May 9, 2025, 4:12 pm
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে শুরু হয়েছে তীব্র পদ্মা নদী ভাঙন । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত কয়েক দিনে উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বছরের পর বছর অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে প্রভাবশালী মহল অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ভাঙন রোধ ও নদীর তীর রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। বৃহস্পতিবার উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী সাতবাড়ীয়ার তারাবাড়ীয়া এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন মোল্লা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী টুকু, সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম, আবুল কালাম, আব্দুল আলীম, ওয়ালিদ হাসান, বিকাশ রায়, শিক্ষক খাজামঈনুদ্দিন, মনোয়ার হোসেন, নুরুজ্জামান নুরু, সিসিডিবির পাবনা জোনাল এরিয়া ম্যানেজার রিচার্ড দোবে, আলহাজ্ব আলাউদ্দিন বিশ্বাস, সৈয়দ আলী মাস্টার ও আব্দুর রশীদ প্রমুখ । বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের সব চাইতে খরস্রোতা এই পদ্মা নদী আমাদের দিয়েছে যেমন নিয়েছেও অনেক। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের হরিরামপুর, ফকিৎপুর,নিশ্চিন্তপুরসহ অনেক গ্রাম,সাতবাড়ীয়া বাজার এবং শত শত বিঘা ফসলী জমি, অসংখ্য স্থাপনা ও জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, কঁাদিয়েছে অসংখ্য গ্রামবাসীকে। নতুন করে শুরু হয়েছে পদ্মার করালগ্রাসী ভাঙ্গন। তারাবাড়ীয়া, হঠাৎপাড়া, ফকিৎপুর, সাতবাড়ীয়া, নতুনপাড়া, সিঁন্দুরপুর, নারুহাটিসহ দশটি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ি, আড়াইশো বছরের পুরনো প্রায় দুইশো দোকান, সাতবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ, শতবর্ষী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সাতবাড়ীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, সাতবাড়ীয়া পরিবার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, চারটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছয়টি মসজিদ, দুইটি মাদ্রাসা, পঁাচটি হিন্দু মন্দির, চারটি ব্যাংক সহ অনেক সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা আজ পদ্মার করাল গ্রাসের সম্মুখিন। ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী এবং দৈনিক যুগান্তরের সার্কুলেশন ম্যানেজার সাইদুল হক জানান, এখনই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে উল্লেখিত স্থাপনা ও জনপদ সহ অসংখ্য জানমালের ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হবে। তাই নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।