April 17, 2025, 11:52 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
প-র্নোগ্রাফি মামলায় জয়পুরহাট আ”লীগ নেতার ছেলে গ্রে-প্তার জীবননগর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ফে-ন্সিডিল ও ভা-য়াগ্রা ট্যাবলেট উদ্ধার ময়মনসিংহে বিশ্ব কন্ঠ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অ-নিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সা-সপেন্ড, ৫ শিক্ষককে জরিমানা তেঁতুলিয়ায় সড়ক দু-র্ঘটনায় প্রা-ণ গেল কলেজ ছাত্রের সুন্দরগঞ্জে পাট চাষি প্রশিক্ষণ সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দেশীয় অ-স্ত্রসহ ৩ ছি-নতাইকারী আটক আশুলিয়ায় বিভিন্ন বাজারে নি-ষিদ্ধ পিরানহা বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ায় ভুয়া ডিবি সদস্য আটক সুজানগরে যু-বদল ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে আনন্দ মিছিল
হবিগঞ্জে ভু-য়া জামিননামা দিয়ে কারাগার থেকে চার আসামির বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

হবিগঞ্জে ভু-য়া জামিননামা দিয়ে কারাগার থেকে চার আসামির বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

মশিউর রহমান,
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। 

হবিগঞ্জে ভুয়া জামিননামা দিয়ে কারাগার থেকে চার আসামি বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে অজানা তথ্য। এ ঘটনায় কারাগারে যাওয়া আসামি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার এড়ালিয়া গ্রামের মৃত মো: মন্নর আলীর পুত্র হুসাইন মোহাম্মদ আরিফ জামিনে বেরিয়ে এসে ৯ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, কগনিজেন্স কোর্ট- (বানিয়াচং-বাহুবল) এ মৃগী (মাস্টার রোলে) হিসেবে চাকুরি করতেন। উক্ত চাকুরির সুবাদে তাকে নিয়মিত জেলখানায় জামিননামা  দিয়ে পাঠানো হতো। গত ৩০ জানুয়ারি তাকে হবিগঞ্জ  সদর কোর্ট থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ভূয়া জামিনের মামলায় সন্দেহমূলকভাবে আটক করা হয় এবং পরেরদিন মামলার ঘটনার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। জবানবন্দী প্রদানের পূর্বে কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হক, কোর্টের জারীকারক-পংকজ ও মাধবপুর কোর্টের সি.এস.আই সুকোমলসহ আরও কিছুসংখ্যক অফিসার তাকে বিজ্ঞ আদালতে ফৌ:কা:বি: ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাদের শেখানো মতে জবানবন্দী প্রদানের জন্য বলেন। তাদের কথামতো জবানবন্দি দিলে এ মামলায় ৭ দিনের মধ্যে জামিন করাবেন, মামল দায় থেকে তাকে খালাস করাবেন, মামলার খরচাদি  বহন করবেন, তার পরিবারের খরচ বহন করবেন পাশাপাশি তাকে আর্থিকভাবে খুশি করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। আর যদি এর বাহির বললে অনেক অফিসারের চাকুরি যাবে।

তারা আরিফকে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ ১০/১১ ঘন্টা যাবত আটক রাখেন। বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে শারীরিক ও মানসিকভাবে টর্চার করেন। 

আরিফ বলেন, প্রথমে রাজি না হলে সুকোমল ও নাজমুল তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে আরিফ তাদের শেখানোমতে জবানবন্দী প্রদানের জন্য রাজি হন। পরদিন শুক্রবার তাদের শেখানোমতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ মোতাবের জবানবন্দী বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করতে গেলে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট আরিফকে বলেন তুমি স্বেচ্ছায় যা বলতে চাও, তা সত্য বল, আর যদি মিথ্যা বল তাহলে তোমাকে রিমান্ডে পাঠানো হবে। এবং চিন্তা-ভাবনার জন্য সময় দেন। পরবর্তীতে আরিফ রিমান্ডের ভয়ে সত্য বলতে রাজি হন এবং সত্য ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেট বলে দেন। জানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

কিন্তু তাকে জেল হাজতে না পাঠিয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) জাহাঙ্গীর,  মাধবপুর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সি.এস.আই সুকোমল ও ডিএসবি হবিগঞ্জ এর এস.আই হানিফ তাকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের অফিস রুমে প্রায় ০৪ ঘন্টা আটকে রাখে এবং তাদের শেখানোমতে না বলে সত্য ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলার কারণে আরিফকে রাত অনু: ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনেক মারপিঠ করে এবং হুমকি প্রদান করে যে, আরিফ যদি  সুকোমল ও কোর্টের স্টাফ পঙ্কজকে নিদোর্ষ দাবী করে ভিডিও সাক্ষাতকার প্রদান না করে তবে একজন এডিশনাল পুলিশ সুপার আসবে কিছুক্ষণ পর তার সামনে যেন তাদের শেখানোমতে না বলে তাহলে তাকে ও তার ভাইদেরকে ৫ই আগষ্টের মোস্তাক হত্যা, রিপন হত্যা ও অন্যান্য পুলিশ বাদী মামলায় জড়িয়ে আরিফের পরিবারকে ধ্বংস করা হবে।

তারপরও আরিফ রাজি না হলে মাদক দিয়ে তার বউকে দুগ্ধজাত সন্তান সহ জেলে পাঠিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার হুমকি দেয়।

 তারা আরিফকে একবার বলে সুকোমলকে বাদ দিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টরের কাছে ভিডিও সাক্ষাতকার প্রদান করতে আবার বলে পংকজের উপর হালকা অভিযোগ দিয়ে বলতে। আবার কেউ বলে সুকোমল ও পংকজকে বাদ দিয়ে ভিডিও তে বলতে ।

সংবাদ সম্মেলনে আরিফ জানান, একপর্যায়ে আরিফ শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও নিরুপায় হয়ে তাদের কথামতো মোবাইল ক্যামেরার সামনে ৪/৫ বার তাদের শেখানো মতে ভিডিও সাম্মতি প্রদান করতে বাধ্য হন এবং একজন এডিশনাল পুলিশ সুপার এর সামনে তাদের শেখানো মতে বক্তব্য দেন।

রাত ১২ টার সময় তাকে যখন জেলে প্রেরণ করা হয় তখন বলা হয় যে, আমি যেন মামলার ঘটনার বিষয়ে জেল সুপার বা মিডিয়ার কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলি যে, ভূয়া জামিনের কাজে কেউ জড়িত না। সে একা করেছে। এবং জেলের কারো কাছে বা সাংবাদিকের কাছে কোনো সময় মুখ খোললে আবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হবে। 

আরিফ জেল সুপারের কাছে সত্য ঘটনা বলেন। জামিনে বের হয়েও আরিফ এখন বাড়িতে থাকতে পারেন না পুলিশি হয়রানির ভয়ে। গত মার্চ মাসের ১২ তারিখ  জামিনে বের হওয়ার পর দুইদিন সিভিল পোষাকে কয়েকজন লোক গভীর রাতে  তাকে বাড়িতে খোজতে যায়। এর পর থেকে আরিফ বাড়িতে থাকেন না । পরিবার নিয়ে নিয়ে তিনি ভয়ে রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD