Category: জাতীয়

  • প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহীসহ গোদাগাড়ীতে  উৎসবের আমেজ

    প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহীসহ গোদাগাড়ীতে উৎসবের আমেজ

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ বছর পর রাজশাহী আসছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে গোদাগাড়ীতে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থদের মাঝে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড থেকে শুরু উপজেলা পর্যায়ে নেতা কর্মী সমর্থকগণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কি ভাবে প্রধান মন্ত্রীর সমাবেশে বেশী লোকজন উপস্থিত করা যায় সে ব্যপারে প্রস্ততিমূলক সভা করা হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে, মোড়ে মোড়ে ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টনে ছেঁয়ে গেছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রধান স্বাগত জানাতে প্রস্তুুত।
    এদিকে ওবর্ণিল রূপে সাজছে পদ্মাপাড়ের এ প্রানের রাজশাহী শহর। রাজশাহীতে জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে সকালে সারদা পুলিশ একাডেমী পরিদর্শন ও পুলিশ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    পরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
    এরই মধ্যে রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, নিশান, তোরণের পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় বিভাগজুড়ে এক ভিন্ন রকমের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

    সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয়েছে প্রচার মাইকিং। রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে প্রতিদিনই ওয়ার্ড, থানা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে হচ্ছে- প্রচার মিছিল, গণসংযোগ, হ্যান্ডবিল বিলি, প্রস্তুতি সভা ইত্যাদি।

    দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা সফল করতে পুরো রাজশাহী বিভাগজুড়েই এখন ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্রের ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সাজতে শুরু করেছে রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চল। দেশের সরকার প্রধানকে বরণ করে নিতেই এতো আয়োজন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির অংশগ্রহণে রাজশাহীতে সম্ভাব্য শেষ জনসভা এটি।

    সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ণিল রূপে সাজতে শুরু করেছে মহানগর। স্থানীয় নেতাদের মধ্যেও নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। দলীয় সভাপতির নজরে আসতে রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, নিশান, তোরণ টানানোসহ নানা কর্মসূচি পালনে তাদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে।

    স্থানীয় নেতারা পথে ঘাটে, অলিতে-গলিতে, হাটে-বাজারে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ব্যানার ফেস্টুন নেই। সবখানেই এখন প্রধানমন্ত্রী আগমনের শুভেচ্ছা ও উন্নয়ন বার্তা। শীর্ষ নেতা থেকে জুনিয়ররা সবাই প্রধানমন্ত্রীর আগমনের শুভেচ্ছা দিচ্ছেন ব্যানার আর ফেস্টুন ঝুলিয়ে। কোথাও কোথাও এক খাম্বাতেই আছে ৪/৫ নেতার শুভেচ্ছা।

    বিশেষ করে সমাবেশস্থল রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ থেকে শুরু করে রাজশাহী মহানগরীর বানেশ্বর হয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির সড়ক পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া মহানগরীর কোনো গলিও বাদ যাচ্ছে না।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে রাজশাহীবাসী অধীর অপেক্ষায় আছেন। তার আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তার সম্মানে বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পুরো রাজশাহীকেই। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজশাহী মহানগরীর ততোই সজ্জিত হয়ে উঠছে।

    খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষে ১ জানুয়ারি থেকেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মহানগর পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে সভা করেছি, বিভিন্ন কমিটিগুলো করেছি। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের নয়টি সাংগঠনিক জেলা, তাদেরকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সভা করেছেন।
    এই মাদ্রামা মাঠ শুধু নয়, মাঠের পাশে যে ঈদমাঠ আছে সেটিসহ পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হবে। মাঠ কানায় কানায় ভরে যাবে। তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না।

    এদিকে, সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সমাবেশস্থলে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজশাহীজুড়ে নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে।

    রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে সামনে রেখে হেড কোয়ার্টারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই সক্রিয় রয়েছে পুলিশ।

    তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে একজন ভিভিআইপির প্রটোকলে যত সুবিধা লাগে তার সব কিছুই আমরা প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়াও মাদ্রাসা মাঠে একটি অস্থায়ী পুলিশের তাবু টানিয়ে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলছে। পাশাপাশি সাইবার টিম, বোম্ব ডিস্পোজাল টিম, সিআইডি, সাদা পোষাকি পুলিশ মোতায়েন আছে। সমাবেশের দিন নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরাগুলো চেক করা হচ্ছে পাশপাশি নতুন ক্যামেরাও যোগ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের পর প্রথম কোনো নির্বাচনী সমাবেশ। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর এই ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার কাছে আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় ও ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি।

    ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবার হরিয়ানের বিশাল জনসভায় হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় রাজশাহীতে এই সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে প্রতিদিনই ওয়ার্ড,উপজেলা ও ইউনিয়নে হচ্ছে- প্রচার মিছিল, গণসংযোগ, হ্যান্ডবিল বিলি, প্রস্তুতি সভা ইত্যাদি। ২৯ জানুয়ারী প্রধান মন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরনকালের বড় জনসভা। একই মন্তব্য করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস।

    দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, আমার ইউনিয়ন থেকে সব চেয়ে বেশী নেতা কর্মী সমর্থক, সুধিজন প্রধান মন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত এজন্য প্রতিদিন প্রস্ততিমূলক সভা করা হচ্ছে। কিভাবে, কখন জনসভায় উপস্থিত হবেন সে ব্যপারে পরামার্শ দেয়া হচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত সভাপতি ফিজার এমপি ও সা:সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা

    দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত সভাপতি ফিজার এমপি ও সা:সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।স্টাফ রিপোর্টার।।
    দিনাজপুরে সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সন্মেলন২০২২ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠান গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান এলাকায় কাউন্সিল আয়োজন হয় দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে।

    জানা যায়,এ কাউন্সিলে দ্বিতীয় বারেরমত মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি সভাপতি ও আলতাফুজ্জামান মিতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
    এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
    দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহামুূদ,সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক,প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাড.হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাড.সফুরা বেগম রুমি, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি,জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি,আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি,শিবলী সাদিক এমপি ও অ্যাড. জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি।

    তবে এ সন্মেলন জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে সমাপ্তি হয়।

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।

  • দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আজ আরো শক্তিশালী – প্রধানমন্ত্রী

    দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আজ আরো শক্তিশালী – প্রধানমন্ত্রী

    আজিজুল ইসলামঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে দিয়েছেন। সে কারণে তিনি আজ সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত নেতা দেশকে কী দিতে পারেন বলেন।

    বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে এই প্রশ্ন রাখেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করেছি। যশোরে আমাদের সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কৃষকের সব রকম সুযোগ করে দিয়েছি। ১০ টাকায় আজ কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। এই যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক হয়েছে।যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি যশোর অঞ্চলসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
    বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষনা করেন জনসভার সঞ্চালনায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

