May 15, 2025, 11:59 pm
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন এলডিডিপি প্রকল্পের উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আকতারুল ইসলামের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় খামারী ও পিজি গ্রুপের সদস্যরা। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রকল্প পরিচালক- প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), ঢাকা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধনে খামারীরা বলেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আকতারুল ইসলাম একজন ভালো মানের পশু ডাক্তার এবং মানুষ হিসেবে অত্যন্ত সেবা প্ররায়ণ ও খামারী বন্ধব। উপজেলা পশু সম্পদ উন্নয়নে গবাদি প্রাণীর স্বাস্থ্য সেবায় নিবেদীত। খামারিদের ফোন পেলে বিলম্বহীন ছুটে যান ঘটনাস্থলে। এই বদলি আমরা মানবো না, খামারীবান্ধব অফিসারের বদলি আমরা চাই না। এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সরকারি গাছ কাটা অফিসারের বদলি হয় না, আর সৎ পরিশ্রমী, খাামারী বান্ধব অফিসারের বদলি হয়।
প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আকতারুল ইসলাম বলেন, আমি প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডি) আউটসোর্সিং নিয়োজিত আকতারুল ইসলামকে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে তারাগঞ্জে যোগদান করি। আমার বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায়। আমার বাবা নেই, মা ও স্ত্রী দুজনই অসুস্থ। প্রকল্পের মেয়াদ
চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই শেষ। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও নেই, চাকুরীর শেষ পর্যায়ে সাধারণত কাউকে বদলি দেয় না। হঠাৎ দূরে বদলি হওয়ায় বিপদে পড়েছি। তবে ডিপার্টমেন্ট চাইলে তারাগঞ্জে স্ব-কর্মস্থলে থাকতে পারি।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সাম্প্রতি তারাগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলামের নেতৃত্বে অফিস চত্বরের সরকারি গাছ অবৈধ ভাবে কাটা ও এলডিডিপি প্রকল্পের পিজি গ্রুপের সদস্যদের নাস্তার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মানববন্ধন, সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন তদন্ত হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাঁর অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা(এলিও) ডা. আকতারুল ইসলামের সহায়তা না পেয়ে ষড়যন্ত্রমুলক বদলির মাধ্যমে হয়রানিতে ফেলেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, খামারীদের স্মারকলিপি পেয়েছি। এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।