মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ”টিম মহাকাশ” এর দলনেতা মোংলার মেধাবী তরুন প্রকৌশলী সুমিত চন্দকে মোংলা উপজেলা প্রশাসন, মোংলা নাগরিক সমাজ ও ব্রেভ ইয়ুথ গ্রুপ’র পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্য্যালয়ে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজ’র সভাপতি মো. নূর আলম শেখ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুমন্ত পোদ্দার, নাগরিক নেতা নাজমুল হক, ব্রেভ ইয়ুথ গ্রুপ’র মো. শাহ আলম, শেখ রাসেল, ফাতেমা জান্নাত, কবি আসমা আক্তার কাজল প্রমূখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুমিত চন্দকে বিভিন্ন উপহার ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ১১টায় মোংলা সরকারি কলেজ’র পক্ষ থেকেও সুমিত চন্দকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুবের চন্দ্র মন্ডল। এসময় বক্তৃতা করেন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক মল্লিক অহিদুজ্জামান, ড. অসিত বসু, প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, প্রভাষক বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস, প্রভাষক মমতাজ খানম, প্রভাষক সাহারা বেগম, প্রভাষক নিগার সুলতানা সুমী ও সংবর্ধিত তরুন সুমিত চন্দ। এসময় কলেজ’র পক্ষ থেকে সুমিতকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উল্ল্যেখ্য মোংলার ছেলে কুয়েট’র ছাত্র সুমিত চন্দ’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের ”টিম মহাকাশ” বিশ্বের ১৬২ দেশের ৪ হাজার ৫৩৪টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ”টিম মহাকাশ’ এর দলনেতা সুমিত চন্দ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার্স করার জন্য টেক্সাস ইউনিভার্সিটির স্কলারশীপ নিয়ে ১২ আগস্ট যুক্তরাস্ট্রে যাচ্ছেন।
Category: দেশজুড়ে
-
মোংলায় নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলনেতা সুমিত’কে সংবর্ধনা প্রদান
-
তারাকান্দায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ইউএনও’র উদ্যোগ
আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ
বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলায় ভিক্ষুকদের তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ১০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত ।
তবে এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১১ আগস্ট সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ৫ জন ভিক্ষুককে তাদের সামর্থ্য ও আগ্রহ অনুযায়ী উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এসকল ভিক্ষুক হলেন জমিলা খাতুন, হাজেরা খাতুন ও রহিমা খাতুন কামারগাও আশ্রয়ণ, রুকুমনি রবিদাস, রাজদারিকেল আশ্রয়ণ এবং জোসনা, মাধবপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প।বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপজেলাশ ভিক্ষুকদের তালিকা প্রনয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন-যেহেতু দেশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে তাই সরকার চিন্তা ভাবনা করছে দেশে আর কোন ভিক্ষুক থাকবে না। তারই ধারা বাহিকতায় ০৫ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে এ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে পুনর্বাসন সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা পর্ব শেষে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভিক্ষোকদের মাঝে তাদের পুণর্বাসনের জন্য রিক্সা, গাভি, দোকানসামগ্রীসহ বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি জিন্নাত শহীদ পিংকী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদীপ চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার খাতুন, অফিসার ইন চার্জ, তারাকান্দা থানা আবুল খায়ের, সমাজসেবা অফিসার রুবেল মন্ডল সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
-
পটুয়াখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক অনুদানের চেক বিতরণ
মংচিন থান পটুয়াখালী থেকে।।
পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার
অবস্থিত বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক প্রদত্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল” হইতে প্রাপ্ত বিশেষ অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। ১১আগষ্ট রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০টা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজন করেন। ট্রাস্টের ভাইস – চেয়ারম্যান মি:সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মিজানুর রহমান,ট্রাস্টি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মিসেস ববিতা বড়ুয়া,ট্রাস্টি মি: জ্যোতিষ সিংহ,সাবেক ট্রাস্টি মি: খেমংলা তালুকদার, ট্রাস্টের সচিব মি: জয় দত্ত বড়ুয়া,সমাজ সেবক মি:অরুন কুমার বড়ুয়া,রাখাইন নেত্রী নিউ নিউ খেইন,পটুয়াখালী বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:মংখেহাং,কুয়াকাটা নয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:চিনমংসে, তালতলী কবিরাজ পাড়া শীলসূখ বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:জোলেন,মনুখেপাড়া ধর্ম সুখ বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মি:মংচিন থান,সওদাগর পাড়া বৌদ্ধ বিহারের সহ -সভাপতি মি:মংথান ও জেয়ারামা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক মি:তেমংথে বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠান শেষে পটুয়াখালী জেলার ১৪ টি বৌদ্ধ বিহারের ৫,৬০,০০০ হাজার টাকা এবং বরগুনা জেলার ১,৮০,০০০ হাজার টাকা অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।#
-
পাইকগাছায় পাউবো’র সম্পত্তি দখলকারী সেলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উচ্ছেদ আবেদনকারীকে প্রাণনাশের হুমকি; থানায় জিডি
পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
পাইকগাছার ১৬নং পোল্ডারে অবস্থিত বাইশারাবাদ স্লুইস গেটের খালাসি ঘর ও সরকারি সম্পত্তি জবর দখলকারী সেলিম সরদার গং এর বিরুদ্ধে পতিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উচ্ছেদ আবেদনে স্বাক্ষরকারী মোঃ আমানুল্লাহ কে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ আমানুল্লাহ ৭ আগস্ট শনিবার
দখলকারী সেলিম সরদারের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ডায়েরী নম্বর- ৩৪৫।
জানা গেছে, পাউবো’র স্লুইস গেটের সরকারি সম্পত্তি মোঃ সেলিম সরদার ও তার পিতার আবু বক্কর সরদার জবর দখল করে বাড়ী ও দোকান ঘর নির্মান পূর্বক ব্যবসা করছে। রাস্তা সংলগ্ন দোকান ঘর নির্মান করায় চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার লোকজন এ সরকারি সম্পত্তি দখল মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করে। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জবর দখলকারী সেলিম সরদারের গাত্রদাহ ও দৌড় ঝাপ শুরু হয়। ৭ আগস্ট শনিবার বিকালে গণস্বাক্ষরিত উচ্ছেদ আবেদনে স্বাক্ষরকারী আমানউল্লাহকে কঁচুবুনিয়া মসজিদের পাশে দেখা পেয়ে সেলিম সরদার তার লোকজন নিয়ে তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করেছে বলে গালিগালাজ করতে থাকে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারতে উদ্যোত হলে তার চিৎকারের পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় সেলিম তাকে খুন জখমের হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে চলে যায়। এ ঘটনায় আমানুল্লাহ সুবিচার পাওয়ায় জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।প্রেরকঃ
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা। -
পাইকগাছায় বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি ক্ষেত,শঙ্কায় আমন চাষিরা
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
বর্ষার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাইকগাছার কৃষকরা। বর্ষাকাল শেষ হতে চলেছে, আমন চাষের উপযোগী বৃস্টি হচ্ছে না। আর ুআশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে এখনো আমন চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। বর্ষার মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিরুপায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর-বিল থেকে পানি দিয়ে আমন ধানের চারা অনেক কষ্টে রোপণ করেছিলেন। তখন ধারণা করেছিলেন বৃষ্টি হবে। সেচ দিয়ে যেসব জমিতে চারা রোপণ করেছে এখন সেসব জমিতে পানি সেচ দিয়ে চারা বচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। গত বছর আগস্টে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত এর এক-চতুর্থাংশও হয়নি। এ কারণে সেচ দিয়ে আমন চাষ করতে অধিক খরচ পড়ছে কৃষকদের। পানির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক।
পাইকগাছা উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আমন চারা রোপণের সময় ফুরিয়ে এলেও পানির অভাবে চারা লাগাতে পারেনি অধিকাংশ কৃষক। অনেকে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করলেও পানির অভাবে রোপণকৃত চারা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, চারা মরে যাচ্ছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। বীজতলায় চারার বয়স বাড়ছে কিন্ত বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ করতে পারছেন না । যে সকল কৃষকরা সেচ দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপণ করেছিলেন, এখন তাঁদের প্রতি সপ্তাহে সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবছর ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও এখন পর্যন্ত ১৩০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। আর বীজতলা ৯৯৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও বীজতলা হয়েছে মাত্র ২৫৫ হেক্টর। বীজতলার জন্য কৃষক বীজধান ক্রয় করেছে তবে পানির অভাবে জমি আবাদ করতে পারেনি। পাইকগাছা গদাইপুরের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, বীজ ধান কিনেছে, বৃস্টির অভাবে বীজতলা করতে পারেনি। সময় পার হয়ে যাচ্ছে আমন চাষের। গত বছর এসময় আমন ধানের চারা লাগানো শেষ হয়েছিল আর এ বছর শুরু করতে পারেনি বৃস্টির অভাবে। রাড়ুলীর কৃষ্ণপদ রায়, সবুর, করিমসহ কয়েকজন কৃষক জানান, বৃস্টির অভাবে জমিতে আমন চাষ শুরু করতে পারিনি। হঠাৎ করে একটু বৃষ্টির দেখা দিলেও তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে জমি ভিজছে না। অন্যদিকে চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এতে চিন্তার শেষ নেই। বিরাশির কৃষক সবুর জানান,চাষের সময় চলে যাচ্ছে তাই সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারপর বন্যা ও খরার ঝুঁকি তো আছেই। কৃষি অফিস ও কৃষকরা ধারণা করছে, কয়েক দিনের মধ্যে বৃস্টি না হলে উচু জমিতে এবছর আর আমন চাষ করা সম্ভাব হবে না। অনাবাদি থেকে যাবে জমি। তবে মাছ চাষের লীজ ঘেরে নাবী জাতের আমনের চারা লাগানো যাবে।—উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমনের আবাদ হয় বর্ষাকালে। বৃস্টি নির্ভর আমনের চাষাবাদ। কমপক্ষে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন হয় আমনের চারা রোপণ করতে। কিন্তু গত এক মাসে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৫০ মিলিমিটারের মতো। আর সেই কারণে অনেক জমি পতিত আছে। বৃষ্টির সময় এখনও রয়েছে। তবে কৃষকদের জমিতে সেচ দিয়ে ধান রোপণ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সেচ দিয়ে চাষ করতে কৃষকদের একটু খরচ বাড়বে। বৃষ্টি হলে তাদের জন্য কাজটি অনেক সহজ হতো। আর অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। তাই কৃষকদের নাবী জাতের বীজতলা তৈরি করতে বলা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। বৃষ্টি হলে এ অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে। -
পীরগঞ্জে বিনামূল্যে হাঁস মুরগি বিতরণ
পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে “পারিবারিক ভাবে হাঁস-মুরগি করলে,পালন অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও আমিষের চাহিদা হবে পূরণ” এই প্রতিবাদ্য কে সামনে রেখে ৫০ জন দুঃস্থ,অসচ্ছল পরিবারের মাঝে দুটি করে হাঁস-মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী ফেডারেশনের আয়োজনে বুধবার সকালে উপজেলার মিলন বাজার আদর্শ কেজি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পল্লী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব, ইউনেস্কো ক্লাব ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক এন এন রানা,পীরগঞ্জ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তারেক বাঁধন প্রমুখ্য,
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী, ইউপি সদস্য কেরামত (আমীন), অগ্রদূত পল্লী পাঠাগারের সভাপতি রিপন আলী সবুজ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে হাঁস-মুরগি পালনের ক্ষেত্রে রোগ বালাইয়ের বিষয়ে দিক নিদের্শনা মূলক আলোচনা করেন উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব।পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও
-
নড়াইলে নানা আয়োজনে এসএম সুলতানের জন্মবার্ষিকী পালিত
উজ্জ্বল রায়. নড়াইল থেকে:
নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে দিনটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এস এম সুলতান কমপ্লেক্স ( শিল্পীর নিজস্ব বাস ভবনে) কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফিরে দেখা সুলতান ভিডিওচিত্রের উদ্বোধন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, আর্ট ক্যাম্প ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত
জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নড়াইল জেলা প্রেসক্লাব, এস এম সুলতান আর্ট কলেজ, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মূর্ছনা সংগীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় শিল্পীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিশুদের অংশগ্রহনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো রিয়াজুল ইসলাম, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, এস এম সুলতান সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুন্ডু, নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আরেফিন রানা, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অনাদি বালা বৈরাগী, এস এম সুলতান চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের চেযারম্যান শেখ হানিফ সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর নড়াইলে প্রিয়জন্মভূমিতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।# -
জোয়ার ও বর্ষনে স্লুইজ ভেঙে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের , সমুদ্রের জেলেরা নিরাপদে।
পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি:
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিতা-টেংরা এলাকার হাজীরখাল এলাকার স্লুইজ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেশ কয়েকটি মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রচন্ড বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের পানির তোরে স্লুইজ এলাকার এই ঘেরগুলো তলিয়ে যায় বলে স্থানীয় এমাদুল হক বাদল দফাদার এবং হাফেজ মাসুম সহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।এছাড়াও উপকূলের বিভিন্ন স্থানের জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ থাকলেও বরগুনার পাথরঘাটার জেলেরা রয়েছেন নিরাপদে।
দাবী জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় তার সঙ্গে কথা হয় আমাদের এ প্রতিনিধির। এসময় তিনি বলেন, অন্যান্য এলাকার বেশ কজন জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ থাকলেও পাথরঘাটার জেলেরা রয়েছেন নিরাপদে। সমূদ্র উপকূলে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া এবং তিন নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গেই এখানকার মাছধরা ট্রলার ও জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছেন বলে জেলেট্রলার মালিকদের বরাত দিয়ে তিনি এখবর নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে পাথরঘাটার একজন গণমাধ্যমকর্মী তারিকুল ইসলাম রাকিব কাজী জানান, একটি ট্রলার নিখোঁজ এবং ওই ট্রলারের একজন জেলে উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। দুর্যোগপূর্ন বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তিনি সন্ধ্যায় এমন খবর পেয়ে যাত্রা করেছেন তিনি সেই খবর সংগ্রহে। তবে এরিপোর্ট তৈরি কালে বিস্তারিত আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আমি একটি জরুরী মিটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি তবে কোনো বেরিবাধ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কিংবা ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া যায়নি।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকছেদুল আলম বলেন,এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ডুবি কিংবা জোয়ারের জলে প্লাবিত হয়েছে এমন খবর আমরা পাইনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, মাছধরা জেলেদের নিখোঁজ কিংবা ট্রলার ডুবির কোনো খবর নাই তবে জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানি বৃদ্ধিতে কোথাও কোথাও ঘের তলিয়ে গেছে এমন কিছু বিচ্ছিন্ন খবর আছে।
অমল তালুকদার।।
-
ঈদগাঁওতে সাংবাদিক কে হত্যার হুমকি-চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি
মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁওর সাংবাদিক শেফাইল উদ্দিন কে হত্যার হুমকি দিয়েছে এক মাদক ব্যবসায়ী।
বুধবার ( ১০ আগষ্ট) এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। সাংবাদিক শেফাইল উদ্দিন ঈদগাঁও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঈদগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি।
জানা যায়, উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত খোকইন্না দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে আসছে এবং সে মদ গাঁজা সেবন করে এলাকার লোকজনকে গালি গালাজ করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সংবাদ কর্মী শেফাইল উদ্দিন এ সবের প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ধমকি দিচ্ছে এ মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় শেফাইল উদ্দিন থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। ডায়রী নং-৩৭২ ।
এ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী খোকন প্রকাশ খোকইন্নাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয়রা। -
মধুপুরে সাংবাদিক বাবুল রানাকে মারপিট থানায় অভিযোগ
আবদুল হামিদ।
মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র এলাকায় সাংবাদিক বাবুল রানাকে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় মধুপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা যায়, মঙ্গলবার( ৯ আগষ্ট) দুপুরে ডাক্তার দেখিয়ে সাংবাদিক বাবুল রানা ময়মনসিংহ থেকে ফেরার পথে জলছত্র ময়মনসিংহ রোড বন্ধ করে আনারস বিক্রি করতে আনা একটি অটো ভ্যান তার প্রাইভেট কারে লাগিয়ে দেয়।
এঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজন লোক তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মারতে থাকে পরবর্তীতে তার গাড়ির ড্রাইভার তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে অরণখোলা পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়।
জলছত্র আনারসের নিদিষ্ট বাজার থাকা সত্ত্বেও তারা টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কে ভ্যান দিয়ে জরুরি রোগী সহ জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক পথচারীকে প্রায় প্রতিদিনই তারা মারধর করছে বলেও জানা যায়। সাংবাদিক বাবুল রানা প্রেসক্লাব মধুপুরের সাধারন সম্পাদক।
এঘটনায় প্রেসক্লাব মধুপুরের সভাপতি আঃ হামিদ সহ সকল সাংবাদিকগন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সহিত জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। সন্ধায় মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন এর সহিত সাক্ষাত করলে সাংবাদিকদের জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ ঘটনার সহিত জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।