Category: জাতীয়

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ সারা বিশ্বের মানুষ প্রশংসা করেন

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ সারা বিশ্বের মানুষ প্রশংসা করেন

    হেলাল শেখঃ আগস্ট মাস বাঙ্গালি জাতির শোকের মাস, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ছোট বড় সবাইকে হত্যা করেছে ঘাতকরা। তাই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেন জাতি। বিশেষ করে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের মানুষ প্রশংসা করেন। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চুড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা হয়। প্রতিবছর এই দিবস জাতির জীবনে প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার নতুন বার্তা নিয়ে আসে।
    ৭ই মার্চ ও ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করেন জাতি। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে হানাদার বাহিনী বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করে মেশিনগান মর্টারের গোলায়। এই দিনে প্রথম প্রহরে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙালির বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করলে মুক্তি সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন: পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত পিলখানায় ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের নিরপরাধ লোকদের হত্যা করেছে। তখনকার সময়ে ঢাকা, চট্রগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছিলো।
    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হলে আমাদের কোনো স্বাধীনতা থাকতো না, বাঙ্গালি জাতি আমরা বাংলা নববর্ষ পালন করতে পারতাম না। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ নামে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন তৎকালীন পাকিস্তান বেতারের তিনজন পথপ্রদর্শক শব্দসৈনিক বেলাল মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ্ আল ফারুক এবং প্রয়াত আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সন্ধাবেলায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ৮৭০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার থেকে এই বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করা হয়।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ও ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণাভিত্তিক তারবার্তার আদলে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান ২৬শে মার্চ ১৯৭১ইং সালে কালুরঘাট থেকে সম্প্রচার করেন এম এ হান্নান, সুলতানুল আলম, বেলাল মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, কবি আবদুস সালাম, এবং মাহমুদ হাসান। এসময় তারা বারবার বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া বার্তা পাঠ করেন। এইদিন ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরের আদমজী কলেজ থেকে বন্দী অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়।
    পাকহানাদার বাহিনী ঢাকায় দিনরাত কারফিঊ দিয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে ভবন, বস্তি, ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বাসভবনের ওপর ভারি মেশিনগান ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। এলাকার পর এলাকায় আগুন লাগিয়ে ভয়ার্ত নরনারী ও শিশুদেরকে অগ্নিদগ্ধ করে এবং গুলি করে হত্যা করে। বিদেশি সাংবাদিকদের হোটেলের কন্টিনেন্টালে আটক রাখা হয়। এরপর ঘটে যায় অনেক ঘটনা, ৯ মাস যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, ২ লাখ মা-বোনকে নির্যাতন করা হয়। কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড সূত্র- ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বলা হয় কেন ? ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নাম ধারণ করে। বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর জন্যই ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বলা হয়। মহান স্বাধীনতার স্মৃতি কথা আমাদের সবাইকে অনেককিছু মনে করে দেয়। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক জনতার।

  • আগস্ট মাস আসলেই বিএনপি জামায়াত হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়- আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম

    আগস্ট মাস আসলেই বিএনপি জামায়াত হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়- আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম

    রিপোর্ট মোঃ মিজানুর রহমান,কাল‌কি‌নি ও ডাসার প্র‌তি‌নি‌ধি/
    কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন ‘আগস্ট মাস আসলেই বিএনপি জামায়াত হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমান মোস্তাক গংরা জাতির পিতা ও তার পরিবারের লোকজনদের যে ভাবে নির্মম ও নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছে পৃথিবীতে এমন নৃশংসতা হয়েছে কিনা জানিনা। বিএনপি জামায়াত হল খুনির দল।’
    আজ(শুক্রবার) সকালে কালকিনির নিজ বাস ভবনে উপস্থিত স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বিএনপি জামায়াতকে অপশক্তি আখ্যায়িত করে আরো বলেন ‘ এই অপশক্তিরা আন্দোলন সংগ্রামের নামে নানা ভাবে অপপ্রচার মিথ্যাচার করে দেশের মানুষদের বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন যেহেতু বিএনপি জামায়াতের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে সায় দেয়না এবং তাদের সমর্থন করেনা বিধায় তারা আন্দোলনের ডাক দিলে জনগন জনস্বার্থেই তাদের প্রত্যাখ্যান করছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম খোকন বেপারী, ডাসার উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, কালকিনি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান সবুজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ ফরিদ সরদার, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন বেপারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিল সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

  • বিএনপি আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত -পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

    বিএনপি আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত -পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

    সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
    বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। ২০১৪ সালে বোমা মেরেছিল, গাড়িতে আগুন দিয়েছিল বিএনপি। ২০১৮ সালে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে সকালে একজনকে আবার বিকেলে অন্যজনকে মনোনয়ন দিয়েছে তারেক জিয়া।

    শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নাটোরের সিংড়া শহর রক্ষা বাঁধ, রবীন্দ্র সরোবর, নজরুল সরোবর ও জীবনানন্দ সরোবর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

    খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এনামুল হক শামীম বলেন, মা হিসেবে আপনি কলঙ্কিত, আপনার ছেলে তারেক জিয়া দুর্নীতিতে অনার্স আর মানি লন্ডারিংতে মাস্টার্স করেছে। নায়ক আর খলনায়ক কখনো এক হতে পারেনা। ইতিহাসে সিরাজ উদÑদৌলা সিরাজ উদ-দৌলাই থাকে, মীরজাফর মীরজাফরই থাকে।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে জেলখানায় থাকার কথা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় এখন বাড়িতে বসবাস করছেন।
    আমরা যখন বিরোধীদলে ছিলাম বিএনপির শাসনামলে পুলিশি নির্যাতনে বাড়িতে থাকতে পারিনি। অন্যের বাড়িতে থেকেছি। তখন ছিল পুলিশি রাষ্ট্র।

    বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা নির্বাচনে আসেন।

    এনামুল হক শামীম আরও বলেন, শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানে অগ্রগতি। আগে আমরা বলতাম শেখ হাসিনা আ’লীগের জন্য অপরিহার্য। এখন সবাই বলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। শেখ হাসিনা নারীদের জন্য এক অগ্রগতির নাম, শেখ হাসিনা অসংখ্য ভুমিহীনকে ঘর করে দিয়েছেন। দূর্যোগ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা বিশ্বের শিক্ষক হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। পদ্মা সেতু হচ্ছে সক্ষমতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা। আজ সত্যিই তাই হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়েছে, আগামীতে মেঘনা সেতু হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম ও ৩০ লাখ শহীদদের আত্বত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা বাঙ্গালী। দীর্ঘ ৩৮ বছর চলনবিল ছিল সন্ত্রাসীদের কবলে। না ছিল রাস্তা, না ছিল বিদ্যুৎ। নির্বাচন আসলে অতিথি পাখির মত সবাই এসে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। ১৯৭২ সালের পর কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, কখনো জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারা অপপ্রচার করতো, নৌকায় ভোট দিলে দেশ ভারত হয়ে যাবে, মসজিদ থাকবে না, বাবা-ভাইদের মাথায় টুপি থাকবে না। মায়েদের মাথায় সিঁদুর থাকবে। এসব কথা বলে আমাদেরকে উন্নয়ন বি ত করেছে। চলনবিল আজ শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা মিলছে। সবই সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজিব ইসলাম জয়ের কারণে। নতুন রুপে ২ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে সিংড়া পৌরসভা হবে সুরক্ষিত শহর।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী উত্তর-পশ্চিমা লের প্রধান প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, সিংড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো. ওহিদুর রহমান শেখ, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, সহকারি পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) মো. জামিল আকতার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান, সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর-এ-আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।

    মো. এমরান আলী রানা
    সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি।।

  • সুন্দরগঞ্জে পুত্রের নামে পিতার মিথ্যা মামলা

    সুন্দরগঞ্জে পুত্রের নামে পিতার মিথ্যা মামলা

    গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নিজের ছেলের নামে আদালতে পিতার মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিয়া চৌধুরী বাজার গ্রামের সফিউল ইসলাম প্রতিহিংসা ও আক্রোশের বশবর্তী হয়ে নিজের ছেলে রইছুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও মারামারির মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। অথচ স্থানীয়রা জানান, পিতা সফিকুল ইসলাম প্রায়শই ছেলে রইছুলের গাছ কর্তন, খড়ের (পলের) ঢিবিতে অগ্নিসংযোগ, ঘরের দরজায় তালা লাগানোসহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করে আসছে। এছাড়া মসজিদের মুয়াজ্জিন সফিকুল ইসলাম তার ৪ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম ও ৩য় ছেলে রইছুল ইসলামকে সম্পূর্ণভাবে জমিজমা থেকে বঞ্চিত করে। সমস্ত সম্পত্তি তার স্ত্রী কছিরন বেগমকে ২৪ শতক, ২য় ছেলে আব্দুর রশিদের নামে ২৭ শতক, সব ছোট ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের নামে ২৫ শতক ও মেয়ে সাহেরা বেগমের নামে ৫ শতক জমি দলিল করে দিয়ে পারবারিক কোন্দলের বীজ বপন করে। সেই সাথে রাজ্জাক ও রইছুল ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে বিল্ডিং ঘর নির্মান করলেও ওই ঘর থেলে রইছুলকে উৎখাত করে অন্য ছেলেকে ঢুকানোর পায়তারা করছেন। এব্যাপারে সফিকুল ইসলামের আপন ভাই আজিজার রহমান সুপারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রইছুলের নামে করা মামলা টি সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি তার জাকজকম প্রমাণ।
    উল্লেখ্য-এর আগেও পিতা সফিউল ইসলাম ছেলে রইছুলের নামে থানায় অভিযোগ করলে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

