July 17, 2025, 9:16 pm
কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট | ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আজ ১৬ই জুলাই উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ২০২৩ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের স্মরণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হলেও, অবহেলার শিকার হয়েছেন সেইসব শিক্ষার্থীরা—যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং কেউ কেউ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। তাঁদের কেউই আমন্ত্রিত ছিলেন না, এমনকি অনেকেই জানতেনই না এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে।
আন্দোলনে চোখ হারানো শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শুভ বলেন,
“যেদিন আমরা রক্ত দিয়েছিলাম, সেই দিনের আয়োজনেও আমাদের নামটুকু পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয়নি—এটা কেবল কষ্ট নয়, অসম্মানেরও।”
অনেকেই মনে করছেন, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হলেও আহতদের প্রতি যে অবজ্ঞা দেখানো হয়েছে, তা আন্দোলনের ইতিহাসকেই আংশিকভাবে তুলে ধরার নামান্তর। এমন আচরণে শহিদের মর্যাদাও একপ্রকার খাটো হয় বলে মত দেন অনেকে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের দমন-পীড়নে বহু শিক্ষার্থী আহত হন। একজন শিক্ষার্থী চোখ হারান, অনেকে গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল।
আহত শিক্ষার্থী মো: তৌকির আহমেদ বলেন,
“আমরা আজও সেই দিনের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি, অথচ আমাদের কষ্ট কেউ মনে রাখেনি। শুধু শহিদদের নাম বললেই দায়িত্ব শেষ হয় না।”
অনেকের মতে, এমন উপেক্ষা শুধু আহতদের নয়, বরং পুরো আন্দোলনের চেতনাকেই খাটো করে দেয়। আত্মত্যাগের ইতিহাসকে পূর্ণতা দিতে হলে শহিদ ও আহত—উভয় পক্ষের সম্মান ও স্বীকৃতি একসাথেই নিশ্চিত করতে হবে।
এই ঘটনার মাধ্যমে আহতদের অবদানকে অস্বীকার করা হচ্ছে। তারা দাবি জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে যেন আহতদের সম্মান ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।
এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি এবং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেও দেখা যায়নি।