April 26, 2025, 2:42 pm
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি :
রংপুরের তারাগঞ্জ বাজারের থানা মোড় এলাকার ৪০০ মিটার সড়ক এখন তারাগঞ্জবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে এমন একটা সড়ক বছরের অধিকাংশ সময় কাদা আর ঘোলা পানিতে একাকার হয়ে থাকে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়। এ কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী স্থানীয় লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাগঞ্জ ওই সড়কটি দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। থানা মোড় থেকে তিস্তা সেচ ক্যানেল পর্যন্ত ৪০০ মিটার অংশ তারাগঞ্জ থানা ও বাজার এলাকার পাশে হওয়ায় সব সময় লোকজনের আনাগোনা থাকে। এ ছাড়া ওই সড়ক দিয়ে উপজেলার দৌলতপুর, থানাপাড়া, ঘনিরামপুর, মাছুয়াপাড়া, গোয়ালপাড়া গ্রামের মানুষ তারাগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে হয় ওই সড়ক দিয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে ওই অংশে পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে চার বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পানিনিষ্কাশনের জন্য সড়কের দুই পাশে কোনো নালা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই সড়কের থানা মোড় থেকে তিস্তা ক্যানেলের মোড় পর্যন্ত ৪০০ মিটারে পানি জমে থাকছে। এতে পিচ ও খোয়া উঠে ওই অংশ নষ্ট হচ্ছে। পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে কথা হয়, দৌলতপুর গ্রামের আশিকুর রহমান আশেকের সাথে । তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সড়ক, না ডোবা? মিছানা আকাশের পানি হইলে রাস্তাকোনা ডুবি যায়। এক হাঁটুপানির ওপর দিয়া যাওয়া–আইসা করার সময় কাপড় নষ্ট হয়। তাও কায়ও রাস্তাকোনার পানি সারবার ব্যবস্থা নেয় না।’
থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশের বাড়ির মালিকরা বাড়ির সামনে মাটি ভরাট করার কারণে, রাস্তা নিচু হয়ে গেছে, তাই অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেন না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না, আসছে বর্ষাকাল এখনই যদি ওই রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে চলাচলে আরো দুর্ভোগ পড়তে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রুবেল রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জলবদ্ধতার বিষয়টা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমরা রাস্তা দেখে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।