February 15, 2025, 10:22 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ বেরুবাড়ী ইউনিয়ন নেতা ফজলুল হক মন্টু ও বেরুবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ২নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আব্দুল করিম ও তার সন্ত্রাসী দল গতকাল বিএনপির কর্মী এনামুল হকের স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে বেদম মারধর করে আহত করে। বর্তমান আহতরা নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নাগেশ্বরী থানায় মামলা প্রকৃয়াধীন।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের গাছপাড়ী (ওয়াবদা বাজার) এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামীলীগের নেতার দাপটে ফজলুল হক মন্টু ও আব্দুল করিম তাদের সৎ ভাই নির্যাতিত বিএনপি কর্মী এনামুল হকের জমি জোরপূর্বক দখল করাসহ অনেকবার মারধর, হামলা নির্যাতন ও মামলা করে হয়রানি করে আসার অভিযোগ দৃশ্যমান। এদিকে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল (১৫ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার দুপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের বেরুবাড়ী ইউনিয়ন নেতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা ফজলুল হক মন্টু এবং বেরুবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আব্দুল করিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী পুর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্যাতিত বিএনপির কর্মী এনামুল হকের জমি চাষাবাদ করতে থাকে এমতাবস্থায় এনামুলের স্ত্রী শাপলা বেগম বাধাঁ প্রদান করতে গেলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল হক মন্টু ও বেরুবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ২নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি আব্দুল করিম ও রোকনুজ্জামান বুলু, নয়ন হোসেন, আশরাফ আলী সংঘবদ্ধ চক্রারা শাপলা বেগমের শরীরের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্ঠাসহ বেদম মারধর করতে থাকে এবং মায়ের আত্ম চিৎকারে শিশু সন্তান সাকিব বাবু সোহাগ এগিয়ে আসলে তাকে পিছনে হাত বেধে মধ্যযুগের কায়দায় শিশু নির্যাতন এলোপাতারী মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাপলা বেগমের স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয় এবং আহতদের চিৎকারে স্থানীয় ইসমাইল হোসেন, এন্তা ও আশরাফ আলী তাদের উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে এনামুল হক বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় ফজলুল হক মন্টু ও আব্দুল করিমসহ ৭জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। অজ্ঞাত-কারণে থানায় মামলা এখনো প্রকৃয়াধীন।
মামলার বাদী এনামুল হক বলেন, আমার পিতা আমার নামে কিছু সম্প্রতি লিখে দেন। সেই জমির লোভে আমার সৎ ভাই আওয়ামীলীগের নেতার দাপটে দীর্ঘদিন থেকে আমাকে ও আমার পরিবার কে হামলা, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমাকে বড়ী ছাড়া করেছেন। শুক্রবারের ঘটনায় থানায় এজাহার করার পরেও এখনো প্রশাসনের হস্তক্ষেপ পাইনি। এদিকে বিবাদীরা আমার স্ত্রী ও সন্তান কে নির্যাতন করে তারাই আবার থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মামলার আসামী ফজলুল হক মন্টু বলেন, আওয়ামীলীগ করেছি তো কি হয়েছে। জোর যার মুল্লুক তার। যা পারেন লেখেন।
গাছপাড়ী (ওয়াবদা বাজার) এলাকায় স্থানীয় ইসমাইল হোসেন, এন্তা ও আশরাফ আলী বলেন, ফজলুল হক মন্টু বাহিনীরা কয়েকবার এনামুলের জমি জোরপূর্বক দখল করাসহ মারধর করে আসছে। তাদেরও সুষ্ঠ বিচারের দাবি।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী থানা) মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।