May 18, 2024, 4:28 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী পাইকগাছায় গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু পাইকগাছায় সপ্তদ্বীপার সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; পাইকগাছায় ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ মোট ১৯ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে সুন্দরগঞ্জ সাহিত্য সংসদের নতুন কমিটি গঠন বরগুনার তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীর আম চীন, রাশিয়া বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশে যাবে-কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ শত ভাগ পাশের সাফল্যে আঙ্গারু এস.এ বালিকা বিদ্যালয় র‌্যাব-১২’র অভিযানে ২১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ রায়গঞ্জে কুইজ প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ
মরনবাধ ও ভারতের বৈরী আচরণের প্রভাবে মহানন্দা নদীর বেহাল দশা

মরনবাধ ও ভারতের বৈরী আচরণের প্রভাবে মহানন্দা নদীর বেহাল দশা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফিরে মোঃ হায়দার আলী।। মরনবাঁধ ফারাক্কা ও ভারতের বৈরী আচরনে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন এলাকায় মহানন্দা নদী এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। নদী জুড়ে পানির বদলে এখন বালুর চর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পূণর্ভবা-মহানন্দা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। খনন না করায় পলি জমে ভরাট হয়ে নৌ-চলাচল প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য ভাটা পড়ে দিন দিন অর্থনীতি পঙ্গু, অন্যদিকে কৃষি উৎপাদনে দারুণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়াতে আজ ৪টি উপজেলাবাসীর জন্য এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪টি উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী তাদের প্রধান সমস্যা পূণর্ভবা-মহানন্দা নদী সংস্কার; কিন্তু সংস্কারের কোন বাস্তব পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। ফলে খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। নলকূপে পানি না পেয়ে সেচের অভাবে উপজেলার হাজার হাজার একর জমির ফসল উঠাতে দ্বিগুন খরচ করে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়।

পানির খরচ যোগাতে মহাজনদের নিকট চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষকরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অনেক কৃষক হালের বলদও বিক্রয় করে ঋণ পরিশোধ করে সংসার চালাচ্ছে। এভাবে পূণর্ভবা-মহানন্দা নদীর উপর নির্ভরশীল ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, নাচোল ও সদর উপজেলার অর্থনীতি দিনদিন ঝিমিয়ে পড়চ্ছে। ভোলাহাট, পোল্লাডাঙ্গা, মুশরীভূজা, দলদলী, আলমপুর, কাশিয়াবাড়ী, শামপুর, ব্রজনাথপুর, আলিনগর, মকরমপুর, গোমস্তাপুর, চৌডালা, মুল্লিকপুর, গোবরাতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মহানন্দা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোহনপুরে পদ্মা নদীতে গিয়ে মিশেছে। এদিকে মহানন্দা নদী দিয়ে বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে পলি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে পানি উপচিয়ে নদীর উভয় তীরের আবাদী ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

অপরদিকে, পলি ও বালি এসে ফসলি জমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বালি চাপা পড়ে জমির ফসল অনাবাদী হয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ী ঢলের সাথে বালু এসে প্রায় ৪০ কিঃ মিঃ উত্তর-দক্ষিণ দিকে গোমস্তাপুর, মল্লিকপুর, চৌডালা, মকরমপুর, আলিসাহাপুর, ভোলাহাট পর্যন্ত পলি জমে মহানন্দা নদীর বিলীন হতে চলেছে। এদিকে, চলতি শুকনো মওসুমে রোকনপুর থেকে ১১ মাইল দীর্ঘ কাজিগ্রাম পর্যন্ত বর্ষাকালে লঞ্চ চলাচল করে। অন্য সময় উক্ত এলাকাবাসীর বিকল্প পথ হিসেবে বাসে যাতায়াত করে। মহানন্দা নদীতে পানির অভাবে ৪টি উপজেলার প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মার খাচ্ছে। নদী দুটি শুকিয়ে যাবার কারণে পাওয়ার পাম্পগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, মরণ বাঁধ ফারাক্কার প্রভাবও কম দায়ী নয় বলে এলাকাবাসী জানান।
ফারাক্কা-তিস্তা আর মহানন্দা নদীর উজানে ভারতের বাঁধ সমগ্র উত্তরাঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। এছাড়াও ডাহুক, গোবরা,ভেরসা চাওযাই,করতোয়া, তিরনই, রনচন্ডি’র মত অনেক ছোট ছোট নদী এসেছে সরাসরি ভারত থেকে। সবগুলো নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে নদীর পানির ধারাকে। এর মধ্যে বড় নদী হল মহানন্দা আর করতোয়া। ছোট নদী গুলো একপ্রকার অস্তিস্থহীন হয়ে পড়েছে। আর বড় নদী মহানন্দা, তিস্তা আর করতোয়া পরিনত হয়েছে মরা খালে। এসব নদী থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্প পানিকে বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে শত শত কিলোমিটার ক্যানেল তৈরী করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষিতে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করেছে ভারত। পানি প্রবাহ না থাকায় পাহাড়ী কন্যা খ্যাত এই নদীতে ভেসে আসা পাথর উত্তোলন করে তেতুলিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ জীবিকা করতো। কিন্তু ভারতের শিলিগুড়িতে মহানন্দা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত করায় এখন পাথর আসে না বললেই চলে। এ কারনে তেতুলিয়া সদর হতে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত নদীপথে দুরত্ব হচ্ছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এ নদী খনন করে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। এর আগে পানিতে ডুবে উত্তোলন করা হতো পাথর। আর বর্তমানে পানি না থাকায় বালু কেটে মাটি খনন করে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। এতেও গোস্বা বন্ধু প্রতিম বলে পরিচিত ভারত সরকারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বাংলাদেশী অংশে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের উপর গুলি চালিয়ে পাথর উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
নদী তীরবর্তী প্রবীণরা বলেছেন এইতো ষাট সত্তর বছর আগের কথা যেখানে ছিল বিস্তৃত পানির ধারা। যার বিশাল স্রোতধারা আমাদের করতো সঞ্জিবিত সিক্ত। যা ছিল জীবন দায়িনী। কৃষি যোগাযোগ ,মৎস আর জীব বৈচিত্রতা ও আর্থিক উৎসের আধার। সব যেন কোথায় হারিয়ে গেল। কি ছিল আার কি হল। কি ভয়ংকর বৈপরিত্য। এক সময়ের চাঞ্চল্য চির যৌবনা আর দুরন্ত হয়ে ছুটে চলা মহানন্দা তিস্তা এখন মরা নদীর নাম। অথচ একদিন যেখানে ছিল ছড়িয়ে পড়া আদিগন্ত বিস্তৃত পানির ধারা। সারা বছর এ নদীতে একুল-ওকুল ভরা ছিল পানিতে। মহানন্দা নদীর মাছ ছিল খুবই প্রিয়। প্রতিদিন এলাকার মানুষ দুপুর বেলা গোসল করতে নামতো নদীতে। গোছল করতে গিয়ে শোল, বোয়াল, রুই কাতলা আরো দেশী মাছ ধরা পড়তো জালে। কিন্তু আজ সেই মাছ কোথায় জানি হরিয়ে গেছে। এখন যেখানে একই রুপের মরিচীকা সাদৃশ্য বালিচরের বিস্তার। চলতি শুস্ক মৌসুমে মহানন্দার পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় নদীটি ইতোমধ্যে মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। ভরা বর্ষায় মাস তিনেক পানি থাকার পর ফের দ্রæত শুকিয়ে যাচ্ছে।

কারন একটাই অন্যান্য নদীর মত মহানন্দা নদীর উৎস মুখ উপর ভারতের ফুলবাড়িতে ভারতের বিশাল ব্যরেজ নির্মাণ। এ ব্যরেজ দিয়ে বিশাল আকারে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর গতিধারাকে একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। এ নদীর পানি বিকল্প নদী খনন করে নিজ দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত করে আবার ভারতের অভ্যন্তর গিয়ে পানিকে নিস্কাশন করে । এতে করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে মূল নদী তা এখন বালুচরে পরিনত হয়ে গেছে।

ভারত তার পানি আগ্রাসী নীতিতে গঙ্গায় ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের পরিবেশের মহা বিপর্যয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হয়নি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও মহানন্দা নদীর উপর ব্যরেজ নির্মাণ করে পঞ্চগড় জেলাকে মরুভুমিতে পরিনত করে দিয়েছে। ভারতের হিমালয় থেকে বয়ে আসা মহানন্দা নদী বাংলাদেশের সর্বোত্তরে বাংলাবান্ধা জিরো লাইন ঘেষে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ নদীর উৎস মুখে ভারতের অসংখ্য ব্যারেজ আর ড্যাম নির্মান করে পানি আটকানো হচ্ছে। সেই পানি ক্যানেলের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষিতে বিল্পব সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব বাঁধ ব্যরেজ পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে যে টুকু পানি এসেছে তার উপরও খড়গ বসাতে একটুও দ্বিধা করেনী বন্ধু প্রতিম নামক প্রতিবেশী ভারত। মানেনি কোন আন্তর্জাতিক আইন কানুন নীতি ও মানবাধিকারের বিষয়গুলো। প্রায় সীমান্তে ঘেষা মহানন্দার উপর ফুলবাড়ি এলাকায় ব্যরেজ দিয়ে পানি আটকে কয়েকটি শাখা নদী হত্যা করেছে। বাংলাদেশকে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলকে শুকিয়ে মারার চক্রান্ত নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যার কু-প্রভাবে তেঁতুলিয়ার কয়েকটি নদী তার অস্তিত্বকে হারিয়েছে। সীমান্তের এলাকার লোকজনদের কখনো মাছ কিনে খেতে হতো না সে সময়। মহানন্দা নদীর মাছ এলাকার মাছের চাহিদা পুরণ করে বিক্রিও করতো এলাকার বাইরে জেলা শহরেও ।

এ ব্যাপারে পরিবেশবিদরা বলেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে ভারতের একগুয়েমী সিদ্ধান্ত। নদীর উপর ব্যরেজ নির্মাণ করে বাংলাদেশকে মরুভ’মিতে পরিনত করা। ভারত আন্তর্জাতিক আইন ও রিতিনিতী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে অভিন্ন নদীর পানি সরানোর অধিকার রাখেনা। পানি বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার। আইনী লড়াই করে যেমন সমুদ্র অধিকার আদায় করেছি। তেমনি নদীর উৎস্য সংশ্লিস্ট দেশগুলোর সাথে আলাপ করে নদীর পানির সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে অভিন্ন নদীগুলোর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। আর এমন দাবি এখন সর্বত্রই।

মহানন্দা: জেলার ভোলাহাট উপজেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মহানন্দা নদী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরটি মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। মহানন্দা নদী ভারত ও বাংলাদেশের একটি নদী। এর উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বতের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার অংশে। এখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর পর আবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় প্রবেশ করে, ও পরে আবার বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ জেলা শহরের কাছে প্রবেশ করে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়। বৃষ্টির পানি এই নদীর প্রবাহের প্রধান উৎস। ফলে গরম কাল ও শীতকালে নদীর পানি কমে যায়, আর বর্ষা মৌসুমে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে বন্যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর অংশটির দৈর্ঘ্য ৩৬ কিমি।

পৌরসভার সব ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ছে মহানন্দা নদীতে; দূষিত হচ্ছে নদী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের খালঘাটে ফেলা হচ্ছে সমস্ত বর্জ্য। এতেও নদীর তীর দূষিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ ‘ক’ অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন আইন-এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের কথা।

এছাড়াও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন-২০১৩ নামে একটি আইন সংসদে পাস হয়। ওই আইনে উল্লেখ রয়েছে নদীর অবৈধ দখল, প্রানি ও পরিবেশ দূষন, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষন, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়মরোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পূনরুদ্ধারের বিধান। এছাড়াও নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষন এবং নৌ-পরিবহনযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠনের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের জলাধার সংরক্ষণ এবং নদী রক্ষা কমিশনের তৃতীয় অধ্যায়ের ১২ নম্বর ধারায় নদী অবৈধ দখলমুক্ত এবং পূনঃদখল রোধ করা, নদীতীর দূষনমুক্ত রাখা এবং বিলুপ্ত বা মৃতপ্রায় নদী খননের বিষয় সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে কমিশন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংবিধানের ১৮ ‘ক’ অনুচ্ছেদ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন-২০১৩ লঙ্ঘিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নদী রক্ষায় সকলেই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন

মোঃ হায়দার আলী,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD