দাম ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    মাংসের বাজারে ও দাম বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি আকারভেদে কেজিপ্রতি ১৮৫ টাকা, কক মুরগি ৩২০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৫০০ টাকা কেজি, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ২২০০ টাকা কেজি আর ৭০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ টাকা কেজি। এছাড়া, নদীর চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি।
    মাছ কিনতে আসা এক কলেজ ছাত্র শেখ রাহাতুল ইসলাম জয় বলেন, মাছের বাজারে যেভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এতে করে আমাদের বাসার জন্য মাছ কেনা খুবই কষ্টকর।

    এ বিষয়ে কথা হয় মোরেলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে কোন সিন্ডিকেট নেই, সবই উড়ো কথা। তারা পাইকারিতে যে দামে পণ্য কেনেন তার চেয়ে সামান্য বেশি দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।

    আর খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আড়ত থেকে যে দর দেওয়া হয়, তার চেয়ে সামান্য কিছু লাভে আমরা বিক্রি করে থাকেন। দাম বাড়ানো কিংবা কমানোর বিষয়টি আড়ৎদারদের হাতে । তবে মাঝে মধ্যে বাজার মনিটরিংয়ে স্থানীয় প্রশাসন অভিযানে নামে। তখন দু’একজনকে সামন্য জরিমানা ছাড়া তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

    এ বিষয় উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. তারেক সুলতান বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও নিয়মিত বৈঠক করা হয় যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায় থাকে। তাছাড়া অভিযোগ উঠলেই অভিযান পরিচালনা ও জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া রশিদের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতা ও ক্রেতাদের পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

    (এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির)
    বাগেরহাট সংবাদদাতা

  • ২০ গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মানুষের জনভোগান্তি ইট পাথরের ব্রীজে কাঠের তালি

    ২০ গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মানুষের জনভোগান্তি ইট পাথরের ব্রীজে কাঠের তালি

    আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ইট পাথর আর লোহার রড দিয়ে তৈরী ব্রীজটি এখন গ্রামবাসির মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে এই ব্রীজটি ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা টাকা উঠিয়ে কাঠ দিয়ে তালি মেরে চলাচল করছেন। এতে চলাচলে ঝুকি বাড়ছে। এদিকে এই ব্রীজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে গ্রামের তিনজন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন। লন্ডভন্ড এই ব্রীজটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামে জিকে সেচ খালের উপর নির্মিত। গোলকনগর গ্রামের বাসিন্দা শামসুদ্দিন জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের গোলকনগর খালের ওপর এই ব্রীজটি ১০ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে খালের দু’পাড়ের প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ জনভোগান্তিতে পড়েছেন। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী ভাঙা ব্রিজের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে যতায়াত করছেন। শৈলকুপার হাটফাজিলপুর-নিত্যনন্দনপুর বাওড় এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা গোলকনগর খাল। এই ব্রীজ দিয়ে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কৃষি মালামাল পরিবহন করা হয়। ব্রীজের পশ্চিমে নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়ন। পূর্ব দিকে হাটফাজিলপুর বাজার। নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু বছরের পর বছর ব্রীজটি ভেঙ্গে থাকার কারণে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এমপিরাও ব্রীজটি নির্মানে কোন ভুমিকা রাখছেন না। খালের দুই পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও ভাঙা ব্রীজের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ব্রীজটি বহুদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় আছে। অনেকে মারা গেছে, অনেকে পড়ে আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের এমপির কাছে গিয়েছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সবাই বলে এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রীজ, তার্ ানির্মান করবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান বলেন, আমাদের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই। যতটুকু বাজেট হয়, সেগুলো দিয়ে আমরা মেরামত কাজ করে থাকি। এই ব্রীজের সমস্যার কথাটা আমি জানি। শুধুমাত্র এই ব্রীজ না এমন বহু ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। আমরা ব্রীজগুলো নতুন করে নির্মানের জন্য প্রস্তবনা পাঠিয়েছি। পাশ হয়ে আসলে নতুন নতুন ব্রীজ তৈরী করা হবে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান

  • পাইকগাছার অবহেলিত জনপদ উত্তর  গড়েরআবাদ রাস্তা

    পাইকগাছার অবহেলিত জনপদ উত্তর গড়েরআবাদ রাস্তা

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    অবহেলিত একটি জনপদ পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের উত্তর গড়ের আবাদ গ্রাম। যেখানে কম-বেশি উন্নয়ন হলেও অবহেলিত রয়ে গেছে সড়ক ব্যাবস্থা।স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত উন্নয়ন বি ত এই গ্রামের গ্রামীণ সড়ক ব্যাবস্থা।যার কারনে চলাচলের জন্য দূর্ভোগে রয়েছেন এত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি সংষ্কারসহ পাকা করনের দাবী করেছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, গ্রামের বেহাল রাস্তা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বদ্ধ নৈর নদীর পানি। অন্যদিকে অনেক কষ্ট করে কদর্মাক্ত রাস্তায় দিয়ে চলাচল করছে কিছু মাদ্রাসার পড়ুয়া শিক্ষার্থী। কোথাও কোথাও রাস্তার কিছু কিছু অংশ নৈর নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এরকম অনেক চিত্র চোখে পড়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহর বানাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অবহেলায় এখনও এলাকার চেহারা মান্ধাতার আমলের মত রয়েছে।
    এখানে শত শত স্থায়ী পরিবারের প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামটিতে ৪টি জামে মসজিদ, ২টি মহিলা মাদ্রাসা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপহার মুজিব বর্ষের ১৭ জন গৃহহীন দরিদ্র পরিবারের ঘর রয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও গ্রামের মাটির রাস্তায় ইটের সোলিং হয়নি। বৃষ্টির সময় থাকে হাঁটু কাঁদা। রেহাই পায় না এই এলাকা সহ অন্য গ্রামের মানুষ।
    প্রতি বছর বৃষ্টি মৌসুমে গ্রামের মানুষের পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে, বিপাকে পড়তে হয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় ইমারজেন্সি রোগিদের।
    হঠাৎ কোন ব্যাক্তি অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা সদরে নেওয়া সম্ভব হয়না। এমনকি পল্লী চিকিৎসকেরাও অনুপযোগী রাস্তার জন্য সহজে কোন রোগীর বাড়িতে আসতে চায় না। চৌমুহনী বাজার থেকে কয়রা-পাইকগাছা প্রধান সড়ক গজালিয়া বাল্লা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা।
    এরমধ্য রশিদ সরদার, কামরুল ইসলাম সরদার ও আক্কাজ ঢালী মেম্বরের আমলে এক থেকে দেড় কিলোমিটার ইটের সলিং করে। তারও ইউপি সদস্যদের আত্মীয় বা কর্মীদের বাড়ীর সামনে। খন্ড খন্ড করে স্বজনপ্রীতি মাধ্যমে ইটের সলিং রাস্তা করা। যাহা এলাকার মানুষের উপকার হয়নি বলে অধিকাংশ স্থানীয়রা মন্তব্য করেন। বর্তমানে ইটের সোলিং রাস্তার ইট উঠে গর্তে পরিনত হয়েছে। বেহাল দর্শার জন্য স্বাভাবিক ভাবে যাতয়াত করা সম্ভব হয় না। গ্রামের রাজ্জাক সরদার বলেন মেম্বররা যদি যে কোন মাথা থেকে ইটের সোলিং বসাতেন তাহলে কিছুটা হলেও চলাচল করা যেত। বাদুড়িয়া ব্রীজ থেকে চৌমুহনী বাজার প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৩/৪ খন্ড মাটির রাস্তা পড়ে আছে । যার ফলে আমরা এখনও বৃষ্টিতে কাঁদা পানিতে চলতে খুবই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। মুজিবর সরদার বলেন, আমরা খুবই অবহেলিত আছি। এখন প্রায় গ্রাম গঞ্জে রাস্তাঘাট ইটের সোলিং কিন্ত আমাদের আজও হাঁটু কাঁদায় চলতে হয়।
    সরকারের গ্রাম কে শহরে রূপ দিবেন, তাহলে আমাদের অবহেলিত গ্রাম কি কোন নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধির চোঁখে পড়ে না। অনেক গ্রাম ফাঁকা রাস্তায় পিচ ঢালাই রাস্তা হয়েছে, আমাদের গ্রামে প্রায় ১ হাজার জনবসতি বাস করেন।
    জয়নাল সরদার বলেন, আমাদের গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে অটোভ্যান আছে, অনেক ব্যক্তির নিজস্ব মটর সাইকেল, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন ভ্যান গাড়ী আছে। যারা এর আয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এসকল যান রেখে আসতে হয় অন্য গ্রামে। নাহলে রাস্তার পার্শ্বে পলিথিন কাগজ দিয়ে ঢেঁকে রাখতে হয়। অনেক সময় চুরির ঘটনা ঘটে। চলতি মাসে গত সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিতে এ গ্রামের কয়েক জায়গা মাটির রাস্তা নিচু ও অবহেলিত রাস্তার উপর দিয়ে পানি ছাপিয়ে নৈর নদীতে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁচা রাস্তা অবহেলিত থাকায় উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামের বিল্লাল সানার বাড়ীর সামনে রাস্তা নিঁচু থাকায় রাস্তার উপর জাল ফেলে মাছ ধরছে তারা।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল সরদার বলেন, চেয়ারম্যান কে একাধিক বার বলেছি। উত্তরগড়ের আবাদ গ্রামের কাঁচা রাস্তা খুবই অবহেলিত। রাস্তাটি সংস্কার জরুরি। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আমি চেষ্টা করছি, গোলজার মোল্লা বাড়ী থেকে বাদুড়ি ব্রীজ পর্যন্ত বাকী মাটির রাস্তা ইটের সোলিং করার। চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা আবু ইলিয়াস সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
    এব্যাপারে অবহেলিত কাঁচা রাস্তাটি তে ইটের সোলিং করে চলাচলের উপযোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্টদের কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

  • পাইকগাছার পারশেমারী রাস্তা কেটে খাল করে রাখায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে

    পাইকগাছার পারশেমারী রাস্তা কেটে খাল করে রাখায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    খালের মত দেখতে হলেও এটি একটি গ্রামীন রাস্তার দৈন্যদশা। পাইকগাছায় পারিশামারী সড়কের এমন হাল হয়েছে।। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালিপনা আর চরম উদাসীনতায় দুর্ভোগে পড়েছে সোলাদানার পারিশামারী সড়কের আশপাশ গ্রামের মানুষ। কদিনের ভারী বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগের সীমা নেই। দু’মাস পূর্বে মাটি খুঁড়ে রাখা একমাত্র চলাচল রাস্তা এখন কাঁদা-জলে পিচ্ছিল হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাটি কেটে কাজ না করে মাসের পর মাস খাল করে রাখায় জনদুর্ভোগে বাড়ছে। পানির চাপে দু’পাশের রিং বাঁধ খালে ধ্বসে পড়ছে। মালামাল বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
    জানাগেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ। পারশেমারীর বৈরাগীর বাড়ী এলাকা থেকে আমুরকাটা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডবল ইটের সোলিং এর রাস্তার জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বরাদ্দ হয়। যার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার মের্সাস কানিজ ট্রেডিং।
    কয়েকমাস আগে কার্যাদেশ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। রাস্তা পাকা করণে মাটি কেটে খাল করে ফেলে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস। এজন্য চরম দুর্ভোগে পড়েছে সর্বসাধারণ। বিশেষ করে বৃষ্টিতে রাস্তার মাঝে হাটু পানি।আর দুধারে মাটি উঁচু করে আইল করে রাখলেও তা ধ্বসে পড়ছে। ফলে শিশু,বয়োবৃদ্ধ ও হাটে-বাজারের লোক,স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়তে পড়েছে কঠিন সমাস্যায়। মটর সাইকেল, বা ইজ্ঞিন চালিত বাহন নিয়ে অজানা ব্যক্তিরা এ রাস্তায় এসে পড়ছে কঠিন বিপাকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান লাভলু বলেন,রাস্তার যে অবস্থা তা দ্রুত শেষ না হলে বর্ষাকালে ভাগান্তির শেষ থাকবেনাে এ বিষয়ে ঠিকাদার ইকবাল হোসেন বলেন, আবুল হাসনাতকে কাজ দিয়েছিলাম তিনি না করায় কাজের এ অবস্থা। তবে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ না করলে প্রয়োজনে বাতিল করে দেয়া হবে।

  • খুলনার কয়রায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের  বাঁশের সাঁকোই ভরসা

    খুলনার কয়রায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের বাঁশের সাঁকোই ভরসা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: খুলনার কয়রায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নং কয়রা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মটবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর এলাকাবাসী একটি ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ জনসাধারনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নং কয়রা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের মধ্যে স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর মানুষের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। সাঁকোটি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নে নির্মান করে দিয়েছেন। সাঁকোটি নির্মিত হওয়ায় দু’পারের মানুষের চলাচল অনেকটা সহজ হয়েছে। ২০০৯ সালে আইলায় প্রতাপস্বরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মটবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থলের রাস্তা ভেঙ্গে দু’পারের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে ড্রামে করে মঠবাড়ি গ্রামের পূর্ব অংশের মানুষ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পারাপার হয়ে থাকে। অপরদিকে মঠবাড়ি গ্রামের পূর্ব পাড়ের মানুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপজেলা সদরে আসা-যাওয়ার জন্য একমাত্র বাঁশের সাঁেকাই ভরসা। সাঁকো পার হওয়া মঠবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুর সবুর ও ৪ নং কয়রা গ্রামের গৃহিনী সুফিয়া খাতুন বলেন, সাঁকোটি দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দুর্ঘাটনার শিকার হয়েছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এ সাঁকোর স্থলে একটি ব্রিজ নির্মানের দাবী ভুক্তভোগি এলাকাবাসীর। মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ বলেন, দুই ইউনিয়নের সংযোগ স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মান হলে কয়রা সদর ইউনিয়নের সাথে মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপারের মানুষের চলাচলের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে বাঁেশর সাকো নির্মান করে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী ৪ নং কয়রা ও মঠবাড়ি গ্রামের সংযোগ স্থল শাকবাড়িয়া নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মানের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।ল

  • জনবল সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা

    জনবল সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা

    ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: মোঃ নাঈম মল্লিক

    নিয়ম অনুযায়ী ১৭জন জনবল থাকার কথা থাকলেও মাত্র ৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে খুড়িয়ে চলছে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)’র নলছিটি শাখা অফিস।

    জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিদ্যুৎ বিতরণ কতৃপক্ষ ওজোপাডিকোর নলছিটি শাখার অধীনে ২০৩ কিঃমিঃ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের জন্য বিভিন্ন পদে ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৮ জন। নতুন কোন নিয়োগ না থাকায় মাত্র ৮জন জনবল নিয়ে কাংখিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। বর্তমানে তাদের অধীনে ১৫,২৭১ জন গ্রাহক আছেন যাদের সেবার সুবিধার্থে দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে পর্যাপ্ত শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র ১ জন।

    গ্রাহক মেহেদী হাসান জানান,দূর্ঘটনা রোধে ঝড় বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেটা চালু করতে তারা অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা দেরি করেন। যার কারণে আমাদের প্রত্যহিক কাজে অহেতুক বিঘ্ন ঘটে। এ নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও কোন সূরাহা মেলেনি।

    নলছিটি ওজোপাডিকোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান,জনবল সংকট থাকায় অনেক সময় গ্রাহকরা তাদের কাংখিত সেবা দেরিতে পাচ্ছেন। ঝড় বৃষ্টির মৌসুমে বিতরণ লাইন নিরাপদ রাখতে অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। সময়মত আশেপাশের ডালপালা কেটে দিতে হয় আবার ট্রান্সমিটারগুলো নিয়মিত চেক করতে হয়। অনেক সময় ঝড় হওয়ার পর পুরো লাইন চেক করে পূনরায় সংযোগ চালু করতে হয়। অন্যথায় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এই চেকিংএ সময় বেশি লাগলে গ্রাহকরা মনক্ষুন্ন হন। দ্রুত সেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল অবশ্যই প্রয়োজন।

    আবাসিক প্রকৌশলী বলেন, জনবল সংকট থাকলেও আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও কিছু অভিযোগ আছে কারন ভালোর তো শেষ নেই। শূন্য পদে জনবল থাকলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় এসবের সমাধান হয়ে সেবার মান আরও উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন,উপজেলার জুরকাঠিতে ৩৩/১১ কেভির একটি উপকেন্দ্র আছে। সেখানে ৪ জন সুইচ বোর্ড এ্যাটেন্ডেন্ট থাকার কথা অথচ একজনও নেই। তারপরও আমরা সীমিত লোকবল দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল পেলে গ্রাহককে আরও ভালো সেবা দেয়া যাবে। এ ব্যাপারে জেলা কর্মকর্তা কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

    জেলা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানান, জনবল সংকটের বিষয়টি আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই শুন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আশাকরি আগামী জুনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

  • রাঙ্গাবালীতে সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ, দূর্ভোগে হাজার মানুষ

    রাঙ্গাবালীতে সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ, দূর্ভোগে হাজার মানুষ

    রফিকুল ইসলাম রাঙ্গাবালীর (পটুয়াখালী ):
    রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন হচ্ছে ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। এই ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে থেকে ফেলাবুনিয়া লঞ্চ ঘাট। যার মাঝ খানে (সাহজাহান মল্লিক বাড়ি থেকে বড়বাইশদিয়া এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়) পর্যন্ত রাস্তা। বর্ষা মৌসুম না আসতেই বর্তমানে এই রাস্তার খালে পরিনিত হচ্ছে, যে কারণে থমকে আছে মৌডুবী ও বড়বাইশদিয়া এই দুই টি ইউনিয়নের লঞ্চ যাত্রী ও কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র এক কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

    বছরের পর বছর রাস্তাটি না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ট্রলি চলাচলে রাস্তার যে গর্ত হয়েছে পায়ে হেঁটে পার হওয়াই দুরের কথা নৌকা নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

    যার কারণে এই অঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি টমটমও চলাচল করতে পারছে না এবং ঢাকায় লঞ্চে মালামাল সরবরাহ করতে পারছে না,যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধান, কাচামালসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে খড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। । রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। থমকে আছে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা মাত্র এই এক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কারণে।

    স্হানীয় বাসিন্দা মো: রিংকন বলেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এ সুবিধা থেকে দূরে আছি

    বড়বাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে কথাটি সত্যি! এই দূর্ভোগ থেকে উত্তরন হওয়ার জন্যে পটুয়াখালী ৪ এর মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ মহিব্বুর রহমান মুহিব ভাইয়ের স্মরনা পন্য হয়েছি।তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে ডিউ লেটারের মাধ্যমে আমাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন! আমি সেখানে গিয়ে নিজ দায়িত্বে উপজেলা ইঞ্জিনিয়াদের সহযোগিতায় স্কিমটির স্টিমেট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্হা করেছি পরবর্তীতে ঢাকায় গিয়ে খোজ নিয়ে যানতে পেরেছি পূনঃরায় স্টিমেট সংশোধন এর জন্যে উপজেলায় পাঠানো হয়েছে! সেখানে যোগাযোগ করেছি তারা আশ্বস্ত করল আমরা দ্রুতই সংশোধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্হা করতেছি। এছারাও মাননীয় এমপি মহোদ্বয় যখন দেখেছেন বড়বাইশিদিয়া ইউনিয়নের রাস্তার এমন দূর্দশা তাই তিনি পরবর্তীতে আরো তিনটি রাস্তার ডিউ লেটার দিয়েছেন আমি সেই চিঠি উপজেলায় পৌছে দিয়েছি যা এখনো উপজেলায় স্টিমেটের কাজ চলমান বলেই আমাকে উপজেলা ইঞ্জিয়াররা অবহিত করেছেন।
    আমি আশা করি আমার এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করবেন এবং বাস্তবায়নের জন্যে চেষ্টা অব্যহত রাখবেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তাগুলোর জন্যে ঢাকায় স্হানীয় সরকার মন্ত্রনালয় যোগাযোগ স্হাপন করছি।
    যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে মাটির রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।
    পাকা রাস্তাগুলোর জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন পর্যায়ক্রমে আপনাদের উন্নয়নের প্রতি আমারা গুরুত্ব দিব এবং জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ডিপিপির আওতাভুক্ত রয়েছে।

