July 3, 2025, 1:31 am
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
১৫ দিনব্যাপী ময়মনসিংহ বিভাগীয় বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তাতারা মেলা থেকে অন্তত একটি গাছ কেনার আহ্বান জানান সকলকে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকালে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় এই বৃক্ষমেলার। মেলাটি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমেদ।
বৃক্ষ রোপনে সকলকে উৎসাহী করতে প্রধান অতিথি বলেন, বৃক্ষ হচ্ছে শস্য ভান্ডার। খাদ্যশস্যের প্রধান উৎস হচ্ছে এই গাছ। গাছ স্বজীবী আমরা পরজীবী। এটি আমাদের অক্সিজেন ও খাবার দিচ্ছে। গাছ লাগানো সওয়াবের কাজ। আপনারা মেলা থেকে অন্তত একটি গাছ কিনবেন। বৃক্ষমেলা প্রকৃতপক্ষে গাছ লাগানোর একটি সামাজিক আন্দোলন, একটি ক্যাম্পেইন। সবাইকে সারাবছর গাছ লাগানোর আহবান জানান প্রধান অতিথি।
‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যের স্লোগানে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া বিভাগীয় বৃক্ষমেলা আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রায় ৩২টি স্টল স্থান পায়। ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার নির্ধারিত নার্সারি মালিকরা এ স্টলগুলোতে বৃক্ষ নিয়ে আসেন।
বৃক্ষ ও বৃক্ষমেলার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আমরা মানবজাতি কতোটা নির্বোধ। নির্বিচারে গাছ কাটছি, বন ধ্বংস করছি। যে গাছ কিনা মানবজাতির জন্য খাবার তৈরি করছে। বিপরীতে আমরা কিছু তৈরি করতে পারিনা। ঔষধি গাছগুলো মানুষের ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। আমরা যে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করছি সেটা গাছ শোষণ করে নিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে গাছ লাগানোর ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। বায়ু দূষণ রোধ করার একমাত্র উত্তম উপায় হচ্ছে বেশি করে গাছ লাগানো।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়া আহমেদ সুমন, ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজির প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম।
এর আগে বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সার্কিট হাউজ চত্বর পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় ও জেলা দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাগণ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ, সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ-সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মেলাতে শিক্ষার্থীসহ প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় দেখা যায়।