হেলাল শেখঃ সারাদেশে অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে হলে প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকদের সহযোগিতা দরকার এবং সরকার চাইলে অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। দেশে একের পর এক প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার ঘটনা ঘটছে, এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিকরা হচ্ছে দেশ ও জাতির বিবেক। প্রকৃত সাংবাদিকরা কোনো চোর ডাকাত নয় যে, তাদেরকে আটক করে চুড়ি পড়াতে হবে। কেন সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। সাংবাদিক নিখোঁজ গুম ও হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করাসহ সঠিক বিচার চায় সাংবাদিক নেতারা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে অনেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হামলা-মামলায় জড়িত হয়ে থাকেন। সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা-মামলা, হত্যার হুমকি’র বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে বলছি, শুধু কলম ক্যামেরা প্রদর্শন করলেই কেউ লেখক বা সাংবাদিক হওয়া যায় না। নিউজ লেখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট মিডিয়ায় সেই সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি সাংবাদিক দাবি করতে পারেন। নতুন সাংবাদিকদেরকে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে, লিখতে হবে, জানতে হবে এবং নিজে সচেতন হতে হবে, অন্যদেরকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, সোর্স হয়ে কাজ করা আর সাংবাদিকতা একরকম নয়।
বিশেষ করে যারা মানুষের ভালো কিছু করা দেখতে পারে না, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, তথ্যপ্রমানবিহীন মানুষের বদনাম ছড়ায়-সেই ষড়যন্ত্রকারীদের ধ্বংস নিশ্চিত। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করে না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা প্রচার করে, এটাকে অপপ্রচার বলা হয়। এই প্রকৃতির অমানুষগুলো দেশ ও জাতির শক্র। দেশের ভেতরে যারা দেশ ও জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করেন অনেকেই। প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। গণমাধ্যমে কাজ করতে হলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রাখতে হবে। নতুন সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়া প্রয়োজন, প্রকৃত সাংবাদিকতা করলে তা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণেই আজ তারা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সাংবাদিক শব্দ সহজ হলেও এই পেশা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, আবার সম্মানজনক বলা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করলেও কেউ সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেন না, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
সাংবাদিকরা ৩৬৫ দিনে এক বছর কিন্তু সাংবাদিকদের জীবনে কোনদিন ছুটি নেই। ৩৬৪ দিন একজনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করবে এতে তার লোক বলা হয়, আর ১দিন যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো সংবাবাদ প্রকাশ হয় তখন সাংবাদিক জাতির বিবেককে গালি দিয়ে বলা হয় সাংবাদিকরা খারাপ, এটা কোন ধর্ম আর কোন বিচার?। অনেকেই নিজেদেরকে বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা আমাদের ভুল হচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বয় করে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। আমাদের লেখার মধ্যেও অনেক ভুল হয়। এই জন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন,বিশেষ সম্মান অর্জন করার জন্য কিন্তু সম্মান অর্জন না হয়ে আরও বদনাম হচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।
সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মনজয় করতে পারেন না কেন? ছোট একটি ভুল করলেই সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন, কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না?। সাংবাদিকরাই আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন তারা? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই।
বাংলাদেশে প্রায় ১৮কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। “পুলিশ, সাংবাদিক” আইনজীবি ও জনপ্রতিধিগণ, এই চারটি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরকে কামড়ায় বা অপ্রত্যাশিত কিছু অপকর্ম করে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এরকম অনেক বিষয়কে সংবাদ বলা যেতে পারে। সাংবাদিক সবাইকে তথ্য জানার অধিকার আছে, তবে কারো সাথে বিবাদ বা শক্রতা করে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসতে পারে না। সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত।
সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল তথ্য বিষয়ে জানা। তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে আঙ্গল দিয়ে দুই লাইন লিখে পোস্ট করলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না, বর্তমানে ফেসবুক লেখক ও সাংবাদিকরা কিছু নেতাদের ফেসবুক নেতায় পরিণত করেছে যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক।
Category: দেশজুড়ে
-

অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রকাশক ও সম্পাদকসহ প্রকৃত সাংবাদিকদের সহযোগিতা দরকার
-

১২ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কের নির্মান কাজে দুর্নীতি রাতের আধারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ব্লাক টপ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
দিনে খোড়া হচ্ছে সড়ক। রাস্তার উপরের কালো পাথর (ইষধপশঃড়ঢ়) রাখা হচ্ছে দুই পাশে। আর রাতের আধারে ট্রাকে করে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্য কোথাও। এভাবে রাস্তার ‘ব্লাক টপ’ ক’দিন ধরে সরিয়ে পর অবশেষে জনতার হাতে আটক হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ট্রাক ড্রাইভার। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার লালন সড়কের নির্মান কাজে। নিয়ম অনুযায়ী উপরের ব্লাক টপ সড়কেই থাকার কথা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, এগুলো সরিয়ে নেওয়া নিয়ম বহির্ভূত। সিডিউল অনুযায়ী এগুলো সড়কেই থাকার কথা। উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের তথ্যমতে, শহরের দোয়েল চত্তর মোড় থেকে বাকচুয়া পর্যন্ত সড়কটির ১১.২৩০ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৮ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। ইপিআইসি-কপোতাক্ষি জেভি নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করার কথা একই বছরের ১২ আগষ্ট। আর নির্মাণ কাজ শেষের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি। কার্যাদেশের দীর্ঘ এক বছরেও কাজ শুরু না হওয়ায় সড়কটিতে জনসাধারণের ভোগান্তি নিয়ে বিভিন্ন্ পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে শুরু করা হয় সড়কটির নির্মান কাজ। তবে চলছে ধীর গতিতে। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে নির্মাণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে। গত সোমবার (৮ আগষ্ট) গভীর রাতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সড়কের ওপরের কালো পাথর সরিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দেয় স্থানীয় জনতা। তাঁরা দুই ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে খবর দেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে। পরে সেখানে পাঠানো হয় পুলিশ। প্রথমে তারা দুই ট্রাকচালককে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে ওেয়া হয়। ঝিনাইদহ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছেন, উপরের ওই কালো পাথর সড়কের অংশ। সেগুলি সড়কেই ব্যবহার করার কথা। সরিয়ে নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। হরিণাকুন্ডু শহরের চাতাল মোড় এলাকার নৈশপ্রহরী মঈনুদ্দিন হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন রাতের বেলা ট্রাকে করে এগুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই পাথর সড়কেই থাকবে এমন বিষয় জানতে পেরে স্থানীয় জনসাধারণ রাতে পাথরভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে। ওই এলাকার ব্যবসায়ী লিটন বলেন, এই পাথর সড়কেই বালি ও খোয়ার সাথে মিশিয়ে পরে সড়কের নির্মাণ কাজে দেওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার সেটি না করে এগুলো সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে প্রথমেই নি¤œমানের কাজ করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ শুরু করেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল আক্তার বলেন, ওই দিন রাতে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। অসৎ উদ্দেশ্যে রাতের আধারে পাথর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই সরিয়ে নিয়ে সড়কের অন্য খারাপ জায়গায় দিচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, ঘটনাটি আমি রাতেই শুনেছি। সেখানে আমি অফিসের লোক পাঠিয়েছিলাম। মঙ্গলবার সকালে আমি নিজেও সরজমিনে সড়কটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ওপরের কালো পাথর সরিয়ে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছি। সিডিউল অনুযায়ী এই অংশ সরিয়ে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এগুলো সড়কের সম্পদ সড়কেই থাকবে। প্রথমে সড়কের ওপরের অংশ খুড়ে সেখানে সমান করে তারপর রোলার দিয়ে ম্যাকাডাম করতে হবে। সবশেষে কার্পেটিং হবে। এই অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, রাতে ঘটনাটি জানার পর আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ব্যবস্থা নিতে। জনগুরত্বপূর্ণ এই সড়কের নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান। -

ঝিনাইদহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাফল্য চুরি হওয়া ২৮ মোবাইল উদ্ধার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ২৮টি চুরি হওয়া ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধারকৃত এসব ফোন প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজ মুনতাসিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্ধারকৃত ২৮টি ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেলসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল ফোন বিতরণকালে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ডঃ খন্দকার মহিদ উদ্দিন, বিপিএম বার এর নির্দেশনায় ঝিনাইদহ জেলায় একটি সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠিত হয়। এই ইউনিট সাইবার অপরাধ দমনে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে জুলাই মাসে চুরি হওয়া ও হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৮ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ ত্রিশ হাজার টাকা। -

পাইকগাছায় নির্মিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনা জেলার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত হতে যাচ্ছে তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদ। ইতোমধ্যে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মসজিদের কাজ শুরু করা হবে বলে মসজিদ কত্পক্ষ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, মসজিদ টি হবে পাইকগাছায প্রথম নিজাম উদ্দীন মারকাজ মসজিদ। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় তাবলিগ জামাতের সদস্যদের সমবেত হওয়ার সুবিধার্থে দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ৩ আগস্ট পাইকগাছা উপজেলার শিববাটী ব্রীজ পার হয়ে কয়রা অভিমুখে চকবগুড়া মৌজায় প্রধান সড়কের মাঝে প্রায় ১ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। উম্মে হাবিবা (রাঃ) মাদরাসার
সহ-সভাপতি মুজিবর রহমান মল্লিক জানান, খুলনা ও পাইকগাছা-কয়রার ইউনিট থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। হাকিম শাহাদাৎ হুসাইন জানান, নিজাম উদ্দীন মারকাজ মসজিদ ভারতের দক্ষিণ দিল্লির পশ্চিমে নিজাম উদ্দীন অবস্থিত। এটি তাবলিগ জামাতের আলমী মারকাজ ও বৈশ্বিক কেন্দ্র স্থল। আমরা অনেকেই সেখানে গিয়েছি। সেখানকার অনুগত তাবলিগ জামাতের অংশ হিসেবে পাইকগাছা-কয়রার দু’উপজেলার জন্য শিববাটী ব্রিজ পার হয়েই অত্র মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে অত্র এলাকার
তাবলিগ সমাবেশ এখানে হবে। মসজিদ থেকে ইসলাম প্রচারের কাজ প্রচারিত হবে। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ ইসলাম শেখার জন্য অত্র মসজিদে আসবে। -

পাইকগাছায় খড়িয়া নবারুণ মাধ্যঃ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সমরেশ সরকার
পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।। পাইকগাছায় লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে সমরেশ সরকার। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানান,কমিটি সংশ্লিষ্টদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমীক সুপারভাইজার মীর নুরে আলম সিদ্দিকী। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার জানান, ম্যানেজিং কমিটি সংশ্লিষ্টরা হলেন,প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার দরির উদ্দীন,দাতা সদস্য গোপাল চন্দ্র সরকার,অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সমরেশ সরকার, ইউপি সদস্য পরমানন্দ সানা, রবীন্দ্রনাথ ঢালী, অমিয় মন্ডল, মহিলা সদস্য কাকলী মন্ডল,শিক্ষক প্রতিনিধি স্বপন কুমার হালদার,কিশোর কুমার রায় ও দিপালী মন্ডল।
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা। -

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের মূল্য ডাবল সেঞ্চুরি পার
রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী।।রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কাঁচা মরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিটি পণ্যের দাম। সঙ্কটের অজুহাতে বাজারে হু হু করে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়েছে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।
রাজশাহীর পাইকারি বাজারে একপাল্লা কাঁচা মরিচদদদ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২২০ টাকা থেকে ২৪৫ টাকা।
এদিকে সবজি বাজারেও প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে আকাশছোঁয়া গতিতে। ডলারের দর বৃদ্ধি ও রিজার্ভ সাশ্রয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করায় সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। জালানী তেলের মূল্য হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল পুন্যের দাম বাড়ছে কয়েক গুন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও। করোনার পরবর্তী সময়ে এবং অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় বাড়েনি। বরং অনেক ক্ষেত্রে কমেছে। এতে করে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষ চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছে না। এতে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
জানা যায়, হঠাৎ কাঁচা মরিচের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সঙ্কটকে পুঁজি করে কয়েক দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের সঙ্কটে প্রভাব পড়েছে শুকনো মরিচেও। বাজারে দেশি শুকনা মরিচের কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ ৪২০-৪৬০ টাকা।
আজ সকালে গোদাগাড়ীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত কয়েক দিন আগেও দাম ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
আড়তদাররা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই বললেই চলে। আগে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা মরিচ আসত।ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় কাঁচা মরিচ আসছে না। বাজারে যেসব মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা। এ কারণে বেড়েছে পরিবহণ খরচ। তাই বেড়েছে মরিচের দাম। অতিবৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছেই।
মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী। -

পটিয়ার রাজবল্লব দিঘীতে আকর্ষণীয় বড়শি পাশ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামী ২৭ শে আগষ্ট ঐতিহ্যবাহী পটিয়ার শান্তিরহাট হতে ডানে বুধপুরা বাজার সংলগ্ন
রাজবল্লব দিঘীতে আকর্ষণীয় বড়শি পাশ অনুষ্ঠিত হবে। আসন নির্ধারনী লটারির সময় ২৬ শে আগষ্ট শুক্রবার রাত ৪ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। টিকেট মূল্যঃ ২৫০০০ টাকা।যোগাযোগের ঠিকানাঃ
সেলিম রেজা,মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৮৬৩৭৩৭৬২ হালিশহর। মোহাম্মদ ইউচুপ মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮৭২১৮৩৫০২ বহদ্দারহাট। আরিফুর রহমান সুমন মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১৮৯১৫৯৭৪ মুরাদপুর।
মোহাম্মদ ফোরকান মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১৮২৩৮৩২৩ আগ্রাবাদ।এম ইদ্রিচ চৌধুরী অপু মোবাইল নাম্বারঃ ০১৬১৩৩২০০৪০ ABETS। -

মোংলায় নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলনেতা সুমিত’কে সংবর্ধনা প্রদান
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ”টিম মহাকাশ” এর দলনেতা মোংলার মেধাবী তরুন প্রকৌশলী সুমিত চন্দকে মোংলা উপজেলা প্রশাসন, মোংলা নাগরিক সমাজ ও ব্রেভ ইয়ুথ গ্রুপ’র পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্য্যালয়ে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজ’র সভাপতি মো. নূর আলম শেখ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুমন্ত পোদ্দার, নাগরিক নেতা নাজমুল হক, ব্রেভ ইয়ুথ গ্রুপ’র মো. শাহ আলম, শেখ রাসেল, ফাতেমা জান্নাত, কবি আসমা আক্তার কাজল প্রমূখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুমিত চন্দকে বিভিন্ন উপহার ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টায় মোংলা সরকারি কলেজ’র পক্ষ থেকেও সুমিত চন্দকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুবের চন্দ্র মন্ডল। এসময় বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক মল্লিক অহিদুজ্জামান, ড. অসিত বসু, প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, প্রভাষক বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রভাষক মমতাজ খানম, প্রভাষক সাহারা বেগম, প্রভাষক নিগার সুলতানা সুমী ও সংবর্ধিত তরুন সুমিত চন্দ। এসময় কলেজ’র পক্ষ থেকে সুমিতকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উল্ল্যেখ্য মোংলার ছেলে কুয়েট’র ছাত্র সুমিত চন্দ’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের ”টিম মহাকাশ” বিশ্বের ১৬২ দেশের ৪ হাজার ৫৩৪টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ”টিম মহাকাশ’ এর দলনেতা সুমিত চন্দ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার্স করার জন্য টেক্সাস ইউনিভার্সিটির স্কলারশীপ নিয়ে ১২ আগস্ট যুক্তরাস্ট্রে যাচ্ছেন। -

তারাকান্দায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ইউএনও’র উদ্যোগ
আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ
বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলায় ভিক্ষুকদের তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ১০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত ।
তবে এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১১ আগস্ট সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ৫ জন ভিক্ষুককে তাদের সামর্থ্য ও আগ্রহ অনুযায়ী উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এসকল ভিক্ষুক হলেন জমিলা খাতুন, হাজেরা খাতুন ও রহিমা খাতুন কামারগাও আশ্রয়ণ, রুকুমনি রবিদাস, রাজদারিকেল আশ্রয়ণ এবং জোসনা, মাধবপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প।বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলাশ ভিক্ষুকদের তালিকা প্রনয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন-যেহেতু দেশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে তাই সরকার চিন্তা ভাবনা করছে দেশে আর কোন ভিক্ষুক থাকবে না। তারই ধারা বাহিকতায় ০৫ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে এ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে পুনর্বাসন সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা পর্ব শেষে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভিক্ষোকদের মাঝে তাদের পুণর্বাসনের জন্য রিক্সা, গাভি, দোকানসামগ্রীসহ বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি জিন্নাত শহীদ পিংকী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদীপ চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার খাতুন, অফিসার ইন চার্জ, তারাকান্দা থানা আবুল খায়ের, সমাজসেবা অফিসার রুবেল মন্ডল সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
-

পটুয়াখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক অনুদানের চেক বিতরণ
মংচিন থান পটুয়াখালী থেকে।।
পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার
অবস্থিত বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক প্রদত্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল” হইতে প্রাপ্ত বিশেষ অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। ১১আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০টা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজন করেন। ট্রাস্টের ভাইস – চেয়ারম্যান মি:সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মিজানুর রহমান,ট্রাস্টি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মিসেস ববিতা বড়ুয়া,ট্রাস্টি মি: জ্যোতিষ সিংহ,সাবেক ট্রাস্টি মি: খেমংলা তালুকদার, ট্রাস্টের সচিব মি: জয় দত্ত বড়ুয়া,সমাজ সেবক মি:অরুন কুমার বড়ুয়া,রাখাইন নেত্রী নিউ নিউ খেইন,পটুয়াখালী বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:মংখেহাং,কুয়াকাটা নয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:চিনমংসে, তালতলী কবিরাজ পাড়া শীলসূখ বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:জোলেন,মনুখেপাড়া ধর্ম সুখ বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:মংচিন থান,সওদাগর পাড়া বৌদ্ধ বিহারের সহ -সভাপতি মি:মংথান ও জেয়ারামা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক মি:তেমংথে বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠান শেষে পটুয়াখালী জেলার ১৪ টি বৌদ্ধ বিহারের ৫,৬০,০০০ হাজার টাকা এবং বরগুনা জেলার ১,৮০,০০০ হাজার টাকা অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।#