র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
Author: desk
-
বাংলাদেশ পুলিশ
বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের একমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।[৩] সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান অধিকর্তাকে বলা হয় মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)।
-
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বাংলা অর্থ:বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষক) বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক বাহিনী। এর কাজ হল মূলত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এর নাম ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্স (ইপিআর)।
-
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আকাশ যুদ্ধ শাখা। বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের আকাশ সীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিমান সহায়তা প্রদান করাও বিমান বাহিনীর অন্যতম দায়িত্ব।
-
বাংলাদেশ নৌবাহিনী
বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নৌযুদ্ধ শাখা যার দায়িত্বে রয়েছে ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার (৪৫,৮৭৪ মা২) সমুদ্রসীমা এবং এই এলাকায় অবস্থিত সকল বন্দর এবং সামরিক স্থাপনার নিরাপত্তা। নৌবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ।
-
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা।
-
আশুলিয়ার জামগড়ায় তাওহীদ এন্টারপ্রাইজ এর একটি শোরুম শুভ উদ্বোধন
হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ায় হাওহীদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি শোরুমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। শনিবার (২ জুলাই ২০২২ইং) বিকেল ৫টায় জামগড়া রজবী প্লাজা’র নিচতলায় এই শোরুমটি শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত তাওহীদ এন্টারপ্রাইজ এর শোরুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য সুমন আহমেদ ভুঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগের আশুলিয়া আ লিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক সানাউল্লাহ ভুঁইয়া সানি। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আ লিক কমিটির সেলিম মন্ডল, ইদ্রিস আলী, সালাউদ্দিন, সাকিল আহমেদ সুজন, নাজমুল হক ইমু, সাগর, খলিল আহমেদ, জিয়া, সেলিম,জাফর মুন্সী ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাফর শেখ, ভয়েস ক্লাবের সভাপতি ইদ্রিস আলীসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ), সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম সোহাগ, শাহাদত হোসেন, সাকিল আহমেদ, দাউদুল ইসলাম নয়ন, মুনসুর আলী, সবুজ খান, ইমন হোসেনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীগণ।
উক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানটি’র অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন সুমন আহমেদ ভুঁইয়া, এসময় অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উক্ত শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারীরা। উক্ত অনুষ্ঠানে দোয়া শেষে সবার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এরপর বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে সুমন আহমেদ ভুঁইয়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আফজাল হোসেনকে মুঠো ফোনে কল করে বেরণসহ এলাকার বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজের খোঁজখবর নিয়েছেন। সুমন আহমেদ ভুঁইয়া ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া’র ছেলে।
উল্লেখ্য জামগড়া ফ্যান্টাসী কিংডমের পিছন থেকে তেঁতুলতলা পর্যন্ত রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে জনগণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, তাই বেরণ তেঁতুল তলা এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই রাস্তার সংস্কার কাজ করবেন ঈদের পর দ্রুত করা হবে। আওয়ামীলীগ নেতা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, তেঁতুলতলার এই রাস্তার সংস্কার কাজটি ঈদের পর দ্রুত করা হবে এবং এলাকার আরও যেসকল রাস্তার সংস্কার কাজ বাকি রয়েছে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে করা হবে। -
ঢাকা জেলা শ্রেষ্ঠ করদাতা রোমান ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল আজহা’র শুভেচ্ছা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকা জেলার পরপর ৫বার শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত-বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহা’র শুভেচ্ছা-ঈদ মোবারক।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশী-পবিত্র ঈদুল আজহা বয়ে আনুক সবার জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সর্বোপরি আমার প্রিয় ভাই বন্ধু আত্মীয়স্বজন ও দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তিনি সকল মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান, সেই সাথে সবার প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”। তিনি আরও বলেন যে, আমি সবার কাছে দোয়া কামনা করি, আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ভালো রাখেন।
উক্ত মানবতার ফেরিওয়ালা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া’র কাছে বর্তমান ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ও ব্যবসা বাণিজ্য ভালো ছিলো, বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকা সিলেট সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে আছেন, আমরা যে, যেমন পারছি তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। চলমান ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সততার সাথে ব্যবসা করি, ব্যবসা শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে ব্যবসা যখন বড় হচ্ছে-কখনো কর ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা মাথায় ঢোকেনি আমার, ব্যবসা শুরু করার পরের বছর থেকেই আমি আয়করদাতা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করি। তিনি আরও বলেন, আমার ব্যবসা যত এগিয়েছে, কর দেয়া ততটাই বাড়িয়েছি। ২০১৬ইং সালে ঢাকা জেলায় প্রথম সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা পাই, এরপর ২০১৭ ইং, ২০১৮ইং ও ২০১৯ইং এবং আবারও ২০২০ইং সালের সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়ে সম্মান অর্জন করি। আমি মনে করি রাষ্ট্রের সঙ্গে কখনই বেঈমানি করা উচিৎ না। ব্যবসায়ীদের কখনো সম্পদের হিসাব বা তথ্য গোপন রাখা উচিৎ নয়। আগামীতেও তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা পাবেন বলে আশাবাদী। তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া দেশবাসী সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ভালোবাসেন, তাই সময় ও পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, সবাই সবার জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি, আবারও সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”।
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও “আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া একজন ভালো মানুষ। তিনি ঢাকা জেলার মধ্যে পরপর ৫বার শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, এটা আশুলিয়া ও ঢাকা জেলাবাসীর জন্য গর্বের বিষয়, তিনি সবসময় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশী। এই ঈদে সবার জীবনে আনন্দ ও উৎসব মুখর মুহূর্ত এবং সুখ-শান্তি কামনা করি। তানভীর আহমেদ রোমান ভুঁইয়া’র প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইল, সেই সাথে তাঁর পক্ষ থেকে আশুলিয়াবাসীসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহা’র কুরবানির ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”। -
সাভার উপজেলা’র চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা
হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব এর পক্ষ থেকে সাভারের জনগণসহ দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল আযহা’র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় শীর্ষ নেতাকর্মীসহ আমার সাভারের জনগণ এবং দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, “ঈদ মোবারক”। তিনি বলেন, “৭৫’ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আবার, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যার সাথে যারা সরাসরি জড়িত তাদেরকে বাংলার মাটিতেই বিচার করা হবে। তিনি মন্তব্য করেন যে, আমরা আওয়ামী লীগের সৈনিকরা বেঁচে থাকতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গায়ে একটা আচড়ও লাগতে দেবো না। তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের নিজস্ব অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করেছি আমরাও পারি, কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের কিছুই করতে পারবে না, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, “ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, এই পবিত্র ঈদ-উল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল সুখ-শান্তি’র বার্তা। সবাইকে আবারও পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব এর সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, আমাদের আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়েছি একজন দেশপ্রেমিক ত্যাগী নেতা সৎ ও নীতিবান ভালো মানুষ। তিনি হলেন, সাভারের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব। এই মহৎ মানুষটির পক্ষ থেকে সবাইকে আবারও ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”। -
পাইকগাছায় নার্সারীতে গুটি কলম তৈরীতে ব্যস্ত শ্রমিক
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।। বর্ষাকাল গুটি কলম তৈরী করার উপযুক্ত সময়। পাইকগাছার নার্সারী গুলিতে গুটি কলম তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে মালিক ও শ্রমিকরা। গুটি কলম তৈরীর উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। সাধারনত বৈশাখ-আষাঢ় গুটি কলম তৈরীর উপযুক্ত সময়। মাতৃগুণ বজায় রাখা, দ্রুত ফলন, রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ানো এবং অধিক ফলন পেতে গুটিকলম ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ মাতৃগাছে গুণাগুন সমৃদ্ধ চারা করার জন্য গুটিকলম জনপ্রিয়। কাগজি লেবু, পেয়ারা, লিচু, জলপাই, ডালিম, করম চা, গোলাপ জামসহ বিভিন্ন গাছে গুটি কলম করা হয়।
উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছোট-বড় প্রায় ৫ শতাধিত নার্সারী গড়ে উঠেছে। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে গদাইপুর গ্রামে। বর্ষা মৌসুম শুরুতে চারা তৈরীর জন্য নার্সারী মালিক ও কর্মচারীরা গুটিকলম তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে। যে গাছের ডালে গুটি করা হবে সে ডালের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ২ বছর হতে হবে। গুটি কলম তৈরী করতে গাছের ডালের দুই ইি মত ছাল পুরাটা গোল করে কেঁটে ফেলে জৈব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে কাঁটা অংশ ভাল করে বেঁধে গুটি করতে হবে। মাটির গুটি সবসময় ভিজা রাখতে হবে। মাটিতে পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। ১ মাসের মধ্যেই মাটির ভিতর থেকে শিকড় বেড় হয়।হিতামপুর গ্রামে অবস্থিত রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল জানান, এ বছর তার নার্সারীতে ৫২ হাজার গুটি কলমের চারা তৈরী করা হচ্ছে।এর মধ্যে মিস্টি জলপাই ২০ হাজার,মাল্টা ২০ হাজার,পেয়ারা ১০ হাজার ও লিচু ২ হাজার।
গুটি কলম তৈরীতে অভিজ্ঞ নার্সারী কারিগরের দরকার হয়। গদাইপুর গ্রামের গুটি কলমের অভিজ্ঞ কারিগর হামিদ মোড়ল জানান, প্রতিটি গুটি দুই টাকা দরে তৈরী করছি।গোপালপুর গ্রামের গুটি কলমের অভিজ্ঞ কারিগর মোক্তার ও সালাম বলেন, লেবু গুটি ২টাকা ও অন্য জাতের গুটি কলম ১ টাকা ৭০ পয়সা দরে তৈরী করছি।
তাছাড়া দৈনিক মুজুরী হিসাবে নার্সারীতে কাজ করে থাকে। গদাইপুর গ্রামের অবস্থিত সততা নার্সারীর মালিক অঞ্জনা রানী পাল জানান, তার নার্সারীতে বিভিন্ন জাতের প্রায় ১ লাখ গুটি কলম তৈরী করছেন। শ্রমিকের অভাবে কলম তৈরী করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কলম তৈরীর সময় পার হয়ে গেলে এ মৌসুমের আর গুটি কলম তৈরী করা যাবে না। সে কারনে কলম তৈরীতে অধিক পয়সা খরচ হচ্ছে।
পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল জানান, কলম তৈরীর শ্রমিক ঠিকমত না পাওয়ায় কারণে উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে কলম তৈরী করতে হচ্ছে। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। তবে ঠিকমত বাজার দর না পাওয়ায় নার্সারী মালিকরা আশানারুপ ব্যবসা করতে পারছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাইকগাছার নার্সারী শিল্প খুলনা জেলার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। নার্সারী ব্যবসায়ীরা চারা বিক্রি করার জন্য আশানারুপ বাজার ধরতে না পারায় তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নার্সারীতে উৎপাদিত চারা সবুজ বননায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে তেমনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।