April 16, 2025, 9:35 am
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ রেখে হাসপাতাল স্টাফদের থাকা কর্মবিরতিতে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত, হাসাপাতালে ডাক্তারদের সেবা প্রদানে অনিহা, সেবা প্রার্থীদের হেনস্থা ও চিকিৎসা সেবায় বিলম্ব এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে তারাগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে তারাগঞ্জের সর্বস্তরে মানুষের ব্যানারে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চৌপথী বাসস্ট্যান্ডে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ মানববন্ধনে অংশ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, সদস্য সচিব ডা. জামিল হোসেন, মুখ্য সংগঠক রিফাত হাসান, সদস্য আল-আমিন আকাশ, তারাগঞ্জের বিশিষ্টি ব্যবসায়ী একরামুল হক সহ অন্যান্যরা।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, চিকিৎসককে মারধরের যে অভিযোগ এনে তারাগঞ্জে দুই ছাত্র ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেই মারধরে ভিডিও যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে না পারে, তাহলে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে মার্চ ফর তারাগঞ্জ থানা গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হবে। সিভিল সার্জন মারধরের ঘটনা প্রমাণ করতে না পারলে তাকে রংপুর থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে লাগাতার কর্মসূচি, অবরোধ, বিক্ষোভ এবং হরতালের মতো কর্মসূচি আমরা পালন করতে বাধ্য হব।
মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডঃজামিল বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। যেটা পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক মানুষের আছে। আপনারা মামলা করেছেন, আইনকে আইনের মতো এগোতে দেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেন।
তারাগঞ্জের ছাত্র সমন্বয়ক আল-আমিন বলেন, গত ১৭ বছরে কেউ কারো দাবি আদায় করতে পারে নাই, আন্দোলনে নামতে পারে নাই, আমরা ছাত্ররা পুরো দেশের পরিবর্তন এনেছি। ডাক্তারদের কর্মবিরতির ঘটনায় আমরা দফায় দফায় তাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। ওনারা বলেন আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাহলে তারা কেন কর্মবিরতিতে গেল, সাধারণ মানুষের কি অপরাধ, তারা কেন সেবা বঞ্চিত হলো, আপনাদের কাছে আমরা জবাব চাই। এর জবাব না দিলে আমরা পরবর্তীতে তাদের নামে মানহানির মামলা করব বলে হুশিয়ারী দেন।
মানববন্ধনে উপজেলার “ব্রাদাস এ্যাগ্রো ফুড” এর সত্ত্বাধিকারী একরামুল হক বলেন, মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না অনেকে, আপনারা জনগণের টাকায় স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার হিসেবে নিয়োজিত। সেখানে পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে ছোট্ট একটা উপজেলার হাসপাতালে নেই ডাক্তার, নেই চিকিৎসা সেবা। এছাড়াও তারাগঞ্জ একটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা, এখানকার শিল্প-কারখানা গুলোতে হাজার হাজার শ্রমিকরাও কাজ করতে গিয়ে আহত হয়। আমি রংপুরে সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করবো তারাগঞ্জের সেবার মান উন্নত করা হোক।