January 31, 2025, 8:54 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সাবেক মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়িতে দুর্ধ-র্ষ চু-রি ; নগদ অর্থ ও স্বর্নলংকার লু-ট বাস মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সহ সভাপতি অমরেশ মন্ডল কে সংবর্ধনা পাইকগাছা উপজেলা স্কাউটস কাউন্সিলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে অপসারণ চাওয়া সেই চার বিচারকের বদলি প্রজ্ঞাপন স্বরূপকাঠিতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টে পা হারাল স্কুল ছাত্র স্বরূপকাঠিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে প্রা-ণ ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নারী ইউপি সদস্য বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে তালগাছ রোপন, তালের যত খাবার ময়মনসিংহে গত ৩মাসে ১কোটি ৬৮লাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর বরগুনার তালতলীতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে পুলিশের সামনে তিন সাংবাদিক হামলার শিকার ঠাকুরগাঁওয়ে বিজয়ের উল্লাসে,তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
একজন সৎ কর্মঠ ও নিরহংকারী মানুষ ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা

একজন সৎ কর্মঠ ও নিরহংকারী মানুষ ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
একজন সৎ, কর্মঠ, নিরহংকার, দক্ষ ও মানবিক প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে তার
সততা ও সাহসীকতায় ময়মনসিংহের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
(এডিএম) উম্মে হাবীবা মীরা। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম এর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসনকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে জেলায় বিভিন্ন অভিযান টিম পরিচালনা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ডদের কর্মকান্ড মনিটরিং এর মাধ্যমে জনসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে
জেলাবাসীর যেকোন বিপদ-আপদে প্রশাসনিক সেবার মাধ্যমে পাশে থাকতে সার্বক্ষণিক শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এডিএম উম্মে হাবীবা মীরা।

তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। তারপরও তার সততা, কর্মস্পৃহা, দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও যে আমজনতার মাঝে মিশে যাওয়া যায়, সেটা তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত তার কর্মদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ও সাহসিকতায়। তিনি ক্রমশ হয়ে উঠেছেন ময়মনসিংহ জেলাবাসীর আইকন।

জনগণের যেকোন মহাদুর্যোগে জেলা শহরসহ ১১টি উপজেলায় ছুটে বেড়ান মানুষকে সচেতন করতে। অনেক সময় তিনি জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম এর সাথে পরামর্শ করে তার নির্দেশনায় অসচ্ছল মানুষের মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিয়ে হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাব, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের জন্যও তিনি তার মেধা দিয়ে দিয়ে পাশে থাকেন। সম্প্রতি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও নিরীহ ও অসহায় বঞ্চিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারে সহযোগিতা করেও তিনি সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। তিনি জনগণের সেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জেলা প্রশাসন সম্পর্কে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণাই পাল্টে দিয়েছেন।

দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিসহ সমাজের অসামাজিক কর্মকান্ড প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলায় জনবহুল স্থানে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ অবহেলিত আর নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে সকলের আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন। নিরলস পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

সরকারি চাকরির নিয়মই হচ্ছে এক জায়গায় বেশিদিন দায়িত্ব পালন করা যাবে না। চলে যেতে হবে অন্য কোনো কর্মস্থলে। সেবা দিতে হবে সেই অঞ্চলের জনসাধারণের। এই নিয়মের বাইরে নন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। চাকরিজীবনে তাদের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু যার মধ্যে সততা থাকে তাকে জেলাবাসী সারাজীবন মনে রাখে। এমনই একজন সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিরহংকারী মনের অধিকারী মানুষ হচ্ছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবিবা মীরা । এই মানুষটি সম্পর্কে যত ইচ্ছা ততই লেখা যাবে। কেউ যদি মনে করেন ডিসিকে খুশি করার জন্য এই লেখা, তাহলে ভুল। যে মানুষটি ভালো করে তার ভালো আর যে খারাপ করে তার খারাপ দিকটা জনসমক্ষে তুলে ধরাই গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্ব, আর সেই দায়িত্ববোধ থেকে এই প্রতিবেদন তেরী।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরার সততা ও দক্ষতায় তার নেতৃত্বে চলমান এডিএম কোর্ট
বিচারপ্রার্থীদের কাছে আস্থার নামে পরিণত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমিজমার দখল সংক্রান্ত দ্রুত বিচার পাবার জন্য মামলা রুজু করা হয়ে থাকে। একটি মামলা দায়েরের পর সে বিষয়ে দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্থানীয় থানাকে নির্দেশনা প্রদান, বিবাদীর জবাব দান এবং সর্বোপরি এ সকল বিষয়ে আদালতে শুনানি গ্রহণের জন্য একাধিক তারিখে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। বিগত দেড় মাসে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা যার অবস্থান ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যান্য জেলার নিষ্পত্তির হারের মধ্যে বেশ উপরের দিকে।

এ আদালতের বিচারপ্রার্থী এক ব্যক্তি সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মামলা দায়ের করেছিলাম। তখন থেকে বার বার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তিনি চূড়ান্ত রায় পাননি। বর্তমান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দেন। তিনি বর্তমানে বিবাদীপক্ষের অপশক্তির হাত থেকে মুক্ত বলে জানান।

অপরদিকে একজন আইনজীবী জানান, তার একজন মক্কেল যিনি মামলার বিবাদী তাকে হয়রানি করার জন্য এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন আগে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে বাদীপক্ষ আদালতে সময়ের আবেদন করেন এবং বিজ্ঞ আদালত তা ধারাবাহিকভাবে মঞ্জুর করেন। এতে করে নালিশী ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা না থাকলেও আমার নিরপরাধ মক্কেল দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে হয়রানির শিকার হোন। এ বিষয়টি বিজ্ঞ এডিএম স্যারের দৃষ্টিগোচরে আসার পর তিনি পর্যালোচনান্তে বাদীকে জেরা করে মামলা পরিচালনার হেতু না থাকায় খারিজ করে দেন। এতে করে আমার মক্কেল দীর্ঘদিন পর মিথ্যা মামলার যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পান। আরও বেশকয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে এমন অভিব্যক্তিই জানা গিয়েছে।

তিনি বলেন-বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসনের সকল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। ফলে, মানুষ দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার পাচ্ছে।

জেলার সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য জেলাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি মানবিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে গত ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর
যোগদানের পর থেকে ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাতদিন সেবা পাচ্ছেন। তার মতো অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যদি প্রত্যেক জেলায় দায়িত্ব পালন করত তাহলে দেশের চেহারাটা মুহূর্তের মধ্যেই বদলে যেত। এমন প্রশংসনীয় কারণে তিনি ময়মনসিংহ জেলাবাসীর কাছে দেড় মাসে সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুৃখে তার প্রসংশা। তিনি বর্তমানে এ জেলার সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, আমার ওপর অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ আমি সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাচ্ছি। হতদরিদ্র, অসচ্ছল, অসহায় মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্ধ যথাযথভাবে স্বচ্ছ তালিকার মাধ্যমে বণ্টন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় সরকারি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখানে কিছু দিতে এসেছি, নিতে নয়। সকলে চাইলেই একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি সরকারের গৃহীত সকল মহতী কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD