April 28, 2025, 1:16 am
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ফৌজদারী মামলাভুক্ত আসামীদের হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বুড়াবড়ি ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান চৌধুরীপাড়া গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মামলাভুক্ত আসামীদের হামলায় মারধরের শিকার হয়ে ঘটনার দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে চিকিৎসা নেয়।
জানা যায়, শুক্রবার চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের দরজা থেকে বের হতে না হতেই একই গ্রামের আব্দুল রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকতারা বেগম এবং মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে মশিউর রহমান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের বুকে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানায় জানানো হলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করায়।
আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান জানান, তিনি নামাজ শেষে মসজিদের দরজায় আসা মাত্রই তার উপর হামলা চালানো হয়। পরে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন তাকে মসজিদের ভিতরে নিয়ে যান। এসময় তারা মসজিদের ইমামের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি করেন। এরপর তিনি উপায়ান্তর খুঁজে না পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দেয়। তিনি জানান, মূলত তার জমির পাশের অন্য এক জমি নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় ওই জমির মালিক তাকে সাক্ষী করেন। সেই জেরে তার উপর হামলা চালায় রবিউল গংরা। জানা যায়, তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তেঁতুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকতারা বেগম জানান, তাদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দিয়ে হয়রারি করে আসছেন মজিবর রহমান। সাম্প্রতিক চৌধুরীপাড়া আসির উদ্দীন বনাম ভুয়ালগছের আব্দুল কাদেরের মামলায় ঘটনাস্থলে না থেকেও মজিবরের কারণে তাদের আসামী করেন। তাই তারা এমন ঘটনার বিষয় মসজিদ কমিটিকে জানাতে গিয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি। অভিযোগ পেলেই আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।