  • পাইকগাছায় শিরিস গাছের ডালের আঠা সংগ্রহে হিড়িক পড়েছে

    পাইকগাছায় শিরিস গাছের ডালের আঠা সংগ্রহে হিড়িক পড়েছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।। আশানুরুপ মূল্য পাওয়ায শিরিস গাছের ডালে লেগে থাকা আঠা জাতীয় প্রলেপ সংগ্রহের হিড়িক পড়ে গেছে। গত এক মাস ধরে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে মহাধুমধামের সাথে এই প্রলেপ সংগ্রহের কাজ চলছে। কাজকর্ম ও নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃন্ধসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ শিরিস গাছের ডালে লেগে থাকা এই আঠা জাতীয় প্রলেপ সংগ্রহ করছে। তারা দাম পাচ্ছে আশানুরুপ। তাই আঠা লাগানো ডাল সংগ্রহে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেঘুরে ডাল ক্রয় করছে।শিরিস গাছের ডালের আটা কোথায় যাচ্ছে, সেটা কেউ সঠিকভাবে তারা বলতে পারছে না।
    লোক মুখে শোনা যাচ্ছে,কেউ বলছে ঢাকায যাচ্ছে আবার কেউ বলছে এটি ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নিয়ে কি করা হচ্ছে, সেটাও সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারছে না।আর কোথায় যাচ্ছে তা নিযে সংগ্রহকারি, ক্রেতা ও বিক্রেতার কোন মাথা ব্যাথা নেই।তারা টাকা পাচ্ছে বিক্রি করছে।
    প্রতিদিন সন্ধ্যায় উপজেলার কপিলমুনি ও শ্যামনগর বাজারে বিক্রি হচ্ছে।বাহিরের ব্যবসাহীরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।স্থানিয় বিক্রেতা মোঃ সাইদুল গাজী, রহমত আলী, ফরিজুল জানান, কপিলমুনি হাসপাতালের সামনে ও মালতে সন্ধ্যায় হাট বসে। বাহিরের ব্যাপারীরা এসে কিনে নিয়ে যায়। প্রতিদিন ভোর হতে স্থানিয় ক্রেতারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে এগুলো কিনে নিচ্ছে।গাছ থেকে ডাল কেটে শত শত ভ্যান ও ইজিবাইক বোঝাই করে বাড়ি নিয়ে আঠা ছাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে আয হচ্ছে ভাল। শতশত মানুষ বিকল্প আয় হিসেবে এই কাজে ব্যস্থ সময় পার করছে।
    জানা গেছে, নওগা ও রাজশাহীতে গালা,পালিস,রং তৈরির কেমিক্যাল কারখানা রয়েছে। এ বিষয়ে কপিলমুনি বাজারের ব্যবসাহী নারান চন্দ্র সিংহ বলেন, শিরিসের আঠা রাজশাহী ও নওগায় যাচ্ছে, সেখানে কারখানা আছে।মেশিনে রিফাইনিং করে মণ্ড তৈরি করা হয়।এদিয়ে ফর্নিচারের পালিস করা গালা,সিল গালা সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল জাতিয় দ্রব্য তৈরি করা হয়।
    পাইকগাছার নতুন বাজারের কাঠ ব্যবসাহী সবুর হোসেন বলেন,আমি তিনটি শিরিস গাছ কিনেছি ১৭ শত টাকায়।আর মেলেকপুরাইকাঠি গ্রামের মনিরুলের নিকট তিনটি গাছের আঠার প্রলেপ লাগা চিকন ডাল বিক্রি করেছি ২ হাজার ৫শত টাকায়। চিকন ডালগুলির ওজন এক মন হতে পারে।আঠা লাগা শিরিসের ডালের ব্যাপক চাহিদা। কে কার আগে ডাল কিনতে পারবে তার জন্য ব্যবসাহীরা বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াছে।
    ব্যবসাহী সাইদুর জানান,আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে গাছের ডাল ক্রয় করে গাছ থেকে সেগুলো নিজেরা ভেঙে নিয়ে আসছি। সারাদিন ডাল ক্রয় করে সন্ধ্যায় বাড়িতে গিয়ে আঠা গুলো পরিষ্কার করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেই।ডাল থেকে আঠার মত প্রলেপ ছাড়াতে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দিতে হয়। এ আঠাগুলো সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ডাল থেকে ছাড়ানো এ আঠা কেজি প্রতি ২শত টাকা থেকে ২৫০টাকা দরে বিক্রয় করছি। এতে প্রতিদিন ৩ জনের প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লাভ হয়।
    সাতক্ষীরা জেলার তালা থেকে পাইকগাছার কপিলমুনিতে আঠা ক্রয় করতে আসা আব্দুল হাই, তার ছেলে ইমদাদুল বিশ্বাস বলেন, আমরা গাছের ডাল ক্রয় করছি। যে গাছের ডালে যেমন আঠা আছে, সে গাছ সেই রকম মূল্যে ক্রয় করছি।ইতিমধ্যে ৩টি গাছের ডাল ক্রয় করেছি।নিজেরা গাছে উঠে ডাল ভেঙ্গে এনে আটি বেধে রাখছি।ভ্যানে করে বাড়ি নিয়ে যাবো। সন্ধ্যায় বাড়িতে গিয়ে ডাল থেকে আঠা গুলো ছাড়িয়ে বিক্রয় করবো।
    কয়েক বছর যাবত উপকুল এলাকার শিরিস গাছের ডাল থেকে আঠা ঝরে যাচ্ছে ও ডাল শুকিয়ে যাচ্ছে।কি কারণে আঠা ঝরে ডাল শুকিয়ে যাচ্ছে তার রোগ উদঘটন হয়নি।আর আঠা ঝরে এক পযায় শতশত গাছ মরে মরে যাচ্ছে।ভোর হলেই শত শত মানুষ গ্রামে গ্রামে এসে একেবারে উৎসবমুখর পরিরেশে শিরিস গাছের এই আঠা সংগ্রহের জন্য ডাল ক্রয় করছে। ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ, নারী পুরুষ মিলে সামান্য টাকার লোভে যেভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে গাছে উঠে আঠা লাগানো চিকন ডাল কাটছে। বিশেষ করে মরা গাছে উঠে এই ডাল ও আঠা সংগ্রহ করছে তাতে ভয় হচ্ছে।ঝুকি নিয়ে গাছের নরম ডালে বসে আঠা লাগানো চিকন ডাল সংগ্রহ করতে গিয়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে তার আশঙ্কাও রয়েছে।তারপরও ঝুকি নিয়ে তারা শিরিস গাছের মাথায চড়ে চিকন ডাল সংগ্রহ করছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হওয়া এতো সহজ নয়

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হওয়া এতো সহজ নয়

    হেলাল শেখঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হওয়া এতোটা সহজ নয়। ছাগল ও গরু চুরি করে বড় বড় কথা যারা বলেন তাদের লজ্জা নেই বললেই চলে। ইতিহাস জানতে হলে বই পড়তে হবে, ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন আর ১৫ আগস্ট মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেন জাতি। শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। বাংলাদেশের স্থপ্রতি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ও দেশের জন্য মরতে পারি প্রয়োজনে মহারণ, তবুও শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ থেকে, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না, যা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন তা এখন ইতিহাস।
    ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে কত রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে মানুষের। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আর যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে এবং অপমান করে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হয়ে অনেকেই ফেসবুক নেতা, ফেসবুক সাংবাদিক বনে গেছেন, যা পায় তাই খায়, দলের শীর্ষ নেতা ও পুলিশ অফিসারের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে দুষ্টুলোকগুলো ফায়দা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে, আবার বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে বিভিন্ন ফায়দা নিতে যারা চেষ্টা করছে সঠিকভাবে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। সবখানে সিন্ডিকেট জটিলতা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্রের সদস্যরা। কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কিছু শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। তাদের মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম মানায় না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হওয়া সহজ বিষয় না। শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদেরকে বাংলার মাটিতে বিচার দাবি করছি। শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছে জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়–ন, জাতির সবকিছু জানুন, শেখ মুজিবুর রহমান কেমন মানুষ ছিলেন। কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
    ২৪তম বিসিএস ২০০৩ সালের ১২২ পাতায় কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইডের সুত্র: বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার একর। বাংলাদেশে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ২৫ একর (২৫শতাংশ)। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির কতভাগ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তথ্যমতে প্রায় ৬৬ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করেন। কিন্তু আবাদী জমিতে ইটভাটা ও কল কারখানা হওয়ায় এখন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর ২০০২ সালে ৪র্থ কৃষি শুমারি হয়। কৃষি জমি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ২০০০ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়, কিন্তু দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ বা সেতু নির্মাণ করছে সরকার-এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এতে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। অতথ্যমতে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৭কোটি, যা বর্তমান ২০২২ইং সালে প্রায় ১৮ কোটির মতো। মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সরকার।
    বর্তমানে উন্নয়নমুখী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, এরইজন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। লিখতে গিয়ে থামতে মন চায় না, শেখ মুজিবুর রহমান তোমাকে আমরা ভুলিনি আর কোনদিন ভুলবো না। সারাদেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ ও শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীসহ বাঙ্গালি জাতি জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জানা যাবে কারা প্রকৃত ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।

  • চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ এ্যানী রহমান – আওয়ামী লীগে শোক

    চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ এ্যানী রহমান – আওয়ামী লীগে শোক

    শেখ এ্যানী রহমানের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রাণবন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন শেখ এ্যানী রহমান। দেশ,জনগণ ও নিজ সংসদীয় এলাকার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নারী সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। শেখ এ্যানী রহমানের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ গভীর শোকাহত।

    বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে বনানী কবরস্থানে সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।

    এর পুর্বে সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের নামাজে জানাজা বৃহস্পতিবার বনানী কবরস্থান মসজিদে বাদ আসর সম্পন্ন হয়।

    জানাজা শেষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

    শ্রদ্ধা জানান, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা। এরপর বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

    সদ্য প্রয়াত শেখ এ্যানী রহমান পিরোজপুর থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। গত মঙ্গলবার ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

  • নারী সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় খাগড়াছড়িতে ডিসি কর্তৃক কোচ ও ৩ নারী খেলোয়াড়দের পুরস্কার ঘোষণা

    নারী সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় খাগড়াছড়িতে ডিসি কর্তৃক কোচ ও ৩ নারী খেলোয়াড়দের পুরস্কার ঘোষণা

    (রিপন ওঝা)

    বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল স্বাগতিক নেপালকে ৩-১গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।

    এ জয় উপলক্ষ্যে টিমের খাগড়াছড়ির তিন ফুটবলার ও এক কোচের জন্য ৪ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হলো খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ঘোষণা দিয়েছেন।

    কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ছিল অনেক কিছু। মাঠে ২৫ হাজার স্বাগতিক দর্শকের ছিল তাদের বাড়তি উৎসাহ
    নেপালকে কখনও হারাতে পারে নি মেয়েরা। বৃষ্টির ফোঁটায় কাঁদার মাঠে সেরাটা দিতে পারার শঙ্কাও ছিল। সব শঙ্কাকে জয় করে ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম উৎসব করে টাইগ্রেসরা। কর্ণার থেকে আসা ক্রস থেকে গোল করেন শামসুন্নাহার।

    বয়স ভিত্তিকের মতো এবার জাতীয় দলের মেয়েদের অর্জনের ঝুলি পূর্ণ হলো বড় এক শিরোপায়। স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নারী সাফ ফুটবলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

    প্রথমার্ধে আরও একটি গোল করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারের গোল আসে কৃষ্ণা রানি সরকারের পা থেকে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের বল ধরে ম্যাচের ৪১ মিনিটে জোরের ওপর নেওয়া তার শট ফেরানোর কোন সুযোগই পান নি নেপাল গোলরক্ষক।

    দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে এক গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেয় স্বাগতিক নেপাল। কিন্তু ৭৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করে দলকে শিরোপার কাছে নিয়ে যান কৃষ্ণা। পরের সময়টা গোলবার অক্ষত রাখার কাজটা করতেও ভুল করেনি গোলাম রাব্বানি ছোটনের নারী ফুটবল দল।

    এজয়ে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির জেলার সকল উপজেলায় ক্রীড়ামোদিদের মাঝে আনন্দের আমেজ বইছে এবং ভবিষ্যতেও এমন জয়ের ধারা অব্যহত থাকুক দোয়া কামনা করেন।
    

  • নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ডিসি ও এসপি

    নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ডিসি ও এসপি

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ডিসি ও এসপি। সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদরের নূর মোহাম্মদ নগরে (সাবেক মহিষখোলা গ্রাম) বিভিন্ন কর্মসূচির মাথ্যমে পালিত হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে (নূর মোহাম্মদ নগরে) জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, তিনি ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে ‘বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ’ (বিজিবি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বাহিনীতে দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন তিনি। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ করেন।১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শাহাদতবরণ করেন। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। এদিকে ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। নূর মোহাম্মদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে নড়াইল এবং যশোর শহরে বসবাস করেন। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই বীরের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাষ্টের আয়োজনে কোরআন খানি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ বাহিনী কর্তৃক সশস্ত্র সালাম, কুইজ প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন নড়াইল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মহাবিদ্যালয়, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।এসময় পুলিশের একটি চৌকষ বাহিনী রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করেন।পরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর মিলনায়তনে কুইজ প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাষ্ট নড়াইলের সদস্য সচিব ও চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এসএ মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদরের নূর মোহাম্মদ নগরে (সাবেক মহিষখোলা গ্রাম)বিভিন্ন কর্মসূচির মাথ্যমে পালিত হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে (নূর মোহাম্মদ নগরে ) জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি।
    তিনি ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে ‘বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ’ (বিজিবি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বাহিনীতে দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন তিনি। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ করেন।১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শাহাদতবরণ করেন। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।
    এদিকে ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। নূর মোহাম্মদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে নড়াইল এবং যশোর শহরে বসবাস করেন।
    সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই বীরের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাষ্টের আয়োজনে কোরআন খানি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ বাহিনী কর্তৃক সশস্ত্র সালাম, কুইজ প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন নড়াইল জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মহাবিদ্যালয়, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন।এসময় পুলিশের একটি চৌকষ বাহিনী রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করেন।পরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর মিলনায়তনে কুইজ প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাষ্ট নড়াইলের সদস্য সচিব ও চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এসএ মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

    হেলাল শেখঃ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে সারাদেশে মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত, আজ ৩০ আগস্ট ২০২২ইং ঢাকার “আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস পালন করছেন।
    ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন আর ১৫ আগস্ট তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী। শক্রমুক্ত হোক দেশ, স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। বাংলাদেশের স্থপ্রতি বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ও দেশের জন্য মরতে পারি প্রয়োজনে মহারণ, তবুও শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশে এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না, যা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন তা এখন ইতিহাস।
    ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝরছে কত রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে মানুষের। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন এবং যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
    মার্চ মাসটি বাঙালী জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হয়ে অনেকেই ফেসবুক নেতা, ফেসবুক সাংবাদিক বনে গেছেন, যা পায় তাই খায়, দলের শীর্ষ নেতা ও পুলিশ অফিসারের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে দুষ্টুলোকগুলো ফায়দা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সবখানে জটিলতা ও সমস্যা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্রের সদস্যরা। কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কিছু শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। তাদের মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম মানায় না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হওয়া সহজ বিষয় না। শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের বাংলার মাটিতে বিচার চাই। শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছে জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার।
    বাংলাদেশের চলমান কিছু ঘটনা। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়–ন, জাতির সবকিছু জানুন, শেখ মুজিবুর রহমান কেমন মানুষ ছিলেন। কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
    ২৪তম বিসিএস ২০০৩ সালের ১২২ পাতায় কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইডের সুত্র: বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার একর। বাংলাদেশে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ২৫ একর (২৫শতাংশ)। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির কতভাগ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তথ্যমতে প্রায় ৬৬ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করেন। কিন্তু আবাদী জমিতে ইটভাটা ও কল কারখানা হওয়ায় এখন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর ২০০২ সালে ৪র্থ কৃষি শুমারি হয়। কৃষি জমি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ২০০০ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়, কিন্তু দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ বা সেতু নির্মাণ করছে সরকার-এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এতে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। অতথ্যমতে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৭কোটি, যা বর্তমান ২০২২ইং সালে প্রায় ১৮ কোটির মতো। মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সরকার। বর্তমানে উন্নয়নমুখী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, এরইজন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সবাইকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জয় বাংলা। লিখতে গিয়ে থামতে মন চায় না, শেখ মুজিবুর রহমান তোমাকে আমরা ভুলিনি আর কোনদিন ভুলবো না। সারাদেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ ও শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও বাঙ্গালি জাতি মাস ব্যাপী জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।

  • নওগাঁয় ১৫ আগষ্ট উপলক্ষ্যে বিশাল শোক সমাবেশ উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই -তথ্যমন্ত্রী

    নওগাঁয় ১৫ আগষ্ট উপলক্ষ্যে বিশাল শোক সমাবেশ উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই -তথ্যমন্ত্রী

    নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারনে বর্তমান সরকারের সময় দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে পুনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামলীগের কোন বিকল্প নাই। কারন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে আবারো সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস বোমাহামল্ াআর জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে। যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছিল, যাদের সময় বিদ্যুৎ আর সারের জন্য মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, যারা দূনীতিতে পর পর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না।

    তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৫টায় নওগাঁ নওযোয়ান ঈদগাহ মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বিশাল শোক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কখা বলেছেন।

    নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে আয়োজিত শোক সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ-২ ধামইরহাট-পতœীতল্ াআসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৫ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, নওগাঁ-৩ মহাদেবপুর-বদলগাছি আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার এবং নওগাঁ-৬ রানীনগর-আত্রাই আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল বক্তব্য রাখেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। আজ থেকে ১৩/১৪ বছর আগে দেশের অবস্থা এমন ছিলনা। বর্তমানে দেশের রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন মানুষ আর না খেয়ে থাকেনা। আগে ঘরে ঘরে খাদ্যের অভাব ছিল। অনাহারে অর্ধাহারে বাসী পচা ভাত খেয়ে মানুষ জীবন কাটাতো। কিন্তু বর্তমান সরকারের বদৌলতে আজ আর কেউ না খেয়ে থাকেনা। ভিক্ষুকরাও এখন বাসী পচা ভাত খায়না। ভিক্ষুকরা এখন দু’মুঠো চাল কিংবা ২ টাকা বা ৫ টাকা ভিক্ষা নিতে চায়না। কমপক্ষে ১০ টাকা দিলে তারামোটামুটি খুশি হয়। এই পরিনবর্ত কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার ফসল। দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন বিএনপি’র সময় বিদ্যুতের খাম্বা রাজনীতির কথা সবার জানা আছে। সে সময় বিদ্যুত আর সারের জন্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। বিদ্যুতের বর্তমান উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন বিএনপি’র সময় মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসতো। আর এখন মাঝে মাঝে বিদু্যুৎ যায়।

    তথ্যমšত্রী বলেন ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সারা পৃথিবীতে কিছুটা বিরুপ প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশেও এর বাইরে নয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও জ্বালানী বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। সেসব দেশেও সরকারীভাবে মানুষকে সাশ্রয়ী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়েছে। সেসব দেশের মানুষদেরও কষ্ট পেতে হয়েছে। তবে আশার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুদুরপ্রসারী নেতৃত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে তেল ও জ্বালানীর মূল্য সমন্বয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আর কিছুদিনের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রা আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

    তিনি বলেন মানুষের এই সাময়িক কষ্ট দেখে বিএনপি মায়াকান্না দেখাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি’র এই মায়াকান্না দেখানোর কোন অধিকার নাই। কারন দেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট আওয়ামীলীগের মত আর কেউ বোঝেনা।

    তথ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন সরকারের উদারতা দেখে বিএনপি যদি আবারো আগুন সন্ত্রাসী চালায়, আবার যদি বোমা হামলা চালায়, নাশকতা করে, মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু করে সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ বসে থাকবেনা। দেশের সাধারন জনগনকে সাথে নিয়ে তাদের ঐ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সমুচিত জবাব দিবে। জনগনকে সাথে নিয়েই আমরা ঐসব সন্ত্র্সা এবং আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। সরকারও চুপচাপ বসে থাকবেনা। প্রশাসন শক্ত হাতে তা প্রতিরোধ করবে।

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।