মহিউদ্দীন চৌধুরীঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলাধীন দক্ষিণ হুলাইন হযরত ইমাম হোছাইন (রাঃ) বহুমুখী ইসলামী কমপ্লেক্স ট্রাষ্ট পরিচালনায় গাউসিয়া বজল আহমদ ফকির এতিমখানায় ১০ দিন ব্যাপী শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের ৪র্থ দিনে বিশিষ্ট একটি সালাহউদ্দিন খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন পটিয়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবু বাকার আল কাদেরী।
মাওলানা শাহজাহান আল কাদেরী,আবদু রহিম আল কাদেরী,সরোয়ার উদ্দীন সহ আরো অনেকেই। এসময় বক্তারা বলেন,রাসুল পরিবারের এই আত্মত্যাগ আজ বিশ্বব্যাপী চিরস্মরণীয়।
তাঁদের এই ত্যাগ ইসলামকে করেছে আরো সমুন্নত, আরো উজ্জ্বল। ন্যায়-নীতি, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই হলো কারবালার শিক্ষাা
Category: দেশজুড়ে
-

ন্যায়-নীতি, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই হলো কারবালার শিক্ষা- আবু বাকার আল কাদেরী
-

ময়মনসিংহ নগরীতে ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার অভিযানে ৪মামলায় জরিমানা ২১হাজার।
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।বুধবার (৩রা আগষ্ট)সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে মহানগরীর বড় মসজিদ, বাসাবাড়ি মার্কেট, ট্রাংক পট্টি, তাজমহল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ফুটপাতে দোকান বসানো,মালামাল রাখা, নির্মাণ সামগ্রী রেখে নির্মাণ কাজ চালিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির দায়ে সংশ্লিষ্ট আইনে ৪টি মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসদু রানা জানান, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের গত কয়েক মাসিক মিটিংয়ে শহরের ফুটপাত দখলের বিষয়টি ধারাবাহিক আলোচিত হয়ে আসছে। দখলের কারণে নগরীতে জন চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। গত ঈদের আগেই অভিযান চালানোর কথা ছিল। ঈদের আগে ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবিকায় প্রভাব পড়ার কথা চিন্ত করে অভিযান সীমীত করা হয়েছিল।
পরে দখলমুক্ত করার সরেজমিনে ঘোষণা দিয়ে, মাইকিং করে মুক্ত করা যায়নি। তাই অভিযান চালাতে হচ্ছে। প্রয়োজনে এ অভিযান অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন তিনি। দ্রুতই দখল মুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত না করা হলে অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে- ফুটপাত ও রাস্তা বেদখলমুক্ত করতে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। এব্যাপারে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর সর্বস্তরের জনতার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
-

ময়মনসিংহে শোকের মাসে জেলা যুবলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন।।
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।বুধবার (৩রা আগস্ট) সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও মইনুল হোসেন খান নিখিল এর আহবানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকের মাসের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক শাহরিয়ার মো: রাহাত খান, শাহ শওকত ওসমান লিটন, এইচ এম ফারুক সহ জেলা ও মহানগর যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত কর্মসুচিতে বৃক্ষরোপন শেষে নেতৃবৃন্দরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ এর সকল অঙ্গ সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক যোগে কাজ করার বিকল্প নেই। জাতীয় শোক দিবসে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি সফল করতে সকল নেতা-কর্মীর এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তারা।এসময় নেতৃবৃন্দ যার যার অবস্থান থেকে শোকের মাসে বৃক্ষরোপন এবং আশপাশের অস্বচ্ছলদের ফলজ,ঔষধি ও বনজ গাছ উপহার দেবার অনুরোধ জানান।
-

আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আহমেদ ভুঁইয়া’কে ঘোষণা: প্রতিমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী বিতরণ ও আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাস্টারের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, সুমন আহমেদ ভুঁইয়াকে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (১আগস্ট ২০২২ইং) বিকেল ৫টায় আশুলিয়ার জামগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী গরীব অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘প্রধান অতিথি’ হিসেবে উপস্থিত হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য সুমন আহমেদ ভুঁইয়া একজন ভালো ছেলে, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি ও সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা আমার খুবই ভালো লাগছে, তাই ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তাকে ঘোষণা করা হলো। এ সময় ইয়ারপুর ইউনিয়নের পর পর ৩ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাষ্টারের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া করেন প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ আঃ কাদের দেওয়ান, লিয়াকত হোসেন দেওয়ান, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাজী জমত আলী দেওয়ান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফিরোজ কবির, আওয়ামীলীগ নেতা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া, ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোঃ মোশারফ হোসেন মুসা, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান (মেম্বার), জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আ লিক কমিটির যুগ্ন-আহ্বায়ক সানাউল্ল্যাহ ভুঁইয়া সানি, সেলিম মন্ডল, ইদ্রিস আলী, নাজমুল হক ইমু, শাহীন আলম, খলিলুর রহমানসহ জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীগণ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই ২০২২ইং) দুপুর ২টায় আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া মাষ্টারের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অুনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইয়ারপুর ইউপি’র সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামীলীগসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দোয়া করেন চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়ার রোগমুক্তি কামনায়। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন “আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব” এর সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)। এ দোয় ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সফল সভাপতি মোঃ ফারুক হাসান তুহিন।
সোমবার উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাজী হালিম মৃধা, মোস্তাক আহম্মেদ, মোঃ ইউনুছ আলী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেনসহ আরও অনেকে। এ অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া, তিনি বলেন, আমার বাবা ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩বার জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া, তাহার অসুস্থতার কারণে ৪ মাসের ছুঁটি নিয়েছেন। এখন হাফিজুর রহমান মেম্বারকে ৪ মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমার বাবার রোগমুক্তি কামনায় সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন বাবাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক মীর, অনুষ্ঠানটি স ালনা করেন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ছাফর শেখ। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৮শতাদিক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। সবশেষে উপস্থিত সবার জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। -

রসায়ন বিদ পিসি রায়েরমত এ মাটিতে আর কেউ জন্ম হবে না – প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
জগৎখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় এর জন্ম বার্ষিকীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন , পাইকগাছার মাটিতে এমন একজন গুনি ব্যাক্তি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন যে পৃথিবী জুড়ে যার খ্যাতি বয়ে বেড়াচ্ছে। বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় শুধু বিজ্ঞানী ছিলেন না তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে প্রথম এই রাড়ুলীতে তার মায়ের নামে ভূবনী মোহিনী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠা করেন। মঙ্গলবার বিকালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলীতে বিজ্ঞানী রসায়ন বিদ পিসি রায় এর ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাইকগাছা -কয়রা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদাত হোসেন বাচ্চু, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ারদার , আঃ সালাম কেরু, আঃ মান্নান গাজী , শাহজাদা ইলিয়াস,কাজল কান্তি বিশ্বাস,কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন প্রমূখ। -

সুজানগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ কেজি খাসির মাংস নিয়ে উধাও
এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিল্লাল হোসেন নামে এক কসাইয়ের কাছ থেকে ২৫ কেজি খাসির মাংস লুটে নিয়েছে এক প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার দুপুরে পৌরসভার চর সুজানগর গ্রামে। প্রতারিত কসাই বিল্লাল হোসেন ওই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। প্রতারণার শিকার কসাই বিল্লাল হোসেন জানান, এদিন ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসে প্রথমে সে নিজেকে পাবনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এবং সঙ্গে থাকা তার ছবি সহ ডিবি পুলিশের পরিচয়পত্র দেখান। এরপর একটি অনুষ্ঠানের জন্য পাবনার পুলিশ সুপার স্যার খাসির মাংস নিতে পাঠিয়েছে বলে জানান। এ সময় ৯০০ টাকা প্রতি কেজি দরদাম ঠিক করে একটি খাসি জবাই করে ২৫ কেজি মাংস প্রস্তুত করে তাকে দেই। কিন্তু সে টাকা না দিয়ে এসপি স্যার পাবনা তার অফিস থেকে টাকা দিবেন বলে ২৫ কেজি মাংস এবং আমার কর্মচারী আব্দুল জলিলকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পাবনার উদ্দেশে রওনা দেন। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে প্রতারক ভুয়া ডিবি পুলিশ কৌশলে জলিলকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে এসপি স্যারের কাছ থেকে টাকা এনে দিচ্ছি বলে মাংস নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সুজানগর থানার (ওসি) আব্দুল হাননান জানান, প্রতারককে ওই ভুয়া ডিবি পুলিশকে খুঁজে বের করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য এর আগেও সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে পাবনা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সুজানগর উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে দুইটি খাসি, বাকছিডাঙ্গি এলাকার সাইদুলের চাউলের মেল থেকে ১২ বস্তা চাউল ও মসজিদপাড়া এলাকার কামাল হোসেন নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মাছ নিয়ে কৌশলে উধাও হন প্রতারকচক্র।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।। -

