May 9, 2025, 9:14 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে শনিবার বিদ্যুৎ থাকবেনা সকাল ৭ থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর রুবেল হ-ত্যাকান্ডের মূল হো-তাকে গ্রেফ-তার করেছে র‌্যাব-৪ নড়াইলে যুবকের ম-রদেহ উ-দ্ধার র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন পাচা-রকারী গ্রেফ-তার গোদাগাড়ীতে মাদ-ক ও বা-ল্য বিয়ে কে না বলি” ইউএনও ফয়সাল আহমেদ নড়াইলে পুলিশের অভি-যানে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জন গ্রে-ফতার আশুলিয়ায় ছাত্র জনতা হ-ত্যার একাধিক মামলার আসামি জামাই রনি আহমেদকে গ্রে-ফতার গোদাগাড়ী বাল্য বিয়ে ব-ন্ধ করলেন ইউএনও। রাজশাহী ১ আসনের সাবেক প্রভাবশালী এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘বডিগার্ড’ গ্রে-প্তার গোদাগাড়ীতে আ.লীগ নেতা নজরুল ইসলাম গ্রে-প্তার
নিয়ন্ত্রণহীন স্বর্ণের দাম-হাজার হাজার বেকার শ্রমিদেশেকদের মানবেতর জীবনযাপন

নিয়ন্ত্রণহীন স্বর্ণের দাম-হাজার হাজার বেকার শ্রমিদেশেকদের মানবেতর জীবনযাপন

হেলাল শেখঃ দেশে নিয়ন্ত্রণহীন স্বর্ণের দাম হওয়ায় সাধারণ মানুষে সোনার অলংকার ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে, এর কারণে কাজ কমে যাওয়ায় হাজার হাজার স্বর্ণ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেশে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি জুয়েলার্স ব্যবসায়ী রয়েছেন, এতে ৫ লক্ষাধিক স্বর্ণশিল্পী শ্রমিক (কারিগর) কাজ করেন। বিদেশী অলংকার বাজারজাত ও নিয়ন্ত্রণহীন স্বর্ণের বাজার হওয়ায় শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে। সোনার দোকানের কারখানায় কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে কারিগররা সোনার কাজ বাদ দিয়ে অন্যকাজে ভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এর কারণ, ভেজাল ও নিম্নমানের স্বর্ণ বাজারজাত করা, বিদেশী সোনা চোরাচালানি করে দেশী তৈরি অলংকারের চাহিদা কমেছে বলে তারা জানান। বর্তমানে এক ভরি সোনার দাম প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ আবার কম বা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই কারণে সোনার নিলাম হচ্ছে না। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা বেশিরভাগ সোনার বিষয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন। দ্বিতীয়ত, নিলাম ডাকা হলেও সোনা ব্যবসায়ীরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বা তারও কম! প্রশ্ন সমস্যাটি কোথায়? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়ত এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই। জুয়েলার্স মালিক ও স্বর্ণশিল্পী শ্রমিক সুত্রে জানা গেছে, ৯৬ রতি=১৬ আনায় ১ভরি সোনার ভেতরে ২ আনা তামা খাইদ মিশানো হয়, কেউ আবার তারচেয়ে বেশি খাইদ মিশিয়ে ভেজাল ও নিম্নমানের অলংকার তৈরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এ খাইদ যদি ১৯-২০ হয় তাও সোনার মূল্য এতোটা কম হওয়ার কথা নয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
ব্যাংকে যে স্বর্ণ রয়েছে, তা বিদেশী না কি দেশী ? বিদেশী স্বর্ণের বিস্কুট এক নম্বর জাতের সোনা, এর মধ্যে কোনো প্রকার খাইদ থাকার কথা নয়। আর যদি সোনার তৈরি অলংকার হয় তা ১৮, ২১, বা ২২ ক্যারেট হলেও তার মুল্য ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি টাকা হওয়ার কথা। কথিত আছে যে, স্বর্ণকার-না কি মায়ের নাকের সোনাও চুরি করে! আসলে কি তাই? এই প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম জয় নামের একজন স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক কারিগর বলেন, এক ভরি সোনার অলংকার তৈরি করতে ২-৩ আনা সোনা বেশি নিতে হয়-সেই বাড়তি সোনা-আবার কাজের শেষে ছঁাটকাট বা গসাগুড়া বেড় হয়ে যায়। এটাকে চুরি বলা যায় না।
উক্ত ব্যাপারে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স মালিক সমিতির সভাপতি-শ্রী গঙ্গাচরণ মালাকার গণমাধ্যমকে জানান, “বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আমাদের কাছে আন্তর্জাতিক বাজার দরে সোনা বিক্রি করুক, আমরা সোনা কিনে নেবো।” তিনি বলেন, তখনকার পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এখন আমরা কম দাম দেবো না। আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম আছে, তাই দেবো। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দুই কারণে সোনার নিলাম হচ্ছে না। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা বেশিরভাগ সোনার বিষয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। দ্বিতীয়ত, নিলাম ডাকা হলেও সোনা ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকেন খুবই কম। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (কারেন্সি অফিসার) আওলাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বেশিরভাগ সোনা সংক্রান্ত মামলাই বিচারাধীন। আর বিচারাধীন থাকার কারণে সোনা নিলাম হচ্ছে না। একটি মামলায় আদালত থেকে জামিনে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থেকে একজন আসামী জামিনে আসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকার মোঃ শরীফ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, বিদেশ থেকে যেসকল স্বর্ণের বার বা বিস্কুট আকারে বাংলাদেশে আসে সেই স্বর্ণগুলো বিশুদ্ধ ও উন্নত মানের সোনা। এসব স্বর্ণ জব্দ করার পর, সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে নেয়। আর নিলামের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে দেয়া হয়। এগুলোকে রিজার্ভে দেখানোর জন্য ভল্টে রেখে দেয়া হয়। সেগুলো ভেজাল বা নিম্নমানের হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ সোনার নিলাম ডেকেছিল ২০০৮ সালে। জানা যায়, ওই বছরে চার দফায় ৯১ কেজি সোনা নিলাম করা হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ৯৬৩ কেজির বেশি পরিমাণ সোনা জব্দ করার পর, সেই সোনা আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে জমা পড়েছে। সুত্র জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে জব্দ হওয়া সোনার মধ্যে রাষ্টের অনুকুলে আদালত থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া দুই হাজার ৩০০ কেজি সোনা কিনে রিজার্ভে যোগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরে ১৮ কেজি সোনা রিজার্ভে নেওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া ১০ কেজি সোনা নিলামে বিক্রির কথা থাকলেও আপাতত তা স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা গেছে, কিছু জুয়েলার্স মালিক চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকেই জানান। দেশের সোনার বাজার মূলত চোরাচালানের উপর নির্ভর করে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। চোরাই পথে আসা সোনার একটা অংশ চলে যাচ্ছে জুয়েলারি দোকানগুলোতে। প্রতিবছর চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগই চোরাচালানের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে। যদিও দেশে প্রতি বছরে সোনার চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টন। এই চাহিদার পুরোটাই আমদানির মাধ্যমে পূরণ হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে এর অধিকাংশই বিদেশ থেকে আসছে চোরাচালানির মাধ্যমে। এসব সোনার বিস্কুট গলিয়ে ২ আনা ও তার বেশি খাইদ মিশিয়ে বাংলাদেশে অলংকার তৈরি করা হয়। কেউ কেউ ২ নাম্বার গহনা তৈরি করে দোকানে সাজিয়ে রাখেন এবং বিক্রি করে থাকেন বলে অনেকেই জানান। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার “জামগড়া জুয়েলারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জয়া জুয়েলার্স এর মালিক মধুসূধন বনিক বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স মালিকরা জড়িত নয়”। আর যদি কোন স্বর্ণ ব্যবসায়ী চোরাচালানির সঙ্গে যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD