January 15, 2025, 1:41 pm
বায়জিদ হোসেন, মোংলা।
মোংলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী) দলীয় কার্যালয়ে সকাল ১১ টায় মোংলা পৌর ও উপজেলা আওয়ামী-লীগের আয়োজনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে বক্তৃতা রাখেন পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান। সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন। এ সময় উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তৃতায় মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তাঁকে থাকতে হয় পাকিস্তানের মিনওয়ালী কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে। এসময় প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয় বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। তাঁর আগমনের দিনটি এখনও অনেকের মনে গভীর আনন্দের স্মৃতি হয়ে আছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আগমন বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে। পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে বাঙালি যখন বাস্তবতার মুখোমুখি- তখন পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুযন্ত্রণা শেষে লন্ডন-দিল্লী হয়ে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধ্বংস করার জন্য সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকলকে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। পরে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাতে দোয়া মোনাজাত অনুষ্টিত হয়।