বানারীপাড়া থানার নবাগত ওসির সঙ্গে স্পোর্টিং ক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস. এম. মাসুদ আলম চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঐতিহ্যবাহী বানারীপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা নবাগত ওসির সঙ্গে বানারীপাড়ায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। নবাগত ওসিও এ বিষয়ে স্পোর্টিং ক্লাবের সহযোগিতা কামনা করেন। সোমবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় ওসির অফিস কক্ষে স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক রুহুল আমিন শুভর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময়সভায় নবাগত ওসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ তালুকদার, স্পোর্টিং ক্লাবের সহসভাপতি সাংবাদিক প্রভাষক মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষকনেতা জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লাইস্ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দেবনাথ ও হাসান আহম্মেদ সোহাগ (ট্যুরিস্ট), ক্রীড়া সম্পাদক আবু জাফর, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মশিউর রহমান বাদল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক হাসানাত হোসেন, সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি।। -

নড়াইলে প্লাষ্টিকের হাত পাখার দাপটে বাজার ছাড়া তালপাতার পাখা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :
আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে নানান ধরণের প্রাচীন নিদর্শন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নিদর্শন হলো হাতপাখা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে হাতপাখার ব্যবহার। বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশন সহ নানান ধরণের আকর্ষনীয় প্লাষ্টিকের হাত পাখার দাপটে বিলুপ্তির পথে প্রাচীন এই নিদর্শন। বিক্রি না হওয়ায় কারিগরেরা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে অন্য কাজে মন দিয়েছেন। আগে হাতপাখা বানিয়ে সংসার চলতো তাদের। বর্তমানে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় পেশাদার কারিগররা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে জীবন-জিবীকার জন্য অন্য কাজে মনসংযোগ করেছেন। যাতে করে কারুশিল্পের একটি অংশ হারাতে বসেছে।
আবহমানকাল থেকে যখন বিদ্যুত সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিলো না সে সময় থেকেই মানুষের দেহ শীতল করার জন্য ব্যাবহৃত হতো হাতপাখা। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত নানাভাবে পাখার ব্যবহার চলছে। প্রাচীনকালে অতি গরমে বাতাসকে চলমান করে, গরম হাওয়া সরিয়ে অপেক্ষাকৃত শীতল হাওয়া প্রবাহের জন্য হাতপাখার ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে রুপান্তরের ধারাবাহিকতায় হাতপাখা একটি অলঙ্কারিত শিল্পে সৌন্দর্য লাভ করেছে। পাঁচ বছর আগেও উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের মানুষ হাতপাখার ব্যবহার করতেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন আর হাতপাখা চোখে পড়ে না বললেই চলে। হাতপাখার সাহায্যে যতটা হাওয়া বওয়ানো যায়,তার চেয়ে বড় জায়গা ঠান্ডা রাখতে ভিন্ন প্রযুক্তির আবিষ্কারে হাতপাখার অস্তিত্ব বিলীন প্রায়!
গ্রীষ্ম মৌসুমে গ্রামের পুরুষ-মহিলা হাতে একটি করে পাখা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকতেন কোন গাছের নিচে। কেরাত কেরাত শব্দে পাখা ঘুরিয়ে শীতল করতো দেহ। প্রতিটি বাড়ীর উঠোনে বসে মহিলারা হাতপাখা দিয়ে শীতল করতো নিজের দেহ সাথে স্বামী সন্তানের দেহ। হাতপাখার প্রচলন অধিকাংশ দেখা মিলতো গ্রাম-গঞ্জে। বর্তমান সময়ে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি কোনায় বিদ্যুত পৌঁছে যাওয়ার ফলে আর তেমন ব্যবহার নেই হাতপাখার। গ্রাম্য লের গৃহবধুরা বাঁশের বাতি দিয়ে চাক কেটে নিয়ে বিভিন্ন কালারের বাহারী কাপড় দিয়ে বানাতেন দৃষ্টিনন্দন হাতপাখা। আবার সেই পাখার মধ্যে লিখতেন প্রিয়জনের নাম বা নিজের সন্তানের নাম। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বর্তমানে হাতপাখার আর কদর নেই। বর্তমানে উঠতি বয়সের মেয়েদের হাতপাখার কথা জিজ্ঞেস করলে চমকে ওঠে। যেন কোনদিন নাম-ই শোনেনি!
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য হাতপাখা গল্প,ছড়া,কবিতা,গান ও উপন্যাসের বহু জায়গা দখল করে আছে।
জেলায় পাখা তৈরি করে জিবীকা নির্বাহ করতো শ’খানেক পরিবার। তালপাখা তৈরির ক্ষেত্রে শৈল্পিকতা ফুটে উঠতো কারিগরদের হাতের ছোঁয়ায়। আগে এই অ লের গ্রামের মানুষ গরম থেকে নিস্তার পেতে তালপাতা, বাঁশের কি , গাছের পাতলা বাকল সহ বিভিন্ন রকম কাপড় সংগ্রহ করে পাখা বানাতেন। কিছু কারিগর তালপাতা,বাঁশের কি স্বল্পমূল্যে পাতা কিনেও পাখা বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতেন।
স্থানীয় হাট বারে বা বিভিন্ন মেলায় চোখে পড়তো হাতপাখার পসরা। মেলায় ঘুরতে আসা গৃহবধু,কিশোর-কিশোরীরা পছন্দমতো নকশা দেখে সাগ্রহে কিনতেন হাতপাখা। অনেকে প্রিয়জন বা আত্মীয় স্বজনকে উপহার দেওয়ার জন্যও হাতপাখা কিনতেন। জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হাতপাখা তৈরীর পেশাদার কারিগররা পাখা বানানো বন্ধ করে দিয়েছেন। কেন পাখা বানানো বন্ধ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে একজন কারিগর বলেন, “পাখা বানিয়ে আগে যা রোজগার হতো তা দিয়ে সংসার চলতো। বর্তমানে হাতপাখা বিক্রি হয় না। যার কারনে অন্য পেশা বেছে নিয়েছি।”
জেলার নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রামের সন্তয মিস্ত্রি
৬৮ বছর বয়সী সন্তষ মিস্ত্রি
সাথে কথা হলে তিনি বলেন ফ্যানের বাতাস ভালো নাগে না। আত্তিরে শুতে খালি গোঁ গোঁ শব্দ করে। বাতাস তেমন গাওত নাগে না। কোন সমে গরম বাতাস বারায়। বিদিকিচ্চি নাগে মোক। আগে মোর পাখা-ই মেলা ভালো আচোলো।
তবে অনেক হাতপাখার প্রধান কারিগর বা কারুশিল্পি মহিলারা নিজে ব্যবহারের জন্য কাপড়ের হাতপাখা তৈরি করছেন। তারা সুতা দিয়ে কাপড়ের পাখা তৈরি করে থাকেন। সুতা দিয়ে ফুল তোলার আগে আউট লাইন ড্রইং করে নিয়ে ফর্মা তৈরির জন্য কারুশিল্পির কাজ করেন।এছাড়া এই পাখাগুলোতে রয়েছে নানান ধরনের ডিজাইন ও নানাবিধ নকশা।
গ্রামের অসংখ্য লোকজন এই প্রতিবেদককে জানান, গ্রামগুলোতে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে গিয়েছে। ফলে প্রতিটি বাড়িতেই চলছে ইলেক্ট্রিক পাখা। হাতপাখার গ্রয়োজনীয়তাও কমে যাচ্ছে। অথচ পাঁচ বছর আগেও অনেক পরিবার হাতপাখা ব্যবহার করতেন। আমরা আগের দিনে হাতপাখার হাওয়া খেয়ে যে তৃপ্তি বা শান্তি পেয়েছি তা বিদ্যুতের পাখা, এসি,ফাইবারের পাখাও কোন দিনও দিতে পারবে না।
এভাবেই অবহেলা ও গুরুত্বের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে অতি প্রাচীন হাতপাখা। একদিকে হাতপাখা যেমন দেহ শীতল করে অপরদিকে অনেকটা শরীরচর্চাও হয় বলে জানান অনেকে। তাই এই হাতপাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে হাতপাখার ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। -

অশান্ত শৈলকুপায় আবারো প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বারইহুদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো-ওই গ্রামের শমসের শাহ, রফিক উদ্দিন, শফি উদ্দিন, আনজার শাহ ও সারেজান নেছাসহ ১০ জন। স্থানীয় জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন ও বগুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সমর্থকদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা নাসির উদ্দিনের সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে অন্তত ৮ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। তাদের হামলায় আহত হয় নারীসহ অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন সামাজিক দলের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। আর এই সামাজিক দলগুলো মুলত সরকারী দলের ছত্রছায়ায় বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।। -

নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইলঃ
নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু। নড়াইলে পরকিয়ার জেরে প্রান গেল যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার ৬নং তুলারামপুর ইউনিয়নের ৯নং বাকসাডাঙ্গা গ্রামে। জানা যায়,বাকসাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের প্রবাসী ছেলে মোঃ শহর আলীর স্ত্রি মোছাঃ সোনালী খাতুন বিভিন্ন উপায়ে আকৃষ্ট করে একই গ্রামের মোঃ মোতালেফ হোসেনের অবিবাহিত ছেলে মোঃ শামিম হোসেনর সাথে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। স্বামী শহর আলী ছুটিতে বাড়ি এসে ঘটনাটি লোক মুখে জানার পর শামিম কে হত্যার নীলনকশা তৈরি করে বড় ভাই শামছুর রহমানের সাথে।হত্যাকান্ডে নিহত শামিমের মাতা বলেন,গত ২৫ জুলাই ২২ শোমবার রাতে খেয়ে শামিম ঘুমোতে যায়। তার পর রাত আনুমানিক ১: ৩০ মিনিটের সময় শামিমের ঘর থেকে বিপদজনক আওয়াজের শব্দ পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখি শামিম খাটে নাই, মাচাংয়ের তলে পড়ে আছে, সেই রাতেই তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।চারদিন নড়াইল হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার পর শামিম কিছু টা কথা বলেন,তিনি বলেন রাতে সোনালি আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে দুধের সাথে চেতনানাষক ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে সোনালী,শহর, ও শামছুর বোতলে পানি ভরে মধ্যযুগিও কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট করে।শামিমের ভাগ্নে শাহিন ভুইয়া বলেন, পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মামা শামিকে ডেকে নিয়ে মেরে বাগান পরিস্কার করা বিষ গালে ঢেলে দিয়েছে সোনালী, শহর আর শামছুর এবং ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে। ৬ দিন নড়াইল, যশোরে চিকিৎসা নিয়ে অবস্হার অবনতি হলে গত ৩১/৭/২২ তারিখে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত্যুবরন করেন।এ ব্যাপারে প্রতিনিধির কথা হয় ৬নং তুলারামপুর ইউপির সাবেক তিন নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বর শিউলি বেগমের। তিনি বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যা।যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা পুরো নষ্ট একটা পরিবার।তাদের পরিবারে পরকিয়া মাছ ভাত। শহর আলীর পরিবারের সকল মহিলাই খারাপ ও পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত।আমরা উপস্হিত সকলে শামিম হত্যার বিচার চাই। এ দিকে বাকসাডাঙ্গা গ্রামের বর্তমান মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী এ হত্যা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে কিছুই না জানার ভান করে তড়িঘড়ি চেয়ার ছেড়ে বাইরে চলে যান।এ হত্যায় মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী নিরব কেনো? কেনো হত্যার বিচার মিডিয়ার সামনে চাইলো না সেটা নিয়েও জনমনে উঠেছে প্রশ্ন। দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এসআই শিশির বলেন,অভিযোগের পর আমরা অভিযান চালিয়ে শহরের স্ত্রী সোনালি খাতুন কে আটক করেছি।জড়িত অন্য আসামি আটকের প্রক্রিয়া চলছে।পরবর্তী তথ্য পেলে মিডিয়াকে জানানো হবে।গত ১/৮/২২ তারিখে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কার্যক্রমেরর পর গ্রামে জানাজা শেষে সম্মিলিত চারাবটতলা কবর স্হানে দাফন করা হয়েছে। শামিম হত্যায় শামিমের মা হয়েছেন পুত্র শোকে বাকরুদ্ধ, সবাই চায়ছেন সঠিক বিচার,এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।