Category: দেশজুড়ে

  • পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে মাদক সহ বিক্রেতা আটক

    পাইকগাছা থানা পুলিশের অভিযানে মাদক সহ বিক্রেতা আটক

    পাইকগাছা (খুলনা)প্রতিনিধি।।পাইকগাছা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক সহ বিক্রেতাকে আটক করেছে। আটক ওই বিক্রেতাকে বৃহষ্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক রফিকুর ইসলাম জানান, উপজেলার রাডুলী ইউনিয়নের রাড়ুলী (০৩ নং ওয়ার্ড) প্রধান সড়কের পাশে মাদক বেচা কেনা হচ্ছে এমন সংবাদ পাই। এ সময় সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় অভিযান চালাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় রাড়ুলী ইউনিয়নের মৃত্যু বশির শেখের পুত্র আবুল শেখ (৬০) কে আটক করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজ বসতবাড়ীর দেওয়ালে বাহির পাশের চম্বল গাছের গোড়ায় পাতার নিচ হইতে নিজ হাতে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৪০ (চল্লিশ) গ্রাম গাঁজা বের করে দেয়। পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান আটক ব্যক্তি দীর্ঘদিন মাদক বিক্রি করে আসছিলো। সে মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখিয়া ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ৩৬(১) সারণি এর ১৯(ক) ধারায় অপরাধ করায় তার নামে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • আদালতের নির্দেশে ৩২ মাস পর পরিচয় উদ্ধার ঝিনাইদহ কারাগারে বিনা বিচারে আটক

    আদালতের নির্দেশে ৩২ মাস পর পরিচয় উদ্ধার ঝিনাইদহ কারাগারে বিনা বিচারে আটক

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহ কারাগারে বিনা বিচারে ৩২ মাস ধরে আটক থাকা অজ্ঞাত পরিচয় প্রতিবন্ধির অবশেষে পরিচয় মিলেছে। কোন অভিযোগ ছাড়া কারাগারে আটক ব্যক্তির নাম মৃণাল রায়। তিনি নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ চাওড়া গ্রামের যতিন্দ্র্র রাথ রায়ের বড় ছেলে। দৈনিক নবচিত্র পত্রিকায় এ নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়। বিনা বিচারে কারাগারে আটক থাকার বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এক আদেশ জারি করেন। নীলফামারি পুলিশ ও ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিস আটক ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধারে তদন্ত শুরু করেন। পরিচয় উদ্ধারের পর মৃনাল রায়ের পরিবার ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞ বিচারক নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে ফোনে কথা বলে অবিলম্বে আটক ব্যাক্তির পরিচয়ের সমর্থনে কাগজপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৃনালের মামা চিনেন্দ্র নাথ রায় নিলফামারী থানায় হাজির হয়ে নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আটক ব্যাক্তি তার হারিয়ে যাওয়া ভাগ্নে মৃণাল রায়। তিনি দাবীর সপক্ষে ভাগ্নের জন্ম নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দেন। মামা চিনেন্দ্র নাথ রায় আরো জানান, তার ভাগ্নে প্রায় ৬/৭ বছর যাবৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ। পরিবার বহু জায়গায় খুজেও তাকে পায়নি। ছেলে হারানোর শোকে ইতিমধ্যেই তার গর্ভধারিনী মা সুধা রায় মারা গেছেন। অসুস্থ বাবাও শয্যাশাযী। আদালত সুত্রে জানা গেছে, মৃনালের পরিবার উপযুক্ত কাগজপত্র দাখিল করলে যে কোন দিন সে মুক্তি পাবে। ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে পরিচয়হীন এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। একটি জিডির ভিত্তিতে এসআই মোহাম্মদ ইউনুচ আলী গাজী অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন জানান। আদালত জেলা কারাগারের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সেই ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে কারাগারেই রয়ে গেছেন মৃনাল রায়। জেল সুপার আরও জানান, বিষয়টি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের নজরে আসলে তিনি (বিচারক) স্বউদ্যোগে লোকটির আসল ঠিকানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ৩১ জুলাই অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ, কক্সবাজার, উখিয়া ভাসানচর থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছবি পাঠানোর নির্দেশ জারি করেন। একই আদেশে আটক লোকের সঠিক ঠিকানা খুঁজে পেতে নোয়াখালী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার ও এপিবিএন কমান্ডারদের নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা পরীক্ষা করাতে খুলনা মেডিকেলেও নেওয়া হয় লোকটিকে। ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার হাতের ছাপ গ্রহণ করে বাংলাদেশের নাগরিক কিনা তা যাচাই করা হয়। পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, দীর্ঘ দিন মানসিক প্রতিবন্ধী মিনালের জন্ম ১৯৮১ সালের ১১ আগস্ট।
    ঝিনাইহে অতিরিক্ত দামে পন্য বিক্রি ৬ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহে অতিরিক্ত দামে ডিম, তেল, সার ও মাংস বিক্রির অপরাধে ৬ টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নতুন হাটখোলা, হাটের রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। শহরের বিভিন্ন দোকানে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও তেল বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৬ টি দোকানে ১২ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেয় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জিয়াউল হক।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • স্বরূপকাঠিতে ইউএসএইড গোল্ডস্টারদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    স্বরূপকাঠিতে ইউএসএইড গোল্ডস্টারদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি //

    স্বরূপকাঠিতে ইউএসএইড মার্কেটিং ইউনোভেশনস ফর সাসটেইনেবল হেলথ্ ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট এসএমসি নতুনদিন কমিউনিটি মবিলাইজেশন কার্যক্রমেরর গোল্ড স্টারদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ১৭ই আগষ্ট বুধবার সকাল ১১ঘটিকায় তাদের অফিস কক্ষে গোল্ড স্টারদের এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন।এ সময় প্রধান অতিথি কনসার্নড উইমেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক
    পরিচালিত মার্কেটিং ইনোভেশনস্ ফর সাসটেইনেবল হেলথ ডেভেলপমেন্ট (এমআইএসএইচডি) এর আওতাধীন “নতুন দিন” প্রকল্পের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। জিএসএমদের মাসিক সম্বনয় সভায় অংশগ্রহন করা গোল্ডস্টারদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং পাশাপাশি প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জনগণের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব আনয়নে অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সামগ্রী ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করার বিষয় বর্তমান মাঠ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং তাদের কার্যক্রমের জন্য সন্তুষ্টি
    প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এর ধারারবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এ সময় উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাহাবুব আলম – পিওসিএম এসএমসি, মোঃ ইকরামুল হাসান -ডিপিএম সিডবিউএফডি, মোঃ মেহেদী হাসান সজীব-ডিটিএল সিডবিউএফডি, স্বপ্না
    দত্ত, এফএস সিডবিউএফডি এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরুপকাঠী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মোট ২২জন জিএসএম উপস্থিত ছিলেন।

  • হুমকিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ

    হুমকিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলী।। একটা সময় এ দেশের মানুষকে বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। সে সময় গ্রামাঞ্চলোর জলাশয়গুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বাড়িতে যদি ভাত নাও থাকত, তবুও মাছের কমতি ছিল না। অনেকের এমনও দিন গেছে যে, ভাত না খেয়ে শুধু মাছ খেয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। মৎস্য আহরণ ছিল সহজ ব্যাপার। সেই সময় প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। আজ আমরা এসব মাছ খুব বেশি দেখতে পাই না। যদিও কালেভদ্রে দেখা যায়, সেগুলোর অধিকাংশই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। ফলে দেশি মাছের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না।

    নদী মাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল-বিল-নালা, পুকুর ডোবা, হাওর-বাঁওড়, ধানক্ষেত, পানিবদ্ধ বিলগুলো হচ্ছে- দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রধানতম উৎস। এসব উৎস ধ্বংস, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার এবং নানাভাবে পরিবেশ দূষণের ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ট্যাংরা, টাকি, চান্দা, মহাশোল, সরপুঁটি, টাটকিনি, বাগাড়, রিটা, পাঙাশ আর চিতল এসব মিঠা পানির মাছের প্রজাতিগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে। গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ এখন আর বাজারে দেখা যায় না। বর্তমানে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪টি।
    গত কয়েক দশক ধরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয়গুলোর আয়তনে সংকোচন, নদী-নালা, খাল-বিল, ডোবার পানির অপরিমিত ব্যবহার, ডোবা-নালা ভরাট করা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকে পানির দূষণ এবং অপরিকল্পিতভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের সংখ্যা অনেক কমছে। গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে।

    বর্তমান প্রজন্ম আজ অনেক দেশি জাতের মাছের কথা ভুলে গেছে। তাদের সঙ্গে যখন দেশি মাছের কথা আলোচনা করা হয়, তখন তারা এমন ভাব করে যেন নামগুলো এই প্রথম শুনছে।
    এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে এই মাছগুলো বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে? আসলে এই মাছগুলো এমনি এমনি বিলুপ্ত হচ্ছে না, বরং বিলুপ্ত করা হচ্ছে। আজ আমরা অধিক ফলনের আশায় জমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করছি। এসব কীটনাশক বৃষ্টির পানির মাধ্যমে খাল ও বিলে গিয়ে পৌঁছায়। এর ফলে ওইসব খাল-বিলের মাছ মরে যায়। অন্যদিকে অনেক মাছ ডিম ফুটে বাচ্চা বের করার সময় আহরণ করা হচ্ছে। এর ফলে ওই মাছগুলো ডিমসহ ধরা পড়ছে। এভাবে মাছ ধরার কারণে অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় পোনা মাছ আহরণ করা হয়, যার ফলে ওই মাছগুলো নিশ্চিত বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। তাই মানুষকে এভাবে মাছ আহরণ থেকে বিরত রাখা সময়ের দাবি।

    দেশি মাছ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসা উচিত। ইতোমধ্যে কিছু দেশি প্রজাতির মাছ গবেষণার মাধ্যমে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা গেছে। অন্য যেসব মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, সেসবও রক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ আমাদের অন্যতম সম্পদ। পৃথিবীতে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ স্থান অধিকার করে আছি। এ ধারা ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে আমাদের দেশি প্রজাতির মাছের উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে বেশি। গবেষকরা এ ব্যাপারে অবদান রাখতে পারেন। সরকারকেও এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
    বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে ১০০র বেশি দেশীয় মাছ থাকলেও এখনো কোন মাছকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি আইইউসিএনের এ সংক্রান্ত নিয়মটি হচ্ছে, সর্বশেষ কোন একটি প্রজাতির মাছের দেখা পাবার পর পরবর্তী ২৫ বছরে যদি সেই প্রজাতির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন বলছিলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে নান্দিল নামে এক সময় একটি মাছ দেখা যেত, কিন্তু গত ২০ বছরে সেটির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ দেখা যায়নি। আবার সিলেট অঞ্চলের পিপলা শোল নামে একটি মাছ দেখা যেত, যা এখন আর দেখা যায় না। গত ১০ বছরে দেখা যায়নি এই মাছ। “দেখা যায়নি, কিন্তু তবু বিলুপ্ত ঘোষণা করার আগে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। “যদি এর মধ্যে বিপন্ন মাছেদের অস্তিত্বের ব্যপারে কোন তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে হয়ত আইইউসিএনের পরবর্তী জরিপে এগুলোর ব্যপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকতে পারে।”

    আইইউসিএনের ২০১৫ সালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণীতে মোট ৬৪ প্রজাতির মাছকে রেড লিস্ট বা লাল তালিকাভুক্ত করেছে, এর মানে হচ্ছে এসব প্রজাতির মাছ হয় প্রায় বিলুপ্ত, মহাবিপন্ন ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
    ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘আপডেটিং স্পেসিস রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রকল্পের অধীনে এই তালিকা করা হয়।
    এ সংক্রান্ত প্রথম জরিপটি হয়েছিল ২০০০ সালে, সে সময় ৫৪টি প্রজাতিকে রেড লিস্টভুক্ত করা হয়েছিল। জরিপে মূলত স্বাদু পানির এবং আধা লোনা পানির মাছকেই গণনায় ধরা হয়েছিল।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ঐ ‘রেড লিস্ট’ তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০। এর মধ্যে ২০১৫ সালে আইইউসিএন এর সর্বশেষ মূল্যায়নে ২৫৩ প্রজাতির মাছের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল।তাতে দেখা গেছে সময়ের বিবর্তনে যেসব মাছ বিলুপ্তপ্রায় তার বেশির ভাগই নদীর মাছ মানে স্বাদু পানির মাছ। তবে, ৩০০ প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্তত ৪০ প্রজাতির মাছের ব্যাপারে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থার কাছে হালনাগাদ কোন তথ্য নেই। আইইউসিএন কয়েকটি ভাগে মাছের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছিল। এর মধ্যে কিছু মাছ ক্রিটিক্যালি এনডেঞ্জারড বা প্রায় বিলুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ এগুলো সন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে সেগুলো অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

    বাংলাদেশে বিপন্ন মাছের মধ্যে রয়েছে—পাঙ্গাস, দারি, ককসা, টিলা বা হিরালু, টিলা ককসা, রানি বা বউ মাছ, বেতাঙ্গি, বেটি বা পুতুল মাছ, কালা বাটা, ঘর পোয়া, ঘর পইয়া, ঘোড়া মাছ, এলানগা, কচুয়া পুটি, বোল, চিতল, গজার, টেংরা, রিটা, গাঙ্গিনা বা চাকা মাছ, বট শিং, ঘাউড়া, সাল বাইম। এছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে বাও বাইম, চাপিলা, গুতুম, পুঁইয়া, পিয়াসি, জারুয়া বা উট্টি, ছেপ চেলা, গোফি চেলা, বাটা মাছ, নারু মাছ বা গনিয়া, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা, বেলে, শিং, আইড়, বোয়াল, তেলি, কুইচ্চা মাছ, বামোস মাছ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা বলছেন, মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে তিনি প্রথমেই জলাশয় কমে যাওয়াকে দায়ী করেন। “শহর ও গ্রাম দুইখানেই নদী-খালসহ সব ধরণের জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কমার সঙ্গে দিনে দিনে কমছে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণও। “কেবল দেশী জাত ও স্বাদের মাছই নয়, এর সঙ্গে কচ্ছপসহ নানা ধরণের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।” সেই সঙ্গে রয়েছে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে। এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আছে কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলা হয়, তার ফলেও মাছ মরে যায়, বলেন মিজ ফাতেমা। এর সঙ্গে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, বাংলাদেশ মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশী মাছের চাষের কারণেও দেশী প্রজাতির মাছ কমে গেছে।
    দেশের বাজারে এক সময় দেশীয় চাষের মাছের আধিক্য দেখা যেতো। “ধরুন এখানে তেলাপিয়া, কার্পজাতীয় মাছ আনা হয়েছে, আবার এক সময় আফ্রিকান মাগুর আনা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে আনা হলো পিরানহা–এগুলো দেশী মাছের খাবার ও বাসস্থল দখল করতো। অনেক সময় দেশী মাছ খেয়ে ফেলতো কোন কোন বিদেশী প্রজাতি।” যদিও পরে আফ্রিকান মাগুরের চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু তারপরেও বিদেশী মাছের প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে অনেক মাছ কমে গেছে। বাংলাদেশে দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছের হার কমে যাবার প্রেক্ষাপটে গত দুই দশকে কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে মাছের সরবারহ বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর সাড়ে ৪২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

    মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক মানুষ এর মধ্যে নদী, বিল ও হাওরসহ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে ২৫ শতাংশ, পুকুর, ডোবার মত বদ্ধ জলাশয় থেকে ৫৭ শতাংশ এবং বাকি অংশ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়। বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের কর্মকর্তা বলরাম মহালদার জানিয়েছেন, কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে বাজারে চাহিদা আছে এমন মাছই বেড়েছে। “কিন্তু বাজারে চাহিদা কম এমন মাছ তো চাষ করছে না কেউ, ফলে সেগুলোর অস্তিত্ব সংকট আগের মতই থাকছে। যেমন খলিশা, চাপিলা, মেনি, ফলি, বাও বাইম, গুতুম, কুইচ্চা মাছ, বামোস ইত্যাদি ধরণের মাছ দেখতে পাবেন না।”

    “এখন বাজারে পাবদা বা গুলশা মাছ বা পাঙ্গাস পাবেন আপনি, সেগুলোর চাহিদা আছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হলে, বিপন্ন মাছের ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।” তবে ফসলি জমি নষ্ট করে দেশে মাছ চাষ করা নিয়ে পরিবেশবাদীদের এক ধরণের বিরোধিতাও রয়েছে।

    তাদের পরামর্শ বিদ্যমান নদী ও পুকুরগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যদিও এখন কৈ, শিং, পাবদা, মাগুর, সর পুটি, চিতলসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির মাছ সহজলভ্য হয়েছে, কিন্তু সেই সব মাছের স্বাদ আগের মত নয়।

    বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে ‘প্রায় নেই’ হয়ে গেছে। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন বলছে, এর মধ্যে ‘প্রায় বিলুপ্ত’ হবার পথে বাঘাইর, পিপলা শোল বা বাক্কা মাছ, মহাশোল, নান্দিলা মাছ, চান্দা, ভাঙ্গান বাটা, খরকি মাছ, কালো পাবদা, চেনুয়া মাছসহ বেশ কিছু মাছ রয়েছে।

    ময়মনসিংহে বাংলাদেশের একমাত্র মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক মোস্তফা আলী রেজা হোসেন জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। “আইইউসিএন বাংলাদেশের বিপন্ন প্রাণীর তালিকা করার জন্য দুটি জরিপ চালিয়েছিল, ২০০০ সালে প্রথম জরিপে ৫৪ প্রজাতির মাছ বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে সর্বশেষ জরিপে তাতে আরো ৬৪ প্রজাতির মাছ যুক্ত হয়।”

    এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছর পর মাছের প্রচন্ড আকাল দেখা দেবে।
    সাধারণত জৈষ্ঠ মাসের মধ্য থেকে শ্রাবণ মাসের মধ্য পর্যন্ত সকল প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। জৈষ্ঠ মাসের মধ্যকালে প্রথম বৃষ্টির পর থেকেই এসকল সাদুপানির মাছ ডিম ছাড়া শুরু করে। যা চলে শ্রাবণ মাসের মধ্য পর্যন্ত। বৃষ্টির পরপরই যখন বিভিন্ন জলাশয়গুলো পানিতে ভরে যায়, তখন নদ-নদী, খাল-বিল-নালা, হাওড়-বাওড়, ধান ক্ষেতসহ জলাবদ্ধ বিলগুলো জলাজমির সাথে মিশে যায় এবং তখন মুক্ত জলায়শয়ে থেকে ছড়িয়ে যায় মাগুর, শিং, কৈ, টাকী, শৈল, গজাল, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, সরপুঁটি, খলিসা, মলা, বাইন, বোয়াল, গলদা চিংড়ি মাছ। আর তখনই স্থানীয় জনগণ অনুমোদিত ঝাকি জাল, চর পাটা জাল, বেবদি জাল, কারেন্ট জাল, চাইঁ, বরশি, টোটা, কোচ, বর্সাসহ বিভিন্ন রকম হাতে বানানো ফাঁদ পেতে মাগুর, শিং, কৈ, টাকী, শৈল, গজাল, পাবদা, টৈংরা, পুঁটি, সরপুঁটি, খলিসা, মলা, বাইন, বোয়াল, গলদা চিংড়ি এসকল প্রজাতির মাছ নিধন করতে থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশ থাকে ডিম ছাড়ার পর্যায়ের ‘মা মাছ’। এসব মা মাছ দেদারসে মারার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ব্যহত হচ্ছে এবং দিন দিন কমে যাচ্ছে।
    তবে এর বিপরীত চিত্র রয়েছে মৎস্য চাষে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, পুকুর ডোবা বা বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য চাষে গত এক দশকে বিপ্লব ঘটেছে। গত এক দশকে কৃষিপণ্য হিসেবে মাছের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রায় বিলুপ্তির মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যাও এখন বাড়ছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলেন, দেশীয় মাছের অনেক প্রজাতি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এর জন্য প্রধানত দায়ী হচ্ছে দেশীয় মাছের উৎস নদী-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয় কমে যাওয়া। শহর- গ্রাম সবখানেই নদী-খালসহ সব ধরনের জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কমার সঙ্গে দিনে দিনে কমছে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণও। কেবল দেশী জাত ও স্বাদের মাছই নয়, এর সঙ্গে কচ্ছপসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে।

