May 4, 2024, 6:01 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মাগুরায় এপেক্স ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত শামীম আহমেদ প্রেসিডেন্ট, মঞ্জুরুল ইসলাম সেক্রেটারি মুন্সীগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু শাজাহানপুরে টানা ৪র্থ বারের মতো শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক ( কারিগরী ) নির্বাচিত হলেন মোঃ আতিকুর রহমান সাংবাদিকের পিছে লাগা বাজুস দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে বাজুসের মতবিনিময় সভা বড়াইগ্রামে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনা সভা উজিরপুরে ১০ বছরের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ৮ মে মাহবুবুর রহমান মধুর ঘোড়া মার্কা বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করেন বরিশাল বাসি ভালুকায় ৬টি চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করে মালিককে হস্তান্তর করলেন ওসি রক্তের বাঁধন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর পক্ষ থেকে তীব্র তাপমাত্রায় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা পানি ও টেস্টি সেলাইন বিতরন
বানারীপাড়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারী ঘর

বানারীপাড়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারী ঘর

এস মিজানুল ইসলাম, বিশেষ সংবাদদাতা : বানারীপাড়া উপজেলার বিগত দিনে অনেক বাড়ির দরজায় দেখা যেতো কাচারি ঘর। আর্থিক অবস্থা একটু ভালো হলেই বাড়ির সামনে দরজায় (বাড়িতে ঢোকার পথে) বানানো হতে কাচারি ঘর। প্রতিদিন সকাল বেলা প্রতিবাড়ির কাচারি ঘরে ধর্মীয় শিক্ষার আয়োজন করা হতো। বিশেষ করে কুরআন, হাদিস, মাছআলা-মাছায়েল ও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ইসলামী শিক্ষার এক অনন্য ভূমিকা পালন করা হতো কাচারি ঘরে। এসব কাচারি ঘরগুলো মক্তব হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। সে কচারি ঘর এখন বিলুপ্তির পথে।

একজন আলেম বা মাদরাসার ছাত্র রাখা হতো-এসব ঘরে। তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় আযান দেওয়া আশে পাশের মানুষদের ডেকে নামাজ আদায় করানো সহ বাড়ির নারী, পুরুষ ও শিশুদেরকে ইসলামী নিয়ম নীতি ও রীতিনীতি পালনে উদ্বুদ্ধ করতেন। এইসব কাচারি যুক্ত বাড়ির আশেপাশে কোমলমতি শিশুদেরকে সকাল সন্ধ্যা লেখাপড়া শিখানো হতো। বাড়ির দরজার মক্তবগুলোতে আদব কায়দা, কোরআন ও নামাজ শিক্ষাসহ ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষার মূল কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলো। যা প্রায় বাড়িতেই দেখা যেতো।

কালের বিবর্তনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেই সংস্কৃতি এখন নেই। তখনকার সময় প্রত্যেক কাচারি ঘরগুলোতে লজিং মাষ্টার বা একজন আলেম থাকতো। আবার দূর থেকে এসেও শিক্ষকরা বাড়ির ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখানোর পাশাপাশি বাড়িতে মেহমান আসলে বিশ্রামের জন্য প্রাথমিকভাবে কাচারি ঘরে অবস্থান করতো। সালিশ বৈঠক, রাতভর আনন্দ ফুর্তি হতো এই কাচারি ঘরে। বাস্তবতা হলো এখন আর এসব দেখা যায় না। আবার কিছু কিছু বাড়িতে মক্তব বা কাচারি ঘর থাকলেও বর্তমানে তা জরাজীর্ণ ও অবহেলিতভাবে পড়ে আছে।

উপজেলার সলিয়া বাকপুর গ্রামের মো. আফজাল হোসেন জানান, দিন দিন আমরা বিদেশি সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছি। বিদেশি সিরিয়াল আর মোবাইলে আসক্ত হয়ে দেশের ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছি। সকাল বেলায় শিশুদের মক্তবে যাওয়ার দৃশ্য এখন নেই। আধুনিকতা এবং আকাশ সংস্কৃতির কারনে বাড়ির দরজার সেই কাচারি ঘর ও নেই।#

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD