December 22, 2024, 6:09 am
আজিজুল ইসলাম : শুক্রবার রাত থেকে একটানা বর্ষনে শার্শার দক্ষিনাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আমন ও আউস ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে তরকারি ফসলও ডুবে গেছে পানিতে। আগাম সব্জি চাষে চাষিরা মারাতক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অনেকের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে গেছে। অনেকে পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। রুদ্রপুর গ্রামের কৃষক হবিবর রহমান জানিয়েছেন তার ২৬ কাঠা জমির পাকা ধান একেবারে পানির নীচে তলিয়ে গেছে। নিড়ানি, সার খরচ ও জমি চাষ করতে এপর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। লাভের আশায় অনেক চাষি আগাম শীত কালিন সব্জি চাষ করেছিলেন। লাগাতার বর্ষনে সে সব জমিতে পানি জমে গেছে। ফলে সব্জির চারা সব নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন ভাবে চাষ করতে দ্বিগুন খরচ পড়বে। পটল, বেগুন ও ঝাল ক্ষেতে পানি জমে থাকায় গাছের চেহারা বিবর্ন আকার ধারন করেছে। দক্ষিণ শার্শার, ঠেঙামারী, আওয়ালী, গোমর ও মাখলা বিলসহ ছোট বড় ৫২ টি বিল সম্পুর্ন পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। ফসলের ৩শ হেক্টর পরিমান ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে বলে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন । তিনি আরও জানান, উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের খালের মুখ বেঁধে দেয়া হয়েছে। একারনে ভারতের পানি এলাকায় ঢুকতে পারছেনা। যে কারনে ক্ষতির পরিমান কমে হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টি থেমে গেলে অনেক ফসলী জমি জেগে উঠবে।
বাগআঁচড়া বাজার সহ গ্রামের ভেতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রুদ্রপুর, ভবানীপুর বিল পড়া, গোগা শান্তিপুর, কায়বা কলোনী সহ বিল পড়ের শত শত পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। এবারের এই বর্ষনে মাছের ঘের সহ শতাধিক পুকুর ভেসে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ডাঙা থেকে যে পরিমান পানি বিলে নামছে তাতে করে পানি আরো বৃদ্ধি পাবে। এদিকে একটানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।