    দ্বিতীয়ত কারণ হচ্ছে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল-বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে। এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে মিশে এর ফলেও মাছ মরে যায়। এর সঙ্গে রয়েছে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা।

  • অজ্ঞানপার্টির কবলে বাসযাত্রী

    অজ্ঞানপার্টির কবলে বাসযাত্রী

    পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় ঢাকা থেকে আগত ইসলাম পরিবহনের একটি বাসে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে।

    বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ওই অচেতন লোকটিকে পাথরঘাটা বাসষ্ট্যান্ডে পাওয়া যায়। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকাথেকে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইসলাম পরিবহন রাতের কোনো এক সময় এখানে পৌছে এবং অচেতন ওই বাসযাত্রীকে ফেলে রেখে তারা আবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

    পাথরঘাটার ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় রাজু খান এবং অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় ওইব্যক্তিকে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাসের ওই যাত্রীর কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি।ধারনা করা হচ্ছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার সঙ্গে থাকা সবকিছু নিয়ে পালিয়ে গেছে।

    সর্বশেষ দুপুরে এরিপোর্ট তৈরীকালে তার চিকিৎসা চলছিল। তার জ্ঞান ফিরে আসলেই হয়তো জানা যাবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য #

    অমল তালুকদার।

  • ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে র‍্যালি ও শোভাযাত্রা

    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে র‍্যালি ও শোভাযাত্রা

    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বৃহস্পতিবার দূপুরে পীরগঞ্জ কলেজ হাট দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গন হতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে র‍্যালি বের করে পীরগঞ্জ পূজা কমিটির আয়োজনে।শোভাযাত্রাটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীণ করে।

    শোভাযাত্রায় উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল কুমার শীল, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতুল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক গোপী কৃষ্ণ রায়,সহ সভাপতি সাংবাদিক বিষ্ণুপদ রায় সহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ভক্ত বৃন্দ অংশ নেয়।
    শোভাযাত্রা শেষে পূজা আর্চনা, কীর্তন, প্রদাস বিতরন সহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়।

  • খাগড়াছড়িতে আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল

    খাগড়াছড়িতে আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল

    (খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি)

    খাগড়াছড়িতে আজ ১৮ আগস্ট কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত এ কর্মসূচীতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ২৯৮নং সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সম্মানিত বিশেষ অতিথি সহসভাপতি রণবিক্রম ত্রিপুরা তাতু এবং বিশেষ অতিথি সহসভাপতি কল্যাণমিত্র বড়ুয়া, সহসভাপতি মনির খান, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও খাপাজেপ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, উপ প্রচার সম্পাদক নুরল আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামিম, সদস্য নুরুল্লাহ হিরু এডভোকেট, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায় দাশ এডভোকেট, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ, জেলা কৃষকলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদকগণ ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল বাহার ও সাধারণ সম্পাদক মংসাপ্রু মারমা, সাবেক সভাপতি টিকো চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব মহিলা নেত্রী অঞ্জলী ত্রিপুরা, লেখি চাকমা, বেনুকা ত্রিপুরা, বিউটি চৌধুরী, মুন্না চাকমা, মরিউম বেগম, নেন্সি মারমা, লিজা রানী ত্রিপুরা, বর্ষা ত্রিপুরা, টুনটুনি ত্রিপুরা(পাখি), বিনা ত্রিপুরা, তিশা ত্রিপুরা ও অনেক সমর্থকবৃন্দসহ মিডিয়া কর্মী।

    জেলা টাউনহল প্রাঙ্গনে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

  • বইলর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যোগ শোক দিবসের আলোচনা সভা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বইলর ইউনিয়ন আ’লীগের উদ্যোগ শোক দিবসের আলোচনা সভা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
    ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রিশাল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ১৮ই আগষ্ট বিকালে স্থানীয় বইলর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসনের জাতীয় সাংসদ সদস্য ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. জালাল উদ্দিন খান, ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব আবুল কালাম মোঃ শামছুদ্দিন মহোদয়, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জননেতা ইকবাল হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এ এন এম শোভা মিয়া আকন্দ,আশরাফুল ইসলাম, সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
    বইলর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তরুণ রাজনীতিবিধ খন্দকার মশিউর রহমান শাহানশাহ এর সার্বিক সহযোগীতায় আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে
    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির মন্ডল এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে
    বক্তব্য রাখেন- উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির আকন্দ,ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ,
    সাখুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল নয়ন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল,আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত হোসেন বাবুল,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আশিকুল ইসলাম লিটনসহ ত্রিশাল উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ও সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।পরে মিলাদ ও দোয়া শেষে উপস্থিত জনতার মাঝে গণভোজ বিতরণ করা হয়।

  • কাঁঠালের যুবনেতা হেলালকে আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    কাঁঠালের যুবনেতা হেলালকে আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    দীর্ঘ প্রায় ১৯বছর পর গত ২১শে জুলাই সম্পন্ন হয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে আবুল কালাম মোঃ শামসুদ্দিন কে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।এবার দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে। ইতিমধ্যে পদ প্রত্যাশিতরা লবিং-গ্রুপিং এ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

    এদিকে উপজেলা কাঁঠাল আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নজুরে বইছে উৎসবের আমেজ। চলছে ব্যানার,ফেষ্টুন ও তোরণ নির্মাণ। যত দিন ততই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের মাঝে নেতৃত্ব নির্ধারণে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কে হচ্ছেন? কাঁঠাল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী ও সক্রিয় করতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ানকে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসাতে চান তৃণমূল নেতাকর্মীগণ। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আত্ম প্রকাশ করেছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থী হিসেবে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান। ছাত্রজীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি , সামাজিক ও ক্রীড়া সংঘঠনের সফল ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছেন সামনের সাড়িতে। তৎকালীন জোট সরকারের সময়ে বিভিন্ন নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান।

    বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কাঁঠাল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পদে সফলতার সাথে দ্বায়িত পালন করছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি অন্যান্যদের চেয়ে কম নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে সততা ও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। সামাজিক ভাবে তিনি ইউনিয়নের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে পেশায় তিনি একজন ১ম শ্রেণির সরকারি ঠিকাদার।

    কাঁঠাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান কে নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আলোচনার ঝড়। প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে তার জনপ্রিয়তা ও সমর্থক গোষ্টী। পাশাপাশি প্রচারনায় রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্ধ। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর মাপকাঠিতে মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নেতাকর্মীদের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা চাই একজন যোগ্যপ্রার্থী, সৎ ও কর্মঠ এবং ভাল মানুষ, যার মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। মাদক ও নেশা মুক্ত সমাজ গঠিত হবে। মাদক,ইভটিজিং, সন্ত্রাস মুক্ত, আধুনিক কাঁঠাল ইউনিয়ন গঠন হবে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হবে। এমন প্রত্যাশায় সম্মেলনের দিন গুনছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

  • বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দছিজল হক (৬২) নামের এক ভূক্তভোগী। সে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।
    বৃহস্পতিবার আগস্ট দুপুরে সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, বার-বার মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমারা পৈতৃকমূলে ৭ বিঘা ২ শতাংশ জমি পাই। ১৯৭৬ সালে আমার বাবা আজিম উদ্দিন সকল সম্পত্তি আমার জেঠাতো ভাই মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল ওরফে পিশাচ (৮০)কে বর্গা দিয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় যায়। পরে ১৯৭৭ সালে আমার বাবা আজিম উদ্দিন সেখানে মারা যান। বাবা বেঁচে থাকাকালিন সময়ে জলিল জমির ফসলের ভাগ দিতেন। এরপর ১৯৮৫ সালে আমরা দশ ভাই-বোন পৈতৃক ভিটায় এসে জমি ফেরত চাইলে জলিল পিশাচ জমি কিনেছেন বলে জানান। এ অবস্থায় জমির দলিল দেখতে চাইলে তিনি হুমকিসহ মারধরের চেষ্টা চালালে আমরা নিরুপায় হয়ে ১৯৮৯ সালে স্বপরিবারে আবারও ঢাকায় যাই। এই সুযোগে আমাদের বসত ভিটার ঘরসহ আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে জলিল মিয়া হলুদ চাষসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করে। বিষয়টি জানার পর আমরা ঢাকা থেকে আসলে আমাদেরকে পৈতৃক ভিটায় উঠতে দেয়নি। এমতাবস্থায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থেকে জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর একপর্যায়ে ২০২১ সালে ওই জমিতে থাকা আমার স্ত্রীসহ পাঁচজনের কবর সরাতে চাপ দেন জলিল পিচাশ। তখন উভয়ের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংঙ্কা দেখা দিলে গ্রামবাসীর উদ্যোগে গত ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর একটি শালিশ হয়। এতে জলিল কোন প্রকার কাগজ দেখাতে না পেরে এক মাসের সময় নিয়ে ছলচাতুরির মাধ্যমে ১২ অক্টোবর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় বসত ভিটার ৭৫ শতাংশ জমির উপর গোপনে মামলা করেন। মামলার নথিপত্র তুলে দেখা যায় অন্যের জমির কাগজপত্র দিয়ে মামলা করেছে। পরে মামলার বিষয়টি সালিশী বৈঠকে জানানো হলে ৪ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়াসহ এলাকাবাসী জমি পরিমাপ করে বসত বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি বুঝে দেন। এরপর টিনের চালা উত্তোলন করলে সেই রাতেই প্রতিপক্ষ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমরা বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ গিয়ে তা ভেঙ্গে দেয়। বাধ্য হয়ে আমরা ১৬০ শতাংশ আবাদি জমি দখলে নিয়ে সরিষার আবাদ করি। এরপর ওই জমির ওপর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করেন জলিল পিচাশ। পরে জলিল পিশাচ আবারও চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সমস্ত জমির ওপর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। এছাড়া জমিতে লাগানো ধানের চারা উবরে ফেলার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীসহ প্রতিহত করে জলিল পিশাচসহ ১১জনকে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করি। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল থানার এসআই রাশেদ একটি সালিশী বৈঠক করেন। এতে জলিল পিশাচ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তিনি আমাদেরকে ধান কাটার অনুমতি দেয়। আমরা ধান কাটতে গেলে তারা আমাদেরকে মারপিট করলে আমিসহ চারজন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। এঘটনায় চলতি বছরের ২ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। জলিল মিয়াও পাল্টা মামলা করেন। এছাড়া জলিল মিয়া গত ৪ আগস্ট ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় আরও একটি মামলা করেন। ১৪ আগস্ট ভাঙচুরের অভিযোগ এনেও মামলা করেন। জলিল পিশাচ বারংবার মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানী করায় আমরা পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জলিল পিশাচ, তার স্বজন ও পুলিশী হয়রানী থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার মেয়ে জাহানারা বেগম, জামাতা জাহেদুল ইসলাম ও ছোটবোন নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।