Category: দেশজুড়ে

  • সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিন পালন

    সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিন পালন

    মোঃ আজিজুল ইসলাম(ইমরান)
    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলামের আয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
    শুক্রবার বিকালে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান জনি, লাবসা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান সোহার্ত, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা চয়ন, মিথন, মহিদুজ্জামান, মানিক,নাজমুল, পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আজিবুর রহমান, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মুন্না, সালাউদ্দিন, আরাফাত চয়ন প্রমুখ।

  • তেঁতুলিয়ায় রাজারবাগ দরবার শরীফের ৯০দিনব্যাপী মাহফিলের প্রচার-প্রচারণা ও মীলাদ শরীফ পালিত

    তেঁতুলিয়ায় রাজারবাগ দরবার শরীফের ৯০দিনব্যাপী মাহফিলের প্রচার-প্রচারণা ও মীলাদ শরীফ পালিত

    তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রাজারবাগ দরবার শরীফ কর্তৃক আয়োজিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফের ৯০দিনব্যাপী মাহফিলের প্রচার-প্রচারণা এবং ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফের সম্মানার্থে প্রতি আরবি মাসের ন্যায় সফর মাসের ১২ তারিখ মীলাদ ও দোয়া পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের মাগুরমারী চৌরাস্তা বাজারে ও নিজবাড়ী বাসামোড়ে রাজারবাগ দরবার শরীফের মুরিদগণসহ বহিরাগতরা একত্রিত হয়ে এই প্রচার-প্রচারণা এবং মীলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেন।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজারবাগ দরবার শরীফের তেঁতুলিয়া উপজেলার মুরিদ মুহম্মদ মোফাজ্জল হুসাইন, মুহম্মদ রাশেদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম (রফিক), নুর আলম, শরিফুল ইসলাম(শরিফ), আমানুল্লাহ, আব্দুল্লাহসহ বহিরাগত আরো অনেকেই।

  • রংপুর সাহিত্য – সংস্কৃতি পরিষদের ১০৬০ – তম সাহিত্য বৈঠক অনুষ্ঠিত

    রংপুর সাহিত্য – সংস্কৃতি পরিষদের ১০৬০ – তম সাহিত্য বৈঠক অনুষ্ঠিত

    রংপুর থেকে বিভাগীয় প্রধান আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন। —

    রংপুর সাহিত্য – সংস্কৃতি পরিষদের ১০৬০ – তম সাহিত্য বৈঠক গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিষদের টাউন চত্বরস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
    বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিষদ সভাপতি স্বাত্ত্বিক শাহ আল মারুফ।
    সাহিত্যের শুদ্ধতায় আলোকিত জীবন গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত চন্দ্র খাঁ, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম। ছড়া পাঠ করেন কবি, সাবেক যুগ্ম সচিব নারায়ণ চন্দ্র বর্মা। স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা.মফিজুল ইসলাম মান্টু, হেলেন আরা সিডনী, আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন, জয়িতা নাসরিন নাজ, এড.মাসুম হাসান, আব্দুছ ছালাম, কাব্য রাসেল, পূর্ণিমা রাজ, মীরা রায়, শাহিদা মিল্কি, খন্দকার মাহফুজার রহমান, লুৎফর রহমান সাজু। কবিতা আবৃত্তি করেন, আব্দুল কুদ্দুস, নীরেশ মুখার্জী, হাসনা হেনা বেগম রোজী, মনিরা আকতার, মামুন উর রশিদ, সুমাইয়া শুধু, আফরোজা বেগম। প্রবন্ধ পাঠ করেন সুফি জাহিদ হোসেন। সাংগঠনিক আলোচনা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড.জাকিয়া সুলতানা চৈতী। শুভেচ্ছা কথা বলেন শ ম আমজাদ হোসেন সরকার, সাংবাদিক শাহ আলম, সালমা হোসেন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন নারায়ণ চন্দ্র বর্মা, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম চাঁদ, সুফি জাহিদ হোসেন, ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, রওশন আরা সোহেলী। বৈঠকে পঠিত লেখাগুলো নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেন কবি ও বাচিক শিল্পী আব্দুছ ছালাম। সাহিত্য বৈঠকটির সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কবি তাজুল ইসলাম।

