February 20, 2025, 8:11 pm
আলিফ হোসেন।।
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বাদিকে হত্যা ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এঘটনায় ভিকটিম তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।গত ১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
তানোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ঘটনা তুলে ধরেন মামলার বাদি মোহন মন্ডল।
প্রসঙ্গত,তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কামারগাঁ গ্রামে চলাচলের রাস্তায় গরুর বর্জ্য (গোবর) ফেলে রাখাকে কেন্দ্র করে বাদি-বিবাদি পরিবারের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী আসামীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠি-সোঠা নিয়ে বাদির স্ত্রী ও কন্যার উপর হামলা ও বেধড়ক মারপিট করে। তিনি বলেন, গুরুতর আহত ও হাত ভাঙ্গা অবস্থায় তার কন্যা আয়েশা খাতুন ও স্ত্রী রাফেজা বেগমকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় কামারগাঁ গ্রামের মোহন মন্ডল বাদি হয়ে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ আনেসুর রহমান (৫৫),তার স্ত্রী মাফিয়া বিবি (৫০) পুত্র রাফি (৩২) ও পুত্রবধু হাসিনা খাতুনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ আনিসুর রহমানের পুত্র কাফিকে (৫৩) আটক ও কারাগারে প্রেরণ করেন। কিন্ত্ত অপর আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসেই মামলা তুলে নিতে বাদি ও তার পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্য আরো বলা হয়, মামলার ২ নম্বর আসামী মাফিয়া বেগম (৫০), ৩ নম্বর আসামি আনিসুর রহমান (৬০) এবং ১ নম্বর আসামী কাফির স্ত্রী হাসি খাতুন (৩০) আদালত থেকে জামিনে এসে সহযোগী প্রতিবেশী ১নম্বর আসামীর চাচা মুনসুর রহমান (৬২) ও চাচী আসমা বেগমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ হুমকি দিয়ে বলছে মামলা তুলে না নিলে তোদেরকে আবার পিটাবো, নয়তো ঘর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করবো। আসামীদের এমন হুমকির কারনে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন পার করছি। যেকোন সময় তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিটসহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। বিষয়টি তানোর থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, হুমকির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমার সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে আমার অভিযোগ না নিয়ে আমাকে থানা থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, আসামীদের হুমকির মুখে আমার মেয়ে আহত আয়েশা খাতুন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরতে পারছে না বলেও জানান তিনি। যোগাযোগ করা হলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমি তো তাকে অভিযোগটি ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে বলেছি জানিয়ে তিনি বলেন উনাকে পাঠিয়ে দেন।#