Category: দেশজুড়ে

  • ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যতিক্রমী উদ্যােগ পটিয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন

    ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যতিক্রমী উদ্যােগ পটিয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন

    মহিউদ্দীন চৌধুরীঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় জনগণের পরিশোধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থে গ্রামীণ
    অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদে। ওই
    এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে জনগণ থেকে আদায়কৃত টাকার বিপরীতে ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনকে ঘিওে কুসুমপুরার
    উন্নয়ন নিয়ে নতুন রূপে স্বপ্ন দেখছেন এলাকার জনগণ। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী
    কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুল মামুনের সঙ্গে পরামর্শ করেই হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থে কুসুমপুরায় চলছে ১৪টি প্রকল্পের কাজ। মঙ্গলবার সকালে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে
    মতবিনিময় সভার মাধ্যমে জনসম্মুখে ব্যক্তিক্রমী এ উদ্যোগের বিষয়টি তুলে ধরেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া ডালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন
    ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাজিব কুমার মিত্র, ইউপি সদস্য রওশন আরা রোজি, পারভিন আকতার, আকলিমা আকতার, মো.সালাহ উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম, খোরশেদ
    আলম, ফজলুল কাদের, জাকির আহমদ প্রকাশ রশিদ, শওকত আকবর, মো. নেজাম উদ্দীন,
    আবদুর রহিম, এম নুরুল ইসলাম।
    চলমান প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে-কুসুমপুরা মাহতাব আকবর সওদাগর সড়ক আরসিসি ঢালাই, কুসুমপুরা গাউছিয়া তৈয়বীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এইচবিবি সড়ক সংস্কার, থানা মহিরা জোনামা ফকির এইচবিবি সড়ক সংস্কার, কুসুমপুরা ডা:
    সেলিমের বাড়ি সড়ক আরসিসি ঢালাই, বিনানিহারা ফজলুল কাদের হিরু মেম্বারের বাড়ি সড়ক আরসিসি ঢালাই, উত্তর হরিণখাইন আসমত আলী বাড়ি সড়ক এইচবিবি দ্বারা
    নির্মাণ, দক্ষিণ হরিণখাইন আবদুল আলিম সওদারের নতুন বাড়ি সড়ক টাইলস দ্বারা উন্নয়ন, গোরণখাইন ডা: জাফরের বাড়ি সড়ক আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন, মনসাগাউছিয়া মুক্তার মসজিদেও চলাচল সড়কের পাশের্^ ড্রেইন নির্মাণ, মনসা আজিম
    মা পুকুর সংযোগ সড়ক আরসিসি ঢালাই, মেহেরআর্টি সেলিম নিজামী সড়ক আরসিসি ঢালাই, দক্ষিণ মনসা মরহুম ফজল আহমদ সড়ক আরসিসি ঢালাই, বিনানিহারা গুন্নু
    মাতব্বরের বাড়ির সম্মুখে সার্বজনীন গভীর নলকূপ স্থাপন, গোরণখাইন হাজী মনির আহমদ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে সাবর্জনীন গভীর নলকুপ স্থাপন। মত বিনিময়কালে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম জানান,
    ‘জনগণের টাকায়-জনগনের উন্নয়ন’ এ শ্লোগান বাস্তবায়ন করতে কুসুমপুরা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। সব উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হলে কুসুমপুরার চেহারা পাল্টে যাবে। এলাকার সাড়ে ৫ হাজার বাড়ি
    হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় এসেছে। তাদের কাছ থেকে কর বাবদ নগদ ১২ লাখ ৯০ টাকা আদায় করা হয়েছে এবং বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা। পর্যায়
    ক্রমে ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারকে গৃহকরের আওতায় আনা হবে এবং হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এজন্য তিনি সকলের
    সহযোগিতা কামনা করেন।

