April 19, 2024, 8:42 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী তেঁতুলিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলায় দায়সারা আয়োজনে খামারিদের দুর্ভোগ পাইকগাছায় সপ্তদ্বীপার সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে গোদাগাড়ীতে হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ২ নড়াইলে র‍্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দিলেন এসপি মেহেদী হাসান নড়াইলে বিপুল পরিমাণ গাঁজা দুইজন গ্রেফতার ফুলবাড়ীয়া নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হ*ত্যা করলো ছেলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের দাবীতে বরিশালে ইয়ুথ ফোরামের সড়ক অবরোধ
নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করায় ড্রেনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি পরিবেশ দূষণ-নিরব ভুমিকায় প্রশাসন

নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করায় ড্রেনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি পরিবেশ দূষণ-নিরব ভুমিকায় প্রশাসন

হেলাল শেখঃ সারাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে ও দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জনসাধাণ। একদিকে এসব পলিথিন ব্যবহার করায় ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হলেও নিরব ভুমিকায় প্রশাসন।
বিশেষ করে আমরা মানুষ কেন এই পলিথিন ব্যবহার করি? পলিথিনের মধ্যে যেকোনো জিনিসপত্র নেওয়ার সময় নিচে ফেঁটে গিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়, আজ এক ব্যক্তি ডিম নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পলিথিনের ব্যাগ ফেঁটে ডিমগুলো ভেংগে নষ্ট হয়, এরকম অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয় পলিথিন ব্যবহারের কারণে। পলিথিনের দোকানে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু দোকানদারকে জেল জরিমানা করলেও যারা এই পলিথিনের ফ্যাক্টরি করে শত শত টন পলি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অনেকেই জানান। তাই পলিথিনের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং) ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার ও বাইপাইল পাইকারি পলিথিনের দোকানে দেখা যায়, প্রতিদিন ২০০-৩০০/কেজি পলিথিনের ব্যাগ বিক্রি করা হয়। অবৈধ পলিথিন কোথায় তৈরি হয়? কারা এই পলিথিনের ব্যবসা করেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কথা এড়িয়ে যান। অনেকেই বলেন, এই অবৈধ পলিথিনের ব্যবসার সাথে অনেকেই জড়িত আছেন।
দেশে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করায় একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না, অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়ার কারণে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, এর ফলে জমিতে ফসল হচ্ছে না। এসব পলিথিন ব্যাগ ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাটিতে ফসল বৃদ্ধি করাসহ পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই।
দেখা যায়, নারায়নগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ার কাঠগড়া, বাইপাইল বাজার, জিরানী, ভাদাইল বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে নিষিদ্ধ পলিথিন। প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করছেন তারা। অনেকেরই প্রশ্নঃ নিষিদ্ধকৃত পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে যেখানে সেখানে। ক্রেতা ও বিক্রেতা মাছ বাজারসহ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিনের ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। তাছাড়াও রাস্তা-ঘাটেও অনেক পলিথিন পরে থাকতে দেখা যায়।
বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্র্মকর্র্তাগণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। সারা বিশ্¦ে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সচেতনতার অভাবে সোনালী আঁশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে এখন। লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশবাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করছে, তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনছে। যে সকল ফসলি জমিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে কোনো ফসল হয় না বলে কৃষক শ্রমিকরা গণমাধ্যমকে জানান।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা উপজেলা প্রশাসন বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার করার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যারা আইন মানছেন না-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম খান (লিটন) বলেন, বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই-কারণ, দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সততা ও সাহসী ভুমিকায় কাজ করছেন কিন্তু পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না কেন বিষয়টি রহস্যজনক। এ বিষয়ে সাংবাদিক নেতা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, শুধু ছোটখাটো দোকানে অভিযান করে কি হবে, যারা এই নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। সরকার নিষিদ্ধ করেছে পলিথিন তৈরি-বিক্রি ও ব্যবহার করা কিন্তু মাছ বাজার, মুদি দোকান, বেকারী ও মিষ্টির দোকানসহ সবখানেই বিভিন্ন সাইজের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে দেখা যায়। প্রতিটি এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অভিযান পরিচালনা করলে নিষিদ্ধ এইসব পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করা অনেকটা কমে যাবে। সরেজমিনে গেলে দেখা যাবে যে, প্রতিটি বাসা বাড়িতে ঘরে ঘরে পলিথিন ব্যবহার করা হয়, তাহলে কিভাবে বন্ধ হবে পলিথিন ব্যবহার?। পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধ হলে পরিবেশ রক্ষা হবে। এতে কৃষক বাঁচবে, আর কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে মানুষের জীবন বাঁচবে বলে সাংবাদিক নেতারা এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD