January 3, 2025, 3:44 am
হারুন অর রশিদ,
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
দোয়ারাবাজার উপজেলার লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কে জড়িয়ে এক খন্ডকালীন শিক্ষিকা নির্যাতনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠান গভর্নিংবডির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হকের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদির বলেন, লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ শাখাটি নন-এমপিও ভুক্ত। সরকার শতভাগ উপবৃত্তি গ্রহণ করায় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিউশন ফি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে গভর্নিংবডির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত (৩০ মে) মঙ্গলবার ঐচ্ছিক বিষয় যুক্তিবিদ্যার অতিথি শিক্ষক (প্রভাষক, খন্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত) রেহেনা বেগমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত বুধবার গভর্নিংবডির নির্দেশ ক্রমে খন্ডকালীন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে বকেয়া বেতন পরিশোধ পূর্বক অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করি। পরদিন রেহেনা বেগম কলেজে এসে অফিস কক্ষে ঢুকে সৃষ্টাচার বহির্ভুত অশালীন আচরণ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলের টিস্যু আমার দিকে ছুড়ে মারেন। উপস্থিত শিক্ষকগণ তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন শিক্ষকরা।
এ ঘটনায় গত তিনদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার এমনকি যৌন হয়রানিমুলক মিথ্যাচার রটানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট। আমার মনে হয় কতিপয় স্বার্থভোগী মহল আমাকে ও প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ ও ফেসবুক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য আমি গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই এবং এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা চাই।
গভর্নিংবডির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক বলেন, খণ্ডকালীন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে গভর্নিংবডির সিদ্ধান্তে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ক্ষিপ্ত হয়ে অব্যাহতি দেওয়া ওই শিক্ষিকা এখন অশালীন বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বানোয়াট অভিযোগ করিয়ে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। অথচ ওইসব সংবাদে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষর কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছেন কিছু অনভিজ্ঞ অনলাইন কর্মী। এরা সমাজে চিহৃত। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান জননিরাপত্তা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অহেতুক অভিযোগ হলেই সত্য মিথ্যা যাচাই না করে ফেসবুকে সংবাদ পরিবেশন করায় জনমনে অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,
সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র শিক্ষক মো. মতিউর রহমান, সহকারী শিক্ষক হাসিনা মমতাজ, মনির হোসেন মো. আব্দুল লতিফ, আব্দুল জলিল, নুর এ আলম, আমির হোসেন, প্রভাষক আবুবক্কর সিদ্দিক আবুল কালাম আজাদ, মো. কাউসার আলম,
সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এবং কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।