July 28, 2025, 5:26 pm
খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধি:
কনের বাড়িতে বরযাত্রীকে স্বাগত জানাতে বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে গেট। আপ্যায়নের জন্য ছিল সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। আজ রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ৩০-৪০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। চলছিল বরযাত্রী ও অতিথিদের আপ্যায়নের প্রস্তুতি। বিয়ের নিবন্ধনের জন্য কাজিকেও ডেকে আনা হয়।
তবে বিপত্তি বাধে কনের বয়স নিয়ে। কনে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণী ছাত্রী (১৫)। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায়, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানার উপস্থিত টের পেয়ে বরযাত্রীসহ বাড়ির লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়, পরে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার এবং গ্রামবাসীর সহযোগিতায় মেয়ের বাবাসহ সবাইকে ডেকে নিয়ে আসেন । মেয়ের বাবা বাল্যবিবাহ এর কথা স্বীকার করেন। সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় , রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের, খারুভাজ গ্রামের আ: হালিম এর মেয়ে ১৪ বছর বয়সের নবম শ্রেণীর ছাত্রী , মোমিনাকে (ছদ্মনাম) বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তার পরিবার । খবর পেয়ে রাতে সেই বাড়িতে অভিযান চালান উপজেলা প্রশাসন। ওই সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় মেয়ের পিতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন।
ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অন্যায় একে প্রতিহত করুন , আর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন।