February 22, 2025, 8:43 am
বি এম মনির হোসেন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পর্যটন এলাকায় নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছে ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ। বিশেষ করে ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে টুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত সকলের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশ ২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশ করলেও টুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম দৃশ্যমান হয় বিগত দুই বছর ধরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলেও টুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম যথেষ্ট পরিমাণে দৃশ্যমান। ৫ই আগস্ট এর পর যেখানে অন্যান্য পুলিশের ইউনিট গুলি ইমেজ ক্রাইসিসে ভুগছিল সেখানে টুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম কোন সময় থেমে থাকেনি। বরং পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পর্যটন খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে টুরিস্ট পুলিশ।ঢাকা শহরের বিভিন্ন ৪/৫ তারকা হোটেল-রিসোর্ট এবং গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জের সকল রিসোর্ট -রেস্টুরেন্ট গুলোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করেছে ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ। যেকোনো হোটেল অথবা রিসোর্ট অথবা পর্যটন স্পটে দেশি – বিদেশি পর্যটক অথবা দর্শনার্থীর আগমন ঘটলে টুরিস্ট পুলিশকে জানানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা প্রদান করছে ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ। বিভিন্ন হোটেল -রেস্টুরেন্ট এবং রিসোট ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ টুরিস্ট পুলিশের এ ধরনের ভূমিকার ভূয়ষি প্রশংসা করেছে।এই বিষয়ে ঢাকা রিজিয়ন পর্যটন খাত নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে আলোচিত এবং প্রশংসিত টুরিস্ট পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নাইমুল হক পিপিএমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “প্রথমদিকে টুরিস্ট পুলিশ এতটা জনপ্রিয় না হলেও বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে টুরিস্ট পুলিশ পর্যটন ব্যবসায়ী এবং পর্যটকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে আমি যোগদান করার পর প্রতিটি হোটেল-রেস্টুরেন্ট- রিসোর্টে টুরিস্ট পুলিশের হট লাইন নম্বর সম্বলিত এক্স ব্যানার, কাট আউট, টেবিল টপার ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে। যার ফলে পর্যটকরা টুরিস্ট পুলিশের সেবা ফোনের মাধ্যমে ও গ্রহণ করতে পারছে। আমরা মূলত থ্যাংকস অফ সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া আমরা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে আগত পর্যটকদের নির্মল আনন্দ প্রদান করার জন্য যে সমস্ত হাউজবোটগুলো এসেছে তাদেরকে আমরা নিরাপত্তা প্রদান করে আসছি।দেশী বিদেশী বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করনের লক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক মেলায় টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তা প্রদান করছে। আমরা প্রতিনিয়ত সকল হোটেল,রিসোর্ট- রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করছি এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান সহ তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পারস্পরিক সহায়তা সম্বলিত চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যাতে করে পর্যটকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার না হয় এবং টুরিস্ট পুলিশের সেবা গ্রহণ করতে পারে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে পর্যটন ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে এবং টুরিস্ট পুলিশ আরো বরসর পরিসরে কাজ করতে পারবে। আমরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর স্টুডেন্টদের সাথে “স্টুডেন্ট ট্যুরিজম সিকিউরিটি” শীর্ষক মাত বিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করছি যাতে করে স্টুডেন্টদের সাথে টুরিস্ট পুলিশের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাছাড়া আমরা ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন টুর অপারেটর সমিতি (টুয়াব) আটাব,বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন ( বিহা),রিসোর্ট মালিক সমিতি,রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি সহ পর্যটন খাতের সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়মিত মিটিং এবং বিভিন্ন ধরনের মত বিনিময় সভা আয়োজন এবং অংশগ্রহণ করে চলেছি।উল্লেখ্য যে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে টুরিস্ট পুলিশ তাদের নিরাপত্তা সেবা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করছে এবং পর্যটকদের তাৎক্ষণিকভাবে সেবা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন পর্যটন স্পট হোটেল মোটেল রেস্টুরেন্টে টুরিস্ট পুলিশের হট লাইন নম্বর কম্বলিত বিভিন্ন ধরনের কাট আউট, এক্স ব্যানার ও টেবিল টপার ইত্যাদ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।