  • রংপুরে অভিযাত্রিকের ২২৫২তম সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত

    রংপুরে অভিযাত্রিকের ২২৫২তম সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত

    রংপুর থেকে বিভাগীয় প্রতিনিধি আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন । —

    গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার বিকেল ৪.৩০ টায় অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদের ২২৫২ তম সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর অভিযাত্রিক সভাপতি রানা মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    গীতিকার, কবি জাহিদ হোসেনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় আসরে কবিতা পাঠ করেন রানা মাসুদ, মাসুদ বশীর, জাহিদ হোসেন, তাপস মাহমুদ, বিমলেন্দু রায়, মাহমুদ এলাহী মন্ডল, কুশল রায় ,প্রিতম রায়,গোলাম রাব্বানী, ফখরুল ইসলাম,নাজমুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, কাব্য রাসেল, রায়হান আহমেদ রিমন, সাহিদা মিলকি, পূর্ণিমা রাজ, মীরা রায়,নাসরিন নাজ, ইরশাদ জামিল, আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন প্রমুখ।
    পঠিত লেখাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন, অভিযাত্রিক সভাপতি রানা মাসুদ।

    আসরে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভূক্ত শিল্পী রওশন আরা সোহেলী ও ফারহান শাহীল লিয়ন।
    পরিশেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আসর শেষ করা হয়।

  • আক্কেলপুরে সেনা সদস্যের মা ও বাবাকে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

    আক্কেলপুরে সেনা সদস্যের মা ও বাবাকে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    আক্কেলপুরে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্য সবুজ হোসেন এর বাবা ও মাকে হাত পা বেঁধে মারপিট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই সেনা সদস্যের চাচাতো ভাই ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত ৬ (সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার উপজেলার আওয়ালগাড়ী শেখ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    এই ঘটনায় সেনা সদস্যের বাবা ভুক্তভোগী আতাউর রহমান (৬০) বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে আক্কেলপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন, বাদীর আপন ভাই সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে ১.ইমাম হোসেন বাবু (৩৫), ২. শাহানুর (২৫), ৩. মেয়ে রুমা (৩০), ৪. স্ত্রী রেহেনা (৫৫), ৫. ইমাম হোসের এর স্ত্রী রুমি খাতুন (৩২), ৬. এনামুলের স্ত্রী নাদিরা (৩৫), ৭. মৃত ওহাব এর ছেলে সুলতান (৪০), ৮. আব্দুল হামিদ এর ছেলে আজুহান (৪০)।

    অভিযুক্তরা সেনা সদস্যের বাবা আতাউর রহমান ও মা রিনা বেগম কে হাত পা বাঁধতেছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নজরে আসলে ৯ (সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই সেনা সদস্যের বাবা আতাউর রহমান ও সিরাজুল ইসলাম দুজনের মধ্যে ভাইয়ের সম্পর্ক। সেনা সদস্যের বাবা ও চাচা দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমাজমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চলছে ঝামেলা। ঘটনার দিন দু’পক্ষের নতুন বাড়ি নির্মানের জায়গা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ইমাম হোসের সহ বাকিরা সেনা সদস্যের বাবা ও মাকে হাত পা বেঁধে রাখে এবং বাড়ি নির্মানের কাজ চলমান রাখে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেনা সদস্যের বাবা ও মাকে রশি দিয়ে হাত পা বাঁধার ঘটনাটি দেখা গেছে।

    এবিষয়ে সেনা সদস্য সবুজ হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমি বাংলাদেশ সেনা সদস্যতে কর্মরত আছি। আমার বাবা ও মাকে এভাবে প্রকাশ্যে হাত-পা বেঁধে মেরেছে আমার চাতাতো ভাইয়েরা ও ওই পরিবারের সদস্যরা। আমি কিছুই করতে পারছি না, কারন চাকুরী জনিত কারনে বাহিরে আছি এবং আমার বাড়িতে কেউ নাই। আমার বাবা ও মাকে একা পেয়ে তারা এমন অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমার বাবা ও মা এখন আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। আমি আমার বাবা ও মায়ের সাথে এই অমানবিক নির্যাতনের সুষ্ঠ বিচার চাই।

    আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে গিয়ে ভুক্তভোগী আতাউর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাতিজারা, ভাতিজি, ও ভাই বউ মিলে হাত পা বেঁধে মারপিট করেছে কারন আমাকে হত্যা করলে আমার জমিগুলো তারা নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, আমার জমিতে তারা জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতেছে আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে হাত পা বেঁধে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

    স্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে হাত পা বেঁধে মারপিট করেছে এবং আমার শাড়ি ছিড়ে ফেলেছে, গলাই টিপে ধরেছে আমার শরিরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মেরেছে আমি এখন ব্যথায় উঠতে পারতেছি না।

    হাসপাতালে থাকা ভুক্তভোগীর মেয়ে সাথী জানান,
    আমার বাবা মাকে হাত পা বেঁধে মারপিট করে অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা আমি জানিনা আমার বাবা মায়ের কি হবে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

    ভুক্তভোগীর আতাউরের বোন আজুফা বেগম বলেন, আমার দুই ভাইয়ের মধ্যে এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলেরা, ছেলের বউ সহ সবাই মিলে ছোট ভাই ও তার বউ কে হাত পা বেঁধে মারপিট করেছে আমি ভয়ে তাদের বাঁধা দিতে পারিনি কারন আমাকেও মারপিট করবে গেলে ইতিপূর্বে তারা আমাকেও মারপিট করেছিলো। ওই জায়গা ওরা পাবেনা অথচ জোর করে দখলের চেষ্টা করে।

    অপরদিকে এ ব্যপারে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে গেলে বাড়িতে তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের পিতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি আমি আমার ছেলেদের নিষেধ করেছি মারামারি করতে তারা কোন মারামারি করেনি তবে তাদের চাচাকে আটকাতে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধেছে মাত্র।

    ওই পরিবারের মহিলা সদস্যরা জানান, পৈত্রিক সূত্রে তারা যতোটুকু জায়গায় মালিক আমরাও ততোটুকু জায়গার মালিক। কিন্তু তারা এক জায়গায় তাদের অংশ দাবি করে দখল অবস্থায় আছে আর আমাদের কে তিন খন্ডে অংশ দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গায় ঘর করতেছি এমতাবস্থায় আতাউর এসে সব কিছু ভেঙ্গে দিতে লাগলে আমাদের লোকজন তাকে নিষেধ করে কিন্তু তিনি না শুনে ভাতিজাদের মারধর করতে লাগলে ভাতিজারা চাচার গায়ে হাত দিবেনা জন্য হাত পা বেঁধেছে।

    এ ব্যপারে স্থানীয় নজরুল, শাহিনুর রহমান ও আলম বলেন, দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ঝগড়া। কোন মারামারি হয়নি তবে হাত পা বেঁধেছে কারন আতাউর এসে তাদের সবকিছু ভেঙ্গে দিচ্ছিলো। পরে তারা নিজেরাই ব্লেট দিয়ে হাত পা কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