  • গবাদি পশু ও ২টি বসতঘর পুড়ে ছাই, থানায় অভিযোগ দায়ের

    গবাদি পশু ও ২টি বসতঘর পুড়ে ছাই, থানায় অভিযোগ দায়ের

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
    সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নারিকেলতলা গ্রামে গবাদি পশু ও ২টি বসতঘর পুড়ে ছাইয়ের ঘটনায় ভূমি খোকো মজনু মিয়াকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    উল্লেখিত, রোববার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই গ্রামের জহির মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
    স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের মঈন উদ্দিন মিয়ার ছেলে জহির মিয়ার বসতঘরে রাত ৩টার দিকে তারা আগুন দেখতে পান। তখন আশপাশের লোকজন মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
    বাড়ির মালিক জহির মিয়া বলেন, আমার প্রতিপক্ষ মজনু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ঘর ও ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে। বর্তমানেও আপিল মামলা নং ৩৯/২১ আদালতে চলমান রয়েছে। উক্ত মজনু মিয়া এলাকায় ভূমি খেকো মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত এলাকায় তার বিরুদ্ধে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে ও থানায় মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। গতবছর আমার ভাইয়ের গাড়িতে আগুন দিয়েছিল। এবার আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমি রাত ৩টায় আমার গোয়ালঘরে আগুন দেখতে পাই। অসহায় হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। এর মধ্যে গরু বের করতে পারলেও ৪টি ভেড়া ও ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
    জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে জহির মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াকে প্রধান আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৪ জনের  নাম আলোচনায়

    সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৪ জনের নাম আলোচনায়

    কে এম শহীদুল,সুনামগঞ্জ :

    জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওযামীলীগের নেতাকর্মীদের
    মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রার্থী
    হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জানান দিচ্ছেন।
    সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোয়ন পেতে দৌড় ঝাপ
    শুরু করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক
    চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হুদা
    মুকুট, সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান,
    সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-
    সভাপতি ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ নোমান বখত পলিন, জেলা আওয়ামীলীগের
    সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি ড. খায়রুল কবির রুমেন প্রমুখ।
    তবে অপর দিকে জেলা বিএনপি’র কোন প্রার্থী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে
    নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য নাম এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। সুনামগঞ্জ জেলা
    পরিষদ নির্বাচনে ১ জন চেয়ারম্যান, ১২ উপজেলায় ১২টি ওয়ার্ডে ১২ সাধারন
    সদস্য এবং মহিলাদের জন্য ১২টি ওয়ার্ডের ৪টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪জন
    নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। জেলার ৮৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার
    ও মহিলা মেম্বার এবং ১২ উপজেলার ১২জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা
    ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৪টি পৌরসভার ৪জন মেয়র, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও
    সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যরা ভোটার হিসেবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ
    করবেন। তবে প্রার্থীরা তাদের ভোট দিতে পারবেন না। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী
    মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর,
    প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং
    নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে ১৭ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের
    ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমের মাধ্যমে। অবশ্য সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের
    সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এই নির্বাচন
    ব্যালট পেপারে মাধ্যমে গ্রহনের দাবী জানিয়ে আসছেন। ইভিএমে হলে ভোটে অংশ
    নেবে না বলেও ইসিকে জানিয়েছে জাপা। ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার নতুন করে
    জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে কোনো উদ্যোগ
    গ্রহন করা হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর
    ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
    সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে
    ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
    হয়েছিল। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের
    সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ৪২০ ভোট
    পেয়ে বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকটের কাছে। ঐ
    নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দুই হেভিয়েট প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছিল
    এবং বিএনপি’ কিংবা জাতীয় পার্টি ঐ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। তারই
    ধারাবাহিকতায় এবারও তেমনটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলা পরিষদের মেয়াদ আরও আগেই
    শেষ হলেও আইন সংশোধনসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে ভোট নিতে পারেনি
    নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় এই সরকারের আইনটি সংশোধনের পর ১৭ এপ্রিল
    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ তানভীর
    আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসক বসানো হয়েছিল।
    এতে বলা হয়েছিল, দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায়
    নির্বাচিত পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছিল।
    এ অবস্থায় জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের আগে প্রত্যেক জেলা পরিষদের
    প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা
    ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। জেলা পরিষদের
    প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি যোগ করে জেলা পরিষদ আইনের সংশোধনী চলতি
    বছরের ৬ এপ্রিল সংসদে পাস করা হয়। এরপর সংশোধনীর গেজেট প্রকাশিত
    হয়েছিল ১৩ এপ্রিল।
    জেলা পরিষদ নির্বাচন আইনানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয়
    সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে
    নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, উপজেলা
    পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের
    চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বাররা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও
    মহিলা সদস্য নির্বাচিত করবেন। সংশোধিত আইনে জেলার প্রতিটি উপজেলাতে
    একজন করে সাধারন সদস্য, ৩টি উপজেলা নিয়ে একটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে
    একজন করে মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।

  • কাজী নজরুল ইসলাম এর মৃত্যুবার্ষিকীতে খাগড়াছড়িতে ছিলো না কোনো আয়োজন

    কাজী নজরুল ইসলাম এর মৃত্যুবার্ষিকীতে খাগড়াছড়িতে ছিলো না কোনো আয়োজন

    মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।

    খাগড়াছড়ি জেলাসহ উপজেলাগুলোতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর মৃত্যু বার্ষিকীকে কোন আয়োজনই শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে করা হয়নি।

    দ্রোহ,প্রেম ও মানবতার কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল ২৯ আগষ্ট। আর এই দিনটিকে নিয়ে কবির স্মরণে এই খাগড়াছড়ি জেলা উপজেলায় কোন আয়োজনই হয়নি ?? এই প্রজন্মরা কাদের প্রেরণা নিয়ে বড় হয়ে উঠবে?? সপ্তাহ খানেক পূর্বে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করার পরও তিনি এই বিষয়ে কোন গুরুত্বই দেননি।তাহলে জেলা উপজেলা প্রশাসনের অধীনে শিল্পকলা একাডেমি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কি????

    এই সকল কবি মহাকবিদের যদি স্মরণ ও চর্চা নাই করা হয়,তাদের মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে কিভাবে সভ্যতা এগিয়ে যাবে?? বাংলাদেশের অনেক জেলা উপজেলায় এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে দেখা গেছে। সেখানে খাগড়াছড়ি জেলায় এর কোন উদ্যোগও নেই।আর বরাবরই খাগড়াছড়ির জেলায় এই কালচারাল সেক্টরটার প্রতি প্রশাসকের অবহেলায় বিদ্যমান রয়েছে।

    এই কবি ও মহা কবিদের অবহেলা ও অসম্মান এর পেছনে কি অযোগ্য নেতৃত্ব কিংবা অনবিজ্ঞ ব্যক্তিকে দায়িত্বে বসানোর সামিল নয়?এই সভ্যতা ও সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সব অবস্থান থেকে প্রতিবাদ গড়ে উঠা অত্যন্ত জরুরী।না হলে আগামীর সমাজ কখনো সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে উঠবে না।

    আর এইদিকে এই নিয়ে শিল্পীসমাজে নেমে এসেছে হতাশা।পানছড়ি উপজেলার স্বনামধন্য শিল্পী ও সঙ্গীত শিক্ষক থোয়াই অঙ্গ চৌধুরী এই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে সমাজে রবীন্দ্র- নজরুল চর্চা হয়না।সে সমাজে আদর্শবান ও ভালো ব্যক্তি উঠে আসবে কিভাবে তা প্রশ্ন থেকে যায়।

    এইছাড়াও পানছড়ি উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মতিউর রহমান বলেন: সবাই যার যার ধান্দায় ঘুরে,সংস্কৃতির দিকে মন নেই। এজন্যইতো সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে গেছে। বর্তমানে কারো আদর্শ কেউ ধারণ করেনা,নিজেকে জাহির করতে ব্যস্ত।আসুন আমরা যারা একটু আধটু বুঝি যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যায়।তাহলে সমাজ ঘুরে দাঁড়াবে।

    পানছড়ি উপজেলা আরেক সাহিত্য অনুরাগী অরুণ শীল বলেন:যেখানে কবি রবীন্দ্র,নজরুল, চর্চা হবে না সেখানে ভাল কিছু আশা করা যায় না।

    বাংলাদেশ টেলিভিশন ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার একজন স্বনামধন্য শিল্পী আবুল কাশেম বলেন: এই পার্বত্য খাগড়াছড়িতে সঙ্গীত চর্চা তেমন ভাবে হচ্ছে না।তাও কোনো রকম ভাবে চলে ঢিলে ঢালা ভাবে।সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও কর্মসূচি নেই।এটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত।যা থেকে উত্তোরনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই জরুরী।এখন যেভাবে বাচ্চারা মোবাইলের দিকে ধাবিত হচ্ছে এটাও সঠিক সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবের কারণে।

    খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও জেলা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আদনান বলেন: সাংস্কৃতিক অঙ্গন গতিশীল না হলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অপসংস্কৃতিমুখী হবে যার ফলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে।’

  • জয়পুুরহাটে র‍্যাবের অভিযানে যৌতুক মামলার ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আটক

    জয়পুুরহাটে র‍্যাবের অভিযানে যৌতুক মামলার ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আটক

    রিদয় হোসেন(সদর জয়পুুরহাট) প্রতিনিধিঃ-

    র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ মোস্তফা জামান(আর্টিলারি) ও সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে সোমবার সন্ধায় ওয়ারেন্টভুক্ত যৌতুক মামলার ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আব্দুল হাকিম মন্ডল (৩৬) কে আটক করেছে জয়পুুরহাট র‍্যাব-৫ এর সদস্যা।

    আটককৃত আসামী হলেন,জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার মোঃ আবতাব হোসেনের ছেলে
    মোঃ আব্দুল হাকিম মন্ডল।

    সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে র‍্যাব-৫ জয়পুুরহাট ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আটককের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় আটকের পর আটককৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে মহানগর জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

    আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে মহানগর জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরো গতিশীল ও ত্বরান্বিত করার লক্ষে ময়মনসিংহে মহানগর জাতীয় পার্টি উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার ( ৩০আগষ্ট) বিকেল ৪টায় নগরীর ইতিকথা কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আউয়াল সেলিম এর সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা পার্টির নবগঠিত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ কে আর ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তপন,জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোতোয়ালি জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী,লাল মিয়া লাল্টু,মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খোকন, জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা দেলোয়ার হোসেন কামাল চেয়ারম্যান,মহানগর জাপার সহ সভাপতি ও জেলা যুবসংহতির আহবায়ক আফজাল হোসেন হারুন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি সাব্বির হোসেন বিল্লাল, হোসেন,শাহজাহান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর লাল মিয়া লাল্টু, সাব্বির হোসেন বিল্লাল,শরীফ খান পাঠান মিল্টন, জাতীয় তরুন পার্টির সভাপতি কাউসার আহমেদ, জাপা নেতা শামসুল ইসলাম শামসু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর ররহমান সবুজ, ২৩নং নং ওয়ার্ডের যুগ্ম আহবায়ক রলিন মিয়া,২৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কুরবান আলী,২৫নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক মিয়া২৫নং ওয়ার্ড মহিলা নেত্রী সাবেক মেম্বার আয়েশা খাতুন রুপা,১৯নং ওয়ার্ড চন্দন কুমার পাল,২০ নং ওয়ার্ড জাহেদ আলী,২১নং ওয়ার্ডের আবু বকর ছিদ্দিক, ২২নং ওযার্ড সভাপতি ইসহাক আলী,২৬নং ওয়ার্ড জাপা নেতা হেলাল উদ্দিন,২৭নং ওয়ার্ড থেকে স্বেচ্ছাসেবক পার্টির বাদশা মিয়া সহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    নেতৃবৃন্দ ৩৩ টি ওয়ার্ডকে জাতীয় পাটির ঘাটি হিসাবে তৈরী করার মাধ্যমে দলকে আরো শক্তিশালী করতে অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেন।

    এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন,আগামী নির্বাচনে একক ভাবে মাঠে লড়বে,তাই দলের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে কাজ করতে হবে। সেজন্য জাতীয় পার্টিকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী হতে বিধায় দলের অলস নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সাহসী,পরিশ্রমী এবং মেধাবী নেতৃবৃন্দ কে দলে জায়গা করে দেওয়া হবে।সে লক্ষে মহানগর জাতীয় পার্টির সকল ওয়ার্ড কে ঢেলে সাজানো হবে বলেও জানান তিনি।

    কখনও প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবা উচিত নয় উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন-ময়মনসিংহ জাতীয় পার্টির ঘাটি তা প্রমান করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে । প্রতিটি পাড়া, প্রতিটি মহল্লায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গলের গনজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। লাঙ্গল মানেই উন্নয়নের প্রতীক। লাঙ্গল মানেই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধের প্রতীক। তাই সকলকে জানান দিতে হবে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেয়া মানেই উন্নয়নের অগ্রগতি। ময়মনসিংহে কন্যা জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদ এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকেই কাধে কাধ মিলে কাজ করার আহবান জানান জাহাঙ্গীর আহমেদ।

  • পঞ্চগড়ে  ৩২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই

    পঞ্চগড়ে ৩২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ঃ
    পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ৩২১ বোতল ফেনসিডিলসহ মলিন চন্দ্র বর্মন ও তার স্ত্রী শেফালী রানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের দিঘীরকোন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    পুলিশ জানায়, উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের দিঘীরকোন এলাকার মলিন চন্দ্র বর্মন তার বাড়িতে বিপুল পরিমাণে মাদক মজুদ করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩২১ বোতল ফেনসিডিলসহ তাদের গ্রেপ্তার করে। আটককৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আটোয়ারী পুলিশ। মাদক নিয়ন্ত্রণে আগামীতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • ৪ দিন ধরে গভীর সমুদ্র ভাসতে থাকা ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

    ৪ দিন ধরে গভীর সমুদ্র ভাসতে থাকা ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

