হেলাল শেখঃ সারাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে ও দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জনসাধাণ। একদিকে এসব পলিথিন ব্যবহার করায় ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হলেও নিরব ভুমিকায় প্রশাসন।
বিশেষ করে আমরা মানুষ কেন এই পলিথিন ব্যবহার করি? পলিথিনের মধ্যে যেকোনো জিনিসপত্র নেওয়ার সময় নিচে ফেঁটে গিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়, আজ এক ব্যক্তি ডিম নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পলিথিনের ব্যাগ ফেঁটে ডিমগুলো ভেংগে নষ্ট হয়, এরকম অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয় পলিথিন ব্যবহারের কারণে। পলিথিনের দোকানে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু দোকানদারকে জেল জরিমানা করলেও যারা এই পলিথিনের ফ্যাক্টরি করে শত শত টন পলি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অনেকেই জানান। তাই পলিথিনের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং) ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার ও বাইপাইল পাইকারি পলিথিনের দোকানে দেখা যায়, প্রতিদিন ২০০-৩০০/কেজি পলিথিনের ব্যাগ বিক্রি করা হয়। অবৈধ পলিথিন কোথায় তৈরি হয়? কারা এই পলিথিনের ব্যবসা করেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কথা এড়িয়ে যান। অনেকেই বলেন, এই অবৈধ পলিথিনের ব্যবসার সাথে অনেকেই জড়িত আছেন।
দেশে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করায় একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না, অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়ার কারণে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, এর ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। এসব পলিথিন ব্যাগ ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাটিতে ফসল বৃদ্ধি করাসহ পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই।
দেখা যায়, নারায়নগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ার কাঠগড়া, বাইপাইল বাজার, জিরানী, ভাদাইল বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে নিষিদ্ধ পলিথিন। প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করছেন তারা। অনেকেরই প্রশ্নঃ নিষিদ্ধকৃত পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে যেখানে সেখানে। ক্রেতা ও বিক্রেতা মাছ বাজারসহ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিনের ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। তাছাড়াও রাস্তা-ঘাটেও অনেক পলিথিন পরে থাকতে দেখা যায়।
বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্র্মকর্র্তাগণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। সারা বিশ্¦ে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সচেতনতার অভাবে সোনালী আঁশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে এখন। লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশবাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করছে, তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনছে। যে সকল ফসলি জমিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে কোনো ফসল হয় না বলে কৃষক শ্রমিকরা গণমাধ্যমকে জানান।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা উপজেলা প্রশাসন বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার করার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যারা আইন মানছেন না-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম খান (লিটন) বলেন, বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই-কারণ, দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সততা ও সাহসী ভুমিকায় কাজ করছেন কিন্তু পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না কেন বিষয়টি রহস্যজনক। এ বিষয়ে সাংবাদিক নেতা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, শুধু ছোটখাটো দোকানে অভিযান করে কি হবে, যারা এই নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। সরকার নিষিদ্ধ করেছে পলিথিন তৈরি-বিক্রি ও ব্যবহার করা কিন্তু মাছ বাজার, মুদি দোকান, বেকারী ও মিষ্টির দোকানসহ সবখানেই বিভিন্ন সাইজের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে দেখা যায়। প্রতিটি এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অভিযান পরিচালনা করলে নিষিদ্ধ এইসব পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করা অনেকটা কমে যাবে। সরেজমিনে গেলে দেখা যাবে যে, প্রতিটি বাসা বাড়িতে ঘরে ঘরে পলিথিন ব্যবহার করা হয়, তাহলে কিভাবে বন্ধ হবে পলিথিন ব্যবহার?। পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধ হলে পরিবেশ রক্ষা হবে। এতে কৃষক বাঁচবে, আর কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে মানুষের জীবন বাঁচবে বলে সাংবাদিক নেতারা এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন।
Category: দেশজুড়ে
-
নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করায় ড্রেনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি পরিবেশ দূষণ-নিরব ভুমিকায় প্রশাসন
-
নড়াইল জেলা পুলিশের আয়োজনে সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
উজ্জ্বল রায়.নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইল জেলা পুলিশের আয়োজনে সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ অনুষ্ঠিত।
নড়াইল জেলা পুলিশের আয়োজনে সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে সালামী গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন । উজ্জ্বল রায়.নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি। সকল পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে।
তিনি এ সময় ফোর্সের ডিসিপ্লিন, ড্রেসরুল, পেশাদারিত্ব, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নতকরণ, জননিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়িতা, সরকারি মালামাল হেফাজত, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ, হেলমেট ও লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল না চালানো, ফেসবুকে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য ও টিকটক থেকে বিরত থাকা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং মানবিক আচরণের মাধ্যমে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি টিম ওয়ার্ক ও জনবান্ধব পুলিশিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার মাধ্যমে নড়াইল জেলা পুলিশকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. দোলন মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম কামরুজ্জামান পিপিএম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) প্রণব কুমার সরকার, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে
নড়াইল জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণ সভায় অবসর জনিত কারনে বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন।
কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন, পুলিশ সদস্যেদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে নিয়মমাফিক ছুটি, আবাসন ব্যবস্থা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, চিকিৎসা, মানসম্মত খাবার সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার মামলা তদন্ত, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নতকরণ, ওয়ারেন্ট তামিল, মামলার রহস্য উদঘাটন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এবং ওপেন হাউজ ডে, বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. দোলন মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম কামরুজ্জামান পিপিএম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) প্রণব কুমার সরকার, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।# -
রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে এটিএন নিউজের রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর হামলার ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা। বাকি ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলাটি (মামলা নং ৭) দায়ের করেন এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব।
এজাহার ভুক্ত আসামীরা হলেন, বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ (৫৫), ভান্ডার রক্ষক মো. জীবন (৪২), নির্বাহী পরিচালকের দপ্তরের পিয়ন সেলিম (৪১), নির্বাহী পরিচালকের পিএ নুরুল ইসলাম (৪৫), আনসার সদস্য এনামূল (৩৫), পিয়ন ফাারুক (৪০) ও ড্রাইভার আব্দুস সবুর (৪২)।রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। আসামীদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভিডিও ফুটেজ দেখে এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বিকেলে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় বিএমডিএর দুই কর্মচারিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে হামলায় জড়িত ভান্ডার রক্ষক মো. জীবন ও পরিচালকের গাড়ি চালক আব্দুস সবুরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।বিএমডিএর চেয়ারম্যান আক্তার জাহান বলেন, আমরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এর পর দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্তে কমিটি করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ সঙ্গে আরও কারা জড়িত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান আক্তার জাহান।রাজশাহীতে সংবাদ সংগ্রহের সময় এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপার্সন রুবেল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরের আমবাগান এলাকায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা দুইজনের বরখাস্তের দাবি করেছিলাম। সে দাবি পুরন হয়েছে। আরও পাঁচজনের বিষয়ে আমরা জানিয়েছি। তাদের কালকের মধ্যে বদলির দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পর সাংবাদিকদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
সকালে এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাম্যান রুবেল নতুন সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে আসছেন কি না, সে সম্পর্কে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ তাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে। এর কিছুক্ষন পর বুলবুল হাবিব সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে।
এ সময় আব্দুর রশীদের নির্দেশে ভান্ডার রক্ষক জীবনের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মচারী দুই সাংবাদিকের উপর হামলা করে। এতে গুরুত্বর আহত হন ক্যামেরাপার্সন রুবেল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করে। বুলবুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আহত রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, রুবেলের কানের পর্দা ফেটেছে। কানের ভেতর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী। -
ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। সোমবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন। দন্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মসলেম শেখের ছেলে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ২ নভেম্বর ফতেপুর গ্রামের ৮ বছর বয়সী কণ্যা শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বাওড়ের পাড়ের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষন করে। এরপর শিশুটিকে কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়। শিশুটি বাড়িতে এসে মা বাবাকে বিষয়টি জানালে ওই দিনই শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি মামলা করে। তদন্ত শেষে মহেশপুর থানার এস আই আল মাসুদ মিয়া আসামীর বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসামী হাফিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার অর্থ নির্যাতিতাকে প্রদানের নির্দেশ দেন।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান। -
ঝিনাইদহে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে আলমসাধু চালককে হত্যা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ছুরিকাঘাতে সবুজ হোসেন (৩০) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। সোমবার সকালে কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ হোসেন কোটচাঁদপুর শহরের হাইস্কুল পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলমসাধু চালক সবুজ স্কুলের পাশের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় শহরের সলেমানপুর দাসপাড়া এলাকার শামছুদ্দিনের ছেলে আলম হোসেন সেখানে বসা নিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে ছুরিকাঘাত করে আলম পালিয়ে যায়। সবুজকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। চিকিৎসকদের ভাষ্য ঘটনাস্থলেই সবুজের মৃত্যু হয়। কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হত্যাকারী আলম মাদকাসক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদকসেবন করে আসছে। এতে কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। ঘটনার পর সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। তবে স্থানীয় বলেছেন, আলম মাদকাসক্ত হলেও প্রতিবন্ধি নয়। প্রতিবন্ধি হলে সে পালানোর চিন্তা কি ভাবে করে ? প্রতিবন্ধি সাজিয়ে তাকে আইন দুর্বল করে বাঁচানোর চেষ্টা করা হতে পারে এমন কথা কেউ কেউ বলছেন। -
ঈদগাঁও থানা পুলিশের অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত পালাতক আসামী গ্রেফতার-০৪
মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ, ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত চার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর )ভোর রাতে উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়,ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিমের নির্দেশে এ এস আই কাজী রাসেল, এসআই মোঃনোমান সিদ্দিকী,এসআই মোঃ আব্দুর রশিদ, এস আই মিরাজের সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাকৃত আসামীরা হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালির ছড়া চরপাড়া এলাকার সুর ত আলম সিকদারের ছেলে আবু জাবির আহম্মদ, একই এলাকার মোঃ ভুলু মিয়ার ছেলে মোঃ মোরশেদ,একই ইউনিয়নের জাগির পাড়া এলাকার মোঃ হাবিব উল্লাহর ছেলে জয়নাল,
ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালখালী সাতজোলা কাটা এলাকার মৃত দানু মিয়ার ছেলে আবু তৈয়ব।ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন
গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্তদের গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে। -
সুজানগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহ আটক-৩
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ(৩৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এরশাদ শেখ ওই ইউনিয়নের চর মানিকদির গ্রামের মো.মোয়াজ্জেম শেখের ছেলে ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী। এ ঘটনায় নিহত এরশাদ শেখের পিতা মোয়াজ্জেম শেখ সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস ও তার ছেলে হালিম বিশ্বাস সহ ১৭ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপরপরই অভিযান চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস,স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিক বিশ্বাস ও মামুন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে সোমবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এছাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবনা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সুজানগর সার্কেল) মো.রবিউল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজনের সাথে স্থানীয় মোকাই শেখ পক্ষের পূর্ব বিরোধ ও স্থানীয় চরবিশ্বনাথপুর মাদারতলায় রাস্তার পাশে দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আজম আলী বিশ্বাসের চাচাতো ভাই আক্কাজ বিশ্বাসের ছাগল মোকাই শেখের জমিতে গিয়ে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এবং পরবর্তীতে রাতে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় এরশাদ শেখ গুলিবিদ্ধ সহ আরো অন্তত ১১ জন আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএনপি কর্মী এরশাদ শেখকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। আহত গোলাপ শেখ, জীবন শেখ,মাহফুজা খাতুন, মুন্নী খাতুন সহ অন্তত ১১ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি আজম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল হালিম বিশ্বাস প্রকাশ্যে গুলি করে এরশাদকে শেখকে হত্যা করেছে। এবং তাদের পক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরণের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১১ জনকে আহত করেছে । অপরদিকে বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজনের দাবি করেন সংঘর্ষের এ ঘটনার পরপরই আজম আলী বিশ্বাসের মুরগীর খামার এবং আক্কাজ বিশ্বাসের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ বিষয়ে সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হাননান জানান, লাইসেন্সকৃত নাকি অবৈধ অস্ত্র দ্বারা এরশাদকে শেখকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এছাড়া মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি। -
সাংবাদিকদের উপর হামলায় বিএমডিএর ২ কর্মচারি বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবদেক, রাজশাহী : রাজশাহীতে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) দুই কর্মচারিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে হামলায় জড়িত ভান্ডার রক্ষক মো. জীবন ও পরিচালকের গাড়ি চালক আব্দুস সবুরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
বিএমডিএর চেয়ারম্যান আক্তার জাহান বলেন, আমরা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এর পর দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্তে কমিটি করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ সঙ্গে আরও কারা জড়িত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান আক্তার জাহান।
রাজশাহীতে সংবাদ সংগ্রহের সময় এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপার্সন রুবেল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরের আমবাগান এলাকায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা দুইজনের বরখাস্তের দাবি করেছিলাম। সে দাবি পুরন হয়েছে। আরও পাঁচজনের বিষয়ে আমরা জানিয়েছি। তাদের কালকের মধ্যে বদলির দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পর সাংবাদিকদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
সকালে এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাম্যান রুবেল নতুন সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে আসছেন কি না, সে সম্পর্কে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ তাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে। এর কিছুক্ষন পর বুলবুল হাবিব লাইভ সম্প্রচার শুরু করে।
এ সময় আব্দুর রশীদের নির্দেশে ভান্ডার রক্ষক নেতৃত্বে পরিচালকের গাড়ির ড্রাইভার আব্দুর সবুরসহ কয়েকজন কর্মচারীরা হামলা করে। এতে গুরুত্বর আহত হন ক্যামেরাপার্সন বুলবুল ও হাবিব। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করে।
আহত রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, রুবেলের কানের পর্দা ফেটেছে। কানের ভেতর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিএনডিয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে সাংবাদিকরা।
মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী। -
তারাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ আহত অর্ধশতাধিক
খলিলুর রহমান খলিল ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৯জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ৪জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার নিকটতম শলেয়াশাহ বাজার সংলগ্ন খারুভাজ সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন, তারাগঞ্জ উপজেলার ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩৫), পলাশবাড়ী গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় (৪৫) সয়ার কাজীপাড়া গ্রামের পল্লিচিকিৎসক আনিছার রহমান (৪৮), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কুন্দল পূর্বপাড়া গ্রামের মহসিন আলী সাগর (৪২)। আহতরা হলেন, লক্ষীপুর রায়পুরের নয়ন ইসলাম (২৬), কামারপুকুর এলাকার জুয়েল ইসলাম (২৭) এবং গাইবান্ধার উত্তর কিদারী এলাকার সাদেক আলী (৫৬)। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ও আহত স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে চারপাশ। এদিকে রমেক হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যেই রাত ১২ টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার নিকটতম শলেয়াশাহ বাজার সংলগ্ন খারুভাজ সেতুর কাছে সৈয়দপুরগামী জোয়ানা পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের বাসের মধ্যে মুখোমখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। অর্ধশতাধিক আহত হন।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, ঘটনাস্থলে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় মোট ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ৪ জন এবং আহত ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
-
সিরাজদিখানে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে নগদ অর্থ বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে ৯ লক্ষ ১৮ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে দুপর সাড়ে ১২টার দিকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২শত ৪টি পরিবারের মাঝে এই অর্থ বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুন্সিগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট এর আয়োজনে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম তানভীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মতিন হাওলাদার, জেলা রেডক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউল ইসলাম হিরু, ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান গাজী, সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, ইছাপুরা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন প্রমুখ ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এ পরোক্ষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, স্বল্প আয় সম্পন্ন পরিবার, প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশু প্রধান পরিবারকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের মাঝে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ২শত ৪টি পরিবারের মাঝে ৯লক্ষ ১৮ হাজার টাকা প্রধান করা হয়।