May 25, 2025, 4:29 pm
আজিজুল ইসলাম : যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।গত ১৫ দিন পানি বন্দি থাকলেও এটি নিষ্কাশনের কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। অসহায় ৫০ পরিবারের সদস্যরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
প্রতিকার চেয়ে ওই মহল্লাবাসী শনিবার(২৪ মে) কায়বা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনর কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।
গ্রামবাসি জানায় ,রুদ্রপুর গ্রামের আজানতলা মোড় হতে রুদ্রপুর বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত পাকা একটি সড়ক চলে গেছে। এর একটু সামনে গোপাল কামারের মোড় থেকে নজরুল ইসলাম এর বাড়ি পর্যন্ত এই সড়কে প্রায় ৫০ টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথ। এখানে একটু বৃষ্টি হলে গোপাল কামারে বাড়ির সামনের রাস্তাটি কিছু অংশ হাটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়।যে পানি শুকাতে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস লাগে। রাস্তার দুপাশে পাশে নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করার ফলে রাস্তাটি ডোবায় পরিনত হয়েছে। রাস্তার দু পাশ উচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানি জমে এখানে।
স্থানাীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান,দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই মহল্লায় তিনি বসবাস করছেন। কখনো এমন সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের। এখন নতুন করে ওই রাস্তার দু পাশে ঘরবাড়ি তৈরি হওয়ায় পানি বের হওয়ার সব পথ আটকে গেছে।একটু বৃষ্টি হলেই পথে হাটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।এ সময় পাইপ বা কালভার্টের ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
গৃহিণী জায়েদা খাতুন বলেন,একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার পানি তাদের ঘরে ঢুকে পড়ে।এ সময় রান্নার চুলায়ও পানি ঢোকে তাই রান্না খাওয়া ও বন্ধের উপক্রম হয়।পানি পার হওয়ার ভয়ে ছেলে মেয়েরা সকালে স্কুলে যেতে চায়না। তাদের কোলে করে পাঁকা রাস্তায় উঠিয়ে দিয়ে আসতে হয়।পানি বের করার ব্যবস্থা না হলে তাদের ছোট ছেলে মেয়েরা স্যাতসেতে পরিবেশের কারণে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
ওই গ্রামের বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন,রাস্তার পাশ দিয়ে পাইপ বা কালভার্টের মাধ্যমে পানি বের করার ব্যবস্থা করা ছাড়া এ পানি বের করার কোন পথ নেই। দিনদিন জনসংখ্যা বাড়ার কারণে নিচু জমি উচু করে নতুন নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে। ফলে রাস্তা হয়ে যাচ্ছে নিচু।এ মহল্লার রাস্তাটিও একই কারণে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন জানান,বিষয়টি নিয়ে রুদ্রপুর গ্রামের ভুক্তভোগীরা পরিষদে এসে তাকে জানিয়ে গিয়েছেন।তিনি ওই রাস্তাটি পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহাদয়কে জানিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন করবেন বলে তিনি জানান।