June 22, 2025, 6:51 am
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক,ছিনতাই, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস। বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজ,সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তার রোধকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায়, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আবদুললাহ আল মামুন ময়মনসিংহ নগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক-সন্ত্রাস ও বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে কঠোর ভূমিকায় নিরলস কাজ করছেন।
তিনি ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকেই মাদক, সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাং সহ সবধরণের সামাজিক অপরাধ নির্মূলে জনগণকে সচেতন করতে বিরামহীন ভাবে ছুটে চলেছেন। চুরি ও ছিনতাই হওয়া উদ্ধার সহ এ চক্রের হোতা অসংখ্য আসামী গ্রেফতার, আন্তঃ জেলা গরু চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতারসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধারে তার পরিচালিত অভিযান এখন টক অফ দ্যা ময়মনসিংহে পরিণত হয়েছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও পিকআপ সহ আন্তঃ জেলা ডাকাত সদস্য গ্রেফতার, ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন সহ মুল আসামী গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশা মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছেন।
অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা ধারণ করে তিনি এই ময়মনসিংহে আওতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মসজিদ, মন্দির, হাটবাজার, জনসমাগম এলাকাসহ তিনি প্রতিনিয়ত জনগণের সাথে সরাসরি সভা, সেমিনার ও উঠান বৈঠক করেছেন। সমাজের নানারকম সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের দোরগড়ায় পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি হৃদয় দিয়ে বরণ করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলো। জনগণকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, সমাজে যারা খারাপ কাজের সাথে জড়িত তাদের সংখ্যা খুবই কম। সমাজে ভালো মানুষের বসবাস এখনো অনেক বেশি। তাই সবাইকে সমাজের তথা দেশের কল্যানে কাজ করতে হবে। এই কমসংখ্যক খারাপ মানুষ সমাজটাকে অস্থিতিশীল করে তোলে। কারন একটাই! আমরা সমাজের মানুষগুলো প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছিনা। আমরা প্রতিবাদ না করায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছি। স্থানীয় জনগণ যদি পুলিশকে সহযোগিতা করে তাহলে সমাজ থেকে এসব অপরাধীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জনগনকে আশ্বস্থ করেন।
ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ময়মনসিংহ শহরের অলিগলিতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ কখনো সমন্নয় করে অভিযান করে চলছেন,আবার কখনো পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে । তার নেতৃত্বে চোর, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী ধরতে পুলিশ হয়েছে ব্যাপক তৎপর। সারা শহর চষে বেড়াচ্ছে তিনি। ইতি মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারী গ্রেফতারও করেছেন। নগরীর অলাকা নদী বাংলা মোবাইলের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় আনুমানিক কোটি টাকার মোবাইল নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম মোঃ আব্দুললাহ আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দোকানে যান এবং তদন্ত শুরু করেন এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অচিরেই চোরকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করার অঙ্গীকার করায় তার প্রতি ব্যাপক খুশী হয়েছেন দোকান মালিক রিদয়। তার জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডে জনগণের কাছে আস্থা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশি সেবা কে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার মাধ্যমে পুলিশ
জনগণের বন্ধু প্রমাণ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আবদুললাহ আল মামুন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আবদুললাহ আল মামুন জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের যেকোন সমস্যা সরাসরি পুলিশকে জানান, তাহলে পুলিশ আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবে। তিনি মা-বোনদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা রাস্তায় বিভিন্ন কাজে চলাফেরা করেন তারা অবশ্যই থানার নম্বর ও স্থানীয় বিট পুলিশিংয়ের নম্বর সঙ্গে রাখবেন। বখাটে ছেলেরা আপনাদের উত্যক্ত করলে চুপ থাকবেন না বরং প্রতিবাদ করবেন। পুলিশ আপনাদের সহোযোগীতায় পাশে আছে। তিনি বলেছেন, ইভটিজিংয়ের শিকার হলে স্থানীয় বিট পুলিশিংয়ের সহযোগিতা নিতে অথবা সরাসরি তার নম্বরে যোগাযোগ করতে।
এছাড়াও যেসব মানুষ বিপদে পড়বেন বা সমস্যার সম্মুখীন হবেন সরাসরি নিকটস্ত থানায় চলে আসবেন। থানার ওসির কক্ষের দরজা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। কাউকে কোন তদবির করতে হবেনা, কোন মানুষ সঙ্গে আনতে হবেনা। এক কথায় আপনারা যে কোন রকম সমস্যায় পড়লে পুলিশের শরনাপন্ন হবেন পুলিশ আপনার সমস্যাটা নিজের মনে করে আপনাদের সেবা দেবে। সেই সাথে যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, আপনারা সকলে বাবা মায়ের সেবা করবেন। বাবা মা কোন সন্তানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ পুলিশের কাছে আনলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চুল পরিমান ছাড় দেওয়া হবেনা। তিনি এই এলাকার মানুষকে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
এলাকার একাধিক জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি এখানে যোগদানের পূর্বে এলাকায় মাদক চোরাকারবারি সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ তুঙ্গে উঠেছিল। তিনি এসে পর্যায়ক্রমে মাদক কারবারি ও সেবনকারী সহ সকল অপরাধ মূলক কাজকে প্রায় ৯০ ভাগ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তিনি ইতিমধ্যে এলাকার আপামর জনতার কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এখানকার মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার সার্থে রাতে জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সজাগ রাখা ও সার্বিক তদারকির পাশাপাশি তিনি নিদ্রা পরিত্যাগ করে সারারাত জেগে টহল দেওয়ার আহবান জানান। তিনি নিজেও রাত জেগে বিভিন্ন এলসকায় টহল দেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও পাড়া-মহল্লার ভিতরে পায়ে হেঁটে টর্চলাইট নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে পাহারাদারের ভূমিকাও পালন করে আসছেন তিনি। পুলিশি সেবায় বিচক্ষণ, দূরদর্শী এবং বন্ধুসূলভ ব্যবহারে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে জনসাধারনের বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন তিনি।তার নিরলস প্রচেষ্টা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জনগণকে পুলিশি সেবা দিতে স্বাচ্ছন্দে কাজ করে যাচ্ছেন অধীনস্থ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সর্বদা অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ায় পুলিশের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে বলে নগরীর কয়েকজন বাসিন্দা জানান- নির্দ্বিধায় পুলিশ সুপার অফিসে গিয়ে আমরা সমস্যার কথা বলে সুষ্ঠু সমাধান পেয়েছি। একজন জানান- আমি গরিব মানুষ, তারপরও এএসপি স্যারের আচরণে আমি মুগ্ধ হয়েছি। বর্তমানে এই জেলার এসপি-এএসপি এবং সকল পুলিশ সদস্য খুবই ভালো এবং আন্তরিক। আমি তাদের জন্য দোয়া করি।
একজন রাজনৈতিক নেতা বলেন, বর্তমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) খুবই ইন্টেলিজেন্ট মানুষ। ওনি এখানে যোগদানের পরে চুরি-ডাকাতি সহ যাবতীয় অপরাধ কমে গেছে এবং ইতিমধ্যে তিনি ক্লুলেস মার্ডারের তথ্য উদঘাটন, চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার, আসামি গ্রেপ্তারসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় সর্বমহলে আস্থাশীল ও প্রশংসনীয় হয়েছেন। যেহেতু আমরা রাজনীতি করি, সে সুবাদে আমাদের কাছে অনেক তথ্য আসে। বর্তমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আবদুললাহ আল মামুন সাহেবের কাছে সেবা প্রত্যাশী কোন জনগণ অর্থনৈতিক বা কোন প্রকার হয়রানির শিকার হয়নি। তিনি যথেষ্ট আন্তরিক। জনসাধারণের সার্বিক সমস্যা আন্তরিকতার সহিত সমাধানের চেষ্টা করেন এবং এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালোই আছে। তার কর্মদক্ষতায় আমাদের নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো রেখেছেন । তার কাছে ধনী-গরীবের কোন ভেদাভেদ নেই। অপরাধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে তিনি সর্বদাই তৎপর। এখানে সাধারণ মানুষ রাত-বেড়াত নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আবদুললাহ আল মামুন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম স্যার এর নেতৃত্বে ও সার্বিক দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। গত পবিত্র ইদুল আযহা ও ইদুল ফিতরেও ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের হয়রানি প্রতিরোধ এবং যানজট নিরসনের লক্ষ্যেও কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম স্যার একজন জনবান্ধন ও মানবিক পুলিশ অফিসার। তার নেতৃত্বে এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশি সেবার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কাজও করা হয়। তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে অসহায়, দুস্থ ও গরিব-দুঃখীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করা হয়। তাকে অনুসরণ করে এসকল ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট থেকেই আমি পেয়েছি।
শেরপুর জেলার কৃতি সন্তান ৩০ তম বিসিএস ব্যাচে উত্তীর্ণ পুলিশের এই জনবান্ধব কর্মকর্তা গত ২০১৩ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রথম শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।পরে সেখান থেকে পুলিশের এসবি শাখায় কাজ করে সুনাম অর্জন করায় তাকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, (পিবিআই) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ জেলায় যোগদানের পুর্বে তিনি টাঙ্গাইল জেলাতে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের ১৩ ই এপ্রিলে ময়মনসিং জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আগামী দিনে পুলিশ কে জনবান্ধব হিসাবে গড়ে তুলতে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।