July 12, 2025, 10:41 pm
এনামুল হক সরকার,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
উন্নয়ন প্রকল্পের অবকাঠামো বাস্তবায়নের অন্যতম উপকরণ বালু। বালুমহাল হতে বালু উত্তোলন হলে রাজারহাটে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হবে সরকার ঘোষিত কালিরহাট বালুমহাল।উন্নয়ন প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো বালু। অপরিকল্পিতভাবে বালু বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে যেখানে সেখানে ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে বিলীন হয়েছে তীরবর্তী শতশত ঘরবাড়ি পাশাপাশি সরকার হারিয়েছে রাজস্ব।
পরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করলে নদী ফিরে পাবে নাব্যতা ঠিক থাকবে পানির গতিপথ। গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন প্রায় বন্ধ হওয়ার কারণে বিভিন্ন ঠিকাদারী ও ব্যক্তি পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। অপরদিকে বালু মহাল ছাড়া বালু উত্তোলন করা দন্ডনীয় অপরাধ এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১০অনুযায়ী বিপনের উদ্দেশ্যে আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে নদীর তলদেশ বা উম্মুক্ত স্থানে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ । এছাড়া উক্ত আইনে বালু উত্তোলন ও বিপননের উদ্দেশ্যে ড্রেজিংয়ের অপরাধে অনূর্ধ্ব দুই বছর কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন ৫০হাজার থেকে ১০লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।এঅবস্থায় সরকার অনুমোদিত বালু মহালটি চালু হলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে নতুন গতি সঞ্চার করবে।জেলা প্রশাসকের রিভিনিউ শাখা সুত্রে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর ১০ দশমিক ৮৫ একর জমির উপর এই বালু মহাল ইজারা কার্যক্রমের শেষ প্রস্তুতি চলছে।
বালু মহাল হতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইজারাদার বালু উত্তোলনে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ রাজস্ব আয় ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার ও সচেতন মহল। গত ২১শে নভেম্বর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরীত পত্রে বালু মহাল ইজারা গ্রহণের নিমিত্তে বিজ্ঞাপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় দেড়শতাধিক ঠিকাদার।
রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো: সোহেল রানা দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন,উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বালুর বিকল্প নেই। বালুর অভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে ধীরগতি ছিলো। ঘোষিত বালুমহাল হতে বালু উত্তোলন হলে সরকার পাবে রাজস্ব,পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
রাজারহাট উপজেলার ঠিকাদার আজগার আলী বলেন,বৈধ বালু মহাল না থাকায় তিস্তা নদী থেকে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন চলে আসায় নদী ভাঙন সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিত। এখন নির্ধারীত বালু মহাল চালু হলে নদী ভাঙন প্রতিরোধ এবং নির্মাণ কাছে গতি বাড়বে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিম গেজেট প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন এই অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিলো অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যবস্থা করা, জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মতামতের ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে যাহা উন্নয়ন প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের সহায়ক হবে।ইজারা প্রদান প্রক্রিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে প্রক্রিয়াধীন #
এনামুল হক সরকার
রাজারহাট কুড়িগ্রাম।