  • গাইবান্ধায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডিপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া

    গাইবান্ধায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডিপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
    গাইবান্ধায় লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলের কবরের পাশে শায়িত হলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি।
    ২৫ জুলাই সোমবার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীরা চোখের জলে বিদায় জানালেন তাদের প্রিয় এই নেতাকে। অন্তিম শয়নের আগে প্রমাণ করে গেলেন গণমানুষের নেতা ছিলেন এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জানাজায় ছিল শোকার্ত মানুষের ঢল। বুকফাটা কান্না, আর্তনাদ আর আহাজারিতে লাখো মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন তিনি।

    জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের টানা ৭ বারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার মরদেহ ঢাকা থেকে বিমান বাহিনীর ৪১১ নম্বর হেলিকপ্টারে সোমবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়ায় পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে সড়ক পথে তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হয় ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সংসদ সদস্যগণসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁকে। এরপর ওই মাঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অর্নার দেওয়া হয়। গার্ড অব অর্নার পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। পরে ওই মাঠে বিকেল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৫টায় তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

    পরিচ্ছন্ন, দক্ষ সংগঠক ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে তিনি যে জনপ্রিয় ছিলেন তাঁর জানাযায় আসা শোকার্ত মানুষের ঢলই দেখেই বোঝা যায়। জানাযায় দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। দলীয় নীতি আদর্শে অটল থাকলে যে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া যায় তাঁর জানাযায় শোকার্ত মানুষের ঢলই তার প্রমাণ করে। শেষ যাত্রায় জনতার বাঁধ ভাঙ্গা ঢল ও বেদনাবিধুর চিত্তে গাইবান্ধাবাসী তাকে বিদায় জানিয়েছেন। রাজনীতিতে তার নির্লোভ মানসিকতা আর বিচক্ষণতায় নিজেকে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া শেষ যাত্রায় শ্রদ্ধা পেয়েছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও। স্বজন- আপনজন ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাঁদিয়ে ও লাখো মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পারিবারিক কবরস্থানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এই বর্ণাঢ্য রাজনীতিক।

    স্থানীয়রা জানান, ফজলে রাব্বী মিয়া ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভরসার স্থান। তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতিতে নেতৃত্বের শূন্যতা কোনদিন আর পূরণ হওয়ার নয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও জনকল্যাণমুলক কাজে তিনি নিজেকে জীবনের পুরোটা সময় নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর অবদান এলাকাবাসী গভীর শ্রদ্ধার সাথে আজীবন স্মরণ রাখবে। তিনি বেঁচে থাকবেন তার কর্মে, মানুষের হৃদয়ে সমুজ্জল থাকবেন প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে।

    সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ফজলে রাব্বি মিয়ার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছে। তার প্রথম জানাজা সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা সুপ্রীম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

    উল্লেখ্য- শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমেরিকার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফজলে রাব্বি মিয়া। বার্ধক্যজনিতসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯ মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বি মিয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের টানা সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের পর পর দুইবারের ডেপুটি স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন।

  • ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতিকে বিরোধীদলীয় নেতার অভিনন্দন

    ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতিকে বিরোধীদলীয় নেতার অভিনন্দন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
    ভারতের নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)
    ভারতের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।

    সোমবার (২৫জুলাই)বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব,মামুন হাসান প্রেরিত এক অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে আর্থিক অগ্রগতিই এখন দু-দেশের লক্ষ্য । আর এই আর্থিক অগ্রগতিই দুই বন্ধু দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নকে তরান্বিত করবে । ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বহুমুখী সম্পর্ক উন্নয়নে দু’দেশ কাজ করে যাবে। সেই লক্ষ্যেই ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সাথে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন বিরোধীদলীয় নেতা।

    বিরোধীদলীয় নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সমর্থন এবং মাতৃভূমির মুক্তির জন্য ভারতীয় সেনাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

    সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত স্বাধীন ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে “রাষ্ট্রপতি” নির্বাচিত হওয়া “দ্রৌপদী মর্মু’র মেয়াদকালে তাঁর সাফল্য কামনা করেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

  • বিদ্যূতের খাম্বা তারেক জিয়া লুটে পুটে খেয়েছে —নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

    বিদ্যূতের খাম্বা তারেক জিয়া লুটে পুটে খেয়েছে —নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

    দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিএনপি জামাতের আমলে একদিন বিদ্যূত গেলে ৩/৪ দিনেও বিদ্যুত ফিরে আসতো না। বিদ্যূতের খাম্বা তারেক জিয়া লুটে পুটে খেয়েছে। রাজনীতিতে তারা এখন দেউলিয়ায় পরিনত হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারনেই জ্বালানীর মজুদের অপ্রতুল্য হওয়ায় বিদূত্যেও সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে সমগ্র পৃথিবী ঝুকির মধ্যে আছে। এই যুদ্ধ থামাতে আমেরিকাকেই এগিয়ে আসতে হবে।
    ২৩ জুলাই শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের জগতপুর এলাকায় দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাস্তবায়নে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে নব নির্মিত বিরল-২, ৩৩/১১ কেভি, ২০/২৮ এমভি ইনডোর উপকেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলি বলেন।
    বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফছানা কাওছার এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, এ্যাড. রবিউল ইসলাম, পিপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিভুতি ভুষন সরকার, রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা আজাদ ইকবাল লাবু, বিজোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম খোকন, রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আজম প্রমুখ।

  • পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে — সংস্কৃতি মন্ত্রী

    পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে — সংস্কৃতি মন্ত্রী

    রওশন আরা শিলা,নওগাঁ প্রতিনিধি : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন যথাযথ মান উন্নয়নের মাধ‍্যমে পাহাড়পুরের পর্যটনের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলা হবে। কারন পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে মজবুত করারও যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।

    প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঐতিহাসিক পাহাড়পুর যাদুঘর সেমিনার কক্ষে আয়োজিত “পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে দর্শক বান্ধব করার লক্ষে অংশিজনের অংশগ্রহণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।

    প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় বগুড়া এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

    সভায় পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে কিভাবে আরও আকর্ষণীয়, আরও দর্শক নন্দিত এবং ভ্রমন পিপাসুদের নিকট আরও গুরুত্ববহ করে তোলা যায় সে ব‍্যাপারে পরামর্শ প্রদানপূর্বক বক্তব‍্য রাখেন নওগাঁ-২ ধামইরহাট – পত্নীতলা আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ – ৩ মহেদবপুর – বদলগাছি আসনের সংসদ সদস্য মো: ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মিল্টন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম, বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: আল্পনা ইয়াসমিন, বদলগাছি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: আতিয়ার রহমান, নওগা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: কায়েস উদ্দিন, পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিশোরসহ অন্যান্যরা।

    সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেছেন দেশী বিদেশী পর্যটকদের অধিকতর আকৃষ্ট করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসিক ব্যবস্থা সহ আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

    প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার পর্যটন খাতকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নাই।

    প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ এমপি পরে পাহাড়পুর ঐতিহাসিক নিদর্শনস্থলে দি হেরিটেজ ক্যাফেল নামের একটি মান সম্পন্ন হোটেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।।

  • নড়াইলে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

    নড়াইলে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর ও মন্দির পরিদর্শন করলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

    জান্নাতুল বিশ্বাস.নড়াইল!!
    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সহিংসতায় ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন-গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
    তারা স্থানীয় দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বনিরুল ইসলাম বনি, সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম নয়নসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
    আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া গোবিন্দ সাহার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা সহযোগিতাও করেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
    এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোনো স্বজ্জন মুসলমান, সঠিক মুসলমান কারো বাড়িতে আগুন দিতে পারেন না। মুসলমান নাম থাকলেই তিনি মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহর বান্দা হয় না। মুসলমান যদি স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। আজকে শুধু সংখ্যালঘু নামের কারণে দরিদ্র মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এ হামলা ও ভাংচুরের নিন্দা জানাই।
    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। যারা এ ঘৃণিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই। আর এ ধরণের হামলা ঘটার পরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। তাই এসব ঘটনা দুর্বৃত্তকারীদের উৎসাহ সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বিচারটা দ্রæত হওয়া জরুরি। তা না হলে দিন দিন উগ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

    বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ ৫-৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে।
    এদিকে, মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২০) বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ওইদিন (১৬ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে, সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মাকফুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন।
    পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

    মো জান্নাতুল বিশ্বাস
    নড়াইল প্রতিনিধি।।