বানারীপাড়ায় ১২টি সংখ্যালঘু পরিবারের পৈত্রিক বসতভিটা থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ

এস মিজানুল ইসলাম,বিশেষ সংবাদদাতা।। উপজেলার কাজলাহার গ্রামের ১২ টি হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবারের পৈত্রিক বসতভিটা জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে সরকারি ভাবে ভূমিহীনদের জন্য আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌলী মোঃ মহাসিনুল হাসান। সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছে কাজলাহার গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।

বাংলাদেশ মানবাবিকার কমিশনের উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে গৃহহীনদের জন্য আবাসন নির্মান হোক ভুক্তভোগীরা ও তার পক্ষে। কিন্তুু ভুক্তভোগীদের পৈত্রিক সম্পত্তি উপজেলা প্রশাসন দখল করে নয়।

এ ব্যপারে শনিবার ১৯ নভেম্বর সকালে
সরেজমিনে কমিশন নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত হলে ক্ষতিগ্রস্থ পিন্টু বড়াল, ধীরেন বড়াল, পরেশ, সুধান্য বড়াল, সুভাষ সহ কয়েকটি মুসলমান পরিবারের ইদ্রিস আলী আকন, শাহাদত সরদার একই অভিযোগ করেন। সেখানে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু ও অন্যান্য পরিবার বসবাস করে আসছে। তারা জানান, আমাদের দলিল, রেকর্ড এবং পর্চা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসন ১৫ নভেম্বর হটাৎ করে আমাদের ধানের ক্ষেত, পানের বরজ ও ঘর ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে এবং পকুর ভড়াটের কাজ শুরু করে। তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা ভূমি অফিসের অসাধু সার্ভেয়ার মোঃ সুমন এক তরফা এবং জমি চিহ্নিত করেন। সরকারি মাপে যে জমি তাতে কোনভাবেই আবাসনের ঘর নির্মান করা যায়না। এ জন্যই আমাদের উচ্ছেদ করে জমি বেশি দেখিয়ে এ কাজ শুরু করে। তারা বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আবাসন নির্মাণ করলে কোন আপত্তি নেই। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানালে তারা কোন গুরুত্ব দেননি।

এব্যপারে বরিশাল জেলা মানবাধিকার প্লাটফরম সদস্য এবং বানারীপাড়া উপজেলা বাংলাদেশ মানবাবিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক এস মিজানুল ইসলাম এবং সভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার জানান, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। অভিযোগকারী সংখ্যালঘুদের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে নাদিয়ে উচ্ছেদ করা মানবাধিকার লংঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে।

এব্যপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহসিনুল হাসান বলেন সরকারি সার্ভেয়ারের মাপ অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা বলেন, আমরা ৪ মাস পুর্বে জমি মেপে লাল নিশান দিয়েছি। তখন কেউ আপত্তি করেনি। এখন কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলে বিষয়টি দখা হবে। কমিশনের অন্যান্যেদর মধ্যে ছিলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল প্রমূখ।#

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *