Category: দেশজুড়ে

  • ঘরে বসেই থানায় জিডি করা যাবে

    ঘরে বসেই থানায় জিডি করা যাবে

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    সরকারের ভিশন-২০২১ এর দীর্ঘমেয়াদি ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে প্রতিটি থানায় ২০২১ সালের মধ্যে ইলেকট্রনিক এফআইআর ও জিডি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

    তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২১-জুন) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। এ দিন বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনলাইন জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। অনলাইন জিডি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি থানা ও তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সার্কেল, জোন কিংবা জেলা বা মেট্রো ইউনিটসহ সকল পর্যায়ে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষিত করার প্রক্রিয়া চলমান ।

    উদ্বোধনের পর থেকে সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড় জেলার মানুষ অনলাইন জিডি’র সুবিধা ভোগ করেছে ।অনলাইনে জিডি করার ফলে সময় ও অর্থ দুই সাশ্রয় হচ্ছে ।

    এখন মানুষ জিডি করতে থানায় আসার পরিবর্তে বাড়িতে অবস্থান করে থানায় জিডি করতে পারছে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধনের পর থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেক কমেছে । এখন জিডি কাউকে কষ্ট করে থানায় আসতে হয় না । ঘরে বসেই একটা এন্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে যেকোনো থানায় জিডি করতে পারে । যাদের এন্ড্রয়েড ফোন নেই তারা নিকটবর্তী কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে খুব সহজেই থানায় জিডি করতে পারবে । অনলাইন জিডি অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারে ভুক্তভোগী । জিডি করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তার মোবাইলে এসএমএস যাবে । যেই এসআই বিষয়টি তদন্ত করবেন তার নাম ফোন নম্বর থাকবে ।

    ভুক্তভোগী প্রয়োজন হলে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে জিডির কপি তুলতে পারবেন । বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে প্রতিরোধ মূলক পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করেছে ।প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের কারণে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা পুলিশের অর্জন করা মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে উল্লেখ করছেন তিনি । বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুবিধাভোগী

  • ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের কালো পতাকা মিছিল

    ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগের কালো পতাকা মিছিল

    ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের বিচারের দাবিতে কালো পাতাকা মিছিল করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ।

    ২১ আগস্ট রবিবার বেলা ১১ টার সময় লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই কালো পতাকা মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

    এসময় বক্তারা, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট তৎকালিন বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যা চেষ্টা এবং ২১ জন নেতাকর্মী হত্যাকারি তারেক রহমান সহ সকলকে অবিলম্বে আইনের আওয়াতায় এনে বিচার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান।

    সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাদত হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মহসিন কবির সাগর প্রমূখ।

  • ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আগৈলঝাড়ায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আগৈলঝাড়ায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ২১ আগস্ট রবিবার সকাল এগারোটায় উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি শেষে পুণরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত।
    তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যেশ্যে জামাত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় তারেক জিয়ার নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১আগষ্ট সন্ত্রাস বিরোধী সভা মঞ্চে বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ ও প্রিয় নেত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে বোমার প্লিল্টারে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
    বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়,ভাইস চেয়ারম্যান
    রফিকুল ইসলাম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার, ইলিয়াস তালুকদার, বিপুল দাস, শফিকুল হোসেন টিটু,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফিরোজ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী সেরনিয়াবাত, শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার দাড়িয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ সাইদুল সরদার, সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ মন্ডল, ছাত্রলীগ সভাপতি মিন্টু সেরনিয়াবাত, সিনিয়র সহ-সভাপতি উজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাকির পাইকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

  • রহস্যময় ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আটক শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম তৃণমুলে ক্ষোভ

    রহস্যময় ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আটক শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম তৃণমুলে ক্ষোভ

    কেএম শহীদুল ইসসলাম:
    জাতীয় শ্রমিকলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সদস্য সেলিম আহমেদকে যুবদল নেতার একটি পুরনো চাঁদাবাজী মামলায় ইস্যু করে সন্দেহ ভাজন আসামি করে গত ১৬ আগস্ট গ্রেফতার করে পুলিশ। অথচ এই মামলায় বাদি নিজেও শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিমের বিরদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি। মামলায় ৭জন আসামির নাম উল্লেখকরে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা হয়েছিলো অনেক আগেই।
    গত ১৫ আগস্ট তাহিরপুরে সেলিমের নেতৃত্বে বিশাল শোকসভা আয়োজনের পর ১৬ আগস্ট তাকে যুবদল নেতার দায়ের করা ঐমামলায় আসামি না হলেও রহস্যময় ভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেলিম আহমেদকে আটকের পরথেকেই জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম থেকে শুরুকরে তৃণমূল মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই নেতার আটক মেনে নিতে পারছেননা তৃণমূল মানুষেরা। কিভাবে একজন যুবদল নেতার মামলায় জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জেল হাজতে সেই রহস্যময় ভাবনা থেকেই যায়? তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই তারা বলছেন, সেলিম আহমেদ আপাদকমস্তক একজন রাজনীতিবিদ ও মানবিক ব্যক্তিত্ব ও দানবীর সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন এমনটি প্রকাশ পায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
    অনুসঁন্ধানে সম্প্রতি ১৫ আগস্ট তাহিরপুর উপজেলায় শোকসভা আয়োজন নিয়ে বিরোধ চলছিলো স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ২পক্ষের মধ্যে। একপক্ষে ছিলেন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কমিটির ৪৭ সদস্য কর্তৃক সাংগঠনিকভাবে বহিস্কৃত দুই নেতা। তাদের সঙ্গে সভায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। আর অন্য পক্ষে সেলিম ছিলেন তাহিরপুর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সদস্যদের পক্ষে। যারা দলকে সংগঠিত করতে দুই নেতাকে বহিস্কার করেছিলেন।
    ১৫ আগস্ট তাহিরপুরের বাজার নিকটবর্তী এলাকায় সভার আয়োজন করে দুই পক্ষই। এসময় সেলিমের নেতৃত্বাধীন সভায় কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিলো। অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিতি থাকার পরেও সভায় লোকজন কম থাকায় এবং সেলিমের সভায় লোকজন বেশি থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনায় আসেন সেলিম এমনটি প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক ফেইসবুকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
    এমপির চেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি হয়ে যাওয়ায় সেলিমকে পরদিনই আটক করা হয় বলে অভিযোগ তাহিরপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা ও স্থানীয় মানুষদের।
    এসব ছাড়াও শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম জেলার অন্যতম ব্যবসায়ী হওয়ায় তাকে নানাভাবে ব্যবসায় অংশিদারিত্ব চেয়ে হয়রানি করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। সরকারকে ৩২ কোটির ও বেশি টাকা রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন সেলিম তিনি প্রতিবছর সরকারকে কোটি টাকা আয়কর দিয়ে থাকেন। তাকে বিপদে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র। আওয়ামী লীগের জেলার শীর্ষ পদে থাকা এক নেতাও তারসঙ্গে কাজ না করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন সেলিমের ব্যপারে। সব মিলিয়ে চক্রান্ত বা বিরোধ চলে আসছিলো লোকচক্ষুর আড়ালেই। পাশাপাশি বখত্ পরিবারের জামাতা হিসেবেও এই পরিবারকে হেও প্রতিপন্ন করার অংশ হিসেবে সেলিমের দিকে নজর ছিলো রাজনৈতিক কুটকৌশলকারীদের। বিপরিতে ন¤্র স্বভাবের ক্লীন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সেলিম বুঝতে পারেননি তার জন্য অপেক্ষা করেছিল এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যা মামলার বাদি যুবদল নেতা অলি নিজেও জানেনা।
    ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকসভা সফল হওয়ায় ১৬ আগষ্ট সকাল ৮টা সেলিমের জন্য ছিলো রহস্যময় ষড়যন্ত্রের ভেড়াজাল। সকাল ৮টার আগে থেকেই সেলিমের হাসন নগরস্থ ময়নার পয়েন্ট এলাকার বাসার সামনে অবস্থান নেয় গোয়েন্দারা। অনেকটা ফিল্মি কায়দা পরিচালনা করে পুলিশ সদস্যরা।
    মামলায় তার নাম উল্লেখ না থাকলেও তাকে থানায় যেতে আহ্বান করে পুলিশ। সেলিম নিজের গাড়িতে করেই থানায় রওনা করেন। পরিবারের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের বিভিন্ন উন্নয়ণ কর্মকান্ডে সহযোগিতা করতেন সেলিম, সে ধারণা থেকেই হয়তো নতুন কোন কারনে সহযোগিতার প্রয়োজন ভেবে সেলিম থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাকে আটক দেখায় পুলিশের ডিবি সদস্যরা।
    কারো মামলায় উল্লেখিত অপরাধী না হলেও তাকে আটকের খবর জানাজানি হলে পুরো শহরে নিন্দার ঝড় বইতে থাকে। পরে তাকে যুবদল নেতার করা পুরনো ১০লাখ টাকা চাঁদাবাজীর মামলায় সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। যে ব্যক্তি এবারের বন্যায় কোটি টাকা অসহায় মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছে সে কি করে ১০লাখ টাকা চাদাঁবাজী করবে? সঙ্গে সঙ্গেই তাকে কোর্টে চালানও করে দেওয়া হয়। ঐদিনই ১০ দিনের রিমান্ডও আবেদন করে পুলিশ। এসময় আদালতের আইনজীবীদের সবাই সেলিমের পক্ষে ন্যয় বিচার চাইলে আদালত পরদিন এই শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এবং পরদিন শুনানির সময় বাদি পক্ষে কোন আইনজীবি দাড়াননি? সকল আইনজীবিরা একযোগে সেলিমের পক্ষে ন্যয় বিচার চান আদালতে। পুলিশ এসময় তার বিরদ্ধে আনা অভিযোগের কোন প্রমাণ না দেখাতে পারায় “ সোর্সের বরাতে তাকে আনা হয়েছে” বলে উল্লেখ করে। এসময় আদালত পুলিশের চাওয়া রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেননি, তবে সেলিমকে জেল গেইটে ঘটনার ব্যপারে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে বলে আদেশ দেন।
    এ অবস্থায় সেলিমকে রাজনৈতিকভাবে বিপদে ফেলার জন্য অপকৌশলের মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাহিরপুরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও।
    তাহিরপুরের ছাত্রলীগ একনেতা বলেন এলাকার আওয়ামী লীগের মাঝে অনেকদিন ধরেই নানা কোন্দল ছিলো, সেলিম ভাই এই সমস্যা দুর করে সম্প্রতি তাদেরকে নিয়ে দলকে কর্মচঞ্চল করে তোলেছিলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে একটা পক্ষ, তাকে এখান থেকে সরাতেই চক্রান্ত চলছিলো, ১৫ আগষ্টের শোকসভাতে উনার সভায় বেশি মানুষ হওয়ায় অন্য পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়, এইটাতে এমপিও ছিলেন, এখন সেলিম ভাইর এই অবস্থার জন্য বুঝাই যাচ্ছে যে এটা পরিকল্পিত ঘটনা।
    সুনামগঞ্জ জেলার সচেতন মহল বলছেন, সুনামগঞ্জের রাজনীতি দিন দিন যে কত খারাপ হচ্ছে আফসোস ভালো মানুষরা রাজনীতি ছেড়ে দিবে। তবে তাহিরপুরে স্মরণকালের শোক সমাবেশ করে অনেকের ‘বদ নজরে’ পড়েছে সেলিম।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শহরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ক্ষমতাশীন দলের একজন জনপ্রিয় নেতাকে এভাবে শোকের মাসে ‘হাওয়াই মামলায়’ জড়ানোয় আওয়ামী লীগের জন্য ঠিক হয়নি।

    এছাড়াও যে ৩২ কোটি টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে যাদুকাটা ইজারার নিয়েছেন, সে কিভাবে ১০লাখ টাকার চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলার আসামি হন? বরং যারা যাদুকাটায় বিনা পয়সার ভাগিদার না করায় ক্ষুব্ধ তাদের ষড়যন্ত্রে আজ তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। একজন যুব দল নেতার দায়ের করা মামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমেদকে ষড়যন্ত্র করে জড়ানো হয়েছে বলে ধারণা তৃণমূল মানুষের। তাদের দাবী আদালত সেলিমকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি দিবেন এমটি প্রত্যাশা তৃণমুল মানুষের।##

  • চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস  উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক জঘন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৭ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।

    শনিবার ২০ আগস্ট যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইপিজেড থানা চট্রগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে সিইপিজেড বে-শপিং সেন্টারের সামনে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল।

    ইপিজেড থানা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও,শেখ ফরিদ রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিকলীগ,সভাপতি মোঃবখতিয়ার উদিন
    অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন এরপর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
    আলোচনাসভায় উপস্থিত থেকে প্রদান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মোঃআকাতার উদীন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,হাজী হারুনুর রশিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্বায়ক ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগ,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,হাজী মোহাম্মদ জিউয়াল হক সুমন, ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, (চসিক) ও বোর্ড সদস্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ,বাবু প্রবীর দাশ,মোহাম্মদ নুর কবির ইপিজেড থানার যুগ্ন আহবায়ক
    ,
    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সদস্য লিটন মাহামুদ, তুহিন মোহাম্মদ কায়েস, মোঃ সোহাগ গাজী, মোঃমিজানুর রহমান,মোঃ রুমন সহ আরও অনেক সহযোগী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

  • জাতীয় নির্বাচন আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত ও জাতীয় চক্রান্ত চলছে- এমপি বাহার

    জাতীয় নির্বাচন আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত ও জাতীয় চক্রান্ত চলছে- এমপি বাহার

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    কুমিল্লা ,২১ আগষ্ট ২০২২
    কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহা উদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন-সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চক্রান্ত চলছে। আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত ও জাতীয় চক্রান্ত চলছে। যেমনি ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের সমর্থন করে নাই ,সেই আন্তজার্তিক গোষ্ঠি তাদের নিজস্ব দালালেরা ৭৫রে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ও ২১শে গ্রেনেড হামলা করেছিলো ।আজকেও তারা সেই কাজ করতে চায়। শেখহাসিনা মানুষের রাজনীতি ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাই সকলকে মানুষের মঙ্গলে কাজ করার আহবান জানান।
    রোববার বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মুক্ত মঞ্চে মহানগর আওয়ামীলীগ ও আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ,তারঁ সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ২১আগষ্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে গণজমায়েতে প্রধান অতিথিন বক্তব্য কালে তিনি এসব কথা বলেন।
    গণজমায়েত অন্যন্যের বক্তৃব্য রাখেন-জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড.জহিরুইসলাম সেলিম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল বাসার,যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল, ভাইসচেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের রসাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম জুয়েলসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ।
    এর আগে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে নগরের ২৭টিওয়ার্ড থেকে মহানগর আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ,যুবমহিলালীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে টাউনহল মাঠে গণজামায়াতের যোগ দেন।
    এছাড়াও কুমিল্লায় দিনব্যাপী আলোচনাসভা ,দোয়া মোনাজাত, গণজামায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালিত হয়েছে।

  • কুমিল্লার ধর্মপুরে ২১ আগস্টে হামলার প্রতিবাদে   মিছিলে  আসতে বাঁধা দেওয়া  ইউপি মেম্বারের মটর সাইকেল পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্দ কর্মীরা

    কুমিল্লার ধর্মপুরে ২১ আগস্টে হামলার প্রতিবাদে মিছিলে আসতে বাঁধা দেওয়া ইউপি মেম্বারের মটর সাইকেল পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্দ কর্মীরা

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    ২১ আগস্টের মিছিলে আসার পথ এক কর্মীকে বাঁধা দেওয়ায় বিক্ষুব্দ কর্মীরা ধাওয়া করে ইউপি মেম্বারের মটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে কুমিল্লা শহরতলীর দূর্গাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর বর্ষপূর্তিতে রবিবার বিকাল ৩টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে এক গনজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি রয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। বেলা আড়াইটার দিকে গণজমায়েতে যোগ দিতে ধর্মপুর ডিগ্রী কলেজ রোডের উত্তর প্রান্তে জড়ো হচ্ছিল ধর্মপুর এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী। ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা দূর্গাপুর ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়া বাড়ি থেকে মিছিলে যোগ দিতে আসার পথে ডিগ্রী কলেজের সামনে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুল হান্নান সোহেল তাকে গতিরোধ করে মারধর করে। খবর পেয়ে ডিগ্রী কলেজ রোডের উত্তর প্রান্তে অবস্থান নেওয়া কর্মীরা ছুটে আসে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম চপল ও ফখরুল ইসলাম রুবেল মেম্বারের নেতৃত্বে ইউপি মেম্বার আবদুল হান্নান সোহেল অনুসারীদের দাওয়া করে। এসময় গুলি বর্ষনের ঘটনাও ঘটে। দাওয়া খেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্দ কর্মীরা ইউপি মেম্বার সোহেলের মটর সাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। বিক্ষুব্দ কর্মীদের হামলায় সোহেল অনুসারী আতিক ,শহীদ সহ ৪ জন আহত হয়। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

    এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম চপল জানান, ইউপি মেম্বার সোহেল সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক গ্রুপের লোক। ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে হাজী বাহার এমপির টাউন হলে ডাকা গনজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলে আসার পথে আওয়ামী লীগ কর্মী আবুল বাসারের উপর হামলা করে ইউপি মেম্বার সোহেল। খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা দাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্দ কর্মীরা তার মটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

    এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান সোহেলের মোবাইলে বারবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
    কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান জানান, ধর্মপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

  • তানোরে যুবলীগের প্রতিবাদ সভা

    তানোরে যুবলীগের প্রতিবাদ সভা

    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
    রাজশাহীর তানোরে উপজেলা
    আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে রক্তাক্ত ২১ আগষ্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে নিন্দা, দোয়া ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়েছে।
    জানা গেছে, ২১ আগস্ট রোববার
    আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সভাপতিত্বে ও সম্পাদক জুবায়ের ইসলামের সঞ্চালনায তানোর থানার মোড়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের
    সম্পাদক আমির হোসেন আমিন, পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, বাঁধাইড় ইউপি আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, কাঁমারগা ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার ওরফে আবু সাঈদ, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজির হাসান প্রতাপ সরকার, রামিল হাসান সুইট,মাহাবুর রহমান মাহাম, মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ তানভির রেজা ও পঙ্কজ কুমার হালদার প্রমুখ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে থানা মোড়ে প্রতিবাদ সভার মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়।

  • বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ভারতের জলসীমায় ৫৭ জেলে জীবিত উদ্ধার

    বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ভারতের জলসীমায় ৫৭ জেলে জীবিত উদ্ধার

    মংচিন থন বরগুনা প্রতিনিধি।।
    গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ‘এফবি মা-বাবা’ নামে বরগুনার একটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে যায়। ১২ ঘণ্টা পর শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ওই ১৭ জন‌ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশ থেকে উদ্ধার করে সেদেশের জেলেরা।

    পরে তাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মো. ফারুক হোসেনের মালিকানাধীন ‘এফবি মা-বাবার দোয়া‌’।

    অপরদিকে ভোলার ‘শুভ সকাল’ নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারের জেলেসহ ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতে। দুটি ট্রলারই প্রতিকূল আবহাওয়ায় দেশের জলসীমার বাইরে চলে যায়।

    ‘এফবি মা-বাবা’ ট্রলারের উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল গ্রামের মাঝি মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী মাঝি মো. সিরাজ, হাসেম, চালক মো.ইউসুফ আলী, শ্রমিক মো. সবুজ, মো. রফিক, মো. নিজাম, মো. সোহাগ, রাজা মিয়া, মো. সোহাগ, নূর জামান, আ. ছালাম, মো. হাসান, মো. সেলিম, দুলাল, এমাদুল ও মো. রাসেল। তাদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়।

    ট্রলারটির মালিক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ১৭ আগস্ট ১৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকারের জন্য যায়। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ১৭ জেলেসহ ডুবে যায়। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ভাসমান অবস্থায় একটি ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে ভারতের পাথর প্রতিমা থানায় হস্তান্তর করে সেদেশের জেলেরা। পরে ওই এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

    বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম বলেন, সাগরে ঝড়ের কবলে পরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায় এবং অনেক জেলেও নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে পাথরঘাটার আলম মোল্লার মালিকানাধীন ‘এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-২ ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পরে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে সাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকা হয়ে ভাসতে ভাসতে দেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করায় নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যায়। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তারা আস্তে আস্তে দেশিয় জলসীমায় ঢুকে পরে। পরে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে ফিরে আসে।

    রাত ১২ টার দিকে ফারুক মিয়ার মালিকানাধীন ‘এফবি মা-বাবার দোয়া’ ট্রলার ডুবে গেলেও ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।

    এদিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

    তিনি মুঠোফোনে বলেন, কাল সকাল নাগাদ ভারতের পাথর প্রতিমা এলাকায় পৌঁছে যাবো। ইতোমধ্যেই চিকিৎসাধীন জেলেদের খোঁজ খবর নিয়েছি।

    অপরদিকে ভারতের রবিন্দ নাথ রনজিতের মালিকানাধীন উদ্ধারকারীর জাহাজ ‘বিসমিল্লাহ -২ থেকে একজন মুঠোফোনে বলেন, শনিবার সন্ধার পর ১৭ জেলেকে প্রথমে উদ্ধার করেছি। একই মালিকের ‘বিসমিল্লাহ-৩ এর মাঝি কাবল জেনার নেতৃত্বে আরও ৪০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    মুঠোফোনে ওই জাহাজের মালিক বাবলু দাস বলেন, উদ্ধারকৃত ৪০ জেলের বাড়ি বাংলাদেশের ভোলা জেলায়, ট্রলারের নাম ‘শুভ সকাল’।

  • মহালছড়িতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা

    মহালছড়িতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা

    (রিপন ওঝা, মহালছড়ি)

    খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে “বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সন্ত্রাস ও রাজাকারের ঠাইঁ নাই” প্রতিপাদ্য প্রধান অতিথি রতন কুমার শীল ও বিশেষ অতিথি মোঃ জসিম উদ্দিন’র উপস্থিতিতে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রতিবাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    এছাড়াও মাইসছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আহ্বায়ক মোঃ মনির হোসেন, মহালছড়ি সরকারি কলেজ সভাপতি মোঃ হামিদুল ইসলাম এবং সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ লাল মিয়া, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক মাসুদ, কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন ওঝা, সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি বাবলু চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ একেএম হুমায়ুন কবির বক্তব্যে রাখেন।

    উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ১৯৪৮-১৯৭১ পর্যন্ত ও ১৯৭৫ সালের দেশের স্বার্থে আত্মহুতি দেয়া ও ১৯৭৬ সাল হতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের রক্ষার্থে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সকল বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নিরবতা পালন করা হয়।

    এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চিন্তাহরণ শর্মা, মোঃ আনোয়ার হোসেন(আনু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ওয়ার্ড সদস্য অপু কুমার দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুলতান মাহমুদ, সহপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রোকন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজল দাশ, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ ফরিদ, মুবাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অংসাথোয়াই মারমা, মাইসছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন লিডার ও সাধারণ সম্পাদক চাম্পা মারমা, ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহেন্দ্র চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফি আলম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মোঃ জাহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ রতন,উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ, সহসভাপতি মনিশংকর চৌধুরী, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অনিক বিশ্বাস, সদরের সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, গ্রাম ও পাড়া মহল্লা হতে আগত নেতাকর্মী ও আওয়ামী সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উক্ত কর্মসূচীতে সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দাশ’র সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ মাহমুদুর রহমান মামুন।

    উক্ত প্রতিবাদ ও আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমানের সভাতিত্ব করেন।