March 18, 2025, 4:46 am
এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর দেশের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে পরিচিত। পেঁয়াজের আবাদ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, এবারে উঠা নতুন চারা পেঁয়াজের আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি নেই। পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু নায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। ফলে, নতুন পেঁয়াজ ঘরে উঠতে শুরু করলেও হতাশ হয়ে পড়েছেন দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী সুজানগর অঞ্চলের কৃষকেরা। বর্তমান বাজার মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে জানিয়েছেন তারা। উপজেলার তঁাতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নতুন পেঁয়াজ কাটার ধুম পড়েছে। পেঁয়াজ চাষিরা মণ প্রতি ৩০ টাকা করে মজুরি দিয়ে গ্রামের নারী শ্রমিকদের দিয়ে পেঁয়াজ কেটে ঘরে তুলছেন। এ সময় পেঁয়াজ চাষি বাদশা হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমি প্রায় ২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। আবাদ করা পেঁয়াজের বেশিরভাগই উচ্চফলনশীল জাতের,এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০- ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু নতুন পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে ১০০০-১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। পরে লোকসানের আশঙ্কায় বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।একই গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, প্রতি বিঘা প্রায় ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে ৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। কিন্তু, তাকে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। লিজ নেওয়া জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পেঁয়াজ চাষ করে ধারের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম ২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলে চাষিরা কিছুটা হয়তো লাভের মুখ দেখবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, এ বছর সুজানগর উপজেলায় ১৭ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কয়েকদিন ধরে কৃষকেরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু করেছেন,চলবে আরও প্রায় এক মাস পর্যন্ত ।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।