    মোংলা প্রতিনিধিঃ
    ৯৯৯ নম্বরে কল করার পর কোস্ট গার্ডের সহায়তায় গভীর সাগর থেকে উদ্ধার হলো ইন্জিন বিকল হয়ে ৪দিন ধরে ভাসতে থাকা ট্রলারসহ ১৯ জেলে। কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের (ঢাকা) লেঃ কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জানান, চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে গত শনিবার এম,ভি কমলা নামের ফিশিং ট্রলারটি মাছ ধরার জন্য গভীর সাগরে যায়। ওইদিন থেকেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে ট্রলারটি। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিকল ওই ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে চলে আসলে জেলেরা তখন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। সেই কলের প্রেক্ষিতে বিষয়টি জানতে পারেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন কর্তৃপক্ষ। ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে বঙ্গোপসাগরে টহল কোস্ট গার্ডের কুতুবদিয়া জাহাজের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিনুল সাজ্জাদের নেতৃত্বে জাজাহটি দ্রুত ওই এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে ফিশিং ট্রলারসহ ১৯ জন জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এরপর তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ করে কোস্ট গার্ডের জাহাজ কুতুবদিয়া। পরে বিকেল ৫টার দিকে ফিশিং ট্রলারের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে ট্রলার ও জেলেদেরকে মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ী চট্টগ্রামে।

  • সুন্দরগঞ্জে কোন সারের সংকট নেই- কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির

    সুন্দরগঞ্জে কোন সারের সংকট নেই- কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির

    গাইবান্ধা থেকে মোঃ আনিসুর রহমান আগুনঃ
    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কোন প্রকার সারের সংকট নেই বলে জানান কৃষি অফিসার।
    এবছর উপজেলায় আমন মৌসুমে ২৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির বিপরীতে ১২১০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ দেন সরকার। তন্মধ্যে ১ হাজার ৮৪ মেট্রিক টন সার ইতোমধ্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এখনও মজুদ রয়েছে ১২৬ মেট্রিক টন সার। আবার আগামী মাসে বরাদ্দের আনুমানিক ৭৫০ মেট্রিক টন সার আসছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস ৭৫০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত চাহিদা পত্র উপরে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মহল বিভিন্ন অপকৌশল ব্যবহার করে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির পায়তারা করছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির বলেন, আমাদের সারের কোন প্রকার সংকট নেই। কৃষকেরা যেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলারের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার সংগ্রহ করে। তাছাড়া বর্তমানে বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। পাশাপাশি তারা যে কোনো সমস্যায় পড়লে উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ-সহকারী অফিসার সাদেক হোসেনসহ সকল উপ-সহকারী কষি অফিসার নিজ নিজ দায়ীত্ব প্রাপ্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল- মারুফের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যাতে করে কালোবাজারির মাধ্যমে কেউ সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চালাচ্ছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

  • মোংলার পৌর ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের আয়োজনে শোক দিবস পালন

    মোংলার পৌর ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের আয়োজনে শোক দিবস পালন

    মোংলা প্রতিনিধিঃ
    মোংলা পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ অগষ্ট) বিকেল ৫ টায় কুমারখালী খানজাহান আলী বাজার চত্বরে অনুষ্টিত হয়। আয়োজিত শোক সভায়
    পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ’র সাবেক সভাপতি, মো. বিল্লাল হোসেন’র সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম শিকদার’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত শোক সভায় বক্তৃতা রাখেন, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগ এর সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সালাম, পৌর আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদক, শেখ কামরুজ্জামান জসিম, মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তরিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, মোংলা উপজেলা যুবলীগ এর সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার, মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইজারাদার জালাল আহাম্মেদ বুলবুল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সাবেক সভাপতি,বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ লতিবুর রহমান,
    পৌর ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এইচ, এম শরিফুল হাওলাদার,
    মোংলা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী দরিয়া, মোংলা পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি হুমাউন কবির মনি, মোংলা পৌরসভার ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল শিউলী আক্তার, মোংলা টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ, মোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদার, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম, মোংলা পৌর কৃষক লীগ সভাপতি মো. আসলাম, মোংলা পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-সানি প্রমূখ।
    এ সময় আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে চক্রান্ত করেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও করেছে। আগামী নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, শেখ হাসিনাকে সরানোর লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র ততই বাড়ছে। এতে তাদের কী লাভ হবে জানি না, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের তো ক্ষতিই হবে। বক্তারা বলেন, যেখানে রাসেলকে পর্যন্ত খুন করল, সেই পরিবার থেকে বেঁচে ফেরে বঙ্গবন্ধু কণ্যা। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে জ্বালানি সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়য়ে বক্তারা বলেন সরকার প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানিসহ সবকিছুর দাম এত বেড়ে গেছে। এ কারণে সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য সহ ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
    দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, চালনা বন্দর ফাজিল মাদ্রাসা অদক্ষ্য মাওলানা রুহুল আমিন। পরে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়।