    রফিকুল ইসলাম
    রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী

  • মহালছড়িতে চেঙ্গী ব্রীজ পর্যন্ত বেহাল দশা মেরামতের দাবি

    মহালছড়িতে চেঙ্গী ব্রীজ পর্যন্ত বেহাল দশা মেরামতের দাবি

    (রিপন ওঝা, মহালছড়ি)

    মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকা কেন্দ্রীয় কবরস্থান হতে চেঙ্গীব্রীজ পর্যন্ত দীর্ঘদিন খানাখন্দে যানবাহন চলাচলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। চেঙ্গী ব্রীজ পর্যন্ত বেহাল দশা এমন সড়কের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনগণ ও পথচারীগণ।

    দীর্ঘ সময় ধরে মহালছড়ি সদরের কেন্দ্রীয় কবরস্থান হতে চেঙ্গীব্রীজ পর্যন্ত সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাঙ্গামাটির সওজ এর আঞ্চলিক সড়ক। বড় বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা।।

    কেন্দ্রীয় কবরস্থান হতে থানার সম্মুখ পর্যন্ত এই সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। মূল সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কোনো সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত।

    খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত চলছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন, পথচারীরা। বর্ষাকালে এঢ়ড়ই সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলোতে পানি জমে বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনগণসহ পরিবহণের যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই রাস্তাটি দিয়ে
    রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাওয়া যায় না। আর বৃষ্টিতে ভোগান্তি ওঠে চরমে। বেহাল এই সড়কে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা।

    স্থানীয়দের অভিযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সড়কগুলোকে উন্নয়ন সহ সংস্কারের মাধ্যমে গ্রামকে শহরে রুপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু মহালছড়িতেও দ্রুত সময়ের মধ্যে এমন উন্নয়নসহ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি ও পথচারী আশায় রয়েছেন।

    কেন্দ্রীয় কবরস্থান হতে চেঙ্গী ব্রীজ পর্যন্ত বেহাল দশা, দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ হচ্ছে না। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়েই সিলেটিপাড়া, মহালছড়ি থানা, চট্টগ্রামপাড়াসহ ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়নবাসী আশেপাশের জনগণের চলাচলের একমাত্র সড়ক।

  • বানারীপাড়ায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ।। কাজ আসছে না জনগনের

    বানারীপাড়ায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ।। কাজ আসছে না জনগনের

    এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ সংবাদদাতা: বানারীপাড়া পৌরসভার সন্ধ্যা নদীর তীরে শহর রক্ষা বাধের সড়কে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ব্রিজ। দুথপাশে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় দৃস্টি নন্দন ব্রিজটি জনগনের উপকারে আসছেনা। ব্রিজটি এলজিইডির আড়াই কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এ্যপ্রোজসহ সংযোগ রাস্তা না হলে ব্রিজটি নির্মাণে সরকারের আড়াই কোটি টাকা অপচয়ে দাঁড়াবে।
    উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, বানারীপাড়া পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে বন্দর বাজারের ফেরী ঘাট থেকে দক্ষিণ নাজিরপুর হাই স্কুল পর্যন্ত শহর রক্ষা বাধের আদলে ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফেরী ঘাট থেকে কিছু অংশে প্রথমে এক কোটি ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং রাস্তা ও পরে সন্ধ্যা নদীর শাখা খালে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দরপত্রে ব্রিজের সঙ্গে উত্তর প্রান্তে ৯০ মিটার ও দক্ষিণ প্রান্তে ১০০ মিটার সংযোগ রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও শুধু ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্তে সংযোগ সড়কের ১০০ মিটারসহ মাত্র সাড়ে তিনশ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হলে ঐতিহ্যবাহী বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসারতায় এলাকাবাসী এর সুফল পেত।

    ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মেহেদী হাসান বাদল জানান, সংশোধিত প্রাক্কলন অনুমোদন না হওয়ায় তিনি ব্রিজের সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করতে পারছেন না।
    এ বিষয়ে পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর সাইদুর রহমান শাহজাহান বলেন, ব্রিজের সংযোগসহ দক্ষিণ নাজিরপুর প্রাইমারী ও হাই স্কুল হয়ে মাছরং গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা নির্মিত হলে এলাকার মানুষের জীবনমানের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
    বানারীপাড়া বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডু বলেন. এ রাস্তাটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে বন্দর বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে এর সুফল ভোগ করার পাশাপাশি ব্যবসা বনিজ্যের প্রসার ঘটবে।

