March 15, 2025, 11:20 pm
হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়ার বাইপাইল বাজার, মাছের আড়ৎ, ইউনিক বাজার, জামগড়া, ছয়তলা, বাংলাবাজার জিরাবো বাজার, কাঠগড়া বাজার, আশুলিয়া বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে নিষিদ্ধ পিনাহা (রাক্ষসী রূপচাঁদা), বিদেশী মাগুর ও জাটকা ইলিশ মাছ অবাধে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কিছু এলাকায় মহাসড়ক ও সরকারি রাস্তা দখল করে বসেছে হাট-বাজার।
শনিবার (১৫ মার্চ ২০২৫ইং) সকালে ও বিকেলে আশুলিয়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন হাট-বাজারে নিষিদ্ধ পিনাহা (কথিত রূপচাঁদা মাছ) ও বিদেশী মাগুর এবং জাতীয় সম্পদ জাটকা ইলিশ মাছ অবাধে বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করায় গত ১২ বছরের তুলনায় চলমান দুই বছর হচ্ছে, মানুষ কম দামে ইলিশ মাছ কিনে খাইতে পারছেন বলে অনেকেই সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ইলিশের এই জাটকা মাছ বড় হতে দিচ্ছে না এক শ্রেণির জেলেরা, তারা নিষিদ্ধ কারেন্টজাল দিয়ে নদী ও সাগর থেকে ছোট মাছ ধরে বিক্রি করছে। এসব মাছ পাইকারী ব্যবসায়ীরা নিয়ে দেশের বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছে, আর সেই নিষিদ্ধ মাছগুলো সেখান থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
আশুলিয়ার বাইপাইল পুরাতন বাজার মৎস্য আড়ৎ এর মোঃ মুন্না নামের এক মাছ ব্যবসায়ী একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে বলেন, তাদের সাথে আলোচনা করেই বাজারে ইলিশ মাছের জাটকা বিক্রি করছেন। সূত্র জানায়, পিনাহা কথিত রূপচাঁদা ও বিদেশি মাগুর মাছ ও ১০ ইঞ্চির নিচে ইলিশের জাটকা মাছ ধরা, পরিবহণ কারা ও ক্রয়-বিক্রয় করা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অনেকেই জানায়, সরকারী ভাবে এসব নিষিদ্ধ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সময়মতো অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব নিষিদ্ধ মাছ।
আশুলিয়ার কাঠগড়া মাছ বাজারের জাটকা ইলিশ মাছ বিক্রেতা সুজন, শ্রী কার্তিক, সুজন ২, রামুসহ অনেকেই বলেন, আশুলিয়ার বাইপাইল মৎস্য আড়ৎ থেকে কিনে এনে তারা বিক্রি করছে। তাদের দাবি-আড়তে বিক্রি বন্ধ হলে তারা আর জাটকা বিক্রি করবে না।বাইপাইল রাস্তা দখল করে হাট-বাজার বসিয়েছে যারা তাদের কেউ কিছু বলছেন না।
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা মৎস্য অফিসার হারুন গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশী মাগুর মাছ, পিনাহা (রূপচাঁদা) ও ১০ ইঞ্চির নিচে ইলিশর জাটকা মাছ ধরা, পরিবহণ করা সরকার কতর্ৃক নিষিদ্ধ। মৎস্য আড়ৎ ও হাট-বাজারে যদি এমন মাছ দেখা যায়, তাহলে আমরা অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরও বলেন, এর আগে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে জানানো হয়েছে, তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন।