May 13, 2025, 10:18 pm
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা ।
কুসিক সূত্রে জানা যায়,কুসিক নির্বাহী ছামছুল আলম কে বদলির ২১ দিন পরেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে দাপ্তরিক কার্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন। একজন উপদেষ্টার আত্মীয়র সাথে যোগাযোগ করে বদলি ঠেকাতেও চেয়েছিলেন ছামছুল আলম ওরফে সামছু,অবশেষে ২১ দিন পর স্ট্যান্ড রিলিজ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহারের নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় শোকজ খেয়েছিলেন এই কর্মকর্তা । আওয়ামী লীগের পতন ও এমপি বাহার পালিয়ে গেলেও সামছু বহাল তবিয়তে, এই কর্মকর্তা কে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।সাংবাদিক, পেশাজীবি দের সাথে অশুভ আচরণ করতেন তিনি। তিনি মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে বিজ্ঞাপন নিয়ে তর্কে জরিয়ে অশুভ আচরণ ও মানবকন্ঠের জন্য কোন বিজ্ঞাপন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন,তার স্বার্থের বাহিরে গেলেই হুমকি ধমকি দিতো সকলকে।
২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক এমপি বাহার ও তার কন্যা তাহসিন বাহার সুচিকে মেয়র নির্বাচন করার জন্য প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম।
একজন সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে টানা তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম না থাকলেও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম এক জেলায় ১৭ বছর ধরে কর্মরত আছেন। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে টানা তিন বছরের বেশি থাকার কথা নয়। কিন্তু বিধি উপেক্ষা করে ১৭ বছর ধরে এক জেলাতেই ঘুরেফিরে দায়িত্ব পালন করছেন শামসুল আলম।
জানা যায়, ছামছুল আলমের চাকরি জীবনের শুরুটা কুমিল্লায়। এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লাতেই আছেন। দীর্ঘ এই সময়ে কখনও মুরাদনগরের এসিল্যান্ড, কখনও ইউএনও, কখন পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা এবং সর্বশেষ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদ বদল করে এখানেই থেকেছেন।
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের আস্থাভাজন সহযোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি এই কর্মকর্তা। বাহারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এই সুবিধা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, ‘ছামছুল আলম একজন নির্লজ্জ কর্মকর্তা। একজন মানুষ একটা জেলায় ২০ বছর কিভাবে থাকেন তা বোধগম্য নয়। গত জাতীয় সংসদ ও মেয়র নির্বাচনে সে সরাসরি বাহারের পক্ষে কাজ করেছিল । বাহারের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল ছামছুল আলম।’
এই বিষয়ে জানতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলমকে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।