March 16, 2025, 8:53 pm
সুমন খান:
রাজধানীর প্রশস্ত ফুটপাতও চলে গেছে দোকানপাটের দখলে। ২-৩ স্তরের দোকানের কারণে ব্যাহত পথচারী চলাচল। কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে উঠে গেছে দোকানের বহর। সংকুচিত হয়েছে ব্যস্ত রাজপথ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে, বাড়ছে দুর্ঘটনা। এসব উচ্ছেদে এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই দুই সিটি করপোরেশনের।ছোট ছোট দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি আদতে ফুটপাত। পথচারীদের হাঁটা চলার জন্য থাকলেও, চলে গেছে পুরোপুরি হকারদের দখলে।মিরপুর ১০ নম্বরের ফুটপাতে নেই পা ফেলার জায়গাটুকুও। মূল সড়কের পাশে ৩০ ফুট চওড়া ফুটপাত। অথচ সেখানে বসছে ২-৩ স্তরে দোকানপাট। শুধু মিরপুর নয়, নগরীর অন্যান্য এলাকার ফুটপাতেরও একই দশা। নিয়ম ভেঙে কেনো ফুটপাতেই বসাতে হয় দোকান?ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা করা হলে ফুটপাতে বসবেন না।ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রশস্ত করা হয়েছিল সড়কের দু’পাশের ফুটপাত। প্রত্যাশা ছিল- এবার হয়ত পাল্টাবে অবস্থা। কিন্তু ঘটেছে উলটো।
এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন, পরিবর্তিত সময়ে পরিস্থিতি ভিন্ন রকমের ছিল, কিন্তু এখন আমরা এই কাজগুলো করার কথা ভাবছি। আশা করি যারা অবৈধ দখলদার আছেন তারাও আমাদের সহায়তা করবে। দখলদার বলতেছেন আমরা অনেক কষ্টের পর স্বাধীন করেছি এ দেশটাকে, আমাদের ইচ্ছা মতন যা কিছু করার আমরা যেখানে সেখানে দোকান বসিয়ে আমাদের রুজি রোজগার করব। কেউ কি জিজ্ঞাসা কিংবা কোন টাকা পয়সা দিতে পারবো না স্বাধীন করছি কি জন্য। দিকে পথযাত্রীরা তাদের কষ্ট এবং অশ্রু ঝরার কন্ঠে বলেন ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে রাস্তা হাঁটার দূরের কথা কোন জায়গায় দাঁড়াতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। স্বাধীন হয়েছে দেশ কি শুধু এই রাস্তাঘাটে ফুটপাত দখল করার জন্য গাড়িতে চলা দূরের কথা আমরা তো হারতেও পারতেছি না। এই যদি হয় আমাদের দেশের অবস্থা তাহলে বর্তমান সরকার এই বিষয় নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। এক শিক্ষার্থী বলে ভাই অনেক কিছু ভুল করেছি সব কিছু মেনে নিতে হয়, কি বলবো বলার কোন ভাষা নেই যে পরিমাণে অবৈধ অটো রিক্সা লেগুনা জ্বালায় আমরা যন্ত্রণায় শেষ হয়ে গেলাম, আমরা হাঁটতেও পারছি না একটা রিকশা অটো রিকশা আমরা যেভাবে অতি দ্রুত চলে মনে হচ্ছে আমাদেরকে পিষে দিবে । এই বিষয়ে প্রশাসনের কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না থানা বলেন আর সার্জন টিআই বলেন শুধু তারা নীরবে সবকিছু দেখে যাচ্ছে, এক সার্জন বলেন ভাই কি করবো আর কি বলবো কিছু বলতে গেলেই আমাদের উপরে খ্যাপা হয়ে মারা চেষ্টা করে আর বলে আপনারা যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকেন এই হলো ভাই দেশ আমাদের বাংলাদেশ। পুলিশ সার্জেন্ট কনস্টেবল বলতে কথা তো করার কিছু নাই, আমাদের কর্মকর্তা তারাই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি , আমরা মাঠে কাজ করি আর কি বলবো। এক স্যারজেন বলেন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আমার এই মিরপুর এক নাম্বার গোল এপেক্সের সামনে ডিউটি যানজট যা দেখি কিছু বলতে গেলে সবাই আমাদের উপরে উচ্চস্বরে এবং অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আপনার সাংবাদিক আপনারা নিউজ করতে পারবেন হয়তোবা আমাদের একটু ক্ষতি হবে এইতো কিন্তু যারা ফুটপাতে দখল করে আছে অবৈধভাবে রিস্কা অটো লেগুনা যেভাবে যানজট সৃষ্টি করতেছেন এগুলো কে দেখবে এবং কি কি করবে সেটা আমাদের জানা নেই।
এদিকে তথ্য অনুযায়ী এবং পুলিশ উঁচু কর্মকর্তা এবং টিআই সার্জেন্ট সহ সবাই চুপচাপ? কেউ দেখেও ও না দেখার ভান করছেন, তাদের নেই কোন পদক্ষেপ নেই কোন তাদের কোন ভূমিকা । এমনটাই সাংবাদিকের সাথে কথায় কথায় পথযাত্রীরা বলে থাকেন পুলিশ প্রশাসন কি করে এগুলো দেখছে না।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। নগরবাসীর চাওয়া, দ্রুত দখলমুক্ত করে ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাদের হাঁটার পথ , নয়তোবা আমরা বাসা থেকেও বিপত্তি কষ্ট হবে আমাদের তো কাজকর্ম করে খেতে হবে, নয়তোবা এভাবে কি দেশ চলে।