May 10, 2025, 7:40 pm
এম এ সালম,
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সরকার পতনের পর সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সাবেক মন্ত্রী,আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস গ্রেফতার হলেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে অনেকেই।আবার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে মাঠে নামানোর অভিযোগ উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। এরই একজন বেলকুচি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি সদস্য রফিকুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। দ্রুত রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বেলকুচির ১নং সদর ইউনিয়নের ৯ং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহব্বায়ক। তিনি মনতলা গ্রামের ফজল দপ্তরীর ছেলে।
আজ শনিবার (১০ মে) বিকেলে মনতলা গ্রামে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীরা জানান,গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তার ঘনিষ্টরা সাবেক মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার ক্ষমতার প্রভাবে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।এ ছাড়াও জোরপূর্বক সাধারণ কৃষকের জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি,ভূমি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং হামলা করে কৃষক ও এলাকার মানুষের নানাভাবে ক্ষতি সাধন করে আসছে।পতিত আওয়ামী সরকার পতন হলেও এখনো তার প্রভাব ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এ দিকে বেলকুচি উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সোলায়মান হোসেন পলাতক থাকায় এখনও তার সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের তোয়াক্কা না করে বরাবরের মত এখনও তার ইচ্ছেমতো ইউনিয়ন পরিষদ সকল কাজ চলছে। পরিষদে সেবা প্রত্যাশিতদের কাছ থেকে টাকা নেয়া, বিধবা কার্ড বিতরণ ও ভিজিডি,ভিজিএফ চাউল বিতরণে অনিয়ম করে আসছে। এ ছাড়াও অদৃশ্য শক্তির বলে পরিষদের বিভিন্ন কাজের অনিয়ম-দুর্নীতি করেই যাচ্ছে।রফিকুলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়ারও ঘটনা রয়েছে এলাকায়।
তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন,এলাকায় আমার একটা প্রতিপক্ষ আছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করছে। আমি কোন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নই।