    এ ব্যাপারে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন. বানারীপাড়া পৌর শহর রক্ষা ও বন্দর বাজারের ব্যবসা-বানিজ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে নদীর তীরবর্তী ব্রিজসহ রাস্তাাটি খুবই গুরুত্ব বহণ করে। বাজার কেন্দ্রীক একমুখী রাস্তাকে বহুমুখীতে রূপান্তর ও বাস-ট্রাকসহ সব ধরণের পণ্যবাহী যানবাহন নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুবই জন গুরুত্ব পূর্ণ।

    এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতিমা আজরীন তন্বী বলেন,ব্রিজের এপ্রোচসহ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নির্মানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বানারীপাাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ফারুক জানান , বানারীপাড়া পৌর শহর রক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারতা লাভের জন্য নদীর তীরে শহর রক্ষা বাধেঁর আদলে তিনটি ব্রিজ সহ রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ব্রিজের সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ প্রান্তে রাস্তা নির্মাণ করা না হলে ব্রিজটি কোন কাজে আসবে না এটা ঠিক। তাই ব্রিজের দুথপাশে সংযোগ রাস্তাসহ দক্ষিণ নাজিরপুর হাই স্কুল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া কাজ সম্পন্নের আরো তিন মাস সময় আছে।#

  • দুধকুমার নদী ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

    দুধকুমার নদী ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় একনেক প্রকল্প ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প “ভুরুঙ্গামারী ধলডাঙ্গা থেকে যাত্রাপুর পর্যন্ত” নদী শাসন ও বাধঁ মেরামত কাজ ৩৮টি প্যাকেজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে রক্ষা পাচ্ছে তিন উপজেলায় নদী অববাহিকার হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, ফসলী জমিসহ সরকারী-বেসরকারী নানা স্থাপনা এবং বদলে যাচ্ছে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র। পাশাপাশি নদী ভাঙন রোধে ইমার্জেন্সি জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

    জানা গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের মানুষের কষ্ট ঘুচাতে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে একনেক বৈঠকে ৬৯২কোটি ৬৮লাখ টাকা ব্যয়ে “ভুরুঙ্গামারী ধলডাঙ্গা থেকে যাত্রাপুর পর্যন্ত” দুধকুমার নদীর দুই পাড়ের ১শত কিলোমিটারের মধ্যে নদী শাসন প্রায় ২৫.৫৮কিলোমিটার ও বাধঁ মেরামত ৩৭.৭০কিলোমিটার কাজ ৫৯টি প্যাকেজের মধ্যে ৩৮টি প্যাকেজ ২০২১সালের অক্টোবর মাসে নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের কাজ শুরু করে এ পর্যন্ত ৮শতাংশ কাজ করেছে। একনেকের বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে না আসায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শত কষ্টের মাঝের কাজ করছেন।

    কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইসমত ত্বোহার তত্ত্বাবধানে একনেকের “ভুরুঙ্গামারী ধলডাঙ্গা থেকে যাত্রাপুর পর্যন্ত” নদী শাসন ও বাধঁ মেরামত কাজ ৩৮টি প্যাকেজে চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নে রক্ষা পাচ্ছে নদী অববাহিকার হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, ফসলী জমিজমা। দুইদফা বন্যার সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমূহ জিও ব্যাগ দিয়ে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে কাজ করায় নদী ভাঙন অনেকটা রোধ হয়েছে। বর্তমানে দুধকুমার নদী ভাঙন রোধে কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন চলছে। ফলে নদীতীরের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

    ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার পাড়ের হাসু মিয়া, ছলিম উদ্দিন, কাশেম আলী, মন্তাজ হোসেন বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় জিও বস্তা ফেলার আমরা এখন ভাঙন থেকে মুক্ত আছি।

    কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইসমত ত্বোহা বলেন, দুধকুমার নদী ভাঙন রোধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছি।

    কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাধঁ মেরামত কাজ বিধি মোতাবেক চলমান রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর, উত্তারঞ্চল, রংপুর এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা বলেন, একনেক প্রকল্পের আওতায় দুধকুমার নদী ভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি।