November 27, 2024, 8:34 am
মোঃ মুনাইম হোসেন (জীবননগর) প্রতিনিধি,
জীবননগর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাইর জন্য রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জরুরী বিভাগের ওয়ার্ড বয়দের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় এক রুগির পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালের ইমারজেন্সী রুমে গেলে ডিউটিরত ওয়ার্ড বয় নিজেই কাটা পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে। তারপর ওয়ার্ড বয় চাই টাকা।
তারপর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জীবন নগর হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ডিউটিতে থাকে তখন হাসপাতালে আসা কাটা-ছেঁড়ার সব রোগীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা নেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সেলাই দেওয়ার ৩দিন পর পূনরায় হাসপাতালে ব্যান্ডিস খুলে সেলাই স্থান পরিস্কার করার জন্য হাসপাতালে আসলে তখনও রোগীদের তাকে টাকা দিতে হয়।প্রত্যক্ষদর্শী আরেক রোগীকে বলেন সন্ধ্যার পরে এক ভাই তার মা’কে নিয়ে হাসপাতালে আসে এরপর ওখানের ডিউটিতে থাকা একজন ওয়ার্ড বয় সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে দেওয়ার টাকা চায়।
যদি আমার কাছে টাকা চাইতো তাহলে আমি তাকে মজা দেখাতাম ৷
তিনি তো কিছু করলো না। সরকারি হাসপাতাল সব কিছু ফ্রি সেখানে আবার টাকা দিতে হবে কেনো। তাদের কাজের জন্য সরকার বেতন দিচ্ছে তারপরও কেনো সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসলে টাকা দিতে হবে। যদি সরকারি হাসপাতালে এসেও টাকা দিতে হয়। তাহলে আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাদের কি অবস্থা হয়। তারা কতটা হয়রানির শিকার হয় বুঝেন এবার।
এবিষয়ে স্থানীয় লোকজনেরা বলেন, পা কেটে যাওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ডিউটিরত ওয়ার্ড বয় পায়ে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডিস করে দেন। এর বিনিময়ে টাকা দাবি করেন তখন তাকে সরকারি হাসপাতালে কাটা-ছেঁড়ার সেলাই দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা নিয়ম সবাই টাকা দেয়।
তিনি আরও বলেন, আগে যে রোগী ছিলো তার কাছ থেকেও এই ওয়ার্ড বয় টাকা নিছেন। তিনি ডিউটিতে থাকা অবস্থায় এরকম রোগীদের থেকে টাকা নেন।
আবারো হাসপাতালে কোন নরমাল ডেলিভারি রোগী আসলে আয়া দের দৌরোত্ব । আয়াগুলো আগে চাই টাকা তারপরে ডেলিভারি রুমে যাই। টাকা না দিতে চাইলে আয়াগুলো রোগীদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। হাসপাতালে বেড পেতে হলেও দেয়া লাগে অতিরিক্ত টাকা আয়া গুলোকে। আবার হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার রুগি না দেখে মেডিকেল সহকারীদের দিয়ে রোগী দেখান। এই সুযোগ পেয়ে মেডিকেল সহকারীরা বাইরে যায় রোগী দেখতে। তখন হঠাৎ কোন রোগী আসলে রোগীরা বিভিন্ন ঝামেলা শিকার হয়।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হক।