    স্থানীয় রুকিন্দিপুর ইউপির সাবেক সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই পরিবারের এই জায়গা নিয়ে অনেকদিন ধরে ঝামেলা পৈত্রিক সূত্রে আতাউর ও সিরাজুল সমান অংশীদার কিন্তু আতাউর এক জায়গায় তার নিজের অংশ নিয়ে সিরাজুল কে তিন জায়গায় দিয়েছে। ইতিপূর্বে আমিও তাদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে সিরাজুলের যেহেতু ছেলে বেশি তুমি তার বাড়ির অংশ পুরোটা নিয়ে পাশে যে পুষ্কনি আছে সেদিকে ওদের জায়গা ছেড়ে দাও তাহলে আর কোন ঝামেলা হবে না। কিন্তু আতাউর ও তার সেনা সদস্য ছেলে তা মানে না, তারা এভাবেই জায়গায় দখল নিতে চায়। এই নিয়ে ঘটনার দিন ঝামেলা হলে চাচা আতাউর এসে সব ভেঙ্গে দিলে তাকে ভাতিজারা বারবার নিষেধ করে তারপরেও না শুনলে অবশেষে হাত পা বেঁধে রাখে। কারন সিরাজুলের পরিবার চেয়েছিলো যেহেতু জায়গা নিয়ে ঝামেলা সেহেতু ঘর তুলি তারপর দুই পক্ষে বসে একটা সমাধানে আশা যাবে। আসলে ওইদিন কোন মারামারি হয়নি, মারামারি ঘটনা পুরাটা মিথ্যা।

    আক্কেলপুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি আমাদের তদন্ত অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে জানিয়েছেন যদি মিমাংসা না হয় সেক্ষেত্রে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

  • শেষ বয়সে  দলের কাছে জেলা পরিষদ  নির্বাচনে মনোনয়ন চাইলেন ত্রিশালের ফজলে রাব্বি।

    শেষ বয়সে দলের কাছে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইলেন ত্রিশালের ফজলে রাব্বি।

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    না পাওয়ার চেয়ে অতীতে কখনও না চাওয়ার বেদনাবোধ থেকে আসন্ন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় আবেদন করেছেন ত্রিশালের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ফজলে রাব্বি।

    তিনি সারাটাজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে দলকে দিয়েছেন,তবে দলের থেকে কখনো কিছু চান নি। এবারই প্রথম দল থেকে পাওয়ার আশায় হাত বাড়িয়েছেন। জমা দিয়েছেন মনোনয়ন পত্র। তিনি ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে গত ৭সেপ্টেম্বর বুধবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন।

    টিকিট নিশ্চিত করতে দলটির শীর্ষ মহলে জোর তৎপরতার পাশাপাশি তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। নিজের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মকান্ড একই সাথে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয় করার। তার দৃঢ় বিশ্বাস কখনো দলের কাছে চাননি এবারই প্রথমবার চেয়েছেন তাই বিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা কখনো কাউকে খালি হাতে ফেরায়নি,তাকেও ফিরাবেনা, তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন ও বিজয়ী হবেন।

    রাজনীতিতে শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে পথচলা ফজলে রাব্বি অদ্যবধি সুনামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অনেককেই তিনি এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান নেতা বানিয়েছেন ফজলে রাব্বি,কিন্তু তিনি কখনো নিজের জন্য ভাবেন নি। জীবনের শেষ সময়ে এসে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে মনোনয়ন পত্রটি জমা দিয়েছেন। তার মনোনয়ন পত্র জমা নিয়ে অনেকেই অনেক আলোচনা করছেন।

    তার একজন ভক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো-বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদদের চাওয়ার আগেই অনেক কিছু পাওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তিনি বারবার উপেক্ষিত থেকেছেন। নির্মম হলেও এটা সত্য যে তার রাজনৈতিক বন্ধুরাই তার মূল্যায়ণের পথে ছিল বাঁধা। তবে এটা অনস্বীকার্য যে রাব্বী ভাই একজন জাদরেল রাজনীতিবিদ। এখনোও অনেকে অনেক সমস্যা নিয়ে তার কাছে যান। তিনি তার সাধ্যমতো সমাধান করার চেষ্টা করেন।রাব্বী ভাইয়ের ‘জেলা পরিষদ’ এর চেয়ারম্যান হওয়া বা না হওয়া নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই,আমি চাইবো এই প্রবীণ আওয়ামীলীগাররা যেন নিজ জেলায় যথাযথ মূল্যায়িত হোন। তাতে নতুন প্রজন্ম উৎসাহ পাবে।

    শুভ কামনা রাব্বী ভাইয়ের জন্য!
    বেদনাবোধ ছাড়াই যেন সন্মানের সাথে বাকী জীবনটাও আওয়ামী লীগের জন্য উৎসর্গ করতে পারেন —এইটাই তার জন্য কামনা।

    ছেলে ড.ফরিদুল আলম তার বাবাকে নিয়ে লিখেছেন-ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপচারিতা যদ্দুর সম্ভব এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি। আসলে আমাদের যান্ত্রিক জীবনে এর খুব একটা আবেদন রয়েছে বলে মনেও করিনা। কয়েকটি কথা আজ বলতে ইচ্ছে হচ্ছে।
    আমার আব্বা জনাব ফজলে রাব্বী, ময়মনসিংহে অনেকর কাছে বর্তমানে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, বর্ষিয়ান নেতা, প্রবীণ নেতা, জাদরেল নেতা, পরোপকারী, দলের প্রয়োজনে সবচেয়ে সম্মুখ সারির মানুষ, ত্যাগী ইত্যাদি তকমা পেয়ে আসছেন, যা আমাদের আপ্লুত করে। এর বাইরে ইতিবাচক সমালোচনার চেয়ে তুলনামূলক বেশী নেতিবাচক সমালোচনা ( অবশ্য এসব যারা করেন, তারা তার কাছ থেকে বেশী সুবিধাভোগী) আমাদের ব্যথিত করে৷ তার গোটা রাজনৈতিক জীবনকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। অনেকবার অনেকভাবেই রাজনৈতিক সুবিধা এবং ফায়দা নেবার সুযোগ থাকার পরও তিনি দলের স্বার্থ এবং ঐক্যের প্রয়োজন বিবেচনায় নিজেকে পাদপ্রদীপের নিচে রেখে আলো ছড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন। সেই আলোয় আলোকিত হয়েছেন অনেকেই, কিন্তু আলোর মিছিলের আড়ালের মানুষটি আড়ালেই রয়ে গেছেন। তার ভেতরের কষ্টগুলোকে অনুভব করেছি আমি, তিনি কখনো কোনভাবেই তার কথা এবং কাজের মধ্যে এর প্রকাশ ঘটাননি। আমি সবসময়ই বলে আসছি, বাংলাদেশের ইতিহাস এবং রাজনীতি নিয়ে তার জ্ঞানের কাছে আমি নিতান্তই শিশু।
    আমি নিজের পিতার জন্য এমন আরও অনেক কিছুই বলতে পারি, বলিছিনা। এইটুকু বললাম এই কারণে যে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এধরণের অনেক মানুষ তাদের তিলতিল প্রচেষ্টা, ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন এবং বুকভরা ভালবাসায় আওয়ামী লীগ এবং জাতির পিতার আদর্শে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন, বিগত প্রায় ১৪ বছরে দলের কাছে কখনো কোন কিছুই না চাওয়া এইসকল ব্যক্তিদের আপনারা কতটুকু মূল্যায়ন করেছেন? একদিন তারা থাকবেন না, তাদের বুকভরা কষ্ট নিয়ে নিরবে, নিভৃতে চলে যাওয়ার শোক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে চলব আমরা।
    সারা জীবন কিছুই না চাওয়া, দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করা মানুষটি তার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর ক্রমাগত অনুরোধ উপেক্ষা করতে না পেরে এবার দলের কাছে প্রথমবারের মত চাইলেন। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ময়মনসিংহ জেলার জন্য দলের পক্ষে প্রার্থীতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দলের মনোনয়ন বোর্ড যা ভাল বিবেচনা করবেন সেটাই সবার জন্য শিরোধার্য। সকলের প্রার্থনা এবং শুভকামনা প্রত্যাশী। সবার জন্য শুভকামনা।

    এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ফজলে রাব্বি বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। আমার শ্রমে বিএনপির ঘাঁটিতে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী করেছি। আন্দোলন-সংগ্রামে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। এরপরও কখনও আওয়ামী লীগ ছাড়িনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছি। প্রত্যাশা করছি, আমার সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা আর জনমত জরিপের ভিত্তিতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন।

  • খরায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন ; বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি আমন ক্ষেত

    খরায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন ; বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি আমন ক্ষেত

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    বর্ষার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাইকগাছার কৃষকরা। বর্ষাকাল শেষ হয়ে গেলেও, আমন চাষের উপযোগী বৃস্টি হচ্ছে না। আর আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে এখনো আমন চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। বর্ষার মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিরুপায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর-বিল থেকে পানি দিয়ে আমন ধানের চারা অনেক কষ্টে রোপণ করেছিলেন। তখন ধারণা করেছিলেন বৃষ্টি হবে। সেচ দিয়ে যেসব জমিতে চারা রোপণ করেছে এখন সেসব জমিতে পানি সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। গত বছর আগস্টে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত এর এক-চতুর্থাংশও হয়নি। এ কারণে সেচ দিয়ে আমন চাষ করতে অধিক খরচ পড়ছে কৃষকদের। পানির অভাবে আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক।
    পাইকগাছা উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আমন চারা রোপণের সময় ফুরিয়ে এলেও পানির অভাবে চারা লাগাতে পারেনি অধিকাংশ কৃষক। অনেকে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করলেও পানির অভাবে রোপণকৃত চারা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, চারা মরে যাচ্ছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। বীজতলায় চারার বয়স বাড়ছে কিন্ত বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ করতে পারছেন না । যে সকল কৃষকরা সেচ দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপণ করেছিলেন, এখন তাঁদের প্রতি সপ্তাহে সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবছর ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। বীজতলার জন্য কৃষক বীজধান ক্রয় করেছে তবে পানির অভাবে জমি আবাদ করতে পারেনি। পাইকগাছা গদাইপুরের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, বীজ ধান কিনেছে, বৃস্টির অভাবে বীজতলা করতে পারেনি। সময় পার হয়ে যাচ্ছে আমন চাষের। গত বছর এসময় আমন ধানের চারা লাগানো শেষ হয়েছিল আর এ বছর শুরু করতে পারেনি বৃস্টির অভাবে। রাড়ুলীর কৃষ্ণপদ রায়, সবুর, করিমসহ কয়েকজন কৃষক জানান, বৃস্টির অভাবে জমিতে আমন চাষ শুরু করতে পারিনি। হঠাৎ করে একটু বৃষ্টির দেখা দিলেও তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে জমি ভিজছে না। অন্যদিকে চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা বাচিয়ে রাখতে হচ্ছে। এতে চিন্তার শেষ নেই। বিরাশির কৃষক সবুর জানান,চাষের সময় চলে যাচ্ছে তাই সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারপর বন্যা ও খরার ঝুঁকি তো আছেই। কৃষি অফিস ও কৃষকরা ধারণা করছে, কয়েক দিনের মধ্যে বৃস্টি না হলে উচু জমিতে এবছর আর আমন চাষ করা সম্ভাব হবে না। অনাবাদি থেকে যাবে জমি। তবে মাছ চাষের লীজ ঘেরে নাবী জাতের আমনের চারা লাগানো যাবে।উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমনের আবাদ হয় বর্ষাকালে। বৃস্টি নির্ভর আমনের চাষাবাদ। কমপক্ষে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন হয় আমনের চারা রোপণ করতে। কিন্তু গত এক মাসে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৫০ মিলিমিটারের মতো। আর সেই কারণে অনেক জমি পতিত আছে। বৃষ্টির সময় এখনও রয়েছে। তবে কৃষকদের জমিতে সেচ দিয়ে ধান রোপণ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সেচ দিয়ে চাষ করতে কৃষকদের একটু খরচ বাড়বে। বৃষ্টি হলে তাদের জন্য কাজটি অনেক সহজ হতো। আর অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। তাই কৃষকদের নাবী জাতের বীজতলা তৈরি করতে বলা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। বৃষ্টি হলে এ অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় বৃহস্পতিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ টিপু সুলতান, সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, ক্ষেত্র রণধীর সরকারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের পুকুর, লস্কর দীঘি, সোলাদানা নায়েবের পুকুর, আশ্রায়ণ প্রকল্প, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মন্দির সহ উপজেলার ৩২টি প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে মোট ৫শ ১২ কেজি রুই, কাতল, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে ।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় মাধ্যমিক বালিকা পর্যায়ে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় মাধ্যমিক বালিকা পর্যায়ে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছায় মাধ্যমিক বালিকা পর্যায়ে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহষ্পতিবার সকালে উপজেলার শহিদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবল খেলায় ট্রাইবেকারে ২-০ গোলে শহিদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়কে পরাজিত করে কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে । হ্যাণ্ডবল খেলায় হরিদাশকাটি বেগম জালাল উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় ট্রাইবেকারে ১-০ গোলে হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা বিদ্যালয়কে পরাজিত করে ।সাতারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক গ্রপে জবা ও খ গ্রুপে হিরামনি খাতুন ও দাবা খেলায় পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধরা রায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ।খেলা শেষে পুরুষ্কার বিতরন করা হয় ।
    শহিদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন পাপ্পু এর সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া । বিষেশ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষাঅফিসার শাহাজান আলী শেখ, শহিদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত)অজ্ঞলী রানী শীল, কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল, হরিদাশকাটি বেগম জালাল উদ্দিন বালিকা বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম্। উপস্তিত ছিলেন,সহকারি শিক্ষকবৃন্দ,শিক্ষার্থী ও এলাকার সুধিজন।

  • ঝিনাইদহে চাকরী প্রার্থীর টাকায় কেনা হলো দুইটি পালসার চাকরী হলো আরোকজনের!

    ঝিনাইদহে চাকরী প্রার্থীর টাকায় কেনা হলো দুইটি পালসার চাকরী হলো আরোকজনের!

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চার কর্মচারি নিয়োগ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে ভালকী, চারাতলা ও শিতলী বাজারে পত্রিকার কপি বিতরণ করতে দেখা যায়। এছাড়া এক প্রর্থীর টাকায় স্কুল সভাপতি ইয়ামিন ও শিক্ষক সলেমান দুইটি পালসার গাড়ি কিনলেও টাকা দেওয়া সেই প্রার্থীকে চাকরী দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে পায়রাডাঙ্গা গ্রামে শোরগোল শুরু হয়েছে। পায়রাডাঙ্গা গ্রামের তমছের আলী মন্ডল অভিযোগ করেন, তার ছেলে শান্তকে অফিস সহকারী পদে চাকরীর জন্য সভাপতি ইয়ামিন ও শিক্ষক সলেমান মন্ডলের কাছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন। এই টাকা দেওয়ার ক’দিন পরই যশোর থেকে এক সাথে দুইটি কালো পালসার গাড়ি কিনে আনেন সভাপতি ইয়ামিন ও শিক্ষক সলেমান। অথচ টাকা দেওয়ার পরও তার ছেলে শান্তকে চাকরী দেওয়া হয়নি। বেশি টাকা পেয়ে ওই পদে আরেকজনকে চাকরী দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি দুদক ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করবেন বলে তমছের আলী জানান। উল্লেখ্য ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অংকের টাকা নিয়ে চারটি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। টাকা ভাগাভাগী নিয়ে যেকোন সময় মারামারি বা নিয়োগের বিরুদ্ধে মাদলা হতে পারে বলে এলাকাবাসি আশংকা প্রকাশ করছেন। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য আনোয়ার হোসেন ও সাবনুর অভিযোগ করেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে চাকরী দেওয়া হয়েছে। মটরসাইকেল কেনা নিয়ে স্কুলের সভাপতি ইয়ামিন চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। সভাপতির সহযোগী পায়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরো মন্ডলের ছেলে ভালকী হাই স্কুলের শিক্ষক সলেমান মন্ডলের বক্তব্য নিতে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধেরেননি। হরিণাকুন্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক বলেন, ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে খবর দেখেছি। আমার কাছে এ নিয়ে কোন অভিযোগ আসলেও নিয়োগ শেষ হওয়ার পর আমার কিছুই করার নেই।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।