October 22, 2024, 8:59 pm
স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি-বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটাই সত্য একজন কর্মঠ দায়িত্বশীল অফিসারই পারেন শ্রম ও সুদক্ষতার মাধ্যমে একটি জেলার আমূল পরিবর্তন করতে। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর একের পর এক কার্যকরী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার রাজস্ব খাতের চিত্র। ৩৩তম বিবিএস ব্যাচ এ উত্তীর্ণ এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা গত ২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নবরূপে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে।
টাঙ্গাইল জেলার কালেক্টরেটের মধ্যে অন্যতম বড় শাখা হলো রাজস্ব শাখা। এ শাখা হতে সরকারী সম্পত্তি রক্ষাসহ জলমহাল ইজারা প্রদান এবং ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করা হয়। পাশাপাশি সরকারেরর কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। তার যোগদানের পর থেকে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি/অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান, আবাসন আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং জলমহাল/বালুমহাল ইজারা প্রদানসহ নানাবিধ সেবা প্রদান জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২মাসে জেলার
ভূমি উন্নয়ন কর, খাসজমি বন্দোবস্ত, সায়রাত মহাল, অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, ওয়াকফ, দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব, কৃষি খাস জমি, জবর দখল সংক্রান্ত সভা, মিস মামলা, মাসিক রাজস্ব সংক্রান্ত বিবরণী প্রেরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ ও মেরামত সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমসহ কর্মচারীদের বিভিন্ন অগ্রিম মঞ্জুরীসংক্রান্ত কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে হচ্ছে বলে দাবী উঠেছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের মাঝে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইলে যোগদানের পর : ভূমি অফিস দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন বলে জানা গেছে।
তিনি জেলার সকল ভূমি অফিস জনবান্ধব ও দূর্নীতিমুক্ত হতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতি সহ্য করা হবেনা বলেও হুশিয়ারী করে জেলার সব ভূমি অফিস দূর্নীতিমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান জিরো টলারেন্স সকলকে জানান দিয়ে আরও বলেন, ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীরা কোন ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানান।তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অনাবাদী জমি আবাদকরণ, জরিপের সময় ব্যাপক প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। বিশেষ করে নামজারি নিয়ে মানুষের যাতে কোন রকম ভোগান্তির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়ে সকল সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণকে নির্দেশনা প্রদান করেন।তার নির্দেশনায় জেলার ভূমি অফিসগুলোতে স্বচ্ছতা ফিরেছে দাবী ভুক্তভোগীমহল।