July 14, 2025, 4:44 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে ‘নীরব ঝড়’ মোকাবেলায় প্রশাসনের টেকসই রূপরেখা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীর যৌথ অভি-যানে ইয়া-বা ও বিদেশী অ-স্ত্র, গু-লিসহ ১ জন আট-ক তারেক-খালেদা জিয়াকে ক-টূক্তির প্রতি-বাদে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ড্যাবে ও ছাত্রদলের বিক্ষো-ভ কর্মসূচি নীলফামারী আদালতে ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরু-দ্ধে মাম-লা দায়ের আশুলিয়ায় অপহ-রণের পর শিশুকে গ-লাকেটে হ-ত্যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে হ-ত্যাকারী গ্রে-ফতার ময়মনসিংহ জেলা আইন শৃঙ্খ-লা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা নগরীর রাজাগঞ্জে ভ্রাম্যমানে ব্যাবসায়ীকে ৫০ হাজার জরি-মানা পটিয়ায় হাইদগাঁও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে’র পদত্যা-গের দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও প্রতি-বাদ বিএনপি নেতার বিরু-দ্ধে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি দ-খল, মা-মলা হাম-লার প্রতি-বাদে সংবাদ সম্মেলন ডুমুরিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরো-ধে সুষ্ঠ বিচা-র পাওয়ার দাবি-তে সংবাদ সম্মেলন
গোদাগাড়ীর গ্রামীন রাস্তার বেহা-লদশা, অভিযোগ করেও প্রতি-কার পাচ্ছেন না

গোদাগাড়ীর গ্রামীন রাস্তার বেহা-লদশা, অভিযোগ করেও প্রতি-কার পাচ্ছেন না

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী জেলার প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভার রাস্তার বেহালদশা সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। উপজেলার কিছু রাস্তার চিত্র একই। এ পৌরসভার বেশ কয়েকটি রাস্তার বেহালদশা। ৭ নং ওয়ার্ডের একটি রাস্তা, ১ নং ওয়ার্ডর গড়েরমাঠ থেকে তালতোলার রাস্তাটি টানা বর্ষণের ফলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

গোদাগাড়ীর নুরুজ্জামান নাদিম ফেসবুকে বেহালদশা ও আটকিয়ে পাড়া একটি ও মানুষের ঠেলাঠেলি দৃশ্যে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, গোদাগাড়ী ৭নং ওয়ার্ড এর রাস্তা এটি। গত ১৫ বছর থেকে এভাবেই আছে কেউ দেখার নাই ডাইংপাড়া থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া, ৪০-৫০ টাকা দিতে চেয়েও আসেন না, পা ধরা লাগে। এই রাস্তা কি কোনোদিন ভালো হবে না? আমার বাইরের রিলেটিভরা আসলে বলে,, পৌরসভারর রাস্তা দেখলেই বুঝা যাই গোদাগাড়ীটা কতোটা উন্নত।

আদিলা জেবিন লিখেছেন, রাস্তাগুলো ঠিকই ছিল। যখন থেকে বালু ব্যবসা শুরু হয়েছে, ভারি যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বিশেষ করে বালুর ট্রাক, ট্রাক্টর তখন থেকে রাস্তাগুলোর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছে। নাহিদ হাসান লিখেছেন, ইহা এলাকার মেয়র, চেয়ারম্যান এর পক্ষ থেকে উপহার। স্মৃতি হিসেবে রেখে স্মৃতিচারণ করতে থাকো। পিও অবিভাবক গুলো যেখানেই থাকুক না কেন খুশি হবে।

এ দিকে গোগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের
ফরাদপুর গ্রামের সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে একটি মারাত্মক জনদুর্ভোগের হচ্ছেন। ওই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বর্তমানে অত্যন্ত কর্দমাক্ত ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতেই পুরো রাস্তাজুড়ে কাঁদা-পানি জমে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পথচারী, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা এবং বৃদ্ধরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ রাস্তা মূল সড়ক থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এবং এই পথ দিয়েই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা কঠিন হয়ে পড়েছে, অনেক সময় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

এ ব্যপারে এমডি মিজানুর রহমান বলেন,
রাস্তার এই করুণ অবস্থা আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মেম্বার ও চেয়ারম্যান জানিয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের নিকট রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।

গোদাগাড়ী পৌরসভার সচিব ( ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা সারোয়ার জাহান মুকুল বলেন, যেসব রাস্তা চলাচলের অযোগ্য সেটির ছবি তুলে আমাদের নিকট আবেদন করলে আমরা দ্রুত সংস্কার করে দিব। পৌরসভায় অনেক রাস্তা এখনও কাঁচা রয়েছে, টানা বৃষ্টিতে মানুষের চলাচলের সমস্যা হচ্চে।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ – রাজশাহী মহানগরী সড়কটি সড়ক ও জনপথের এখানে আমাদের করার কিছুই নেই। তারা নির্মান কাজ করছেন ধীরগতিতে। তবে পৌরসভার যে সব রাস্তা নষ্ট আছে সেগুলি বাজেটের পর নির্মান ও সংস্কার কাজ হাতে নেয়া হবে। এখন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে হাটু পরিমান পানি। বৃষ্টি কৃষি কাজের জন্য উপকারী, জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে জনদুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন, ভ্যান, সাইকেল, বাইক, মানুষ, শিক্ষার্থীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানান এ রাস্তা পাঁকা করার জন্য মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিকট অনেকবার যোগাযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। ফলে জনগনের কষ্টের সীমা নেই। এলাকাবাসী আরও জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি রাস্তাটিতে।

এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এলাকার ভৃক্তভোগি আর এইচ রানা দেওয়ান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ রাস্তায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় জমে হাটুপরিমান পানি ও কাঁদা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এলাকাবাসী এই রাস্তাটি জরুরীভাবে সংস্কারের প্রশাসন ও মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD